আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

চিরায়ত সে কলঙ্কমুক্তির অভিপ্রায়

কবির য়াহমদ  

জেনেছিলাম সে এক অলুক্ষণে বিভীষণ
যে রাতে চাঁদ ঢেকেছিল মুখ লজ্জায়।
সে চাঁদ ওঠেছিল নিয়ে সমূহ আলো
হায়েনার মুখ দেখে হারিয়েছিল আপনার অবয়ব
তবু রাত, সে রাত যে রাত ধরতে পারে
ঝড়ের গতিবিধি তাই রাতময় থাকেনি সে রাত
মাপতে বসেছিল কোন এক স্বপ্নদেশের দূরত্ব।

হে চাঁদ, আমার নিয়ত দেখা চাঁদ
তুমি দেখেছিলে একাত্তর
আমার উজাড় হওয়া বাংলাগ্রাম
নিথর প্রাণের ধানক্ষেতে রেসকোর্সের মাতম
অথবা হঠাৎই হাওয়ায় হাওয়া জাগানো কালুরঘাট
ইতিহাসের সাক্ষী থেকে স্বপ্নবুনন।

পঁচিশের সে যদিও এক অলুক্ষণে রাত
তবু সে রাতই দেখিয়েছিল পথ সতেজ ভোরের
আমার বাবার ইস্পাতসম হাত ধরে
আমার মা নামের এক পতাকা ওড়াবার স্বপ্ন।

হয়ত তিনি আজ নেই। আসবেন না ফিরে জানি। তবু কেন আমরা তাঁকে ভাবি? কেন বারবার শোকাশ্রু ফেলি তাঁর জন্যে? কারণ তিনি মহানায়ক বাঙালি আর বাংলাদেশের রাষ্ট্র অভ্যুদয়ের। শেখ মুজিবুর রহমান একটি নাম; একটি ইতিহাস।

কেনই-বা তিনি জাতির পিতা? কী করেছিলেন তিনি যে জাতির পিতা হওয়ার জন্যে? উত্তর খুঁজতে আমাদের ফিরতে হবে তাঁর জন্ম পরবর্তীকাল থেকে শুরু করে জীবনের নানা চড়াই-উৎরাই কালের পরিক্রমায়। জন্ম হয়েছিল তাঁর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক নিভৃত পল্লিতে। স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হন কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে। কলেজ থাকাকালে ১৯৪৭ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক যুব সম্মেলনে তাঁর প্রস্তাবিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কিত প্রস্তাবটি সম্মেলনে গৃহীত হয়। সেই থেকে শুরু তারপর শুধু শুধুই টুঙ্গিপাড়ার মুজিব থেকে বাঙালির মুজিব হয়ে যাওয়ার গল্প।

রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রস্তাব বাতিল হয়ে যাওয়ায় পূর্ব বাংলার সর্বস্তরের মানুষ, বিশেষ করে ছাত্র ও যুব সমাজ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। গড়ে ওঠে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১১ মার্চ ১৯৪৮ দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছিল এবং আব্দুল গণি রোডস্থ সেক্রেটারিয়েট (তৎকালীন ইডেন বিল্ডিং) গেটে পিকেটিং-এ নেতৃত্ব দেওয়ার সময় গ্রেপ্তার হন যুবনেতা শেখ মুজিবসহ আরও অনেকে। প্রবল ছাত্র আন্দোলনের মুখে মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সাথে ৮ দফা চুক্তিনামা স্বাক্ষর করেন। শর্তানুযায়ী ১৫ মার্চ কারাগার থেকে শেখ মুজিবসহ অন্য বন্দিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমতলায় সাধারণ ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়। শেখ মুজিবই ছিলেন সভার সভাপতি এবং একমাত্র বক্তা। এই সভায় খাজা নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে সম্পাদিত ৮ দফা চুক্তিনামায় তিনটি সংশোধনী এনে তা ছাত্রসভায় পাস করিয়ে নেয়া হয়। সভা শেষে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ছাত্রদের এক মিছিল পূর্ববঙ্গ পরিষদ ভবন অভিমুখে রওনা হয়। সেখানে তখন পরিষদের সভা চলছিল, পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে পরের দিন ১৭ মার্চ ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে ১৯ মার্চ জিন্নাহর ঢাকায় আগমন উপলক্ষে সর্বমহলের অনুরোধে শুধু বিক্ষোভ সমাবেশ করে আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। বায়ান্নে ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছুলেও আটচল্লিশেই ছিল তার সূত্রপাত।

১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে যে আপোষহীন শেখ মুজিবের জন্ম হয়েছিল জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তা অক্ষুণ্ণ ছিল। ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের ন্যায্য দাবির প্রতি সক্রিয় সমর্থন জানানোর কারণে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘ ৬১ বছরাধিককাল এই বহিস্কারাদেশ বলবৎ ছিল। যা ২০১০ সালের ১৪ আগস্ট প্রত্যাহার করা হয়।

শেখ মুজিবের আপোষহীন নেতৃত্বের কারণে ১৯৬৯ সালে পশ্চিমা হায়েনারা দায়ের করে তথাকথিত ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’। শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত এক নম্বর আসামি করা হয়। কিন্তু ব্যর্থ হলো তাদের সব চাল। সৃষ্টি হলো ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। পুরো পূর্ব বাংলা একদাবিতে কেঁপে ওঠলো— জেলের তালা ভাঙব, শেখ মুজিবকে আনব। প্রবল আন্দোলনে দিশেহারা আইয়ুব খান প্রস্তাব দিলেন মুজিবকে প্যারোলে মুক্তি দেবেন। কিন্তু অস্বীকার করে বসেন মুজিব; তাই অনন্যোপায় হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী। কারামুক্তির পরের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯, সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ মুজিবকে গণসংবর্ধনা প্রদান করা এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে গণসংবর্ধনা সভার সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তাঁর ভাষণে পূর্ব বাংলার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে কারা নির্যাতিত আপোষহীন নেতা, বাঙালি জাতির দুর্দিনের পথ প্রদর্শক শেখ মুজিবকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত লক্ষ লক্ষ মানুষ বিপুল হর্ষধ্বনি ও করতালির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দিত করে। তারপরের পথ পরিক্রমায় আসে ৭ মার্চ ১৯৭১। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে দশ লক্ষাধিক লোকের এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার অনানুষ্ঠানিক ঘোষণাই দিয়ে দ্ব্যর্থকণ্ঠে উচ্চারণ করলেন স্বাধীনতার সেই সে অমোঘ বাণী— “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম—এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

২৫ মার্চ রাতে শুরু হয় মানব ইতিহাসের এক বর্বর নির্মম হত্যাকাণ্ডের সূচনা। মধ্যরাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিডিআর ওয়ারলেস সেটের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রদান করেন। যা পরবর্তীকালে আব্দুল হান্নান, জিয়াউর রহমানসহ অন্যেরা পাঠ করেন। তারপর বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের ইতিহাস। একসাগর রক্ত আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপ্রধান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের বিপ্লবী সরকার গঠিত হয় ৭১-এর এপ্রিলে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামক দেশের।

পাকিস্তানিদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মুজিব ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে পাকিস্তান থেকে মুক্তিলাভ করেন। লন্ডন হয়ে দেশে ফেরেন ১০ জানুয়ারি। এক অভূতপূর্ব গণসংবর্ধনায় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন— “আমার বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে, আমার জীবনের সাধ আজ পূর্ণ হয়েছে, আমার বাংলার মানুষ আজ মুক্ত হয়েছে। আমি আজ বক্তৃতা করতে পারব না, বাংলার ছেলেরা, বাংলার মায়েরা, বাংলার কৃষক, বাংলার শ্রমিক, বাংলার বুদ্ধিজীবী যেভাবে সংগ্রাম করেছে, আমি কারাগারে বন্দি ছিলাম ফাঁসিকাষ্ঠে যাবার জন্য প্রস্তুত ছিলাম, কিন্তু আমি জানতাম আমার বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমার বাংলার মানুষ স্বাধীন হবে।”

হ্যাঁ, এভাবেই তিনি একজন সাধারণ মুজিব থেকে অসাধারণ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু স্বাধীন দেশের পরাজিতচক্র তাঁকে বেশি দিন বাংলার মুক্ত বাতাসে থাকতে দেয়নি। কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রাতের আধারে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলার ইতিহাসে কালিমা লেপে দেয়।

১৫ আগস্ট বাঙালির ইতিহাসের কলঙ্কের দিন। ভয়াল রাত। ২৫ মার্চের এক ভয়াল রাতের পর বাঙালির জীবনে ভোর এসেছিল, দেশ স্বাধীনের মাধ্যমে। কিন্তু পনেরো আগস্টের ভয়াল রাত ছিল চিরায়ত এক সর্বনাশা রাত। বাঙালির সেই রাতে হারিয়েছিল তার স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তির দূত, জাতির পিতাকে সেই রাত চূড়ান্তভাবে হয়ে গেছে কলঙ্কতিলকের এক রাত। ভয়াল সে রাতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁর হত্যার বিচারের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার একুশ বছর পর ছিয়ানব্বইয়ে ক্ষমতায় এসে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করে। বঙ্গবন্ধু মুজিব আজীবন নিয়মতান্ত্রিক এক শাসনের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁর কন্যাও পিতা ও পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যা সত্ত্বেও হত্যাকারীদের প্রতি অবিচার করেননি। তাদেরকেও আইনের সব ধাপ অতিক্রম শেষে বিচার ও শাস্তির পথ রচনা করেছেন। এটাই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের বিশেষ করে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার ঔদার্য।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জীবিতদের বিচার হয়েছে সত্য। কিন্তু খোন্দকার মোশতাকসহ বাকিদের বিচারকার্য সম্পন্ন হয়নি আইনি বাধ্যবাধকতায়। রাষ্ট্রের স্থপতির সকল হত্যাকারীদের বিচার দরকার ছিল, প্রয়োজন ছিল আইন সংশোধন করে হলেও মরণোত্তর বিচারের পথ উন্মুক্ত করার। এটা ইতিহাসের দায়। ইতিহাসের এই দায়ের বাইরেও জীবিত অনেক দণ্ডপ্রাপ্তের ফাঁসির রায় কার্যকর করা যায়নি। তাদের বেশ কজন পলাতক হিসেবে দেশের বাইরে রয়েছেন। তাদেরকে দেশে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা গণদাবি। প্রতি বছর আগস্ট এলে শোনা যায়, পলাতক দণ্ডপ্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের, কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে এগুলো আমরা ধারাবাহিকভাবে শুনেই আসছি। বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বলছি না সরকার চেষ্টা করছে না, তবে সত্য হলো পলাতকদের ক্ষেত্রে অন্তত রায় কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারে সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতার যে সূচক সেখানে তাদেরকে একবাক্যে সফল বলতে পারছি না। জাতির কলঙ্কমুক্তির অভিপ্রায়ে আমরা চাই পলাতক খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের। আশ্বাসে বিশ্বাস রেখে বলি—দ্রুততার সঙ্গে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করুন!

কবির য়াহমদ, প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর; ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ