আজ সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

Advertise

খাদের কিনার হতে সরানোর দায়িত্বটাও সরকারকেই নিতে হবে

এখলাসুর রহমান  

এক গভীর সংকটে পড়েছে বাংলাদেশের জনগণ। একদিকে দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন, অসহনীয় দ্রব্য মূল্য, অর্থ পাচার ও বেপরোয়া আমলাতন্ত্রের দাপট। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী দল। আরেকদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নজরদারি। এদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগও নানা কারণে দারুণ ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের দায় এখন টানতে হচ্ছে। এ দুটি নির্বাচনই জনগণকে এই গভীর সংকটের খাদে দাঁড় করিয়েছে।

২০০৬ সালে দ্বিপক্ষীয় পরস্পরবিরোধী অনড় ভূমিকায় দেশে এসেছিল ওয়ান-ইলেভেন। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারই দিতে পেরেছিল একটি অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাস যোগ্য নির্বাচন। সেদিন ওয়ান ইলেভেন না এলে চারদলীয় জোট সরকার তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী একটি পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন দিতো। সে নির্বাচনে কি আওয়ামী লীগ পারতো ক্ষমতায় আসতে? তারা ক্ষমতায় গিয়ে বিচার বিভাগের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করলো কিন্তু কীভাবে ও কোন পদ্ধতিতে হবে নির্বাচন তারা কি তার একটি ব্যবস্থা চালু করতে পেরেছে আজো?

২০১৪ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে গঠিত হয়েছিল একটি নির্বাচনকালীন সরকার। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল অর্ধেকের চেয়ে বেশি এমপি। সরকার টিকে গেল। বেড়ে গেলো তার ঔদ্ধত্য ও অহমিকা। আসলো ২০১৮ সালের নির্বাচন। এবার কোন নির্বাচনকালীন সরকারও গঠিত হলো না। যে বিএনপি নির্বাচন কালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন করলো তারাই আবার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে আসলো। সংগত কারণেই প্রশ্ন জাগে তাদের কাছে কি নির্বাচনকালীন সরকারের চেয়ে আওয়ামী লীগের একক দলীয় সরকারই বেশি বিশ্বাসযোগ্য? কিন্তু কেন? তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তারা আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নকে দেশে বিদেশে দৃশ্যমান করতে পেরেছে। অধিকাংশ এলাকাতেই বিএনপিদলীয় প্রার্থীরা স্বাধীন ভাবে নির্বাচনী প্রচারকাজে অংশ নিতে পারেনি। এলাকায় যেতে দেয়া হয়নি প্রার্থীকে। পোস্টার লাগাতে দেয়া হয়নি। ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে দেয়নি। ভোটের দিন কেন্দ্রে পোস্টার লাগাতে দেয়া হয়নি। ভোট কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোটদানের মতো ভোট রীতিবিরুদ্ধ চরম ঔদ্ধত্যের রীতি চালু করেছে। ধানের শীষে ভোট দিলে তাকে মারধোর করে কেন্দ্র হতে বের করে দিয়েছে। একের ভোট অন্যে দিয়েছে। মৃত ব্যক্তিদের ভোটও দিয়েছে। এসবের পরিণতিই আজকের এই জটিলতা।

অহমিকা, ঔদ্ধত্য ও প্রতিহিংসার সংক্রমণে মরে গেছে মানবিকতা। আর মন্ত্রীদের বালখিল্য কথাবার্তা ও অতিকথনে সমস্যা জট বেড়েই চলেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবার বললেন, তলে তলে সমঝোতা হয়ে গেছে। কোথায় স্যাংশন কোথায় ভিসানীতি? আমরা এসবের পরোয়া করি না। তিনি এও বলেছেন, ঢাকার সাথে দিল্লির আপস হয়ে গেছে। দিল্লির যেমন বাংলাদেশের দরকার আবার বাংলাদেশেরও দিল্লিকে প্রয়োজন রয়েছে। এক মুখে দুধরনের কথা বলছেন তিনি। বলছেন পরোয়া করেন না আবার বলছেন ভায়া আপস। আর তলে তলে সমঝোতা এটা কী ধরনের কথা? আবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যারা স্যাংশন দেবে তাদেরকেও পাল্টা স্যাংশন দেবে। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সেটা উনাকেই জিজ্ঞেস করুন। মন্ত্রীদের মধ্যে কোন সমন্বয় নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়টি দেশকে স্যাংশন দেবেন? আমেরিকার পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য তারাও যদি স্যাংশন দেয়? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা ডেঙ্গু সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করেছে। বাংলাদেশে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থীজনিত রোহিঙ্গা সংকটেও সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিচ্ছে তারা। এসব সহায়তা ছাড়া কি দেশ চলবে?

আরও বলা হচ্ছে যারা স্যাংশন দেবে তাদের কাছ হতে পণ্য কিনবে না। আমরা কত টাকার কী কিনি ওরা কত টাকার কী কিনে। তারা যদি গার্মেন্টস সেক্টরের পণ্য না কেনে গার্মেন্টস ব্যবসা কি লাটে উঠবে না? এসব অযৌক্তিক ও অবান্তর পাল্টাপাল্টিতে চরম ক্ষতি হবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার। ভিসা নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি যদি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয় তখন কী হবে? নিজেদের দুর্বলতার জন্যই বিদেশী হস্তক্ষেপের ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এটা কেউ স্বীকার করছেনা। মানবতা ও পরমত সহিষ্ণুতা নেই বললেই চলে। প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা হয়ে লন্ডনে গেলেন। অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে বললেন, মরে মরে যায় যায় অবস্থা তাকে নিয়ে এত কান্নাকাটি কিসের?একজন অসুস্থ মানুষ সম্পর্কে এমন কথা বলা কি মানবিক? প্রতিহিংসার চর্চায় কুফল বিনে কোথাও সুফল আসেনা। আসার কথাও নয়।

আফ্রিকার জাতির পিতা নেলসন ম্যান্ডেলার একটি ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। তিনি একটি হোটেলে খাবার খাচ্ছিলেন। সামনে তাকিয়ে দেখেন একটি লোক টেবিলে বসে কাঁপছে। প্রেসিডেন্ট ম্যান্ডেলা তখন তার সাথীদের বললেন লোকটাকে তার পাশে বসাতে। আরও বললেন তাদের খাবারের বিলের সাথে এই লোকের বিলটাও যোগ করে দিতে। লোকটা খেতে বসলো কিন্তু খেতে পারছিলো না। তার সারা শরীর কাঁপছিল। প্রেসিডেন্টের সঙ্গীরা বলল, উনি মনে হয় অসুস্থ। ম্যান্ডেলা বললেন, অসুস্থ না ঠিক আছে।

লোকটা কোনমতে খাওয়া শেষ করল। অতঃপর ম্যান্ডেলা বললেন, উনাকে উনার বাসায় দিয়ে আসো গাড়ি নিয়ে। লোকটা চলে গেলে ম্যান্ডেলা বললেন, আমি যখন জেলে ছিলাম। তখন ইনি ছিলেন জেলার। আমাকে নিয়মিত মারধোর করে নির্যাতন করতো। পানি খেতে চাইলে গ্লাসে প্রস্রাব করে আমাকে তা খেতে বলতো। সঙ্গীরা বলল, আগে বললেন না কেন শাস্তি দিতাম। ম্যান্ডেলা বললেন, না। ক্ষমতা থাকলেই প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে ওঠা ঠিক না। অথচ বাংলাদেশে কী হচ্ছে। প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা চর্চার চারণভূমি হয়ে উঠেছে দেশটি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বলছেন, মরে মরে যায়, যায় অবস্থা। বয়স হয়েছে ৮০। তাকে নিয়ে এত কান্নাকাটি কিসের? শুধু তাই নয় তাকে তার ব্যক্তি জীবন নিয়েও আঘাত করছেন। বলছেন জিয়া খালেদাকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। জিয়ার গার্লফ্রেন্ডও ছিল। বাসায় গিয়ে চেয়ার পেতো না। মোড়ায় বসে থাকতো ইত্যাদি ইত্যাদি। বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। শীঘ্রই সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নেওয়া দরকার। কিন্তু যেতে দেয়া হচ্ছে না। কী এমন অপরাধটি খালেদা জিয়ার? সরকার সমর্থকদের মাঝে তার চেয়ে অনেক বড় অপরাধী রয়েছে বহাল তবিয়তে। পক্ষের হলে সব দোষ মাফ। বিপক্ষের হলে ক্ষমা নেই। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা আর অনেক স্বপক্ষীয় আমলা, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতার ব্যাপারে নিশ্চুপ।

প্রকাশ্য ও নির্লজ্জ স্ববিরোধিতা, নীতিহীনতা ও প্রতিহিংসার দৌরাত্ম্য চলছে দেশে। আন্তর্জাতিক সকল মহলকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে দেশের অর্থনীতি কি টিকবে? ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর যদি তারা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে তা কী সামাল দিতে পারবে? আর দেশটাকে বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কিছু অর্বাচীন অতি উৎসাহী দলান্ধ। সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মানিক বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বের করে দিতে। আবার তিনি এও বলেন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলে কী হবে আমি আমেরিকা থাকি না, লন্ডন থাকি। সাবেক বিচারপতি একটা সম্মানিত পদ; এমন মন্তব্যে কি বিচার বিভাগ প্রশ্নবিদ্ধ হয় না? জনমনে প্রশ্ন জাগে না এমন মানসিকতার একজন লোক এতদিন বিচারকার্য সম্পাদন করলো কীভাবে? রাজনৈতিক দল, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ কোথাও আর আস্থার জায়গা রইলোনা। ড. ইউনূস ইস্যুতে বিশ্বনেতারা তাকে বিচারিক হয়রানির অভিযোগ আনছেন। সকলকে শত্রু বানিয়ে কেবল দিল্লির দিকে চেয়ে থাকলে কি শেষ রক্ষা হবে?

আগামী নির্বাচনটি জল কাদায় আগুন জ্বলা একটি খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে। তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে যদি নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতিটার ধারাবাহিকতাও রাখতো। সরকার ক্ষমতার ঔদ্ধত্যে সেটাও রাখেনি। ২০১৮-তে নিজেদের অধীনেই নির্বাচন দিয়েছে। তাদের ঔদ্ধত্যের খামখেয়ালি এমন চরম পর্যায়ে উঠেছিল যে ১৪ দলের শরীকদের নিয়ে নির্বাচন করে তাদেরকে বলা হয় বিরোধী দল হয়ে যেতে। এক কথায় সরকার দলও তারা বানাবে বিরোধী দলও তারা বানাবে! এবারের নির্বাচন যেভাবেই হোক অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। আর সে অংশগ্রহণের এক নম্বর শর্ত বিএনপির অংশগ্রহণ। মানুষ ভোটদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আস্থার সংকট দূর করে সে আগ্রহও ফিরিয়ে আনতে হবে।

মানুষ চায় সরকার দল ও বিরোধী দলের উপস্থিতিতে একটি সরব সংসদ। মহাজোট ও ১৪ দলগত ভাবে নির্বাচন করে পরে আবার নামধারী বিরোধী দল চায় না। চায় যথার্থ বিরোধী দল। আর সে দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

এখলাসুর রহমান, লেখক ও কলামিস্ট

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৪ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৮ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ