আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

হেফাজত, মোদি এবং গোঁজামিল!

রহিম আব্দুর রহিম  

অনিবার্য একটি গল্প দিয়েই লেখাটি শুরু করছি। “কোন এক রাতে এক গৃহস্থের বাড়িতে শিয়াল ঢুকেছে তার পোষা মুরগি ধরতে। গভীর রাতের শিকারি শিয়ালের মুখে থাকা মুরগির কক্ কক্ শব্দে মালিকের ঘুম ভেঙে যায়। বাড়ির মালিকের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশে-পাশের লোকজন ওঠে আসে। বেগতিক বেচারা শেয়াল মুরগি ছেড়ে জান বাঁচাতে অস্থির। এবার মুরগির মালিক শেয়ালের কাছ থেকে রক্ষা করা মুরগিটি বাসায় নিয়ে জবাই করছে। পাশে থাকা মালিকের অবুঝ শিশু তার বাবাকে বলছে, বাবা মুরগি জবাই করছো কেন? বাবা বললো, কেন? রান্না করে মাংস খাবো। এবার সন্তান তার বাবাকে বললো, তাহলে শেয়ালের কাছ থেকে মুরগিটিকে কেন রক্ষা করলে? বাবা বললো, কেন? অবুঝ ছেলে উত্তর দিলো, শেয়ালের কাছ থেকে মুরগিটি উদ্ধার করে তুমি নিজে জবাই করলা, এতে মুরগির কি উপকার হলো?” উপস্থাপিত গল্পের সাথে নিবন্ধের মিল-অমিল খুঁজে বের করার দায়িত্ব একান্তই পাঠক সমাজের। আর ধৈর্যচ্যুতি নয়; এবার মূল আলোচনায়।

১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে নিপীড়িত বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন এক মহানায়কের নেতৃত্বে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশত বার্ষিকী গত বছর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন পালন করেছে। যতটুকু জানি, সরকার ঘোষিত যার বর্ধিত সময় ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত। এর মাঝেই স্বাধীনতার ৫০ বছর অর্থাৎ ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ গত ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত অত্যন্ত জাঁক-জমকপূর্ণভাবে পালন করা হয়েছে। এই উৎসবে প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মিত ইতিহাসে বিনির্মাণ ঘটিয়েছেন। কিন্তু এই মহান আয়োজনে প্রতিবেশি দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী’র আগমন ঘিরে একটি উগ্রগোষ্ঠী যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা শুধু দুঃখজনকই নয়; ইসলাম ধর্ম এবং মুসলিম জাতির জন্য কলঙ্কও বটে।

কলঙ্ক এই জন্যই বলছি; শৈশব-কৈশোরে শ্রেণিকক্ষে ধর্মীয় শিক্ষাগুরুর কাছে শুনেছিলাম, “অতিথি এমন একজন ব্যক্তি, যাকে কদর, আদর, সম্মান করা নৈতিক দায়িত্ব। শুধু তাই নয়, অতিথি যদি পিতার হত্যাকারী হয়, তবু তাকে অতিথির মর্যাদা দেওয়া ইসলামের বিধান।” আমার ওই শিক্ষাগুরুর এই উক্তি যদি মনগড়া হয়ে থাকে, তবে ওই শিক্ষক আমাকে মিথ্যা বা ভুল শিখিয়েছেন। যে কারণে তাঁকে (শিক্ষক) একজন ধর্মান্ধ বলে ধিক্কার জানাচ্ছি। আর যদি তাঁর শিক্ষাটা ইসলাম বিধিসম্মত হয়ে থাকে, তবে মোদির আগমন ঘিরে যারা জ্বালাও-পোড়াও বা ভাঙচুর করেছে, তারা নির্দ্বিধায় উগ্র-সাম্প্রদায়িক এবং সত্যিকারের ইসলাম বিরোধী একটি দেশদ্রোহী গোষ্ঠী।

‘ইসলাম’ ধর্ম কখনও কোন ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের তুলনা করে না। বরং সকল ধর্মের অনুসারীদের শান্তি কামনা করে। আইয়ামে জাহেলিয়া যুগে মহানবী (সা.) বিপথগামী মক্কাবাসীদের সত্যগ্রহণের পরামর্শ দিলেন। মক্কাবাসী কোনভাবেই তা গ্রহণ করল না। পরে তিনি (সা.) তায়েফে পৌঁছালেন, তায়েফের নেতারা মহানবী (সা.) এর সঙ্গে দেখা করার জন্য আসতে লাগলো ঠিকই কিন্তু কেউ মহানবী (সা.) এর কথায় রাজি হল না। বরং উল্টো পথ অনুসরণ করল। তায়েফের সব ভবঘুরেদের একত্রিত করল, যারা প্রত্যেকেই ঝোলা ভর্তি পাথরের টুকরো নিল এবং নির্মমভাবে মহানবী (সা.) এর ওপর অবিরাম পাথর ছুড়ে মারলো। অবিশ্রান্তভাবে পাথর মারতে মারতে মহানবী (সা.)-কে শহর থেকে বাইরে নিয়ে গেল। এতেকরে রাসূলের দু’টি পা রক্তাক্ত হয়ে ওঠলো। মহানবী (সা.) আকাশের দিকে নজর দিলেন এবং কাতর হয়ে প্রার্থনা করলেন, “হে আল্লাহ তুমি এদেরকে ক্ষমা করে দাও! কেননা এরা জানে না এরা কি করছে।” রাসূলের এই মানবিক শিক্ষা কি কওমি কারখানা থেকে আবিষ্কৃত মামুনুল-রফিকুলরা কোনোদিনই জানেনি, শোনেনি? ধিক, ধর্মের নামে এরা যে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে, তা নরেন্দ্র মোদি কিংবা তার ধর্মের ক্ষতি না হলেও, ইসলাম ধর্মের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও দেশে এখনও স্বাধীনতা বিরোধীদের আস্ফালন সত্যি দুঃখজনক। সেই পাকিস্তান জমিনের ‘জামায়াতে ইসলাম’ বর্তমানের ‘হেফাজতে ইসলাম’; কি অপূর্ব মিল! একটি শিরোনামে ‘ইসলাম’ ঢুকেছে একটি জামায়াতের মধ্যে, অন্য শিরোনোমটি ‘ইসলাম’ হেফাজত করছে একটি গ্রুপ। অর্থাৎ ‘ইসলাম’ ধর্মটা একটি গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ‘জামায়াতে ইসলাম’ ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র বিরোধিতা করার বিষয়টি ‘হেফাজতে ইসলাম’ নামের সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ফরজে আইন হিসেবে ধরে নিয়েছে।

ভারতের নরেন্দ্র মোদির দল কিংবা গোষ্ঠী যে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক আক্রমণ চালায়নি, তা আমি বলছি না; বলছি, ‘ইসলাম’ ধর্ম প্রতিশোধের নয়। ‘ইসলাম’ ধর্ম ধৈর্যের, ন্যায়ের এবং শান্তির। মোদির আগমন ঘিরে যারা শহিদি উসকানি দিয়েছে তারা কারা? এই সুযোগ এরা কোথা থেকে পেলো? মোদির আগমন ঘিরে বিক্ষোভ, হরতাল, সংঘর্ষে যারা আহত হয়েছে তারা সবাই মাদ্রাসার শিক্ষার সাথে জড়িত। অথচ সরকারের দায়িত্বশীল একজন মন্ত্রী বলেছেন, “সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর তাণ্ডবে পৃষ্ঠপোষক বিএনপি।” (তথ্যসূত্র: সমকাল, ২৮ মার্চ ২০২১।) অথচ সাইনবোর্ড সর্বস্ব কয়েকটি সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ছাতার নিচে ডুগডুগি বাজাচ্ছে। হরতাল, বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনা যেমন ন্যক্কারজনক, তার চেয়েও ন্যক্কারজনক রক্তপাত ও হত্যাকাণ্ড। প্রশ্ন, যে আলেম সমাজ আজ পথে নেমেছে মুসলিম রক্ষায়, তারা এর আগে কখনও যুদ্ধংদেহীভাবে মাঠে নামেনি। যখন ‘কওমি’ শিক্ষার মর্যাদা বর্তমান সরকার এমএ পাশের মর্যাদা দিয়েছে, শুধু তাই নয় আশ্চর্যজনক বিষয় করোনাকালে যখন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, তখনও ‘কওমি মাদ্রাসা’ চালু রাখা হয়েছে। এতে করে কওমি ধর্মান্ধরা সরকারের দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছে। ফলে ‘মামুনুল’ কিংবা তথাকথিত শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানি’রা ধর্মের নামে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে দেশে অস্থিরতা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

একদিকে হেফাজতে ইসলামের জ্বালাও-পোড়াও, অন্যদিকে ২০১৯ সালের চীনের উহানে আবিষ্কৃত ‘করোনা’ নামক মহামারী’টি পৃথিবীর এক ভয়ঙ্কর আতঙ্ক হিসেবে বিরাজ করছে। গতবছর ২০২০ এর ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজ মাদ্রাসাসহ সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ, দেশের সরকার সংশ্লিষ্টরা চান না শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করুক। সরকার এ বিষয়ে একটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছেন। যে কমিটির আলোচনা-পর্যালোচনা করে যখন গ্রিন সিগনাল দেবে তখন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করবে। এটাই হওয়া উচিত। দুঃখজনক হলেও সত্য গঠিত পরামর্শ কমিটি এমন কোন উপায় বের করতে পারেনি, যে স্কুল-কলেজ চালু রেখে মহামারী থেকে বাঁচা যায়। এই পরামর্শক কমিটি যদি ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মত পরিস্থিতির মধ্যে কখনও পড়ে, তখন কি হবে? যে জাতি ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, খরা, বন্যা, কলেরা, ডায়রিয়া, বসন্তসহ মহামারী দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশটাকে উন্নয়নের স্বর্ণশিখরে পৌঁছে দিচ্ছে, সেই দেশের শিক্ষার মত একটি মৌলিক অধিকার খাঁচায় বন্দি করে মহামারী সামাল দেওয়ার মন্ত্রের ফানুশ উড়ানো কতটা যুক্তিযুক্ত?

সরকার চাচ্ছে যাতে শিক্ষার্থীরা রিস্ক নিয়ে বাইরে না যায়; তা কি আদৌ হচ্ছে? জরিপ করে দেখুন, দেশের কত শতাংশ শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছে? কত শতাংশ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে? দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের নৈতিক, সামাজিক এবং স্বাস্থ্যগত নানাবিধ সমস্যার পাশাপাশি সমাজের ভাবি প্রজন্মের একটি বড় অংশ অপরাধজগতে যে প্রবেশ করছে না, তা কিন্তু হলফ করে বলা যাচ্ছে না। যে ছাত্রসমাজ সকল মহামারী, দুর্যোগে সৈনিকের ভূমিকা রেখেছে, আজ তাদের খাঁচায় রেখে মহামারীর দোহাই দিয়ে জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি করা হচ্ছে এর খেসারতও যুগ যুগ ধরে জাতিকেই দিয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা না হয় ‘অন্ধকারে সাপ, ঘর শুদ্ধ সাপ’-এর আতঙ্কে রয়েছে; কিন্তু ব্রিটিশের শাসন, পাকিস্তানের শোষণের বিরুদ্ধে যে ছাত্র সমাজ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই ছাত্রসমাজ কেনো হুঙ্কার দিচ্ছে না! “দ্বার বন্ধ করে ভ্রমটারে রুখি, সত্য বলে আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি।” অথচ ধর্মান্ধরা ধর্মের দোহাইয়ে শহিদি যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। অদৃশ্য এক রোগের ভয়ে গোটা জাতির মেরুদণ্ড নড়েবড়ে করা, কিংবা লেখাটির প্রারম্ভিক গল্পের মিল-অমিল খুঁজবে কে?

রহিম আব্দুর রহিম, শিক্ষক, কলামিস্ট, নাট্যকার ও শিশু সাহিত্যিক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ