আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

আওয়ামী লীগকে ‘আওয়ামী লীগে’ ফিরতে হবে

জুয়েল রাজ  

শুধু বাংলাদেশ নয়, এই উপমহাদেশের পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের একটি দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই পথচলায় ৭২ বছর পাড়ি দিয়েছে সংগঠনটি। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বাংলাদেশের নামের সাথে, রক্তের সাথে, মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে সংগঠনটি। ৭২ বছরের দীর্ঘ পথচলায় বারবার হোঁচট খেয়েছে, রক্তাক্ত হয়েছে এবং মিথের ফিনিক্সের মতো আবার উড়েছে। বিশ্বের আর কোন রাজনৈতিক সংগঠনকে আওয়ামী লীগের মতো এতো রক্ত ঝরাতে হয়নি।

ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে গঠিত হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে করা হয় সাধারণ সম্পাদক। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু রাজনৈতিক নানা প্রেক্ষাপটে সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে হাল ধরেন শেখ মুজিবুর রহমান, হয়ে উঠেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। ১৯৫৩ সালেই শেখ মুজিবুর রহমান ভারমুক্ত হয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, এবং ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে তিনি তার নেতৃত্বের যাদু দেখান, সারা দেশের মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন। নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয় লাভ করে যুক্তফ্রন্ট। আর শেখ মুজিবের উপহার জুটে কারাগার। সরকার প্রায় এক বছর জেলে আটকে রাখে তাঁকে।

১৯৫৫ সালের ২১ অক্টোবর, আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ মুজিব দলের নাম থেকে ‘মুসলিম' শব্দটি প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করলে আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস অসাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস, আওয়ামী লীগের ইতিহাস উন্নয়নের ইতিহাস। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন থেকে শুরু করে, ৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৬ দফাভিত্তিক ’৭০-এর নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ একটি রক্তাক্ত যুদ্ধের সূচনা, বাংলার প্রতিটি ধূলিকণায় লেখা হয়ে আছে সেই ইতিহাস।

লেখার শিরোনাম দেখে প্রথমেই প্রশ্ন আসতে পারে, আওয়ামী লীগ কোথায় হারিয়ে গেছে? আওয়ামী লীগের স্বর্ণালি সময়ে আওয়ামী লীগ তো বহাল তবিয়তে আছে তবে ফেরার প্রশ্ন আসছে কেন? দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ আওয়ামী সমর্থক ও তৃণমূলের কর্মীদের মাঝে এক ধরনের হাহাকার পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা চর্বিওয়ালা এই আওয়ামী লীগকে চিনছেন না। অচেনা লাগছে। আওয়ামী লীগের গায়ে এতো বেশি চর্বি জমেছে যে আওয়ামী লীগকে বিপন্ন করে তুলেছে। বাজে কোলেস্টেরল যেমন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় আওয়ামী লীগের ভিতরে সেই বাজে কোলেস্টেরল জমে গেছে।

অনলাইন ঘাটাঘাটি করে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বঙ্গবন্ধু লেখক লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ, বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু বাস্তুহারা লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী হকার্স ফেডারেশন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারা বাস্তবায়ন পরিষদ, বঙ্গবন্ধু গ্রাম ডাক্তার পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আদর্শ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় লীগ, জননেত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় সংসদ, আওয়ামী প্রচার লীগ, আওয়ামী সমবায় লীগ, আওয়ামী শিশু লীগ, আওয়ামী তৃণমূল লীগ, আওয়ামী ছিন্নমূল হকার্স লীগ, আওয়ামী মোটরচালক লীগ, আওয়ামী তরুণ লীগ, আওয়ামী রিকশা মালিক-শ্রমিক ঐক্য লীগ, আওয়ামী যুব হকার্স লীগ, আওয়ামী পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা লীগ, আওয়ামী নৌকার মাঝি শ্রমিক লীগ, আওয়ামী ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী লীগ, আওয়ামী যুব সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশে আওয়ামী পর্যটন লীগ, জননেত্রী পরিষদ, দেশরত্ন পরিষদ, বঙ্গমাতা পরিষদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পরিষদ, আমরা নৌকার প্রজন্ম, আওয়ামী শিশু যুবক সাংস্কৃতিক জোট, তৃণমূল লীগ, আমরা মুজিব হবো, চেতনায় মুজিব, মুক্তিযোদ্ধা তরুণ লীগ, নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী, দেশীয় চিকিৎসক লীগ, ছিন্নমূল মৎস্যজীবী লীগ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লীগ, নৌকার নতুন প্রজন্ম নামের সংগঠনগুলোর খোঁজ পেয়েছি। এর বাইরে পেশাজীবী সংগঠন গুলো আসে নাই। এই সব সংগঠন আওয়ামী লীগের বাজে কোলেস্টেরল।

বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে হেফাজত নামক দানবের মৃত্যু ঘটেছিল ২০১৩ সালের ৫ মে। সেই হেফাজত নানা রাজনৈতিক খেলা খেলে মাত্র সাত বছরে ভয়ংকর রূপে পুনর্জন্ম নিয়েছে। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ নীরব ছিল, একই অবস্থা ২০২১ সালের ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়ে মামুনুল কাণ্ড পর্যন্ত। এরা নীরব ছিলেন। বিশেষ করে ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে যে ঝড় সামলে নিয়ে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে নতুন এক এক আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়ায়।

প্রাচীন এবং বৃহৎ সংগঠন হিসাবে সময়ে-অসময়ে নানা মতের মানুষ এসে ভিড়েছে এই সংগঠনে। এবং সেটাই স্বাভাবিক। এই সুবিধাভোগী, নৈতিক বেশ্যাদের অনুপ্রবেশ রোধ করাও খুব কঠিন। প্রয়োজনে এরা নিজের মাকেও বাজির দান ধরতে পারে। এইসব নৈতিক বেশ্যাদের প্ররোচনা দলের ভিতর প্রভাব বিস্তার করা, অর্থবিত্ত পদপদবী নিয়ে সংগঠনের মৌলিক আদর্শের জায়গায় পচন সৃষ্টি করেছে। মাঝে মাঝে কিছু নেতা কর্মীর কারণে এই আওয়ামী লীগকে অচেনা মনে হয়। ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলের নেতা আর আওয়ামী লীগের নেতার মধ্যে কোন পার্থক্য নিরূপণ করা যায় না।

এক ছোটভাই সেদিন জিজ্ঞেস করেছিল আমি এখনো কীভাবে বিশ্বাস করি যে আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ধারণ করে? উত্তরে বলেছিলাম কাগজেকলমে হোক, অথবা বিশ্বাসে হহোক আওয়ামী লীগের মূল শক্তি এই অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি। আওয়ামী লীগ যদি এই চেতনা থেকে সরে যায় তবে আওয়ামী লীগ দলটাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

১৯৭২ সালে, কলকাতার যুগান্তর পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘অসাম্প্রদায়িকতার একটি চারাগাছ আমি রোপণ করেছি বাংলাদেশে, কেউ যদি এই চারাগাছটি উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে, বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে।’ স্বাধীনতার ঠিক ৫০ বছর পর সেই বিপন্ন অবস্থায় বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ যদি হারে, বাংলাদেশ হেরে যাবে। আওয়ামী লীগই শেষ ভরসার জায়গা। বাংলাদেশের শেষ ঠিকানা। আওয়ামী লীগের সামনে আর কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশে আর কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠন নেই যে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করার। দুটি ধারায় বিভক্ত বাংলাদেশ। এক ধারায় প্রগতিশীল রাজনীতির ধারক বাহক আওয়ামী লীগ, অন্য ধারায় আওয়ামী বিরোধী সব সংগঠন। সেখানে ডান বাম মধ্যপন্থা সব এক জায়গায় মিলিত হয়েছে। যে বাম সংগঠনগুলো নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করতো তারাও হেফাজতের সাথে ভিড় জমিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় তারাই প্রথম রাজপথে নেমেছিল। হেফাজত পরে যার ফায়দা উঠিয়েছে।

৭৩ বছরে পদার্পণকারী সংগঠন আওয়ামী লীগ তার আদর্শিক জায়গায় অটুট থাকুক। নৈতিক বেশ্যাদের কাছে যেন জিম্মি না হয়। আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর নীতি আদর্শে বিশ্বাসীদের হাতে যেন নৌকার বৈঠা থাকে। যার হাল ধরে আছেন শেখ হাসিনা। এতো এতো উন্নয়ন, এতো সাফল্য, কিন্তু দল হিসাবে মাঠ পর্যায়ে এক বিক্ষিপ্ত আওয়ামী লীগকেই আমরা দেখছি। সরকারের সাফল্যে, সংগঠন আওয়ামী লীগ ভাগ বসাতে পারছে না। সেখানে সেই উন্নয়নে ভাগ বসাচ্ছে প্রশাসন-আমলারা। স্থানীয় নেতা কর্মীরা অনেকটাই ম্লান। আওয়ামী লীগের প্রাণ এর মাঠ পর্যায়ের তৃণমূলের নেতাকর্মী। বারবার এরাই রক্ত ঝরায়, প্রাণ দেয়। আওয়ামী লীগের জন্য, বঙ্গবন্ধুর জন্য, শেখ হাসিনার জন্য বুক পেতে দেয়। আওয়ামী লীগকে সেই তৃণমূলে ফিরতে হবে। ১৯৫৫ সালের অসাম্প্রদায়িক আওয়ামী লীগে ফিরতে হবে। দলছুট সুবিধাভোগী মানুষ যুগে যুগে ছিল, এরা আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে, পলাশীতে যেমন ছিল মীরজাফর, ৭৫-এ ছিল খন্দকার মোশতাক, শেখ হাসিনা ও ১৯৮০ সালের পর থেকে এইসব অনেক মুখের সাথে পরিচিত।

একটা গল্প দিয়ে লেখাটি শেষ করি। এক রাজার পায়ের কাছে এক বানর বসে থাকত। রাজা প্রতিদিন দরবারে প্রবেশ করে মসনদে বসার আগে বানরকে একটি লাথি মেরে গিয়ে সিংহাসনে বসতেন। অনেক দিন পর সভাসদরা বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা শুরু করলেন। এর মধ্যে আবার অবলা প্রাণিকে এইভাবে কারণ ছাড়া প্রতিদিন লাথি দেয়ার জন্যও তাদের মন পুড়তে থাকে। তখন তো আর এখনকার মতো প্রাণি অধিকার সংগঠন ছিল না। তারা একদিন সাহস করে মহারাজকে জিজ্ঞাসা করলেন নিরীহ বানরটিকে প্রতিদিন লাথি দেয়ার কারণ কী?

মহারাজ কোন উত্তর দিলেন না। পরের দিন থেকে বানরকে লাথি দেয়া বাদ দিয়ে দিলেন। সভাসদগণও খুশি। দুইদিন পরেই দেখা যায় বানর মহারাজের সিংহাসনের হাতলে উঠে বসে আছে। তৃতীয় দিন দেখা গেল বানরটি মহারাজের কাঁধের উপর বসে আছে। পরের দিন মহারাজ দরবারে এসেই আবার বানরের পাছায় লাথি দিয়ে গিয়ে সিংহাসনে বসলেন। দেখা গেল বানরটি মহারাজের পায়ের কাছে গুটিসুটি মেরে বসে থাকল। মহারাজ সভাসদদের উদ্দেশে বললেন আশা করি আপনারা উত্তরটা পেয়ে গেছেন। সভাসদ চুপ!

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ