আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

স্মৃতি তর্পণে আবদুল গাফফার চৌধুরী

জুয়েল রাজ  

দেখতে দেখতেই বছর পেরিয়ে গেল, গত বছর ২০২২ সালের ১৯ মে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছিলেন কিংবদন্তি লেখক, সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী। তাঁর জীবনের বড় একটি অংশ তিনি কাটিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যে। ১৯৭৪ সালে অসুস্থ স্ত্রীর উন্নত চিকিৎসার জন্য, বঙ্গবন্ধুর সহায়তায় তিনি যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। আর ফিরে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশে। স্ত্রীর দীর্ঘ চিকিৎসার চেয়েও ১৯৭৫ সালে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর গাফফার চৌধুরীর দেশে ফেরাও দুরূহ হয়ে উঠেছিল। তাই লন্ডনেই আবাস গড়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশকে বুকে বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন মৃত্যু পর্যন্ত। তাইতো মৃত্যুর পর শায়িত হয়েছেন বাংলাদেশের মাটির বুকে।

গাফফার চৌধুরী লন্ডন জীবনে গ্রোসারি শপে কাজ করা থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষকতাসহ নানাবিধ পেশায় রুটি-রোজির চেষ্টা করেছেন। বা সময়ের প্রয়োজনে তাঁকে করতে হয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকতা থেকে কখনো বিচ্ছিন্ন হননি। আমৃত্যু তাঁর ক্ষুরধার লেখনি তিনি চালিয়ে গেছেন। লন্ডনে বিভিন্ন পত্রিকা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু এই তিন জায়গায় কখনো আপোষ করেননি। মূলত ২০১১-২০১২ সাল থেকে তাঁর সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। আর তাঁর স্নেহ পাওয়ার মূল অনুঘটক ছিলেন আরেক কিংবদন্তি মানুষ প্রয়াত আমিনুল হক বাদশা ভাই, যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহকারী প্রেস সচিব। ২০১৩ সালের গণজাগরণ আন্দোলনের উত্তাল সময় আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। এরপর থেকে তাঁর এজওয়ার রোডের মিথুন রোডের বাড়ির দরজা ছিল আমার জন্য নিত্য খোলা। কত মানুষকে যে সাথে করে নিয়ে গেছি সেই বাড়িতে, শুধু গাফফার ভাইয়ের সাথে একবার দেখা করবেন বলে। ডাক্তারের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও বহুবার ফোন করার পর বলেছেন, চলে আসো….।

গাফফার ভাই ছিলেন আমাদের কাছে বটবৃক্ষের মত। শুধু উপমার জন্য নয়, বাস্তবেই তিনি তাই ছিলেন। একটি বটগাছের আত্মকাহিনী রচনার মতোই,মানুষ যেমন বটের ছায়া নেয়, অক্সিজেন নেয়, ক্লান্তিতে প্রাণ জুড়ায়, আবার যাওয়ার সময় একটি ডাল ভেঙে নিয়ে যায়। তেমনি গাফফার চৌধুরীর ছায়া নিয়েও অনেকেই বিভিন্ন সময় ডাল ভাঙার মত তাঁর বিরোধিতাও করেছেন। কিন্তু তাঁকে কখনো এই নিয়ে বিচলিত হতে দেখিনি, কোন আক্ষেপ করতে শুনিনি, এসব শোনে বরং হাসতেন তিনি।

খুব কাছে থেকে দেখার এবং জানার সৌভাগ্য হয়েছিল এই কিংবদন্তিকে। সব্যসাচীর মত দুই হাতে লিখেছেন, প্রত্যেক সপ্তাহে বাংলাদেশে চার থেকে পাঁচটি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখেছেন তিনি এবং ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে। বাংলাদেশ, দেশের রাজনীতি, ধর্মীয় উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িক হামলা, আন্তর্জাতিক রাজনীতি সব বিষয়ে সমান দক্ষতায় এবং তথ্য সমৃদ্ধ লেখনিতে তিনি ছিলেন অদ্বিতীয়। লাখো পাঠক, পত্রিকার সম্পাদক অধীর অপেক্ষায় থাকতেন তাঁর লেখার জন্য। আধুনিক টাইপ বা কম্পিউটারের সাথে তাঁর সখ্যতা হয়নি। কারণ আধুনিক টাইপিং সিস্টেমের সাথে মানিয়ে চলার সময় তিনি নিজেই অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় হয়ত নতুন বিদ্যা আর আয়ত্তে নিতে চাননি তিনি। তাঁর ঝকঝকে হাতের লেখা যারা দেখেছেন তাঁরা জানেন কতটা নিখুঁত। কোন কাঁটাছেড়া থাকত না। হাতে লেখাই তিনি ফ্যাক্স করে বিভিন্ন দেশে পাঠাতেন। জীবিত গাফফার চৌধুরী নিয়ে নানা বিতর্ক ছিল। সেই সব বিতর্ক তিনি বেশ উপভোগ করতেন। যে মানুষটি তাঁর তুমুল বিতর্ক করতে এমন বহু মানুষকে দেখেছি তাঁর সামনে গেলে বিনয়ে গদগদ হয়ে যেতে।

সবচেয়ে বেশি বিতর্ক ছিল, তিনি নাকি তার লেখায় মৃত মানুষের বক্তব্য রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করেন, যা অনেকেই মনে করতো এসব তাঁর মনগড়া বক্তব্য অন্যের বলে তিনি চালিয়ে দেন। কিন্তু আমরা যারা খুব কাছে থেকে তাঁকে দেখেছি, তারা জানি কী অসম্ভব স্মৃতিশক্তি ছিল তাঁর। একদম দিন তারিখসহ তিনি বলে দিতে পারতেন। দ্বিতীয়ত অনেক পুরাতন ডায়েরি ছিল তার। তাই যে সব রেফারেন্স তিনি দিতেন সে সবের আলোকেই দিতেন।

তার একটি উদাহরণ হচ্ছে, যতদিন তাঁর বাসায় গিয়েছি, তাঁর সেই ঐতিহাসিক ইজিচেয়ারে বসে কিছু না কিছু তাঁকে পড়তে দেখেছি। কখনো পাইনি তিনি এমনি এমনি বসে আছেন। যারা তাঁর বাসায় গিয়েছেন তাঁদের ধারণা আছে, বাসার চারপাশেই বলা যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত নানা ধরনের বই। যার অধিকাংশই সৌজন্য কপি দেশে বিদেশের লেখকগণ তাঁকে উপহার স্বরূপ পাঠিয়েছেন। এবং দেখা হলে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কমিউনিটির খুঁটিনাটি বিষয়ও জেনে নিতেন। একবার আমি বললাম গাফফার ভাই এইসব বই এখন আমাদের দিয়ে দেন অথবা উইল করে যান আপনার মৃত্যুর পর কে কে পাবে এসব বই। বললেন মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না, যা ভাল লাগে নিয়ে যাও। আমি কয়েকটি বইয়ের সাথে "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ—এম এ ওয়াজেদ মিয়া'র" বইটি ও পছন্দ করে একাট্টা করলাম। গাফফার ভাই এই বইটি রেখে দিলেন, বললেন এটি রেখে বাকিগুলো নিয়ে যাও; এই বইটি আমার মাঝে মাঝেই প্রয়োজন হয় বিভিন্ন রেফারেন্সের জন্য।

অন্য আরেকটি বিতর্ক ছিল, গাফফার চৌধুরী টাকা ছাড়া কারও বইয়ের ভূমিকা লিখে দেন না। আমি একদিন সরাসরিই জিজ্ঞেস করলাম, আপনি নাকি টাকা ছাড়া বইয়ের ভূমিকা লিখে দেন না? তিনি তাঁর পাশে থাকা দুই তিনটা বইয়ের পাণ্ডুলিপি আমাকে দিয়ে বললেন পড়ো এইগুলো, আমি একটু চোখ বুলিয়ে বললাম, বলেন কী হয়েছে?

বললেন আমাকে অনুরোধ করেছে বইয়ের ভূমিকা লিখে দিতে, এই বইয়ের ভূমিকা আমি কী লিখব? আর যদি ভূমিকা লিখে দেই তবে, সত্যটা লিখতে পারব না। মিথ্যা বানিয়ে বানিয়ে লিখতে হবে, তখন ও বলবে আমি আমি টাকা দিয়ে লিখেছি। তিনি লন্ডনের একজনের নাম নিয়ে নিলেন, যিনি বর্তমানে দেশবিরোধী গুজবের কারণে বেশ আলোচিত সমালোচিত, তিনি একবার এক আড্ডায় অভিযোগ করলেন গাফফার চৌধুরী তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ও তাঁর বইয়ের ভূমিকা লিখে দেননি। তাই তিনি দুই বছর অপেক্ষা করে সেটি প্রকাশ করেন।

আবার, এই বিষয়ে গাফফার ভাই বলেন, ঐ ব্যক্তি একবার কী একটা ম্যাগাজিন বা বই করবে আমাকে ধরল আমি সেটার ভূমিকা লিখে দেব। এখন না করার ও সুযোগ নাই। দিই-দিচ্ছি করি, কিন্তু নাছোড়বান্দা এই লোক নিয়মিতই সেই লেখার জন্য আসত। দিই-দিচ্ছি করে বছর খানেক ঘোরানোর পর সে আমার লেখা ছাড়াই এক সময় সেটি প্রকাশ করেছিল শুনেছি। আমার একটি কলামের সংকলনের ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন গাফফার ভাই। বেশ কিছুদিন আমাকে দিই-দিচ্ছি করছিলেন, লন্ডনের এক সিনিয়র লেখক আমাকে বললেন টাকা না দিলে তো গাফফার ভাই আপনার বইয়ের ভূমিকা লিখে দেবেন না। এর কিছুদিন পর ঐ লেখকসহ আমরা লন্ডন বইমেলা নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁর বাসায় গেলাম, গাফফার ভাই তাঁর হাতে লেখা সেই ভূমিকাটি আমার হাতে তুলে দিলেন। সাথের ভদ্রলোক কিছুটা অবাক! গাফফার বললেন তোমার সবগুলো লেখা পড়তে একটু সময় লেগেছে জুয়েল, তাই দেরি হয়েছে ভূমিকাটা লিখতে।

তিনি বলতেন, লেখালেখি শুধু আমার নেশা বা শখ নয়, আমার পেশাও বটে, বাংলাদেশের পত্রিকাগুলো আমাকে যে টাকা দেয় এই দিয়েই আমার সংসার চলে। লন্ডনে একমাত্র পত্রিকা ছিল "সাপ্তাহিক জনমত" যারা লেখার জন্য আজীবন তাঁকে সম্মানী দিয়েছে, যদিও সেটি সামান্য তবু এইটা নিয়েই তিনি সম্মানিত বোধ করতেন এবং সেটি সবসময় স্বীকার করতেন। লন্ডনের অনেক পত্রিকা জনমতের ৫ গুণ টাকার প্রস্তাব দিয়েও তাদের পত্রিকায় এককলম লেখা ছাপতে পারেনি। কারণ সংশ্লিষ্টদের রাজনৈতিক মতাদর্শের সাথে তাঁর মতাদর্শের কারণে। তো, এর বাইরে অন্যের বইয়ের পাণ্ডুলিপি পড়ে সেই বইয়ের ভূমিকা লিখে দেওয়া তাঁর রুটিনবাঁধা জীবনে খুবই দুরূহ ছিল। তবু অনুরোধে ঢেঁকি গেলার মত বহু বইয়ের ভূমিকা তিনি লিখেছেন। আমি নিজেও অনেকের বইয়ের ভূমিকার অনুলিখনের কাজ করেছি। নিতান্ত আমার অনুরোধে কিংবা আমাকে স্নেহ করেন বলেও হয়তো রাজি হয়েছিলেন, সেই সব বইয়ের ভূমিকা লিখতে। কিন্তু এই যে অভিযোগ টাকা নিয়ে তিনি লিখতেন তাঁর মৃত্যুর পর এত টাকা তাহলে কোথায় গেল? বহু মানুষকে দেখেছি, হাতে সামান্য ফল নিয়ে গাফফার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে, বাংলাদেশে কাউকে ফোন করিয়ে নিজের কাজটা উদ্ধার করে নিয়েছে।

পবিত্র উমরাহ করেছেন, হজ্জব্রত পালন করেছেন, তারপরও একটা,পক্ষ ছিল যারা মনে করত বা প্রচার করত তিনি ধর্ম পালন করেন না! তাঁকে প্রমাণ করার চেষ্টা করত তিনি লন্ডনে সিলেটের মানুষকে পছন্দ করেন না। গাফফার ভাই খুব দৃঢ়তার সাথে এসব মোকাবেলা করেছেন। তিনি জানতেন এসব কারা করে এবং কেন করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, ধর্মীয় উগ্রবাদ যারা উসকে দেয়, সেই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান বারবার তাঁকে আক্রান্ত করেছে।

১৯৫২ থেকে পাকিস্তানি দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে কিশোরের কলমযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২২ সাল তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সেই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। তাঁর সমসাময়িক, আগে-পরে অনেকে জীবনে নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়েছেন, অর্থের কাছে, নানা সুযোগ সুবিধার কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিয়েছেন। গাফফার চৌধুরী কখনো নীতি থেকে একপাও বিচলিত হন নাই। প্রয়োজনে নিজের আদর্শের মানুষের, বিশেষ করে রাজনৈতিক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের কিংবা তার নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন, বিরাগভাজন হয়েছেন, কিন্তু কখনো ডিগবাজি দেননি। এখানেই তিনি অনন্য হয়ে উঠেছেন। বিগত এক বছর প্রতিনিয়ত অভাব বোধ করেছি একজন গাফফার চৌধুরীর ক্ষুরধার বিষয়ভিত্তিক লেখনির। তাঁর অভিজ্ঞ দিকনির্দেশনার। তাঁর পাশে বসে দেশ বিদেশের নানা ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোট ছোট নানা স্মৃতিচারণ। যা আমাকে, আমাদেরকে সমৃদ্ধ করেছে।

গাফফার চৌধুরীর চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, বিগত এক বছরে তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ