আজ মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

Advertise

কৃষকদের সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ  

মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেয়ার তাগিদে দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করে থাকেন কৃষকরা। রীতিমতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলান। এক্ষেত্রে সবজি বা ফসল তাঁদের কাছে নিজের সন্তানের মতো। আমরা যা খেয়ে জীবন নির্বাহ করি তার মূল ভিত হলো আমাদের কৃষকরা। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যই আমরা ভালো–মন্দ খেতে পারি। আমাদের অন্নের যোগাড় করার লক্ষ্যে অনেক সময় তাঁদের নিজেদের দু’মুঠো ভাতও খাওয়া হয় না। তবুও তারা নিরন্তর পরিশ্রম করেন। সেই কৃষকরা সামান্য অর্থের বিনিময়ে আমাদের এত বড়, সব চেয়ে মূল্যবান পরিষেবা দিয়ে থাকেন, তাঁদের প্রায় সবাই অবহেলিত। কৃষক বা চাষির ঘরের ছেলে-মেয়েরা আর পাঁচটা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল পরিবারের মতো বড় হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভাবেই সংসার চলে এঁদের। প্রত্যেকটা দিনই কৃষকরা কাজ করেন।

ডিসেম্বর মাস বাংলাদেশের বিজয়ের মাস। বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম একদিনে হয়নি। এর পেছনের বহু ইতিহাস রয়েছে। আমরা কি সেই ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখি? প্রশ্নটি এই কারণে উঠে আসছে, কারণ যদি আমরা বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা রাখতাম, তাহলে স্বাধীন বাংলায় কৃষকদের এতো অবহেলিত অবস্থায় থাকতে হতো না। প্রকৃত অর্থে আমরা জানি-ই না, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির সাথে কৃষকদের ভূমিকা কতোটা গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। আমরা শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কথা জানি। সেটাও অনেকাংশে পরিপূর্ণ নয়। এই স্বল্প জ্ঞানের পরিধি নিয়ে আমাদের কতো বড়াই, কতোই না অহংকার! প্রবাদ আছে 'অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী'। আর সেজন্যেই আমাদের অবস্থাও আজ ভয়ংকর এবং লজ্জার। এই লজ্জা আমরা স্বীকার করি না। হয়তো সে কারণেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ইতিহাস জানার আগ্রহ রাখে না। যেটুকু রাখে, সেটাও আমরা আমাদের সীমিত জ্ঞানের আলোকে বাধাগ্রস্ত করছি এবং সেটা ধারাবাহিক।

বাংলাদেশের ইতিহাসে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী'র নাম অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক। যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে “মজলুম জননেতা” হিসাবে সমধিক পরিচিত। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়ও তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি মাওপন্থী কম্যুনিস্ট তথা বামধারার রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার অনুসারীরা অনেকে এজন্য তাকে "লাল মওলানা" নামেও ডাকতেন। তিনি কৃষকদের জন্য পূর্ব পাকিস্তান কৃষক পার্টির করা জন্য সারাদেশব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে, পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের “আস্ সালামু আলাইকুম” বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন।

১৯২৬ সালে তিনি তার সহধর্মিণী আলেমা খাতুনকে নিয়ে আসাম গমন করেন এবং আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটান। ১৯২৯-এ আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন। এখান থেকে তার নাম রাখা হয় "ভাসানীর মওলানা"। মূলত এরপর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী শব্দ যুক্ত হয়। ১৯৩১-এ সন্তোষের কাগমারীতে, ১৯৩২-এ সিরাজগঞ্জের কাওরাখোলায় ও ১৯৩৩-এ গাইবান্ধায় বিশাল কৃষক সম্মেলন করেন তিনি। ১৯৩৭-এ মওলানা ভাসানী কংগ্রেস ত্যাগ করে মুসলিম লীগে যোগদান করেন। সেই সময়ে আসামে 'লাইন প্রথা' চালু হলে এই নিপীড়নমূলক প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেন। এসময় তিনি "আসাম চাষী মজুর সমিতি" গঠন করেন এবং ধুবরী, গোয়ালপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১৯৪০ সালে শের-এ-বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের সঙ্গে মুসলিম লীগের লাহোর সম্মেলনে যোগদান করেন।

১৯৪৪ সালে মাওলানা ভাসানী আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৪৫-৪৬ সালে আসাম জুড়ে বাঙালিদের বিরুদ্ধে "বাঙাল খেদাও" আন্দোলন শুরু হলে ব্যাপক দাঙ্গা দেখা দেয়। এসময় বাঙালিদের রক্ষার জন্য ভাসানী বারপেটা, গৌহাটিসহ আসামের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ান। পাকিস্তান আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৯৪৭ সালে আসামে গ্রেপ্তার হন এবং ১৯৪৮-এ মুক্তি পান। এরপর তিনি টাঙ্গাইলের সন্তোষে ফিরে আসেন। ১৯৪৯ সালের মধ্যভাগে পূর্ববঙ্গে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। ১১ অক্টোবর আরমানীটোলা ময়দানে আওয়ামী মুসলিম লীগের একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় খাদ্য সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার জন্য পূর্ববঙ্গ মন্ত্রিসভার পদত্যাগ দাবি করা হয় এবং ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মওলানা ভাসানী ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেন।

ভুখা মিছিলে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে ১৯৪৯-এর ১৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবরণ করেন। ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত অধিকাংশ সময়েই তাকে কারাবরণ করতে হয়। ১৯৫৫ সালের এপ্রিল মাসে পূর্ব বাংলায় খাদ্যজনিত দুর্ভিক্ষ রোধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৫০ কোটি টাকা আদায়ের দাবিতে ১৯৫৬ সালের ৭ মে ঢাকায় অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। সরকার দাবি মেনে নিলে ২৪ মে অনশন ভঙ্গ করেন।

অতঃপর সাধারণ নির্বচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১২ নভেম্বর (১৯৭০) পূর্ব পাকিস্তানে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় হলে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ ব্যবস্থায় অংশ নেয়ার জন্য ন্যাপ প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন ময়দানে এক জনসভায় 'স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান' দাবি উত্থাপন করেন। ১৯৭১ এর মার্চ মাসে শেখ মুজিবুর রহমানের অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রদান করেন এবং ১৮ জানুয়ারি ১৯৭১ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদানের জন্য তার প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে 'দেশের সমস্যা ও সমাধান' তার প্রকাশিত গ্রন্থে তিনি দেশের কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশা নিপুণ চিত্র তুলে ধরেন। তিনি উপলদ্ধি করতেন যে, কৃষকরা-ই দেশের মেরুদণ্ড। তাঁরা না ফসল ফলালে দেশের উন্নতি কোনভাবেই সম্ভব না।

বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশেও প্রতি বছর উদযাপন করা হয় কৃষক দিবস। প্রতি বছর ২৩ ডিসেম্বর দিনটিকে ভারতের কৃষক দিবস বা কিষান দিবস হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। ভারত কৃষি নির্ভর দেশ। দেশের নানান প্রান্তে সময়ের সাথে সাথে শিল্প কলকারখানা প্রযুক্তি ডালপালা বিস্তার করলেও আজও কৃষিই ভারতের মূল ভিত্তি। তাই ভারতের মতো কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। বস্তুত, ভারতে কৃষক দিবস পালনের জন্য যে দিনটি ধার্য করা হয়েছে তার পিছনে আছে একটি বিশেষ কারণ। ২৩ ডিসেম্বর ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের জন্মদিন। ১৯৭৯ সালে তিনি স্বাধীন ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জনতা পার্টির সদস্য এই চৌধুরী চরণ সিংকে বলা হয় ভারতীয় কৃষকদের কাণ্ডারি। চরণ সিং নিজেও ছিলেন একজন কৃষক নেতা। ভারতীয় কৃষকদের উন্নয়নের জন্য একাধিক কর্মসূচি তিনি গ্রহণ করেছিলেন। কৃষকদের কল্যাণই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য। এই কারণে চৌধুরী চরণ সিংয়ের জন্মদিনটিকেই ভারতে কৃষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

এর মাধ্যমে কৃষক নেতা চরণ সিংকেও জানানো হয় শ্রদ্ধার্ঘ্য। দুঃখজনক হলেও সত্যি আমাদের দেশে এই দিবসটির গুরুত্ব অত্যন্ত নাজুক। 'যারা জোগায় ক্ষুধার অন্ন, আমরা আছি তাদের জন্য'- এ স্লোগানকে সামনে রেখে 'জাতীয় কৃষক দিবস' ঘোষণার দাবি জানিয়েছে প্রবীণ কৃষক কল্যাণ ফাউন্ডেশন (পিকেকেএফ)। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি। মানববন্ধনে উপস্থিত নেতারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পেছনে কৃষির অবদান অনেক।

পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোয় কৃষক দিবস (National Famers Day) যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়। চীন ও আমেরিকায় ১২ অক্টোবর পালিত হয় এই দিবস। যেহেতু আমাদের দেশও মূলত কৃষি প্রধান সেহেতু কৃষকদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দিবসটি পালন করা বাঞ্ছনীয়। যাদের অক্লাক্ত আন্তরিক পরিশ্রমে আমাদের মুখে অন্ন জোটে তাদের সম্মান জানানো আমাদের দায়িত্ব। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের উচিৎ এই দায়িত্বটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অধ্যাপক ডা. শেখ মো. নাজমুল হাসান ২৭ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৪ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৪ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৯ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪২ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩২ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪৩ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯৩ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ২১ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ শাখাওয়াত লিটন শাবলু শাহাবউদ্দিন