আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

জেলহত্যার বেদনাবিধুর স্মৃতি

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন  

আমার স্মৃতির পাতায় জেলহত্যা এক বেদনাবিধুর ঘটনা। আমার বাবা এএইচএম কামারুজ্জামান যেদিন শহীদ হলেন, আমি ও আমার ছোট ভাই স্বপন তখন কলকাতায় রামকৃষ্ণ মিশন স্কুলে লেখাপড়া করছি। বাবার মৃতদেহটি দেখার কোনো সুযোগ আমরা পাইনি।

বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এক অতন্দ্র সৈনিক। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ তাঁর জীবনভাবনার মূল সোপান ছিল। সারাটি জীবন তিনি সেই আদর্শ ভাবনাকে অবিচল নিষ্ঠা এবং সাধনায় ব্রত হয়ে পালন করে গেছেন। নিমগ্ন থেকেছেন সত্য ও নীতির পথে। বঙ্গবন্ধুর নিঃস্বার্থ সহযোদ্ধা হিসেবে আপস করেননি ১৫ আগস্টের হত্যাকারী খুনিচক্রের সঙ্গে। শুধু আমার বাবা নন, অন্য তিন জাতীয় নেতাও ছিলেন একই রকমের ইস্পাতসম মনোবলের অধিকারী।

আমার মায়ের কাছে শুনেছি, সেদিনের নিকষ কালো তিমির রাত করা ঢাকার রাজপথে ছুটে চলা একটি জলপাই রঙের জিপ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে দাঁড়িয়ে গেলো। সেখান থেকে লাফিয়ে নামল কয়েকজন কালো পোশাক পরা অস্ত্রধারী। কারারক্ষীদের গেট খোলার নির্দেশ দিল তারা। কারারক্ষীরা শীর্ষ নির্দেশ ছাড়া গেট খুলবেন না। অগত্যা বঙ্গভবনে ফোন করল খুনিরা। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে যে নির্দেশ এসেছিল সেটি আমাদের সবারই জানা। বঙ্গভবনের নির্দেশ পেয়ে গেট খুলে দিলেন কারারক্ষীরা। অস্ত্রধারীদের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দিতে বাধ্য করা হলো তাঁদের। ভেতরে ঢুকে তাদের আবদার অনুযায়ী জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আমার বাবা এইচএম কামারুজ্জামানকে ১ নম্বর সেলে একসঙ্গে জড়ো করার আদেশ দেওয়া হলো। অস্ত্রের মুখে বাধ্য হয়ে তাঁরা সে নির্দেশ পালন করলেন। খুনি মোসলেম বাহিনী সেই ১ নম্বর সেলে ব্রাশফায়ারে নিভিয়ে দিল জাতির সূর্যসন্তানদের জীবনপ্রদীপ। সেকেন্ডের ব্যবধানে হারিয়ে গেল বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর অন্যতম চার নেতার প্রাণস্পন্দন।

বাবা বেশ ধর্মভীরু ছিলেন। ছোটবেলায় আমরা তাঁকে নিয়মিত নামাজ আদায় ও পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করতে দেখেছি। তিনি এত দ্রুত কোরআন তিলাওয়াত করতেন, তাঁকে কোরআনের হাফেজ বলে মনে হতো। তবে পরের দিকে বিশেষ করে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে দেশের জন্য তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ফলে তাঁকে আমরা বাসায় তেমন দেখতে পেতাম না। যতক্ষণ বাসায় থাকতেন সর্বক্ষণ নেতাকর্মী দ্বারা সন্নিবেষ্টিত হয়ে থাকতেন। এর ফলে আমরা তেমন বাবার সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ পেতাম না। আমরা সব ভাইবোনই বেশ মিস করতাম তাঁকে। এজন্য আমাদের মাঝে মাঝে রাগও হতো।

প্রচলিত একটি কথা আছে যে, প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে কোনো না কোনোভাবে একজন নারীর অবদান আছে। এ কথাটা আমার মায়ের ক্ষেত্রে দারুণভাবে প্রযোজ্য বলে আমাদের মনে হয়। বিশেষ করে স্বাধীনতার ৯ মাস ছোট ছোট ছেলেমেয়েসহ তিনি যে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে দিন কাটিয়েছেন সেটি সম্ভব না হলে বাবার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব হতো কিনা বলা মুশকিল। বলা বাহুল্য, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছাও ছিলেন অসীম ধৈর্যের অধিকারী। তিনিও আজীবন বঙ্গবন্ধুর সকল কর্মের প্রেরণা ছিলেন।

বাবা ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৬২ সালে তিনি প্রথম নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তাঁর প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণও তাঁর বাবা আবদুল হামিদের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে এক চমকপ্রদ ঘটনার কথা আমরা শুনেছি। ওই ঘটনাটি তখনকার দিনের রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আজও অনুস্মরণীয় আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। বলে রাখা জরুরি যে, আমার দাদা আবদুল হামিদ রাজশাহী অঞ্চল থেকে দীর্ঘদিন মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন। ১৯৬২ সালের নির্বাচনে তাঁর ছেলে কামারুজ্জামান নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে আবদুল হামিদ নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন।

বাবা জানতেন পিতা প্রতিদ্বন্দ্বী হলে তাঁর পক্ষে নির্বাচনে জয়লাভ কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। তাই তিনি মায়ের কাছে আবদার করলেন, বাপজানকে বুঝিয়ে যেন নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চেষ্টাটা করেন! অগত্যা আবদুল হামিদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। নির্বাচনী এলাকা সফরে গিয়ে ভিন্নচিত্র প্রত্যক্ষ করলেন আমার বাবা। এলাকার মুরুব্বিদের বক্তব্য হলো- দীর্ঘদিন মুসলিম লীগের প্রতি সমর্থন করাতে অভ্যস্ত বিধায় তাঁরা হারিকেন (মুসলিম লীগের নির্বাচনী প্রতীক) ছাড়া অন্য কোনো মার্কায় ভোট দিতে পারবেন না। আবদুল হামিদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বাবাকে দায়ী মনে করে, তাঁরা তাঁকে সমর্থন দেওয়া থেকে বেঁকে বসলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে বাবা বহু চেষ্টা তদবির করে অন্তত একটি জায়গায় রফা করতে সমর্থ হলেন যে, আবদুল হামিদ সাহেব যদি এলাকায় এসে তাঁর পক্ষে ভোট চান, তাহলে তাঁরা বাবাকে ভোট দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন, অন্যথায় নয়। এমন একটি পরিস্থিতিতে বাবা তাঁর বাপজানের কাছে কথাটি বলতে সাহস না পেয়ে মায়ের কাছে বায়না ধরলেন, বাবা যেন তাঁর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু আবদুল হামিদের কাছে কথাটি বলতেই তিনি প্রচণ্ড রেগে গেলেন। একটি দলের সভাপতি হয়ে তিনি অন্য দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না, সে যেই হোক, এটি তাঁর সাফ কথা। বাবা হতাশ হয়ে এক রকম প্রচারণা বন্ধ করে দিয়ে বাড়িতে বসে রইলেন। বাবার সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়। এটি তিনি বুঝতে পারছিলেন। সুতরাং মাঠে গিয়ে লাভ কি? তাই তিনি জানিয়ে দেন বাবা তাঁর পক্ষে কাজ না করলে তিনি আর নির্বাচন করবেন না। এভাবেই কিছুদিন চলে গেলো। সত্যি সত্যিই ছেলে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকায় বাবা আবদুল হামিদ নিজেই চিন্তায় পড়ে গেলেন। ছেলের জীবনের প্রথম নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় তিনি নিজেও বিচলিত হয়ে পড়লেন। অগত্যা রাজশাহী জেলার মুসলিম লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক নাটোরের মধু চৌধুরীকে ডেকে তিনি তাঁর হাতে দলের সভাপতি ও সাধারণ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের আবেদনপত্র দুটি ধরিয়ে ঘটনা খুলে বললেন। পরে ছেলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে তাঁকে বিজয়ী করতে সক্ষম হলেন। বাবার সেই বিজয় প্রথম হলেও আর কখনও তিনি কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। তবে দাদা আবদুল হামিদের এ রাজনৈতিক নৈতিকতার ঘটনা সর্বসময়ের জন্যই বিরল দৃষ্টান্ত তাতে সন্দেহ নেই। বিশেষ করে আজকের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য এ ঘটনা শিক্ষার বার্তা বয়ে আনতে পারে। সেই অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আমার দাদা আবদুল হামিদের সুযোগ্য সন্তান এএইচএম কামারুজ্জামান ও তাঁর নাতিদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আজও জাতীয় নেতার আসনে রয়েছেন।

আমার বাবা তাঁর আদর্শভিত্তিক নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির কারণে '৬২ থেকে '৭৫- এই ১৩ বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনেই কখনও পরাজিত হননি। এটি সম্ভব হয়েছিল তাঁর অসাধারণ কর্মদক্ষতা, গণমুখী সাংগঠনিক তৎপরতা আর চূড়ান্ত রাজনৈতিক সততার কারণে। এরই ফলে তিনি রাজশাহীবাসীকে আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সামিল করতে পেরেছিলেন। তাঁর এই দক্ষতা ও যোগ্যতাই তাঁকে তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির মতো দলের সর্বোচ্চ পদে সমাসীন করেছিল।

৩ নভেম্বর সকালেই বাবার মৃত্যুসংবাদ জানতে পারেন আমাদের মা। মা অত্যন্ত ভেঙে পড়েন। অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে যে মানুষটি কখনও আশাহত হননি সেই মানুষটি বাবার মৃত্যুসংবাদে মুষড়ে পড়েছিলেন! এ সময় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী আর আত্মীয়স্বজনে ভরে যায় আমাদের বাড়ি। মা চাচ্ছিলেন বাবার লাশটা রাজশাহীতে এনে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করতে। খুনিরা তাতে বাদ সাধে। মা তাঁর সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। বাধ্য হয়ে বাবার মৃতদেহ রাজশাহীতে আনার অনুমতি দেয় ঘাতকচক্র। তবে বাবার লাশ কাউকে দেখতে দেওয়া হয়নি। এই হৃদয়বিদারক ঘটনার করুন বেদনা ও দহন সহ্য করেই আমার মা এবং আমরা জীবনসংগ্রাম করেছি। মায়ের কাছে শুনেছি, বাবার রক্তমাখা লাশটার বুকের ওপর চালচাপা দেওয়া ছিল। মুখটা দেখে মনে হয়, কী নিদারুণ কষ্টে তাঁর জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে। কী অপরাধ ছিল বাবার, যার জন্য তাঁকে হত্যা করা হলো? এর জবাব কে দেবে? কারও কাছে আছে?

প্রতি বছর ৩ নভেম্বর ফেরে ! শোকার্ত অনুভবে বাবার ওই দুই মায়াবী চোখের মাঝে দৃষ্টি দিলেই প্রদীপ ভাসে। যে প্রদীপের শক্তি আমাকে বাংলাদেশের জন্য রাজনীতি করতে তাগিদ দেয়। আমার পরিবারের সেই রক্ত, যে রক্ত বেইমানি করতে জানে না। বাবা বঙ্গবন্ধুর জন্য আনুগত্যের খড়গ নিয়ে দেশপ্রেমকে স্বাগত জানিয়ে জীবনই দিয়ে গেছেন। আমি তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার ভাই হিসেবে তাঁর জন্য জীবন সঁপে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। বাবার সৎ আত্মা আমার পিছু নেয়। তাগিদ রাখেন- তুমি এগিয়ে যাও। বাংলাদেশের জন্য, আওয়ামী লীগের জন্য সেরাটি দাও।

এক ফালি চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকি প্রায়ই। আমার বাবার চিরপ্রস্থানকে মেনে নিতে পারিনি, পারব না। উইনস্টন চার্চিলের বিখ্যাত মতবাদ আমার অহোরাত্রগুলোকে অনুসন্ধানী ও সত্যান্বেষী করে বলে, যখন ভেতরে কোনো শত্রু থাকে না, তখন বাইরের শত্রুরা তোমাকে আঘাত করতে পারে না।

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ