আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Advertise

আশ্বাসই প্রাপ্তি

কবির য়াহমদ  

শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের মাধ্যমে ‘সরকারের উচ্চমহলের আশ্বাসে’ শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছিলেন, এবার শিক্ষামন্ত্রীর ‘দাবি পূরণের আশ্বাসে’ সমাপ্ত হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। আন্দোলনের এই সময়ে উপাচার্যের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা হয়েছে, তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আন্দোলন দমাতে আন্দোলনকারী এবং তাদের সমর্থনকারী সাবেক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি হেনস্তা হয়েছে-মামলা হয়েছে, আন্দোলনের জন্যে আর্থিক সহায়তা দানের সকল পথ অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে কালক্ষেপণ করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বেশ ক’জনের মৃত্যুর শঙ্কা জেগে ওঠা সত্ত্বেও অনড় থেকেছেন উপাচার্য। প্রথম দফায় মুহম্মদ জাফর ইকবাল দম্পতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে ‘সরকারের উচ্চমহলের আশ্বাসে’ শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছিলেন। অনশন ভাঙলেও শিক্ষার্থীরা তাদের মূল দাবি অর্থাৎ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে সরেনি। শেষমেশ শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রীর সিলেট সফরের পর উপাচার্যকে দিয়ে একটা দুঃখপ্রকাশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং মন্ত্রীর আশ্বাসে আপাত সমাপ্তি ঘটেছে আন্দোলনের।

একটা ছাত্রী হলের ছোটখাটো একটা সমস্যা সমস্যাকে এতদূর নিয়ে আসার পেছনে দায়ী প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, অযোগ্যতা এবং শিক্ষার্থীদের গুরুত্বহীন করে দেখার প্রবণতা। এরপর নজিরবিহীনভাবে তাদের ওপর পুলিশি হামলা। ছোটখাটো ঘটনা থেকে পরবর্তীতে যে শিক্ষার্থী-বিস্ফোরণ হয়েছে এর জন্যে দায়ী প্রশাসক হিসেবে উপাচার্যের অদক্ষতা। কিন্তু তবু তিনি তার চেয়ার ধরে রাখতে মরিয়া, ধরে রেখেছেনও। এত বড় ঘটনা সত্ত্বেও সরকারের আনুকূল্য পাচ্ছেন তিনি। অথচ শুরুতেই তার এই অযোগ্যতাকে আমলে নিয়ে তাকে সরিয়ে দিলে সরকারের ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল হতো। সরকার সে সুযোগ নেয়নি। উল্টো এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে শিক্ষকনেতারাসহ শিক্ষামন্ত্রী-শিক্ষা উপমন্ত্রী ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন। আন্দোলনে ‘তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন’ দেখেছেন। অথচ এই আন্দোলনের এক মাসের মতো সময়েও শিক্ষার্থী ছাড়া ওখানে আর কোন পক্ষের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি; এটা ছিল স্রেফ শিক্ষার্থীদের একটা আন্দোলন।

উপাচার্যের না হয় নিজের চেয়ার বাঁচিয়ে রাখার প্রাণান্ত প্রচেষ্টায়, কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর কী স্বার্থ এখানে? তার ত কারও পক্ষ নেওয়ার দরকার ছিল না। শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবকসুলভ ভূমিকা তার কাছে প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু তিনি সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আন্দোলনের শুরুতে শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব না দেওয়ার প্রবণতায় তিনি যেভাবে আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে ঢাকায় যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেটা সুবিবেচনার কাজ ছিল না। এরপর আন্দোলনের ২৬ দিন পর সিলেট গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে জানালেন ‘তিনি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে (রাষ্ট্রপতি) জানাবেন’। শিক্ষামন্ত্রীর এমন মন্তব্য আমাদেরকে হতাশ করেছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা সত্ত্বেও তিনি কি জানতেন না কী কারণ এর? আটাশ শিক্ষার্থী দাবি আদায়ে মৃত্যুকে বরণ করতে আমরণ অনশনে নেমে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করলেও তিনি তাদের দাবি সম্পর্কে জানতেন না এমনটা ভাবার কারণ নাই। ‘সরকারের উচ্চমহলের’ অনুরোধে শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল শাবিপ্রবিতে গিয়েছিলেন জানালেও সরকারের সেই উচ্চমহলের অন্যতম দায়িত্বশীল ব্যক্তি সেটা জানেন না, এমনটা কীভাবে সম্ভব? তবে কি আগের সেই অবস্থানে শিক্ষামন্ত্রী, যেখানে শিক্ষার্থীদের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ উপাচার্য?

উপাচার্যকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান ও দাবি আচার্যকে জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী—২৬ দিন পর এসে যদি এমন বলেন তবে মন্ত্রীর উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন ওঠবে, ওঠেছেও। শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা কেন এতখানি উপেক্ষিত শিক্ষামন্ত্রীর কাছে? বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কোন প্রতিবেদন কি দেখছেন না মন্ত্রী, কিংবা আদৌ কোন প্রতিবেদনে তার আগ্রহ আছে কি-না! এত এত প্রশ্ন, এত বেশি উপেক্ষা যেখানে সেখানটার একটাই উত্তর বোধহয় প্রাসঙ্গিক—সরকার উপাচার্যকে সরাতে চাইছে না। কেন চাইছে না—উত্তর রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া এই উপাচার্যে সরকারের আস্থা এখনও। সরকার যেখানে এত আস্থা রাখছে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর সেখানে ক্যাম্পাসে সেই উপাচার্যই অবাঞ্ছিত-জন। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে; তিনি বোধহয় শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাম্পাস-সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে ‘অপ্রয়োজনীয়’ ব্যক্তি হয়ে ওঠেছেন এতদিনে।

আন্দোলনের পর থেকে ‘ঘরবন্দি’ হয়ে থাকা উপাচার্যকে শিক্ষামন্ত্রী এসে ঘর থেকে বের করিয়ে এনেছেন। বাসভবন থেকে দপ্তরে নিয়ে গেছেন। সেখানে বৈঠক করেছেন। এটাই কি সমাধান? এখানেই কি সিলেট সফরে শিক্ষামন্ত্রী সাফল্য? সাফল্যের সূচক যদি এই হয় তবে আদতে এটা শিক্ষক হিসেবে উপাচার্যের যেমন পরাজয়, তেমনি পরাজয় মন্ত্রীরও। এখানেও প্রশাসনিক ক্ষমতার যে প্রদর্শন হলো সেটা কি সুখের কিছু? মন্ত্রী কেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থ দেখবেন না? মন্ত্রীকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৃহত্তর স্বার্থ না দেখে কেন দেখতে হবে ব্যক্তি হিসেবে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ? কেন শিক্ষার পরিবেশের চাইতে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিই মুখ্য হবেন তার কাছে?

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষার্থীরা আরও কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে, সেগুলো পূরণের আশ্বাস এসেছে। কিন্তু মূল দাবি উপাচার্যের পদত্যাগ প্রশ্নে ইতিবাচক কিছু না বলে ‘আচার্যকে জানাবেন’ এমনটা বলেছেন মন্ত্রী। আচার্যকে জানানো কেন সম্ভব হয়নি এই এক মাসেও? এই দীর্ঘসূত্রিতা, এই কালক্ষেপণ, গুরুত্ব দিয়ে না দেখার এই প্রবণতা কেবল শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরই নয় আপামর শিক্ষার্থীসমাজকে গুরুত্ব না দেওয়ার নামান্তর। মন্ত্রীর কাছ থেকে এমনটা আশা করেনি কেউ।

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সরকারঘনিষ্ঠ কেউ হতে পারেন, কিন্তু শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা সরকারের শত্রু-গোত্রীয় কেউ নন। তাদের প্রতি এত অন্যায় সত্ত্বেও, শিক্ষামন্ত্রী-শিক্ষা উপমন্ত্রী তাদের আন্দোলন নিয়ে নানা কটু কথা বললেও তারা একবারের জন্যে হলেও সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়নি। তাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন নয়, এটা তারা প্রমাণ করেছে। তারা স্রেফ নিজেদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীবান্ধব একজন উপাচার্য চেয়েছিল। এই চাওয়া দোষের নয়, অপরাধের নয়। এই চাওয়ার জন্যে কেন এত মূল্য দিতে হলো তাদের?

সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে শিক্ষার্থীদের দাবিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে মহামান্য আচার্যের কাছে শাবিপ্রবির প্রকৃত অবস্থা তোলে ধরা। উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে রক্ষার মাঝে সরকারের প্রাপ্তির কিছু নাই, তবে রক্ষায় কৌশলী অবস্থান হতে পারে সরকারের ক্ষতির কারণ। শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের কথায় আশ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকে সীমিত করেছিলেন, অনশন ভেঙেছিলেন; এখন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ যদি তারপরেও শাবিপ্রবিতে থেকে যান তবে জাফর ইকবালের প্রতিও এটা হবে চরম অবিচার, তার ভাবমূর্তিকেও করা হবে প্রশ্নবিদ্ধ। উপাচার্যকে রক্ষায় যদি সরকার কৌশলে সর্বশক্তি নিয়োগ করে তবে ভবিষ্যতে যেকোনো জায়গায় শিক্ষার্থীরা তাদের আস্থার জায়গাও খুঁজে পাবে না। জাফর ইকবালরা কোথাও যেতে সাহস করবে না, আর সাহস করলেও জাফর ইকবালদের কথায় আস্থা রাখতে পারবে না কোন শিক্ষার্থী!

ব্যক্তির চাইতে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত সরকারের। উপাচার্য ও শিক্ষার্থীরা যেখানে মুখোমুখি সেখানে তাদের দাবিকে গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে সরকার খুঁজতে পারে স্থায়ী সমাধানের পথ। উপাচার্যকে দুঃপ্রকাশের জন্যে শিক্ষামন্ত্রীর পরামর্শের পর তার দুঃখপ্রকাশের বিজ্ঞপ্তি সমস্যা সমাধানের পথ নয়। তাকে সরিয়ে দেওয়া, তার সরে যাওয়াটাই হবে সম্মান এবং সমাধানের পথ। যতদিন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে শাবিপ্রবিতে রাখা হবে ততদিন বিব্রত হবেন জাফর ইকবালের মতো শিক্ষাবিদেরা; দোদুল্যমান থাকবে শিক্ষার্থীদের আস্থার জায়গা। শিক্ষার্থী ও জাফর ইকবালরা প্রতারিত হয়েছেন—এমন বিশ্বাস জন্মাবে সবার।

কবির য়াহমদ, প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর; ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ