আজ সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

Advertise

নির্বাচনকে ঘিরে কী ঘটতে চলেছে?

এখলাসুর রহমান  

উন্নয়নের স্তুতি আর ব্যক্তিময় স্তুতির বাহুল্যে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি চরম খারাপ হয়ে গেছে। কয়লার বিল বাকি পড়ায় কয়লা আমদানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। বন্ধ হয়ে গেল পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। দেশের মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এতদিন পরে কেন এই বার্তা দিলেন? কেন পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার আগে এর সমাধান করতে পারলেন না? শুধু কি বিদ্যুৎ? কোন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে? তাদের কাজ যেন এই একটাই প্রধানমন্ত্রীর স্তুতি ও উন্নয়নের স্তুতি। জনগণের টাকায় উন্নয়ন ও লুটপাট সমান্তরালভাবে চালিয়ে যে দেশের রাজকোষের সর্বনাশ করে ফেলেছে এর জবাব দেবে কে? আর তারা আছে শুধু কৃতিত্বের প্রচারে। মানুষ বিদ্যুতের বিল না দিলে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। বিল না দিলেতো বিদেশীরা বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করবেই। অথচ এ বিষয়ক মন্ত্রী আছে, উপদেষ্টা আছে। দেশে চলেছে লাগামহীন আমলাতান্ত্রিক কর্তৃত্ব।

মন্ত্রীদের সাথে নিজেদের ক্ষমতা ও আর্থিক ভিত মজবুত করতে ব্যস্ত ছিল এসব আমলারা। দেশ, দল, জনগণ ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি এসব নিয়ে তাদের ন্যূনতম কোন দায় ছিলো না। যেই ক্ষমতার কাছাকাছি গেছে সেই ব্যস্ত হয়ে উঠেছে জনমত অর্জনের জন্য আঞ্চলিক উন্নয়ন ও তার ব্যাপক প্রচারে। কে কত বড় বড় প্রজেক্ট এনে এলাকায় কত কাজ করেছে প্রত্যেক জনের স্তুতিকাররা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে শুধু এগুলো বলার জন্য। আর প্রজেক্ট গুলোতে হয়েছে লুটপাটের মহোৎসব। লুটপাটকারীরাও যিনি প্রজেক্ট এনেছে ব্যস্ত থেকেছে তার স্তুতিতে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী নিজেই বলেছেন, কিছু প্রকল্প দিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছেন। এই কুড়াল মারার দায়ও কি তার উপরেই বর্তায় না? এই কুড়ালটা কেন মারতে দিলেন। ক্ষতি করালেন দেশের? মন্ত্রীরা রাজকোষ হতে বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদি নেয়া ছাড়া কী কাজ করেছেন জনগণের জন্য? অদক্ষতা, অযোগ্যতা, অসততা ও স্তুতিবাজী ছাড়া মন্ত্রীরা দেশের জন্য কি কোন ইতিবাচক ব্যবস্থা নিতে পেরেছেন? ডলার সংকটে বিদেশ থেকে কয়লা আনা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে বাকিতে কয়লা এনে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল রাখা হয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির দেনা প্রায় ৩৬ কোটি ডলার। এই বকেয়া পরিশোধ না করলে নতুন করে কয়লা আনা সম্ভব হবে না। অপ্রয়োজনীয় লুটপাটের প্রজেক্ট দিয়ে ৩৬ কোটি ডলার দেনা। সময় থাকতে কেন মন্ত্রীরা ব্যবস্থা নিলো না সরকার? কৃষকের ৫০০০ টাকা ঋণের জন্য সার্টিফিকেট মামলা হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের হেনস্থা করা হয় আর হাজার হাজার কোটি টাকার পাচারকারী লুটেরা চক্ররা রয়ে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কেন এই জনবৈষম্য?

পরীক্ষিত ভালো ভালো লোকদের বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে মন্ত্রিসভা। পরীক্ষিত ও বর্ষীয়ান রাজনীতিকদের ওএসডি করে রাখার মতো তাদের উপদেষ্টা বানিয়ে রাখা হয়েছে। বিরোধী দলে থাকার সময় ১৪ দল শরিকদের গুরুত্ব দিয়েছে ক্ষমতায় গিয়ে ভুলে গিয়েছে। পুরো মন্ত্রিসভাকে একদলীয় করেছে। গণতান্ত্রিক নীতি নৈতিকতাকে ভুলে গড়ে তুলেছে এক কর্তৃত্ববাদী সরকার। আওয়ামী লীগ অনেক জেলা উপজেলায় সম্মেলন না করেই করেছে কেন্দ্রীয় সম্মেলন। কোথাও কোথাও কাউন্সিলরদের ভোটাধিকার প্রথা অমান্য করে খেয়াল খুশিমত কমিটি ঘোষণা করেছে। ঘোষণার পর মঞ্চেই কাউন্সিলররা না না, মানি না, মানি না বলে চিৎকার করেছে। এই চিৎকারের ভাষা কেউ বুঝেনি ও বুঝার চেষ্টাও করেনি। বেপরোয়া ভাবে চলেছে কর্তৃত্ববাদ, স্তুতিবাদ ও আমলাতান্ত্রিক তোষণ।২০০৮ সালের পরে ২০১৪ সালে নির্বাচন হলো বিএনপির বর্জনের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে।বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ করল বিপুল সংখ্যক সাংসদ। ২০১৮ তে নির্বাচন হলো বিএনপিকে মাঠে বেরোতে না দিয়ে। অনেকেই এলাকায় কোন পোস্টার পর্যন্ত লাগাতে পারেনি। কোন এলাকায় ভোট চাইতে গেলেও বাধার সম্মুখীন হতে হতো তাদের। এগুলো কোন গণতান্ত্রিক আচরণের মধ্যে পড়ে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কয়েকজন পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্যাংশন দিল। বাংলাদেশ সরকার কেন বলল না স্যাংশনপ্রাপ্তদের ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে? তা না করে তাদের পক্ষ নিয়ে স্যাংশনের মাত্রা আরও বাড়ানো হল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ এদেশে সুষ্ঠু অবাধ ও সকলের অংশগ্রহণের নির্বাচনের দাবি তুলল। বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জোসেপ বোরেলকে চিঠি দিয়েছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য। চিঠিতে তারা আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে এটা স্পষ্ট যে তারা বলছে অতীতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হয়নি। ক্ষমতাসীনদের খেয়ালখুশির পরিণতি ভোগ করছে এখন দেশ ও জনগণ। মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব। লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হল দেশ। কেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সময় থাকতে এই সমস্যার সমাধান করতে পারলেন না। কী প্রয়োজন ছিল এই প্রচার সর্বস্ব শতভাগ বিদ্যুতায়নের? মানুষ বাজারে যেতে ভয় পায়। বেতন ভাতা নেয়া ছাড়া কি দায়িত্ব পালন করছেন বাণিজ্য মন্ত্রী। তার বিরুদ্ধেই আরেকজন মন্ত্রী চাল সিন্ডিকেটের অভিযোগ তুলছে। মানুষ ভরসা করবে কাকে? চারদলীয় জোট সরকারের উত্তপ্ত কড়াই হতে মুক্তি পেতে চেয়ে আওয়ামী লীগের কড়াইয়ে আবার পড়লো জনগণ। এখন কি করবে তারা। আবারও কি সেই পুরনো কড়াইয়ে ফিরবে? কী লাভ হবে ফিরলে? কী লাভ হবে না ফিরলে?

চারিদিকে কেবলই দুঃসংবাদ। ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বিদেশি এয়ারলাইন্সের বকেয়া দেউলিয়া রাষ্ট্র পাকিস্তানের চেয়েও বেশি। আইএটিএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে উড়োজাহাজ শিল্পের আটকে থাকা অর্থের ৬৮ শতাংশ আটকে আছে ৫টি দেশে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। শীর্ষে থাকা নাইজেরিয়া ৮১২.২ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশ ২১৪.১ মিলিয়ন ডলার, আলজেরিয়া ১৯৬.৩ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তান ১৮৮.২ মিলিয়ন ডলার এবং লেবানন ১৪১.২ মিলিয়ন ডলার। এমন বিপন্নতম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কীভাবে নিজের পায়ে চলবে? কোন আলাদীনের চেরাগ পেয়ে ভগ্ন অর্থনীতিকে তারা পুনরুদ্ধার করবেন?

৩০ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে, আটলান্টিক পাড় হয়ে ওই আমেরিকায় না গেলে কিছু আসে যায় না। এসব কথা বলে কি যেসব বাংলাদেশি আমেরিকায় থাকে তাদেরকে অনিরাপদ করে তোলা হচ্ছে না? আইনমন্ত্রী টিভিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। পরে আবার কথা ঘুরিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী নন, মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। ভুলে বলে ফেলেছেন। আসলে কি ঘটতে চলেছে দেশে? কেউ বলছেন জাতীয় পার্টির জিএম কাদের নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন। কেউ বলছেন শেখ হাসিনাই থাকবেন। বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণ অধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যেতে রাজি নয়। এক্ষেত্রে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত কীভাবে পূরণ হবে? ২০০৬ সালে সংবিধানের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনকে দিয়ে ক্ষমতায় বহাল থাকতে চেয়েছিল বিএনপি। তখন এলো ফখর উদ্দীন-মঈন উদ্দীনের সরকার। এবারও অনুরূপ কিছু ঘটবে না তো? আর নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হলে তারা সব দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের শর্ত তিনমাসের মধ্যে মেটাতে পারবেতো?

না, তিনমাসের স্থলে ফখর উদ্দীন-মঈন উদ্দীনের মত কেটে যাবে কয়েক বছর। বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণঅধিকার পরিষদ যদি নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে না আসে কী হবে তখন? তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসা যেহেতু সম্ভব নয় তখন নির্বাচনকালীন সরকার গঠনই একমাত্র উপায়। এটি সম্ভব না হলে ফখর উদ্দীন-মঈন উদ্দীনের আদলে আরও একটি ওয়ান ইলেভেনের মত সরকারই কি প্রাসঙ্গিক হবে। কী হবে সেটা সময় বলবে। এদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন কথা বলে আবার কথা ঘুরিয়ে নিচ্ছে। ১৪ দলের সভায় আমির হোসেন আমু বললেন, জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপি আলোচনায় বসবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলে অন্য কথা। বলেন, এটা আওয়ামী লীগের নয় আমির হোসেন আমুর ব্যক্তিগত বক্তব্য। পরবর্তীতে আমির হোসেন আমুও কথা ঘুরিয়ে বলেন গণমাধ্যমে তার বক্তব্য সঠিকভাবে আসেনি। জনগণ কোনটা বিশ্বাস করবে?

আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘসহ সবারই দৃষ্টি আসন্ন বাংলাদেশের নির্বাচনে। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয় যাচাই–বাছাইয়ের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জাঁ পিয়ের লাক্রোয়ার প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের এই কর্মকর্তার শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। তারা বাংলাদেশ হতে শান্তিরক্ষী মিশনে নিতে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে যাচাই বাছাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে। যেসব সেনা সদস্য র‍্যাবে আছেন অথবা ছিলেন তাদের ব্যাপারে নজরদারি করতে বলেছেন। সব মিলিয়ে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞার আশংকা করেছেন অনেকেই। আসলে কী ঘটতে চলেছে বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে? এই প্রশ্নটাই নানা প্রশ্ন তুলছে সর্বত্র।

এখলাসুর রহমান, লেখক ও কলামিস্ট

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৪ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৮ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ