আজ বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

Advertise

সিআইএ-বিএনপি-জামায়াত মিলেমিশে একাকার!

ব্যারিস্টার জাকির হোসেন  

সিআইএ (Central Intelligence Agency-CIA)-এর বাৎসরিক বাজেট ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি! এই বিশাল অর্থের শতভাগ ব্যবহৃত হয় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে, যার বড় অংশ যায় আবার তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে, যেখানকার বেশির ভাগই যায় আবার পলিটিক্যাল ইসলাম নামক আমেরিকান পোষ্য আদর্শের পকেটে! ৯০ এর দশকের কমিউনিজমের পতনের পর এই বিশাল অর্থের প্রবাহ এখন একমুখী! বাংলাদেশ এখন সিআইএর বিনিয়োগের উর্বর ভূমি! এরা এখন দেশের বিএনপি-জামায়াত-বামাতি-আমলা-কামলা-মিডিয়া-সাংবাদিক-নুর-পিনাকি-ইউনুসদের হোলসেল রেটে কিনতেছে!

১৯৭২-৭৫ সময়ে জাসদের গণকন্ঠ, হক কথাসহ অনেক প্রোপাগান্ডা মেসিন ছিল, সে সময়ে সিআইএ বঙ্গবন্ধুকে last impediment মনে করেছিল! এটিকে অতিক্রম করার জন্য সমাজের ভিতর জনরোষ তৈরি করা, বিচারহীনতা, সিন্ডিকেট, দ্রব্যমূল্য, বাসন্তি, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, এর রকম সকল দিক থেকেই আমেরিকার Contingent plan সক্রিয় ছিল!

বর্তমান সময়ে শেখ হাসিনা হলো সেই last impediment, সিআইএ হলো মূল খেলোয়াড়! শেখ হাসিনা কর্তৃক রোহিঙ্গা ইস্যুতে মার্কিন নীতি অনুসরণ না করা, সেন্টমার্টিনে মার্কিন সামরিক ঘাটিতে শেখ হাসিনার অসম্মতি অন্যতম অনুষঙ্গ! সেই সাথে এই বাজারে গুজব, পলিটিক্যাল ইসলাম, লুটপাট সমিতি, মোশতাক, মীরজাফর, সুশীল, কুশীল, সিন্ডিকেট, আদর্শহীন নেতা/কর্মী, দুর্নীতিবাজ, সব মিলেমিশে একাকার, যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে মরিয়া!

১৯৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আর বাংলাদেশের হাতে ছিল না, সেটি ছিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি, বাই ডিফল্ট সেটি আমেরিকা/চীনের জোয়াল টেনেছিল! সে সময়ে দেশকে সাম্প্রদায়িক, উগ্রজাতীয়তাদের উর্বর ক্ষেত্র বানানো হয়! দেশের মেরুদণ্ড সোজা করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে, স্থায়ী ভাবে কিছুই করা হয়নি! দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসেনি, দেশ চলতো প্যারিস কনসোর্টিয়ামের ভিক্ষা/দানের অর্থে!

আজকের বাংলাদেশ এখন বিশ্ব অর্থনীতির ৩৫তম অবস্থানে আছে, এই দেশ এখন আর প্যারিস কনসোর্টিয়ামের ভিক্ষুক না, এই দেশ এখন বৈদেশিক বিনিয়োগ/এফডিআই (FDI-Foreign direct investment) এর চূড়ান্ত গন্তব্যে পরিণত, যেখানে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ/জ্বালানির নিশ্চয়তা বিদ্যমান, সাথে আছে ডেমোগ্র্যাফিক ডেভিডেন্ট! আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০তম অবস্থানে চলে যাবে! এই সুযোগ এবারই এসেছে, বাংলাদেশ এখন NOW or NEVER এর ট্র্যান্জিশনাল পিরিয়ডে আছে!

বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষা এখন বেশি জরুরী। সিআইএ বিশ্বকে তামাতামা বানিয়েছে, গত ৬ দশকে অর্ধশত রাষ্ট্রপ্রধানকে হত্যা করেছে, দেশে দেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, তালিকা অনেক লম্বা, তবে নিকট অতীতে আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, ইউক্রেন এখন জ্বলন্ত উদাহরণ!

বাংলাদেশের গন্তব্য কখনও সিআইএ এর হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব না, প্রয়োজনে চীনা পররাষ্ট্রনীতি এডপ্ট করা জরুরি, প্রয়োজনে অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলার প্রয়োজনে সংবিধান মোতাবেক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা উচিত, তবুও সিআইএ না।

ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, আইনজীবী, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৪ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৮ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ