আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বাক স্বাধীনতা ও সামাজিক স্বৈরাচার

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করার জন্য সংসদ সদস্য পদ হারাতে হলো। কাগজে লতিফ সিদ্দিকীর দুর্নীতির কথা পড়েছি। এমন সব রিপোর্ট, পড়লে আপনার মধ্যে সিদ্দিকী সাহেবের দুর্নীতি স্বেচ্ছাচার সম্পর্কে ন্যুনতম সন্দেহও থাকবে না। কাগজে পড়া ছাড়াও, আম ভুক্তভোগীদের মুখেও শুনেছি তাঁর দুর্নীতির কথা। এই ভুক্তভোগীরা নিজেরা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন আছেন যাদের কথা অবিশ্বাস করার কোন কারণ নাই। এইসব দুনীতি স্বেচ্ছাচার কোন কিছুতেই কারো কিছু গেল আসলো না। আর অদ্ভুত ব্যাপার, কেবল মত প্রকাশের জন্য তাঁকে শাস্তি পেতে হচ্ছে। আমরা নাকি সভ্য হয়েছি!



হুমায়ুন আজাদ স্যার আমাদেরকে জাত তুলে গালি দিতেন। বাঙালি জাতিকে তিনি মূর্খের জাতি, অন্ধ, বামন, কূপমণ্ডূক কি না বলেছেন। আহত হতাম। খুব কষ্ট পাই কেউ যখন বাঙালি জাতিকে ছোট করে কথা বলে। আমি যে অল্প কয়েকবার স্যারের আড্ডায় যোগ দিয়েছি কখনো এটা নিয়ে কিছু বলিনি। বলতে পারিনি।



এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই বিষয়ে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন 'বাঙালি হচ্ছে আমার নিজের গোত্র, নিজের সম্প্রদায়। আমি আমার নিজের গোত্রকে নিজের সম্প্রদায়কে অনেক তীব্রভাবে ভালোবাসি। আমি আমার সম্প্রদায়কে অনেক উঁচুতে দেখতে চাই বলেই দোষগুলিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিই। তীব্রভাবে ভালোবাসি বলেই আঘাত করি'। কথাগুলি হুবহু এরকম হয়তো না, স্মৃতি থেকে লিখছি, মোটামুটি এইরকমই বক্তব্যটা। কথার সত্যতা আছে, যুক্তি আছে, বিরোধ করতে পারিনাই। কিন্তু ব্যাথা পেতাম। মন খারাপ হতো। গালি শুনতে কার ভাল লাগে বলেন?



হুমায়ুন আজাদ ভুল কিছু তো বলেননি। যে দেশের মন্ত্রী, প্রধান মন্ত্রী, এলিট বাহিনীর প্রধান থেক শুরু করে সমাজপতি আর বুদ্ধিজীবী সকলেই আমাদেরকে সকাল বিকাল বলতে থাকেন বাক স্বাধীনতার মানে নাকি যা ইচ্ছা তাই বলার স্বাধীনতা না, বাক স্বাধীনতার মানে নাকি সংখ্যাগুরুর মনে আঘাত দেওয়া না, বাক স্বাধীনতার মানে নাকি ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি না, বাক স্বাধীনতারও নাকি নির্ধারিত সীমা আছে সেই জাতিকে আপনি কি বলবেন?



মন্ত্রী, পুলিশ, মিলিটারি এদের কথা বাদ দেন। এরা তো পদাধিকারবলেই প্রতিক্রিয়াশীল এবং ফলত এরা তো প্রথার বিরুদ্ধে সকল কথা দমন করতেই চাইবে। নাট্যজন, শিল্পী, সাহিত্যিক এরা যখন সভা করে বলেন যে সীমারেখা মেনেই নাকি কথা বলতে হবে তখন কি রকম লাগে বলেন। আবার কায়দা করে নিজেদের জন্য নিজেরা বিশেষণ বানিয়ে নিয়েছেন 'নাট্যজন'। এই ভাবসর্বস্ব মাকাল ফলগুলির কাছেই নাকি আমারা নানারকম প্রত্যাশা করে বসে আছি।




দেখেন, বাক ও চিন্তার স্বাধীনতার কোন সীমারেখা নাই। এই কথাটা আগে মুখস্ত করেন। ব্যাখ্যা দিচ্ছি, যুক্তি দিচ্ছি। নূতন কোন কথা বলবো না। শত বছর ধরে এ কথাগুলো সবাই শুনে এসেছে, পড়ে এসেছে। আমি আইন পড়তে গিয়ে পড়েছি, কেউ হয়তো রাষ্ট্রবিজ্ঞান কিংবা সমাজবিজ্ঞান পড়তে গিয়ে পড়েছেন। কেউ এমনি এমনি শখ থেকে বা আগ্রহ থেকে পড়েছেন। আর যারা বিজ্ঞান পড়েছেন ওরা তো বাক ও চিন্তার স্বাধীনতাই চর্চা করেছেন প্রতিটা ক্লাসে। কিন্তু পড়ার পর ভেবে দেখেন নি অথবা আপনার প্রতিক্রিয়াশীল মন সমাজের বুনন ভেঙ্গে যাবে এই ভয়ে মানুষের কণ্ঠ দমনের সমর্থন দিচ্ছেন।



ব্যাখ্যা দিচ্ছি।
আমি যখন বাক স্বাধীনতা বা চিন্তার স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলি তখনই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বলি। স্বৈরাচারই আপনার স্বাধীনতা হরণ করে, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে। সুতরাং স্বাধীনতা দাবী করার মানেই হচ্ছে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বলা। এই স্বৈরাচারটা কে? কার বিরুদ্ধে আমি স্বাধীনতার অধিকার চাচ্ছি?



আগে আলোচনার ক্ষেত্রটা ভাগ করে নিই। স্বাধীনতাকে চলেন দুইভাবে ভাগ করি- একটা শারীরিক বা কর্মকাণ্ড এইসবের স্বাধীনতা, আর আরেকটা হচ্ছে চিন্তা, কথা বলা, মতামত ও চেতনার স্বাধীনতা। এই ভাগটা করছি তার কারণ হচ্ছে শারীরিক বা কাজকর্মের স্বাধীনতা আর বাক ও চিন্তার স্বাধীনতার ব্যাপ্তি এক হয়না।



আপনার শারীরিক কর্মকাণ্ডে অপরের শারীরিক বা বৈষয়িক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে, সুতরাং অপরের ক্ষতি নিবারণের জন্য আপনার কাজকর্ম নড়াচড়া এইসব নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার রাষ্ট্র ও সমাজের একটু বেশি থাকে। কিন্তু কথা বা মতামত দিয়ে কখনো কারো ক্ষতি হয়না। বিরুদ্ধমত সবসময়ই উপকারী। সুতরাং মত প্রকাশের স্বাধীনতার কোন সীমারেখা হতে পারেনা। আজকে এখানে চলেন কেবল মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বলি।



এবার বলেন, কার বিরুদ্ধে মত প্রকাশের স্বাধীনতা? কে সেই স্বৈরাচার?


এসব লিবার্টি বা স্বাধীনতা বিষয়ক কথাবার্তা যখন মানুষ প্রথম গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা শুরু করে তখন মোটামুটি সারা দুনিয়ায় রাজতন্ত্র ধরণের সর্বময় ক্ষমতার মালিক শাসকেরা শাসন করতো। সেই সাথে ছিল ধর্ম- মোল্লা, পুরুত, পোপ এসব। এরাও শাসকই ছিল। সুতরাং বাক স্বাধীনতা বা চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা প্রাথমিকভাবে এরকম শাসকদের বিরুদ্ধেই- রাজা এবং পোপ গং।



আজও আমরা যখন বাক ও চিন্তার স্বাধীনতার কথা বলি তখনও প্রথমে রাষ্ট্র ক্ষমতার বিরুদ্ধেই বলি। আমরা বলি যে রাষ্ট্রের বা শাসকের কোন অধিকার নাই আমার মত বা চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করার। কিন্তু রাষ্ট্র বা শাসক বা মোল্লা-পুরুত-পোপ এরাই স্বাধীনতার একমাত্র শত্রু না। সমাজ বা সংখ্যাগুরু মানুষও বাক ও চিন্তার স্বাধীনতার আরেকটা শত্রু। এই শত্রুকে চলেন আমরা নাম দিই সামাজিক স্বৈরাচার।



এই সামাজিক স্বৈরাচার কি জিনিস? বাক ও চিন্তার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এটাই আজকের বড় দুশমন। সংখ্যাগুরু মানুষের বিশ্বাস বা সিদ্ধান্ত বা মেনে নেওয়া প্রথা এইসব। এইসবই হচ্ছে মত ও চিন্তার স্বাধীনতার প্রধান শত্রু।

এই যে গত রবিবার (৩০ আগস্ট) প্রফেসর এমএম কালবুরগিকে মেরে ফেললো ইন্ডিয়াতে, কেন? তিনি প্রচলিত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন মূর্তিপূজার কোন মানে নাই, এইসব মূর্তির মাথায় পেশাব করে দিলেও কোন ক্ষতি নাই ইত্যাদি। উগ্র হিন্দুবাদিদের সহ্য হলোনা, গত রবিবারে ওর বাসায় ঢুকে ওঁকে গুলি করে মেরে ফেলেছে।



আমাদের এখানে যে নাস্তিক ব্লগারদেরকে মারছে, একইরকম কারণে। এখানে কে আপনার স্বাধীনতার শত্রু- সংখ্যাগুরু যাকে আমরা নাম দিয়েছি সামাজিক স্বৈরাচার। ইচ্ছা করলে সংখ্যাগুরু স্বৈরাচারও বলতে পারেন।



এই সংখ্যাগুরুকে আমরা স্বৈরাচার বলছি কেন? কারণ সংখ্যাগুরু আপনাকে বলছে আমরা যেটা বিশ্বাস করি আমরা যেটা ঠিক মনে করি তাঁর বিরুদ্ধে কিছু তুমি বলতে পারবে না। তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে, কিন্তু সেটা আমার বিশ্বাসের সীমারেখার মধ্যেই সীমিত। এর বিপরীতে তুমি কিছু বলতে পারবে না। এজন্যেই সংখ্যাগুরুকে আমরা বলছি স্বৈরাচার।




এখন তো বলবেন যে ভাই, সংখ্যাগুরুর বিরুদ্ধে তোমার কথা বলার দরকারটা কি? সবাই যেটা ভাল মনে করেছে, ঠিক মনে করেছে সেটা নিয়ে তোমার হাসি ঠাট্টা করার দরকারটা কি? এরকম কথা তো অহরহই শুনি- তুমি নাস্তিক হয়েছ হও, আমার পবিত্র ধর্ম নিয়ে কেন টানাটানি করছ ইত্যাদি।



সংখ্যাগুরুর বিরুদ্ধে কথা বলা দরকার আছে। সংখ্যাগুরুর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলাটাও জরুরি। সংখ্যাগুরুর মতামতকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাটাও জরুরি। মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত না করলে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়না। মানুষের বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ না করলে জ্ঞানের বিকাশ হয়না। মানুষের প্রচলিত ধারণাকে আক্রমণ করেই সত্যতা যাচাই করতে হয়। এটাই প্রগতি, এটাই সভ্যতা। না হলে মানুষের সভ্যতা এতদূর আসতো না।



তাই বলে মানুষের বিশ্বাস নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করবে, ধর্মীয় গুরু নবী আর দেব দেবীদের নিয়ে হাসাহাসি করবে সেটাও অনুমোদন করতে হবে? সেটাকেও বাধা দেওয়া যাবেনা? জ্বি না! ধর্মীয় গুরু নবী দেবদেবী এসবের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বললেও বাধা দেওয়া যাবেনা। এমনকি সংখ্যাগুরুর দৃষ্টিতে যাকে চূড়ান্ত পাগলামি মনে হয় সেই কথাকেও আপনি বাধা দিতে পারবেন না। একটা কথাকে, একটা মতকে বা একটা চিন্তাকে বাধা দেওয়া মানেই সত্যের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, সত্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করা আর সভ্যতার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করা।



আপনি আজকে যাকে সত্য মনে করছেন, হোক সেটা ধর্মীয় বিশ্বাস বা বিজ্ঞানের সূত্র, সেই সত্য হাওয়া থেকে আপনার মাথায় ঢুকে যায়নি। মানুষ দিনের পর দিন আগের বিশ্বাসকে বা আগের সূত্রকে চ্যালেঞ্জ করেছে। সেইসব চ্যালেঞ্জের কাছে আগে মানুষ যাকে সত্য মনে করতো সেই সত্য পরাজিত হয়েছে বলে আজকের সত্যকে আপনি সত্য মনে করছেন।



এ সত্যই কি চূড়ান্ত সত্য? আপনি মনে করতে পারেন আজকের এই সত্যি চূড়ান্ত সত্য, ভাল কথা। আশা করি আপনার কথাই ঠিক। তাই যদি হয় তাইলে এই সত্যকে আরেকটা ধারণা যদি চ্যালেঞ্জ করে তাতে আপনার অসুবিধা কি? আপনি হয়তো এই নতুন ধারনাকে ভ্রান্ত ভাবছেন, পাগলামি ভাবছেন। সে যদি ভ্রান্তই হয় তাইলে আপনার সত্য টিকে যাবে, অন্তত যত দিন পর্যন্ত না আরেক সত্য এসে তাকে সরিয়ে দেয়। আপনার সত্যের আরেকটা পরীক্ষা হয়ে গেল। আর নতুন ধারণা যদি সত্যি হয় তাইলেও তো আপনারই লাভ, আপনি একটা বিভ্রান্তি থেকে মুক্তি পেয়ে গেলেন।

সত্যকে সত্য হিসেবে টিকে থাকার জন্যেই তো তাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। এই করেই সভ্যতা এতদূর এসেছে। বিজ্ঞানে তো এটাই নিয়ম। আপনি প্রচলিত সূত্রকে প্রতিদিন চ্যালেঞ্জ করবেন, পরীক্ষা করবেন। হাজারটা ভুল চ্যালেঞ্জের পর বা অর্থহীন পরীক্ষার পর দেখা যায় একটা চ্যালেঞ্জ আসে যেটাতে আগের সূত্রের সীমাবদ্ধতা ধরা পরে। এইভাবেই আমরা এখানে এসেছি। নইলে পাথর ঠুকে যেদিন আমার পূর্বপুরুষ আগুন জ্বেলেছিল সেদিনই তো আলহামদুলিল্লাহ্‌ বলে মানুষ থেমে যেতো।



যারা স্বাধীনতার সীমার কথা বলেন, ওরা বলবেন যে কেউ যদি প্রচলিত কোন প্রথা বিশ্বাস বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অশ্লীল কিছু বলে তাইলে কি হবে। বাক স্বাধীনতার নামে কি অশ্লীলতাকেও সহ্য করতে হবে? জ্বি! অশ্লীলতাকেও সহ্য করতে হবে। কেন? একাধিক কারণে। প্রথমত একটা কথা অশ্লীল কি শ্লীল সেটা কে সিদ্ধান্ত নিবে? কে নির্ধারণ করবে? শ্লীলতার মান কি? আপনার প্রচলিত বিশ্বাসে বা মূল্যবোধে যা কিছু অশ্লীল সেই মূল্যবোধই কি চূড়ান্ত? আমি কেন প্রচলিত শ্লীলতার মাপকাঠিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবো না? এখানেও সেই একই কথা চলে আসে, সংখ্যাগুরুর স্বৈরাচার।




শাসকের স্বৈরাচারের চেয়ে সংখ্যাগুরুর স্বৈরাচার বরং বেশি ভয়ংকর এবং মানব সভ্যতার বিকাশের জন্য বেশি ক্ষতিকর। ঐ যে আপনারা বলেন 'মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া যাবেনা' বা সেরকম সব কথা, এগুলো হচ্ছে চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়াশীল প্রবচন। জ্বি, প্রতিক্রিয়াশীল প্রবচন। আপনারা যারা ভদ্র ধরণের সামাজিক বুদ্ধিজীবী আছেন, সমাজে শান্তি বজায় রাখার জন্য বলেন যে মানুষের ঐসব বিচিত্র অনুভূতিতে নাকি আঘাত দেওয়া যাবেনা আপনারা শব্দটির আক্ষরিক অর্থেই প্রতিক্রিয়াশীল। রাগ করবেন না, কেন বলছি সেটাও বলে দিচ্ছি। কারণ আমি জানি আপনারা নিজেদেরকে প্রগতিশীল বলতে পছন্দ করেন।



আগে বলেন প্রগতিশীল আর প্রতিক্রিয়াশীল কথাগুলোর মানে কি? প্রগতিশীল হচ্ছেন তিনি যিনি পরিবর্তন চান। পুরনো জামার পরিবর্তে নতুন জামা এই ধরণের পরিবর্তন না, রেডিক্যাল পরিবর্তন। আর যারা সমাজের বর্তমান অবস্থাটাই ধরে রাখতে চান সমাজের বুনন যাতে নষ্ট না হয় সেরকম কথা বলেন এরা প্রতিক্রিয়াশীল। এইটা তো শব্দগুলোর অর্থ। এখন আপনি যদি মানুষের ধর্মীয় বা সেরকম বিচিত্র অনুভূতিকে 'পবিত্র' মনে করেন আর সেগুলোকে আঘাত করাকে অন্যায় মনে না করেন তাহলে কি হচ্ছে? আপনি তো সমাজের বর্তমান কাঠামোটাই ধরে রাখতে চাইছেন, প্রচলিত বিশ্বাসকেই রক্ষা করতে চাচ্ছেন।



হয়তো, ঐ যে আগে বলেছি, পুরনো জামার পরিবর্তে নূতন জামা পরাতে চান, বা একটু সেলাই-ফোড়াই করতে চান, কিন্তু এই কাঠামোটাই ধরে রাখতে চাইছেন। আপনি প্রগতির শত্রু। বাক স্বাধীনতাতে যারা সীমারেখা টানতে চান, শ্লীল-অশ্লীল অনুভূতি আঘাত এইসব কথা বলে, এরা হচ্ছেন চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়াশীল।

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ