আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

আ.লীগ কি কংগ্রেসের পরিণতির পথে যাচ্ছে?

আবদুল গাফফার চৌধুরী  

কলকাতার এক সাংবাদিকের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ হচ্ছিল। তিনি ঢাকার কাগজেও লেখেন এবং মাঝেমধ্যে ঢাকায় আসেন। তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্বন্ধে কী মনে করেন?

একটু ম্লানকণ্ঠে তিনি বললেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ভারতের কংগ্রেসের রাজনীতির মতো চলছে মনে হয়। এখন আশঙ্কা করছি, আওয়ামী লীগ কংগ্রেসের পরিণতি বহন না করে। কংগ্রেস দুটি বড় ভুল করেছে। একটি দুর্নীতিকে প্রশ্রয়দান এবং অন্যটি ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি বর্জন। আপনার মনে আছে, কংগ্রেস বিজেপির কাছে পরাজিত হওয়ার পর সোনিয়া গান্ধী আবার কংগ্রেসকে ক্ষমতায় এনেছিলেন। তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। তাতে কংগ্রেস আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে। কিন্তু গত নির্বাচনকালে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতা ত্যাগ করে। রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেন, তিনি শিবভক্ত।

মা সোনিয়া গান্ধী ও বোন প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে শিবমন্দিরে ধরনা দিতে শুরু করেন। তার আগে নরসীমা রাও যখন ভারতের কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী তখন বাবরি মসজিদ ভাঙার ব্যাপারে টুঁ-শব্দটি করেননি। তখন থেকেই মনে হচ্ছিল কংগ্রেস দ্রুত গতিতে তার ১০০ বছরের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি থেকে সরে আসছে। তার পরিণতি কংগ্রেস আজ আর একটি উল্লেখযোগ্য পার্টি নয়।

যে কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে অর্জন করেছে, তা থেকে সরে এসে নিজেকে বিজেপির চেয়েও বেশি হিন্দুত্ববাদী দল প্রমাণ করতে গিয়ে আজ তার এই পরিণতি। আগামী নির্বাচনেও কংগ্রেস দিল্লির মসনদে বসতে পারবে কি না সন্দেহ। আমরা যারা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি, তারা আপনার দেশের আওয়ামী লীগ রাজনীতির দিকেও লক্ষ্য রেখেছি এবং মনে মনে কামনা করছি আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি থেকে যেন সরে না আসে এবং মৌলবাদীদের সঙ্গে হাত না মেলায়।

কলকাতার বন্ধুর কথা শুনে মনে হলো, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবীরাও বাংলাদেশের রাজনীতির অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক হিসেবেই দলটিকে সাবধান করতে চাই। দলে বেনো জল ঢুকেছে। এই জল দ্রুত সরাতে না পারলে আসল পরিষ্কার জলও নষ্ট হয়ে যাবে। কে সৎ কে অসৎ তা আর বাছাই করা যাবে না। আওয়ামী লীগ নেতারা ব্যক্তিগত জীবনে যতই ধার্মিক হোন, তাতে কারো আপত্তি নেই।

কারণ ধর্ম একটি ব্যক্তিগত বিশ্বাস। কিন্তু সেই বিশ্বাসকে যখন রাষ্ট্রের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হয় তখনই দেশটিতে দেখা দেয় ধর্ম-বৈষম্য। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সংখ্যাগুরুদের নির্যাতন। পাকিস্তান আমলে সংখ্যালঘুদের অধিকার যেভাবে হরণ করা হয়েছিল, এখন আবার তারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। আমি সুবিধাভোগী সংখ্যালঘুদের কথা বলছি না। বলছি সমাজের নিম্নস্তরের হাজার হাজার নিপীড়িত সংখ্যালঘুর কথা। আমার এক বন্ধু বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের কোনো নেতার বক্তৃতা শুনতে গেলে বুঝতে পারি না, তিনি আওয়ামী লীগের না জামাতের নেতা।

আরেকটা বিষয় হলো দুর্নীতি। সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এখন দুর্নীতি ঢুকেছে। দেশের উন্নয়নের টাকায় বিদেশ থেকে প্রতি বছর যে হাজার হাজার দামি ও শৌখিন মোটরগাড়ি আমদানি করা হয় তা আর কখনো হয়নি। অবৈধ মাদক ব্যবসার সঙ্গে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় বড় কর্মকর্তারা জড়িত কি না তার তদন্ত না করে সাধারণ ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের চাঁদা তোলার দৌরাত্ম্য এখন একটু কমেছে কিন্তু কিছু দিন আগেও নাগরিক জীবনকে শঙ্কিত করে রেখেছিল।

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এতটাই মৌলবাদীদের পছন্দমতো করা হয়েছে যে, এই শিক্ষাব্যবস্থায় পরবর্তী জেনারেশনগুলো ধর্মান্ধ হবে। বঙ্গবন্ধুর সমাজতান্ত্রিক বাংলা তো দূরের কথা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্নও এখন সাত হাত সমুদ্রের তলে। দুর্নীতি এবং ধর্মান্ধতা এই দুটি অত্যন্ত সর্বনাশা পথে আওয়ামী লীগ এখন চলছে। এই নীতি থেকে সরে না এলে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কলকাতার বন্ধুর মতো আমিও শঙ্কা বোধ করি।

বাংলাদেশে মানবাধিকার নেই বলে শতকণ্ঠে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমন ও জঙ্গিবাদ দমনের কার্যকলাপকে যদি মানবতাবিরোধী অভিযান বলে চালানো হয়, তবে অন্যায় করা হবে। শেখ হাসিনা তখন কঠোর পন্থা গ্রহণ করেছিলেন বলেই দেশ এখন ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের চেয়েও সন্ত্রাসমুক্ত। ব্রিটেন ও ফ্রান্সে রাস্তায় ছুরিকাঘাত করে মানুষ হত্যা, যাকে তারা বলছে ‘নাইফ ক্রাইম’, তা এখনো চলছে।

এই ছুরি মারার অপরাধ দমন করতে গিয়ে ব্রিটিশ বা ফরাসি পুলিশ যে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে না, তা নয়। কিন্তু তাতেও ‘নাইফ ক্রাইম’ দমন করা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ বা মার্কিন পুলিশ অন্যায়ভাবে কোনো অশ্বেতাঙ্গকে হত্যা করলে তার প্রতিকারের জন্য সেই অশ্বেতাঙ্গ সমাজকে আন্দোলন করতে হয়। নিহত ব্যক্তির মাকে করুণ আবেদন জানাতে হয়। এগুলো মানবতাবিরোধী কাজ। কিন্তু এই পশ্চিমা মোড়লেরা বাংলাদেশে আসেন মানবতাবিরোধী কাজের খোঁজে। বর্তমান সরকার তাদের দুর্বল অবস্থানের জন্য এর সবল প্রতিবাদও করতে পারছেন না। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বাহিনী দ্বারা অবশ্যই কিছু বাড়াবাড়ি হয়েছে। তিলকে তাল করে দেশের বাইরে অপপ্রচার চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার তার সঠিক অবস্থানে থাকলে আজ এই হৈ-হুল্লোড় হতে পারত না।

নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ নামে এক স্বঘোষিত মানবতাবাদীর ভিডিও বক্তব্য শুনলাম। তিনি ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা সম্পর্কে অনেক তথ্য দিলেন। বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী কাজ সম্পর্কে কথা বললেন। কিন্তু একথা বললেন না যে, বাংলাদেশে র‍্যাবের সন্ত্রাসবিরোধী কাজকে মানবতাবিরোধী কাজ বলা যায় না। যেটুকু কঠোর নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের জন্য। বিএনপি- জামাত সরকারের আমলে যে বাংলা ভাইদের মতো ভয়ংকর জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল বাংলা ভাইদের ফাঁসি দেওয়ার পরও যা দমন করা যায়নি, রাস্তায় আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ার যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল, র্যাব তা সাফল্যের সঙ্গে দমন করেছে।

তাকে মানবতাবিরোধী কাজ না বলে একটি প্রয়োজনীয় কর্তব্য পালন বলে আমি মনে করি। পরবর্তীকালে র্যাব অনেক গুম ও হত্যা করেছে। এই অভিযোগ সম্পর্কে পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশকে তদন্ত করার পরামর্শ দিতে পারত। কিন্তু বিএনপি-জামাতের তিলকে তাল করা এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তি করে একটি স্বাধীন দেশের সরকারকে পশ্চিমা শক্তি শাসাতে পারে না। এই শাসানিকে সমর্থন করা দেশের সার্বভৌমত্বের বিরু‌ে৸ অবস্থান নেওয়ার শামিল।

আওয়ামী লীগের অপশাসন সম্বন্ধে লিখেছি। তার প্রতিকারের জন্য দেশেই প্রতিবাদ ও আন্দোলন হওয়া উচিত। বিদেশি কুমীরকে যারা ডেকে আনার চেষ্টা করছেন, সেই চেষ্টা দেশদ্রোহিতার সমতুল্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আর কত সতর্ক করব? তিনি যদি সতর্ক না হোন, দলটাকে পচনের হাত থেকে রক্ষা না করেন, তাহলে বাংলাদেশের যে ক্ষতি হবে তা থেকে দেশটাকে ৫০ বছরেও উদ্ধার করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ফ্যাসিস্টদের কবল থেকে দেশটাকে উদ্ধার করতে লেগেছে ৩০ বছর। এবার আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে পারলে দেশের যে ক্ষতি হবে তার প্রতিকার ৫০ বছরেও করা যাবে না।

সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় আওয়ামী লীগই এখন আওয়ামী লীগের শত্রু। বিরোধীদল যখন ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্বাচনে যায়নি, তখনো আওয়ামী লীগের সরকারি প্রার্থীরা নির্বাচনে সুবিধা করতে পারেনি। প্রতি স্থানেই অভিযোগ সৎ ও নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে। এখন কোটি কোটি টাকার লেনদেন ছাড়া জাতীয় সংসদের নির্বাচনে কোনো দলেরই মনোনয়ন পাওয়া যায় না। সিলেটের একটি আসনে সম্প্রতি উপনির্বাচনে এমন একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে যার শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই এবং তার একমাত্র যোগ্যতা তিনি অল্পবয়সে ধনী হয়েছেন। জাতীয় সংসদে গিয়ে এই ধন বাড়ানোর চেষ্টা ছাড়া আর কোনো কিছু করার যোগ্যতা তার নেই। আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা বলেন, বিএনপি-জামায়াত কোটিপতি ধনীদের মনোনয়ন দেয়। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ অনুরূপ কোটিপতি প্রার্থী না দিলে নির্বাচনে জিতবে না।

এখন নির্বাচনে ভোটদানের নয়, টাকার বাণিজ্য চলছে। সৎ মানুষ জাতীয় সংসদে বা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে পারছেন না। মনোনয়নই পাচ্ছেন না। টাকার জোরে গণতন্ত্র বণিকতন্ত্রে পরিণত হবে। আমাদের জাতীয় সংসদে শতকরা আশি ভাগ সদস্য এখন ব্যবসায়ী এবং নব্যধনী।

বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানবতাবিরোধী কাজের অভিযোগ করছে। কিন্তু তাদের আমলে অবস্থা এর চেয়ে ভালো ছিল কী? না ভবিষ্যতে তারা ক্ষমতায় গেলে ভালো হবে? আওয়ামী লীগ তখন অবস্থার প্রতিকার চেয়ে পশ্চিমা শক্তির দ্বারস্থ হলে বর্তমান অভিযোগের চেয়ে আরো বড় অভিযোগ পশ্চিমা শক্তির কাছে জমা দিতে পারত। আওয়ামী লীগকে একটি সাধুবাদ দেব, তারা দেশদ্রোহিতামূলক এই কাজটি করেনি।

আওয়ামী লীগ আজ একটি দুর্বল সরকার। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে অনুসরণ করার জন্যই আজ তার এই দুর্বল অবস্থান। খেঁকশিয়ালও আজ সিংহের বিরুদ্ধে গর্জন করতে পারছে। শেখ হাসিনা তাঁর ব্যক্তিগত যোগ্যতা এবং নেতৃত্বের জোরে বিশ্বব্যাপী যে মর্যাদা লাভ করেছেন, দেশের জন্য যে সাফল্য বয়ে এনেছেন তার নিজের দল এই সাফল্যগুলোকে ধ্বংস করছে।

ভারতে জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে যখন কংগ্রেসের নেতৃত্বের পচন ধরেছিল তখন তিনি ‘কামরাজ কমিশন’ গঠন করেন। এই কামরাজ কমিশনের দায়িত্ব ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে বৃদ্ধ, অসৎ, অযোগ্য ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়া। নেহরুর এই নীতির ফলে তার মৃত্যুর পরেও ভারতে কংগ্রেস বারো বছর ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিল।

আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ যদি সংশোধিত ও পুনর্গঠিত হয়, তাহলে আরো একাধিক দফা ক্ষমতায় থাকতে পারবে। আওয়ামী লীগ যেটা ভুল করছে তা হলো বিএনপিকে অন্ধ অনুসরণ। বিএনপি-জামায়াতের স্লোগান ‘আল্লাহু আকবর’। আওয়ামী লীগ তার বাংলা তর্জমা করেছে ‘আল্লাহ সর্বশক্তিমান’। জামায়াতিরা যে ধরনের টুপি-দাড়ি রাখে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা এখন তা রাখেন। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে অনুসরণ করে। বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে আপস করেছে। আওয়ামী লীগ হেফাজতীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, অর্থাৎ ধর্মান্ধ রাজনীতিকে ঠেকাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দেখাতে চাইছে বিএনপি-জামায়াতের চেয়েও তারা ধর্মনিষ্ঠ। এভাবে অনুকরণ দ্বারা রাজনীতিতে টিকে থাকা যায় না।

আওয়ামী লীগের যে গৌরবময় অতীত, যারা সাম্রাজ্যবাদ ও ধনবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ায় শির উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল, আমেরিকার সঙ্গে সম্পাদিত সামরিক চুক্তিগুলো থেকে বেরিয়ে এসেছিল, আজ সেই আওয়ামী লীগের অবনত শির রাজনীতি দেখে শঙ্কা হয় আগামী নির্বাচনে কী হবে। আমার ধারণা হ্যাং পার্লামেন্ট হবে এবং সাম্রাজ্যবাদীরা দেশটিতে একটি অচলাবস্থা সৃষ্টির সুযোগ পাবে। তাই শেখ হাসিনাকে সনির্বান্ধব অনুরোধ জানাই, দক্ষিণ এশিয়ায় সাম্রাজ্যবাদের কবলমুক্ত একটি শান্তির এলাকা গড়ে তোলার জন্য ইন্দিরা গান্ধী শেষ জীবনে তত্পর হয়েছিলেন। শেখ হাসিনা তার সেই শেষ স্বপ্ন দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তির এলাকা (জোন অব পিস) গঠন সফল করুন। তার সেই স্বপ্ন ‘জোন অব পিস’ গঠনের অসমাপ্ত কাজটি সমাপ্ত করুন।

[প্রথম প্রকাশ: ইত্তেফাক, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২]

আবদুল গাফফার চৌধুরী, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ