আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

হে উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশী মেধাবী প্রজন্ম, তোমাদের বলছি!

ড. শামীম আহমেদ  

বাংলাদেশ ও বিদেশ থেকে অসংখ্য মেধাবী তরুণ, তরুণী আমাকে নিয়মিত মেসেঞ্জারে নক করেন। নানা বিষয়ে পরামর্শ চান। পরামর্শ চান উচ্চশিক্ষা, ক্যারিয়ার, ক্যানাডায় ইমিগ্রেসন, ডিপ্রেসন, স্কলারশিপ, এডমিসান নানা বিষয়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমার প্রথম রেসপন্স থাকে কাজের আলাপ আমি মেসেঞ্জারে করি না, ফোনে একটা সুবিধামতো সময়ে কথা হতে পারে। তাদের ত্বরিত উত্তর হয় "ওকে ভাইয়া এখনই কল দিচ্ছি"। আমি তাদের উৎসাহের প্রশংসা করে বলি, একটু অপেক্ষা করুন, আমি ক্যালেন্ডার চেক করি। ক্যালেন্ডার চেক করে যখন বলি আপনার জন্য দ্রুততম সময় বের করতে পারব ১৪ দিন পর, তখন তারা হা হয়ে যান, চোয়াল ঝুলে পড়ে, বসা থেকে উঠে যান, উঠা থেকে বসে যান, মন খারাপ করে বলেন, "ঠিক আছে ভাইয়া তাহলে দেড়ঘণ্টা পরে কল দিচ্ছি।" আমি তাদের বলি, ১৪ দিন মানে ১৪ দিন। ১৩ দিন না, ১২ দিন না, ১১ দিন না।

আমি খুব অবাক হয়ে খেয়াল করলাম, বাংলাদেশে কেউ কথা বলতে চাইলে যদি আপনি তাকে বলেন দুজনের সুবিধা মতো একটা সময় ঠিক করে তাকে দুদিন পরে জানাবেন, তারা অনেক ক্ষেত্রে অপমানিত বোধ করে। তাৎক্ষণিকভাবে কেন তাদের সাথে কথা বলবেন না, কিংবা তাৎক্ষণিকভাবে কেন সময় নির্ধারণ করবেন না, এটা তাদের বোধগম্য হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা আপনাকে নক করে যখন আপনি ইউনিভার্সিটি বা অফিসে কোন কাজে বা মিটিং এ ব্যস্ত অথবা সমস্ত দিনের শেষে বাসায় এসে রান্না করছেন অথবা মেয়ের সাথে টিভি দেখছেন। সম্ভবত আমাদের তরুণ প্রজন্মের একটা ধারণা আপনি যখন বসের সাথে মিটিং এ নেই, অথবা বাথরুমে নেই, তখন আপনি ফ্রি, এবং তাকে সময় দেয়া আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। অথচ ক্যালেন্ডার দেখে একটা নির্ধারিত সময়ে ফোনে কথা বলাই যে স্বাভাবিক এই জিনিসটা বেশিরভাগ মানুষ বুঝতে পারে না। এমনটা কেন হয়, আমি সেটাও চিন্তা করে দেখেছি। আমাদের দেশে কাজের ক্ষেত্রে ম্যানেজার বা শিক্ষক বা অভিভাবকরা যেভাবে যথাক্রমে অধীনস্থ কর্মচারী, ছাত্র বা সন্তানকে ‘এখুনি এটা করে আনো’ বলে, তাদের জাতি হিসেবে আমাদের বেড়ে ওঠার সময় মনে হয়, সবাই অন্যের কাজ তাৎক্ষণিকভাবে করে দিতে বাধ্য এবং মানুষের ব্যক্তিগত সময় বলে কিছু নেই।

এমন কেউ কেউ আছেন যারা আমার সাথে কথা বলে পরামর্শ নিয়ে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছেছেন, তারপর আমার ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, তারা পরবর্তীতে বলেছেন, “তুমি তো বসে বসে নেটফ্লিক্সই দেখতেছ, ফোনটা ধরো”। অথবা “বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেই তো যাচ্ছ, ইমেইলের রেসপন্সটা দিয়ে যাও”। আমি তাদেরকে বোঝাতে পারি না আমি যে ঘাম ঝরিয়ে জীবিকা অর্জন করি তা ওই সন্ধ্যাবেলা রান্নার জন্য, বা রাতের বেলা নেটফ্লিক্স দেখার জন্য বা শনিবার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবার জন্য। এই বিনোদনের সময়গুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে আরামের সাথে কাটানোর জন্যই আমি সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা উদয়-অস্ত কাজ করি। এর পরে যে সময়টা একান্তই আমার সেটা আপনার কাছে “বইসাই তো আছেন, আমার কাজটা কইরা দিলেই তো পারেন”, অথবা “ভাইয়া রবিবারে ফোন দিই, ওইদিন তো আপনার ছুটি” হইতে পারে, আমার কাছে না। আমার ছুটি আপনার জন্য না। আপনি আমার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বড় মামার বড় ছেলে বা ইংল্যান্ড প্রবাসী মেজো চাচার বড় মেয়ে না, যার জন্য আমি আমার ছুটির সময় ব্যয় করব।

যাই হোক আমার সময় দেবার কড়াকড়ি নিয়ম শুনে মেধাবী প্রজন্ম প্রথমে কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে তারপর সম্মতি দেয়। আমি তখন তাদের সময় দিই। তাদের বাংলাদেশ ও ক্যানাডার সাথে সময়ের ব্যবধান নিয়ে সতর্ক করি। আমি যে আমার সুবিধা মতো সময় দিব সেটা পরিষ্কার করে বলি নিই। আমি হাতেম তাই না। তাই তার সুবিধার জন্য আমি ভোর ছয়টা বা আমার মধ্যরাত তিনটায় কথা বলব না। এই আত্মত্যাগ তার উন্নয়নের প্রথম ধাপ, তাকেই করতে হবে। আমি সাধারণত সময় দিই আমার লাঞ্চে টাইমে, দুপুর দুইটার আগে পড়ে, যখন বাংলাদেশে মধ্যরাত। অথবা আমার সন্ধ্যা সাত-আটটার দিকে যখন আমি হাঁটতে বের হই তখন, ওই সময়ে বাংলাদেশে হয়ত ভোর পাঁচটা বা ছয়টা। আমি শনি, রবিবার কাউকে পারতপক্ষে সময় দিই না, কারণ ওই দুইদিন আমি নিজে আরাম করি, বন্ধু ও পরিবারের সাথে সময় কাটাই। আমার শনি রবিবার মানে ঢাকার রবি সোমবার। আমি এইধরনের সমাজসেবামূলক আলাপ সোম থেকে শুক্রবার করি, কারণ এই পাঁচদিন ইউনিভার্সিটি ও হসপিটালের কাজ করে আমার মেজাজ এমনিতেই খারাপ থাকে, জনসেবা আমি এই দিনগুলিতেই করি, জনসেবা আমার কাজের অংশ, মেজাজ ঠান্ডা করে মানুষের উপকার করার পাথেয়। আমার ছুটির দিন আমি পশ্চিমাদের মতো আরাম করি, পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে সময় কাটাই। ক্যানাডায় এসে আমি যদি একটা জিনিস ওদের থেকে নিয়ে থাকি সেটা হচ্ছে ছুটির দিনে অফিসের কোন কাজ না করা। বাংলাদেশে প্রায় দশ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা হচ্ছে, যে অফিসের জন্য জীবন দিয়ে পরিবার, বন্ধুদের দূরে সরিয়ে দেবেন, একদিন হঠাত করে আবিষ্কার করবেন, আপনি ওই অফিসের কেউ না, আপনার কাছ থেকে যা নেয়ার তা নিয়ে ফেলেছে তারা, ফাঁক দিয়ে পরিবার ও বন্ধুদেরও হারিয়েছেন আপনি। তাই দিনের শেষে অফিস কেবলমাত্র জীবিকা নির্বাহের জায়গা আমার কাছে, এর বেশি কিছু না, এখানে কন্ট্রাক্টের বাইরে এক মিনিট বেশি সময় দেবার কিছু নাই।

তো সময় নির্ধারণের আলাপ-আলোচনার পরে আমি আগ্রহী মেধাবী বন্ধুটিকে নির্ধারিত তারিখ ও সময় বলে নিই। যেমন কাউকে বললাম, “এপ্রিলের ২ তারিখ টরোন্টো সময় দুপুর দেড়টায় আমাকে কল করবেন, দয়া করে একদিন আগে একটা রিমাইন্ডারও দেবেন।“ আমি খুব বিনয়ের সাথেই বলি। এখানে আমার লেখা পড়ে আমাকে ভয়ংকর অহংকারী মানুষ মনে হলেও, যারা পরামর্শের জন্য আমার সাথে কথা বলেছেন, তারা বলতে পারবেন আমি তাদের সাথে বিনয়ী থাকি কিনা! অবশ্য কেউ যখন দুই-তিন কল পরেও আগের পরামর্শ না শুনে প্রস্তুত হন না, তাদের সাথে আর বিনয়ী থাকার প্রয়োজন মনে করি না আমি। কেউ কেউ উত্তর দেন, “ভাইয়া টরোন্টোর দুপুর ২টা ঢাকায় কয়টা?” আমি তাদের বলি গুগল করে খুঁজে বের করেন, কথা বলার প্রয়োজন আপনার, সময়ের পার্থক্য বের করার দায়িত্বও তাই আপনার, আমার না। আমি যে তাদের সময়ের পার্থক্য বলতে পারি না, তা নয়, কিন্তু আমি তাদের সিরিয়াসনেস দেখতে চাই। যে সময়ের ব্যবধান না জেনে ক্যানাডার একজনের কাছে পরামর্শ চায়, তার আসলে এখানে পড়ার যোগ্যতা আছে কিনা সেই প্রশ্ন অবান্তর নয়। এরপর আমি তাদের বলি আমাকে ফোন করার আগে তাদের আগ্রহের ৩টা ইউনিভার্সিটির ৬টা ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট মুখস্থ করে আসতে, ওয়েবসাইটে আছি এমন তথ্য আমার কাছে জিজ্ঞেস করলে আমি বিরক্ত হবো। আমি তাদের পরিষ্কার করে বলি, আপনি যদি প্রস্তুতি নিয়ে না আসেন, তাহলে আমার ও আপনার দুজনের সময়ই নষ্ট হবে। এছাড়াও তাদের আমি WES, IELTS, TOEFL ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলার প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলি যা ক্যানাডা আমেরিকায় পড়ার জন্য জরুরি।

আমার নিয়ম কানুন শুনে অর্ধেকেই আর এগুনোর সাহস করে না। আমি খেয়াল করেছি ওয়েবসাইটে আছে, এমন সাধারণ তথ্য খুঁজে বের করার আগ্রহও কারও কারও থাকে না। তারা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, আমেরিকা ও ক্যানাডায় আছেন এমন বড় ভাই ও বড় বোনদের সাথে ফোনে কথা বলেই কাটিয়ে দেন, কাজ আর এগোয় না। কেউ কেউ নির্ধারিত তারিখের দুই মাস পর নক করে বলে, “ভাইয়া ভুলে গেছিলাম”, “পেট খারাপ ছিল”, “জামাইয়ের কোমরে ব্যথা ছিল”, “রাশা ইউক্রেনকে আক্রমণ করায় মন খারাপ ছিল” ইত্যাদি, তাই আর ফোন করতে পারি নাই। আমি তাদের বলি কোন সমস্যা নাই। আমরা আবার কখনও কথা বলব। এইসব ক্ষেত্রে আমি সাধারণত দ্বিতীয়বার কাউকে সময় দিতে চাই না। কারণ আমি যখন বাংলাদেশের একজন উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী তরুণ/তরুণীকে সময় দিবার সিদ্ধান্ত নিই, আমি সেই সময়টা আমার ক্যালেন্ডারে টুকে রাখি, তাদের সিভি মন দিয়ে পড়ি, তাদের কাজের ধরণ নিয়ে হোম-ওয়ার্ক করি এবং তারপর নির্ধারিত দিনে খাতা কলম নিয়ে প্রস্তুত থাকি তাদের যথাযথ পরামর্শ দেবার জন্য।

আমার এত ব্যক্তিগত আত্মত্যাগ ও বিনা পয়সায় দেশ সেবার আগ্রহের পরেও যদি আপনি ন্যূনতম প্রস্তুতি না নেন, কথা বলার জন্য নির্ধারিত সময় মানতে আগ্রহী না হন, তাহলে ভাই আমি আপনার জন্য সঠিক ‘মেন্টর’ নই। তবে আশার কথা হচ্ছে বিস্ময়করভাবে কিছু কিছু ছেলে-মেয়ে সব নিয়ম মেনে নির্ধারিত সময়ে ফোন করে। তাদের সময় রাত ২টা, ভোর ৫, ভোর ৭টা যখনই হোক না কেন। তারা প্রস্তুত থাকে, তাদের সাথে কথা বলে আরাম পাওয়া যায়, তাদের আমি খুব সরাসরি শক্ত কিছু কথা বলি, যা সাধারণত কেউ বলে না। তাদের প্রস্তুতি, ক্যানাডার জীবন, এপ্লিকেশনের ধরণ ইত্যাদি নিয়ে যা বলি, আমার বিশ্বাস খুব কম মানুষই তা বলেন। আমি খুব কম মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিই। আমি অনেককে সরাসরি বলি, আপনার পিএইচডি হবে না, এমপিএইচে এপ্লাই করেন। কাউকে বলি আপনার উচ্চশিক্ষার চাইতে ক্যানাডায় আসার ইচ্ছা বেশি, আপনি ইমিগ্রেসন ল’ইয়ারের সাথে কথা বলেন। যারা নানা ধাপ পেরিয়ে লেটার অফ ইন্টারেস্ট ড্রাফট পর্যন্ত আমার সাথে থাকতে পারে, তাদের দুই পেইজের ড্রাফটে আমি ৩০টা কমেন্ট দিই, কিছুই হয় নাই বলি, তারা মন দিয়ে শুনে সেগুলো একাধিকবার সংশোধন করে। করে আরও অনেক কিছু যা তাদের প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

যারা আমার সমস্ত কঠিন পরামর্শ মেনে, প্রস্তুতি নিয়ে নির্ধারিত সময় নিয়মিত যোগাযোগ করে, তারা ভাল করে। গত ৫ বছর এমন অন্তত ১৫ জন বাংলাদেশি স্টুডেন্ট আছে যারা আমার কথা শুনেছে, মেনেছে এবং তাদের প্রত্যেকে ক্যানাডা বা আমেরিকার ভাল ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি বা মাস্টার্স করছে। অন্তত ৩ জন ইউনিভার্সিটি অফ টরোন্টোতে পিএইচডি করছে যাদের আমি গাইড করেছি, অন্তত ৪ জন ইউনিভার্সিটি অফ টরোন্টোতে মাস্টার্স করছে বা শেষ করেছে, যাদের আমি কড়া কড়া পরামর্শ দিয়েছি, বকা দিয়েছি, প্রস্তুতি নেয়ায় সাহায্য করেছি।

আমি এত মানুষকে নিজের চরকায় তেল দিয়ে কেন সাহায্য করি? কারণ আমার মতো খুবই সাধারণ মানুষ যদি ক্যানাডার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে, তাহলে সেটা বাংলাদেশের মোটামুটি মানের অনেকের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু কিছু স্পেসিফিক জিনিস মানতে হয়, যা বেশিরভাগই জানেন না, কেউ তাদের বলে না, তাই তারা জানতে ও মানতেও পারেন না। আমি তাদের সে বিষয়গুলো ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করি। জাস্ট অ্যাপয়েনমেন্ট মেনে ফোন করার সময়ই বাংলাদেশের ৭০ ভাগ আগ্রহী শিক্ষার্থী ঝরে যায়। প্রথম ৩-৪ ধাপ যারা পার করতে পারে, তাদের ৭০ ভাগ ভাল জায়গায় এডমিসান পায়। ধৈর্য, নিয়মানুবর্তিতা ও বিনয় তাদের মূল অস্ত্র।

আমার নিজের ধৈর্য খুবই কম, আমি নিয়মানুবর্তী নই। আমি বিনয়ী নই। সুতরাং যারা এগুলো ফলো করতে পারে না, তাদের ব্যাপারে আমার সহানুভূতি আছে। এই সহানুভূতি নিয়ে আমি তাদের জন্য দূর থেকে শুভাকাঙ্ক্ষী হই, কিন্তু তাদের পেছনে আর ব্যক্তিগত সময় খরচা করি না। কিন্তু যারা নিয়ম মেনে এগিয়ে যায়, তাদের আমি দেখি, প্রত্যেকেই যোগ্য ও মেধাবী, আমার চাইতে বেশি তো বটেই। তাদের আমার ভাল লাগে। আমি সাধারণত চাই না কেউ ফোন করে আমার পরামর্শ নিক। কারণ এতে আমার কোন আয় রোজগার নাই, অনেকের সাথে কথা বলে মেজাজ খারাপ হয়, বেশিরভাগ সময়েই পুরা ব্যাপারটা একটা প্যারা। কিন্তু নানা সূত্রে খবর পেয়ে যারা আমার কাছে পরামর্শ চায়, আমি তাদের এমন পরামর্শ দিই, যা সুনির্দিষ্ট এবং ফলো করলে ভাল হবার সম্ভাবনা। কিন্তু যখন অর্ধেকের বেশি সময় মেনে কলই করতে পারেন না, ন্যূনতম কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করে না, তখন মন খানিকটা খারাপ হয়। সাফল্য পাওয়া কেউ কেউ আমাকে ইনবক্সে ধন্যবাদ জানান, কিন্তু প্রকাশ্যে কোথাও তারা এই বিষয়ে অন্যদের বলেন; কখনও শুনিনি। কেন এই দ্বিধাবোধ, তারাই জানেন!

কিন্তু আমার কাজ আমি করে যাই। আমার সীমিত সামর্থ্যে আমি বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে চাই। আমি জানি আমার সীমাবদ্ধতা কী, আমি তাদের সেগুলো জানিয়ে দিই, তারা আরও ভালভাবে প্রস্তুত করতে পারে নিজেদের। বিশজন ‘লেগে থাকতে না পারা’ শিক্ষার্থীর পর একজন মনোযোগী শিক্ষার্থী যে আসলেই ভাল করতে চায়, তাদের দেখা পেলে আমি আমার পুরনো দুঃখ কষ্ট ভুলে আবার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উপকার করতে ঝাঁপিয়ে পড়ি– একজন এভারেজ, প্রায় ব্যর্থ বাংলাদেশি ক্যানাডিয়ান স্কলার হিসেবে।

বাংলাদেশের অসম্ভব মেধাবী তরুণ প্রজন্মের জন্য একরাশ ভালোবাসা।

ড. শামীম আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সামাজিক-বিজ্ঞান গবেষক।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ