আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Advertise

বইমেলা পিছিয়ে আমরা কোন পথে হাঁটছি?

রেজা ঘটক  

করোনা মহামারীর দোহাই দিয়ে গত বছরের মত এবছরও 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। ইতোমধ্যে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা এখনও অফিসিয়াল চিঠি হাতে পাইনি। তবে এক থেকে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে মেলা শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে শুনেছি।

গতকাল ১৬ জানুয়ারি 'বাংলাদেশ লেখক পাঠক প্রকাশক ফোরাম' বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাকে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' নিয়ে ১০ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে। করোনা মহামারী বাস্তবতায় ১০ দফা সুপারিশের একটি ছিল এরকম- করোনা মহামারী বাস্তবতায় অন্তত ১৫ দিন (৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি) 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা হোক।

করোনা মহামারী কারণে গত বছর 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২১' দেড় মাস পিছিয়ে ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে নির্ধারিত সময়ের দু'দিন আগে ১২ এপ্রিল শেষ হয়েছিল। করোনা মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় গতবছর ভিড় এড়াতে স্টলের সামনে ফাঁকা জায়গা রেখে প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুটের বিশাল বিস্তৃতি পেয়েছিল বইমেলা প্রাঙ্গণ, যা ছিল ২০২০ সালের প্রায় দ্বিগুণ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের জন্য রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সস্টিটিউটের সামনে দিয়ে নতুন করে একটি প্রবেশ ও প্রস্থান পথ রাখা হয়েছিল।

সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের তরফ থেকে বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতবছরের মতো বৃহৎ এলাকা নিয়ে নিয়ে বইমেলা করতে চায় বাংলা একাডেমি। অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকেই বইমেলা শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত আমরা আশা করছি বইমেলা হবে।

'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২'কে সামনে রেখে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টল তৈরির প্রস্তুতি গত সপ্তাহে পুরোদমে চলছিল। ১৩ জানুয়ারির পর থেকে প্রকাশকদের স্টল ও প্যাভিলিয়ন বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৩ জানুয়ারির পর থেকে বইমেলা প্রাঙ্গণে সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ থাকায় আমরা উদ্বিগ্ন হয়েছি। পুরো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলা চালু হবার পর থেকে এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অপরিহার্য ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু করোনা মহামারীর অজুহাত দেখিয়ে গতবছর বাংলা একাডেমি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। চৈত্র-বৈশাখ মাসে বইমেলা আয়োজন করা যে চরম বোকামি, সেটা প্রকাশক-লেখক-আয়োজকরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। ছোট-মাঝারি-বড় সব ধরনের প্রকাশনা সংস্থা গতবছর লোকসান গুনেছে। কিন্তু আয়োজক বাংলা একাডেমি'র শতভাগ লাভ হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন এই কারণে যে, নানান অজুহাত ও ছলনা দেখিয়ে এবছরও যদি 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' চৈত্র-বৈশাখ মাসে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে দেশের প্রকাশনা শিল্প ধ্বংসের শেষপ্রান্তে চলে যাবে।

ইতোমধ্যে করোনা মহামারীর দুই বছরে দেশের প্রকাশনা শিল্পে বড় ধরনের ধ্বস নেমেছে। বইয়ের বাইন্ডাররা ঘর ভাড়া দিতে না পেরে অধিকাংশই গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। ছাপাখানায় এখন প্রচুর ভিড় বাড়লেও বাইন্ডিংখানায় ইতোমধ্যেই বড় ধরনের জ্যাম লেগেছে। প্রথমত লোকবল সংকট, দ্বিতীয়ত অনেক বাইন্ডার নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারেননি। প্রকাশকরা লোকসান থেকে বাঁচার জন্য এবছর যে লাখ লাখ টাকা লগ্নি করে ব্যবসায় নেমেছেন, তারা পুঁজি তুলতে না পারলে এবছরই দেশের ছোট ও মাঝারি মানের প্রকাশনা সংস্থাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। কেবল অর্থের জোড়ে বড় কিছু প্রকাশনা সংস্থা হয়তো টিকে যাবে কিন্তু লোকসান তাদেরও গুণতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা- দেশের মৌলবাদী গোষ্ঠী সবসময় চায় বাংলাদেশ পুনরায় অন্ধকার যুগে ফিরে যাক। অমর একুশে গ্রন্থমেলা আয়োজন বন্ধ করার জন্য নানান কিসিমের অজুহাত দেখিয়ে ইতোমধ্যেই তারা অনেক সফলতা পেয়েছে। বইমেলা প্রাঙ্গণে তারা লেখক অধ্যাপক ডক্টর হুমায়ুন আজাদের উপর হামলা চালিয়েছে। বইমেলা থেকে ফেরার সময় লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ দাসকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। লেখক বন্যা আহমেদকে কুপিয়ে আহত করেছে।

জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ কার্যালয়ে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে তারা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে। এছাড়া দেশের অনেক ব্লগার ও লেখককে মৌলবাদী গোষ্ঠী একইভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে। এসব ঘটনার এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয়নি। এসব ঘটনার মামলাগুলো এখনো বিচারাধীন।

আমরা উদ্বিগ্ন এই কারণে যে, করোনা মহামারীর দোহাই দিয়ে অসময়ে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা' আয়োজন করলে তা বরং প্রকাশনা শিল্পের বারোটা বাজিয়ে দেবে। উল্টো এই ঘটনায় সুফল পাবে সেই সব মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী। যারা দেশের প্রকাশনা শিল্পের ধ্বংস চায়, মুক্তবুদ্ধির চর্চার বিলোপ চায় এবং দেশকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিতে চায়। গত বছরের বইমেলা থেকে এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠী বরং আখেরে সুফলই পেয়েছে। কিন্তু লোকসান গুনেছে প্রকাশকরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থেকে যে সব পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে, তাতে করোনা মহামারীর ওমিক্রন সংক্রমণ মার্চ ও এপ্রিল মাসে চরম আকারে বাড়তে পারে। ফলে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেবার সরকারি কৌশলটি মোটেও কোনো দূরদর্শীমূলক সিদ্ধান্ত নয়, বরং পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে উল্টো বইমেলা আয়োজনটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

করোনা মহামারী বাস্তবতায় দেশের অর্থনীতির চাকা চালু রাখার জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হচ্ছে। সারা দেশে স্থানীয় পর্যায়ের ভোট উৎসব হচ্ছে। সারাদেশের হাট-বাজার-শপিং মল, পর্যটন স্পট, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা। প্রায় দুই বছর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। অথচ করোনা মহামারীতে সারাদেশে মাদ্রাসা খোলা ছিল। ফলে একদিকে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হয়েছে অপূরণীয়। কিন্তু এর বিপরীতে সারা দেশে যে বাস্তবতা দেখা গেছে সেটি হলো- অনেক গরীব বাবা-মা সন্তানদের মাদ্রাসায় ভর্তি করেছেন। বিশেষ করে টিনএজ মেয়েদের গণহারে বিয়ে দিয়েছেন। যা দেশের মিডিয়ায় খুব কম প্রকাশ পেয়েছে।

করোনা মহামারীতে সরকার বাহাদুরের সতর্কতার আড়ালে পুরোপুরি সুযোগ নিয়েছে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী। সারা দেশে ওয়াজ-মাহফিল চলছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের অটো পাশ দিয়ে এক ধরনের বোকা বানানো হয়েছে। সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে তিন বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ে গোল্ডেন ফাইভের বন্যা দিয়ে এসব আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে। যে কারণে আমরা আরও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

করোনা মহামারীতে সারা বিশ্ব একসময়ে থমকে গেলেও নতুন বাস্তবতা হলো কোনো দেশ আর লকডাউন দিয়ে অর্থনীতির চাকা বন্ধ রাখতে চাইছে না। বিকল্প পদ্ধতি সবাই বের করছে। ঠিক এরকম একটি সময়ে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' পিছিয়ে দিয়ে আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি চর্চাকেই রুদ্ধ করতে চাইছি কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন! আমরা কী গোপনে মৌলবাদীদের দেওয়া সিলেবাস অনুসরণ করছি! দেশের প্রকাশনা শিল্প ধ্বংস হলে তার সুফল পুরোপুরি ভোগ করবে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী।

এমনিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মুক্তবুদ্ধি চর্চাকেই বরং কৌশলে জব্দ করার কৌশল নিয়েছে সরকার বাহাদুর। যা আদতে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সুফল পাওয়ার এক অবারিত সুযোগ। এখন যদি কোনো কারণে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' বন্ধ হয়ে যায়, সেটি আদতে ওই গোষ্ঠীকেই সফলতা দেবে। যা দেশের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনবে। যে ক্ষতি আমরা হয়তো আর পুষিয়ে নেবার সময় ও সুযোগ পাবো না।

করোনা মহামারী মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিধি মেনেই আমাদের অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে হবে, এটা যেমন সত্য, তেমনি স্বাস্থ্য বিধি মেনে নির্ধারিত সময়ে 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' শুরু হলেই বরং প্রকাশনা শিল্পকে বাঁচানোর পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হবো বলে আমি মনে করি। 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' পিছিয়ে দিয়ে কী আমরা সেই সুযোগটি হাতছাড়া করতে যাচ্ছি! সরকার বাহাদুর দয়া করে ভাবুন, 'অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২' না হলে কারা সুফল পাবে, সেটিও অনুধাবন করার চেষ্টা করুন।

রেজা ঘটক, সাহিত্যিক, নির্মাতা

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অধ্যাপক ডা. শেখ মো. নাজমুল হাসান ২৭ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৫ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৪ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৮ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১১০ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪৪ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩২ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪৩ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯৩ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ২৫ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ শাখাওয়াত লিটন শাবলু শাহাবউদ্দিন