প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
রহিম আব্দুর রহিম | ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
অন্যায়-অনাচারের তীব্র দ্রোহ, দুর্যোগ-মহামারি প্রতিরোধের অগ্রসৈনিক, পৃথিবীর কল্যাণ-মঙ্গল বিনির্মাণেও যাদের পদচারণা অগ্রগণ্য, তারাই হলো ছাত্রসমাজ। এই গোষ্ঠীই যুগে যুগে, কালে-কালে সমাজ-রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জমে থাকা সকল প্রকার অপ-শাসন, শোষণ দূর করে দেশকে দাঁড় করিয়েছে শক্রমুক্ত স্বাধীন দেশ হিসেবে। এক্ষেত্রে মহান এবং ত্যাগের বলিষ্ঠ ভূমিকায় অধিষ্ঠিত ছিলেন রাষ্ট্র নির্মাতা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি কল্যাণ এবং মানবের সার্বিক মুক্তিদাতা হিসেবে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। পৃথিবীর প্রায় দেশেই এরকম মহামানবের জন্ম হয়েছিল বলেই আজ বিশ্বের প্রায় ৮'শ কোটি মানব প্রাণ সভ্যতার আলো-আঁধারে ভাসমান। পৃথিবীর সকল প্রান্তেই সভ্যতা বিনির্মাণে শ্রেষ্ঠ কারিগর ছাত্রসমাজ, আবার এই ছাত্রসমাজের মাঝে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের অগ্নি-মশাল জ্বালিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা হলেন আদর্শ শিক্ষক।
আজ সমাজ-রাজ্যে, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধুদের মত মহান নেতাদের যেমন অভাব দেখা দিয়েছে, তেমনি অভাব পড়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মুকুন্দ দাস, রবীন্দ্রনাথ এবং কাজী নজরুলদের মত দ্রোহ শিল্পীদের। এ শব্দ চয়নগুলো নেহাত কোন আবেগ কিংবা ক্ষোভ নয়, একেবারে প্রমাণিত।
সারা পৃথিবীর সভ্যতায় বর্তমানে করোনাভাইরাস নামক এক আতংক গেড়ে বসেছে। সব কিছুই চলছে, শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। একি! আজব পৃথিবীর গুজব কাণ্ড। পৃথিবীর কোন ছাত্রসমাজই শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত করতে এ যাবত টু-শব্দ করলো না! শিক্ষক সমাজ নিশ্চুপ, তথাকথিত মিডিয়ার একটি অংশ সারাক্ষণ করোনা ইস্যুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের তকমা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর পেছনে দৌড়াচ্ছে। ধিক বিবেক! তবে সমাজের একটি বৃহৎ অংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় বর্তমান সরকারের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষ্যাপা।
দেশের শিক্ষা সচেতন ব্যক্তিদের একটি অংশের প্রশ্ন, ভ্যাকসিন নেওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরও কেন সবকিছু চালু রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে? দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রথম ধাপের দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরও যে ছাত্রসমাজের ঘুম ভাঙেনি, সে ছাত্রসমাজের একটি অংশ দ্বিতীয় ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর, গত ৭ ফেব্রুয়ারি 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। একটি জাতীয় পত্রিকার সংবাদ যা প্রকাশ হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, ১৮২টি স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ তিন কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধনে অংশ নেন। এই সংবাদটি জাতির জন্য কল্যাণকর এই বলে যে, 'মৃতরা হয়তবা জেগে ওঠছে।'
এরপরও শিক্ষার মৃত্যু শয্যায় বারবার বলতে হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের অমর কাব্য বাণী,"ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।"
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য