আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

নাহিদ স্মরণ

কবির য়াহমদ  

১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬। টালমাটাল দেশ। একদিকে বিএনপি সরকারের অধীনে একদলীয় নির্বাচন আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগসহ সকল দলের সেই নির্বাচন বর্জন ও প্রতিরোধের ঘোষণা। রাজনৈতিক ভাবে মুখোমুখি থাকা দেশে প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাচন করে ফেলে বিএনপি। সারাদেশে ব্যাপক সংঘাত-সংঘর্ষ ও হত্যার ঘটনা ঘটে।

সকল রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের এক দাবি ছিল নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। বিএনপি ওই দাবি মেনে নেয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অসারতা প্রমাণ করতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উক্তি ‘পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়’ সেসময় ব্যাপক আলোচনায়ও আসে। প্রশাসন ও দলীয় ক্যাডারদের সহযোগিতায় ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের সে নির্বাচনকে ঘিরে হতাহতের শঙ্কা থাকায় ভোটকেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতিও ছিল কম। মাত্র ২১ ভাগ ভোট পড়ে সেই নির্বাচনে।

৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ওই সময় পর্যন্ত সর্বাধিক সংখ্যক (৪৯ জন) প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের অধীনে আরেক নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ওই নির্বাচনে বিএনপি ২৭৮ আসনে জেতে। বঙ্গবন্ধুর খুনির দল ফ্রিডম পার্টি ১টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০টি আসনে জেতে। গোলযোগের কারণে বাকি আসনে ভোট স্থগিত হয়ে যায়।

ওই নির্বাচন এতখানি সংঘাতময় ছিল যে সারাদেশের দেড়শ’র বেশি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিকূল অবস্থার কারণে দুই হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। প্রাণহানির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ২৩, আহতের সংখ্যা ছিল সহস্রাধিক।

একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনের সংসদ বেশিদিন টেকেনি। সংসদের স্থায়িত্ব ছিল ১২ দিনের। অধিবেশনের কার্যদিবস ছিল মাত্র ৪। বিএনপি সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছিল ১৯ মার্চ ১৯৯৬ সালে এবং অধিবেশন স্থায়ী ছিল চার কার্যদিবস ২৫ মার্চ পর্যন্ত। ৩০ মার্চ সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ওই দিন রাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেন খালেদা জিয়া। এর আগে ৩ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে খালেদা জিয়া ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল আনার ঘোষণা দেন৷ খালেদা জিয়ার পদত্যাগের পর রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ দেন। এরপর একই বছরের জুনে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। এটা ছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়া, একই সঙ্গে এটা ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণ।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে সারাদেশে যত লোক প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ছিলেন সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী নাহিদ। ওইদিন চারখাইয়ে পল্লিশাসন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের বুলেটে নির্মমভাবে প্রাণ হারান এই তরুণ।

শহীদ নাহিদের সঙ্গে আমার কিছু স্মৃতি ছিল, ছিল সখ্যও। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে আমার সিনিয়র ছিলেন তিনি। ভর্তির জন্যে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে প্রথম যেদিন যাই সেদিন কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকেই পড়েছিলাম জামায়াত-শিবিরের হাতে। ক্যাম্পাসের ফটকেই তারা আমাকে প্রথমে আটকায়, এরপর প্রায় জোর করেই পাশের একটা বারান্দায় নিয়ে গিয়ে তারা ভর্তি প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতার কথা বলে। তাদের সাহায্য ছাড়া ভর্তি সহজ হবে না বলে জানায়। আমি আমার রেজাল্টের কথা বলি; রেজাল্ট দিয়ে যেকোনো জায়গায় ভর্তি হতে পারব এমন বলেও তাদের সন্তুষ্ট করতে পারিনি।

তখন পর্যন্ত আমার একাডেমিক কাগজপত্র তাদের একজনের হাতে। শিবিরের একটা নেতা অথবা ক্যাডার কাগজপত্র এক হাত থেকে আরেকজনের হাতে দেয়। চার-পাঁচজনের ঘিরে থাকা দলের কেউ কেউ ওই সময় কথা বলছিল, কেউবা তখন আমার সার্টের উপরের দিকের বোতাম খুলছিল-লাগাচ্ছিল। এটা হয়ত তাদের স্টাইলই ছিল। ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় থেকে শুরু করে নানা সময়ে অন্য অনেকের সঙ্গে তাদেরকে এমন করতে দেখেছি। তারা আমাকে ‘দ্বীনের দাওয়াত’ দেয়। আমাকে ‘প্রকৃত মানুষ’ হতে তাদের কাছ থেকে বিনে পয়সায় কিছু বই নেওয়ার অনুরোধ করে। শুরুতে তারা ইসলামের কথা বলে তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য বয়ান করে জানায় ইসলামি ছাত্রশিবির আদর্শভিত্তিক ছাত্রসংগঠন। ‘দুনিয়া ও আখেরাতের বিজয়ী’ হতে ছাত্রশিবিরে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়ে তারা শিগগিরই ক্ষমতায় আসবে বলে উল্লেখ করে। আমার কথা বলার সুযোগ ছিল সীমিত ওখানে; যা বলার সব তারাই বলছিল। শুধু বলতে পেরেছিলাম আমার আব্বা একজন মুক্তিযোদ্ধা, আমি জামায়াত-শিবির পছন্দ করি না। তবু তারা ছেড়ে দেওয়ার পাত্র না, কথা বলছিল ত বলছিলই! এমন সময় অন্য এক বারান্দায় হুমায়ুন কবীর নাহিদকে দেখে যেন প্রাণ ফিরে পাই। অনেকটা সাহস বুকে নিয়ে বলি- ‘ওই যে নাহিদ তিনি আমার পরিচিত, তিনি আমার ভাই হয়’! নাহিদের কথা শুনে শিবিরের ছেলেগুলো ছেড়ে দেয় আমাকে। যাওয়ার সময়ে বলে, প্রয়োজন হলে যেন দেখা করি।

মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজের প্রথম দিন থেকে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে থাকা আমার দুই বছরের সময়ে আমি নাহিদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছি। একজন অগ্রজ হিসেবে কেবল আমিই নই, আমাদের অনেককে বিবিধ সহযোগিতা দিয়ে গেছেন নাহিদ। নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করতেন তিনি।

১৯৯৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সময়ে গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। আমাদের বাড়ি থেকে নাহিদদের বাড়ি বেশি দূর নয়। নির্বাচনের দিন যখনই শুনলাম চারখাইয়ে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। সংবাদপ্রাপ্তির শুরুর মুহূর্তে আশঙ্কা জেগেছিল- ‘নাহিদ নয় তো’! পরে যখন নিহতের পরিচয় পেলাম তখনই নিশ্চিত হলাম এই নাহিদ সেই নাহিদ; আমাদের প্রিয় হুমায়ুন কবীর চৌধুরী নাহিদ।

নাহিদের সঙ্গে আমার এই পরিচিতি কেবল কলেজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আমাদের স্কুলবন্ধু রেকন চৌধুরীর কাজিন হওয়ার সুবাদে কলেজের পরিচিতির বাইরে আমাদের সখ্য ছিল। তার মৃত্যু যেমন ওই সময়ে মন খারাপের উপলক্ষ ছিল, এখনও একই।

প্রতিবছর নাহিদের মৃত্যুদিনে তাকে একাকী স্মরণ করি। তার এলাকাবাসীও তাকে স্মরণ করে নিজেদের মত করে। তার স্মৃতিরক্ষার্থে স্থানীয়ভাবে সংগঠনও আছে। ওগুলো হয়ত বাৎসরিক স্মরণে তাকে সীমাবদ্ধ রেখেছে। কয়েক বছর আগে বিয়ানীবাজারের চারখাই বাজার সংলগ্ন চৌমোহনাতে ‘শহীদ নাহিদ চত্বর’ স্থাপিত হয়েছে। প্রতিদিন লক্ষ লোক অতিক্রম করে তার নামে স্থাপিত হওয়া এই চত্বর।

নাহিদের মৃত্যুর ২২ বছর পর স্থাপিত এই ‘শহীদ নাহিদ চত্বর’ বলছে সুরমা বুক দিয়ে অনেক জল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানুষজন অনেক কিছু ভুলে গেলেও অন্তত নাহিদকে সেভাবে ভুলে যায়নি। ২০১২ সালের এপ্রিলে বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ের একটি অনুষ্ঠানে ইউনিয়নবাসীর দাবির মুখে স্থানীয় সাংসদ ও তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের চারখাইয়ের চৌমোহনার গোলচত্বরটির নাম ‘শহীদ নাহিদ চত্বর’ হিসেবে নামকরণের ঘোষণা দেন। মন্ত্রীর এই ঘোষণার ছয় বছর পর গোল চত্বরে নামকরণ হয় শহীদ নাহিদের নামে।

বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ুন কবীর চৌধুরী নাহিদ নেই আজ ২৬ বছর। কিন্তু তার স্মৃতি আছে। দুই যুগ পরেও এই আমি তার স্মৃতি রোমন্থনে বসেছি। চোখে ভাসে কলেজের প্রথম দিনসহ আরও কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতি। এছাড়াও চারখাই পাড়ি দেওয়া লক্ষ লোক প্রতিদিন দেখছে শহীদ নাহিদের নাম। এই নাহিদের রক্তের ওপর ভর করে দেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন। এই নাহিদের রক্তের কারণে পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে দীর্ঘ ২১ বছর পর। নাহিদ না থাকলেও নাহিদের সেই আত্মদান বৃথা যায়নি, এর ফল ভোগ করছে তারই প্রিয় দল আওয়ামী লীগ।

নাহিদের আত্মদান আওয়ামী লীগ ভোগ করলেও তার পরিবারের জন্যে নাহিদ এখনও দীর্ঘশ্বাসের নাম। নাহিদের পরিবার তার খুনের বিচার পায়নি। এ ধরনের খুনগুলোর বিচার হয় না বাংলাদেশে। সেই নির্বাচনের দিনের ২৩ খুনসহ বিভিন্ন নির্বাচনের সময়ে মারা যাওয়া মানুষদের পরিবার কখনও বিচার পায় না, এই বিচার কখনও পাবেও না। এটা আমাদের আইন ও বিচারিক ব্যবস্থার দুর্বল ও পাশবিক এক দিক বলেই মনে হয়।

দেশে একে একে এগারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার অনেকগুলো নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনগুলোতে এ পর্যন্ত যত লোক মারা গেছেন তাদের কারও পরিবার বিচার পায়নি। আগামীতে দেশে আরও নির্বাচন হবে, সেগুলোতেও যদি কোন লোক মারা যায় তবে সেখানেও বিচার হবে বলে মনে হয় না। এই অমানবিক দিক নিয়ে আমাদের কোনো পর্যায়েই কোনো আলোচনা নাই।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুনের মহোৎসবের রাশ টানা উচিত। এসব নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত, সকল পর্যায়ে আলোচনা শুরু করা উচিত। তা না হলে নাহিদের মত প্রাণ হারানো এমন হাজার-হাজার প্রাণগুলো শেষ পর্যন্ত তাদের পরিবার-স্বজন আর পরিচিতজনের আক্ষেপের প্রতিশব্দ হিসেবেই বিবেচিত হতে থাকবেন।

কবির য়াহমদ, প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর; ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ