আজ বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

Advertise

একটি সফল ও কার্যকরী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হতে বিএনপির যেসব পরিবর্তন অনিবার্য-১

ড. শামীম আহমেদ  

একটি দেশ কখনও অজুতকালের জন্য একই সরকার দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না। সেটি দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য মঙ্গলজনক নয়। কয়েকটি পন্থায় দেশকে এমন একটি গতানুগতিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে মুক্ত রাখা যায়। একটি শক্তিশালী সরকারের কাজ কেবল দেশ পরিচালনা করাই নয়, বরং কীভাবে দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো পরিচালিত হচ্ছে সেটি নজর রাখা।

গণতন্ত্র একটি অত্যন্ত পুরোনো রাজনৈতিক ব্যবস্থা। এটি যে খুব কার্যকরী ব্যবস্থা এমনটি বলা যায় না। একটি দেশের ৫১ শতাংশ মানুষ যাদের ভোট দেয় তারাই সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যাবে আর বাকিদের কোন ক্ষমতা থাকবে না, এমনটি বিবেচ্য নয়। একই ভাবে যে ৪৯ শতাংশ মানুষের ভোট দেওয়া দল ক্ষমতায় আসল না তাদের কণ্ঠরোধ করা হবে, সেটিও রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এইজন্য উন্নত দেশে নানা ব্যবস্থা নেয়া হয় যাতে দেশের শতভাগ মানুষের কণ্ঠস্বর উচ্চারিত হয়, তাদের মতামত মেনেই দেশ পরিচালিত হয়। আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশের স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয় নেতৃত্বের প্রশাসনকে সঠিক পথে নির্দেশিত করার ব্যবস্থা আছে। অনেক দেশের বিরোধীদলগুলো “শ্যাডো সরকার” কিংবা “ছায়া সরকার” নির্ধারণ করে ছায়ামন্ত্রী নিয়োগ করে যাদের কাজ সরকারের কাজ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে তা জনগণের জন্য মঙ্গলজনক কিনা তা নির্ধারণ করা।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে আমি একটি গুরুতর সমস্যা দেখি আর সেটি হচ্ছে একটি শক্তিশালী বিরোধীদলের অভাব। স্বাধীন বাংলাদেশে বিরোধীদল হিসেবে সবসময় আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী সরকার হিসেবেও নিজেদের প্রমাণ করেছে এবং এটি তো স্বাভাবিক যে একটি দেশ একই সাথে সরকার ও বিরোধীদলে থাকতে পারে না। তাহলে বিকল্প কী? বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াত ও ইসলামিক বা অন্য ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো কখনই আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারে না কয়েকটি কারণে। প্রথমত, তাদের সরকার গঠনের মতো জনসমর্থন নেই, সবসময় বিএনপি-জাতীয় পার্টির মতো আদর্শচ্যুত দলগুলোকে পাশে নিয়ে তাদের ক্ষমতার স্বাদ পেতে হয়। বামদলসহ ছোটদলগুলোর জনসমর্থন এতই ঠুনকো যে তারা সারা দেশের সবাই এক হয়ে গেলেও সাকুল্যে পাঁচটি আসন পাবে না। এমতাবস্থায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ছাড়া মূলত আর কোন রাজনৈতিক দলকে সরকারের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করার সুযোগ দেশে নেই। সেই ক্ষেত্রে বিএনপিকেই আদতে হয় দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সক্রিয় থাকতে হবে অথবা নির্বাচন জিতে সরকার গঠন করতে হবে। আপাতত দৃষ্টিতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন, বৈদেশিক ভাবমূর্তি, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ইত্যাদি বিবেচনায় বিএনপির ক্ষমতায় আসার কোন সম্ভাবনা নেই। এটি প্রায় নিশ্চিত যে আওয়ামী লীগ জনসমর্থন নিয়ে তাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নিমিত্তে জানুয়ারি ৭, ২০২৪ এর নির্বাচনে আবারও নিরঙ্কুশ সরকার গঠন করবে।

সে ক্ষেত্রে বিএনপির কী হবে? বিএনপি কি আর কখনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না? ন্যূনতম একটি শক্তিশালী বিরোধীদল হিসেবে আবির্ভূত হতে পারবে না? এই প্রশ্ন জনগণের মনে আছে, কিন্তু এই বিষয় গঠনমূলক কোন আলোচনা দেখা যাচ্ছে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে বিএনপিকে গণমুখী ও শক্তিশালী বিরোধীদল হিসেবে সংসদে কার্যকর করার যায় সেই বিষয়ে আমি আগামী কিছুদিন এই ধারাবাহিক লেখাটি সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরের পাঠকদের জন্য তুলে ধরব।
এই বিষয়ে প্রথম পর্বে আমি কার্যকর নেতৃত্বের গুরুত্ব নিয়ে আলোকপাত করতে চাই। বিভিন্ন কারণে একটি রাজনৈতিক দলের সাফল্য ও সমৃদ্ধির জন্য কার্যকর নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন ভাল নেতা দলের জন্য একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা এবং সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে পারেন। পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দলের জন্য একটি সামষ্টিক শক্তি হিসাবে কাজ করে, দলের সদস্য এবং সমর্থকদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বুঝতে সাহায্য করে যে তারা কেবল দলের জন্যেই নয়, বরং দেশের জন্যেও কাজ করছে। সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ছাড়া একটি দল তার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয় এবং ভক্ত-সমর্থকদের দলের প্রতি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়।

এছাড়াও একটি রাজনৈতিক দল, যেমন বিএনপি, যারা গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে আছে তাদের দলের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি ধরে রাখতে হলে একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বিএনপি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া উভয়েই দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দায়ে জেল খাটছেন। খালেদা জিয়াকে যদিও দলের সাধারণ সমর্থকরা এখনও পছন্দ করেন কিন্তু এই বয়সে, আদালতের রায়ে শাস্তির বোঝা মাথায় নিয়ে তিনি বিএনপিকে আর সামনে নেতৃত্ব দিতে পারবেন বলে মনে হয় না। এছাড়াও বর্তমান সময়ের একটি রাজনৈতিক দলকে নেতৃত্ব দিতে হলে যে আধুনিকমনষ্ক হতে হয়, তা খালেদা জিয়ার মধ্যে নেই। তিনি তার আপোষহীন মানসিকতার জন্য প্রশংসা পেয়ে থাকেন, কিন্তু একটি দীর্ঘ সময় বিএনপি-জামায়াতের রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান, যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করা ইত্যাদির জন্য তিনি কখনও ক্ষমাপ্রার্থনা করেননি এবং বর্তমান প্রজন্ম এমন কোন নেতার অধীনের একটি রাজনৈতিক দলকে কখনই ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অন্যদিকে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের বড় ছেলে এবং দলের বর্তমান নেতা তারেক জিয়া বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুন করার পরিকল্পনায় সরাসরি জড়িত ছিল এবং বর্তমানের আদালতের শাস্তির রায় পেয়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে আছে। নিজের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য তারেক জিয়া দলের পাশে দাঁড়াতে দেশে আসার সাহস দেখায়নি এমনকি অসুস্থ মাকে দেখতে দেশে আসার সাহসও তার মধ্যে আছে বলে মনে হয় না। এমন একজন মানুষ যে কিনা মূলত লন্ডনে বসে মনোনয়ন বাণিজ্য করে, সে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আনতে পারবে এমনটি ভাবা দুষ্কর। এছাড়াও একজন শক্তিশালী নেতা দলের মধ্যে বিভিন্ন উপদল এবং মতাদর্শকে একত্রিত করতে পারেন, সংহতির অনুভূতি তৈরি করতে পারেন। বিএনপি এখন এমন একজন নেতার দরকার যিনি তার দলের পক্ষে কার্যকরভাবে ওকালতি করতে পারবেন, দলের নীতি-নৈতিকতাকে জনগণের সামনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে সরকারের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য একটি ঐক্যফ্রন্ট গঠন করতে পারবেন। এটি খুব পরিষ্কার যে বিএনপিতে বর্তমানে এমন কোন নেতার অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভির মতো অযোগ্য, সন্ত্রাসপ্রেমী, রাষ্ট্রবিরোধী নেতৃত্বকে সরিয়ে দিয়ে নতুন একজন নেতা বাছাই করা এখন বিএনপির রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্য প্রধান উপায়। বিএনপির দরকার এমন একজন নেতা যে প্রয়োজনে সঠিক ও দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে, দলকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে পারবে, লন্ডনে ঘুষের বিনিময়ে নয়, বরং মাঠ পর্যায়ে জনগণের সমর্থনপুষ্ট প্রার্থী নির্বাচন করে দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে শক্তিশালী অবস্থানে নিতে পারবেন। কিন্তু বিএনপিতে এমন নেতা কোথায়? বিএনপির বর্তমান নেতারা দলের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দায়ী। তারা সরকার বিরোধিতার নামে জ্বালাও পোড়াও নীতিতে ব্যস্ত, যা দেশের সাধারণ মানুষ একযুগ আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে!

একটি দলের নেতৃত্ব কতটা নীতিহীন হলে, মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হবার পরেও দশ বছরে একটি জনসমর্থনপুষ্ট আন্দোলনের পন্থা বের করতে পারে না। বিএনপির দরকার এমন একজন নেতাকে খুঁজে বের করা যিনি টিভি টকশোতে অহেতুক বাগাড়ম্বর না করে দলকে সংসদের জন্য প্রস্তুত করতে পারবেন, দেশের দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের পক্ষে আইন পাশ করায় সাহায্য করতে পারবেন, সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের চলমান অসন্তুষ্টিতে শক্তিশালী ও যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন। একই সাথে তাকে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব দূরীকরণ করে নির্বাচনমুখী কার্যকর সিদ্ধান্তও গ্রহণ করতে হবে। একজন জনপ্রিয় নেতা বিপদের সময় কার্যকরীভাবে দলের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারেন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলকে মানিয়ে নিতেও পারেন। খেয়াল করে দেখুন বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে এসব গুণাবলীর ছিটেফোঁটাও নেই এবং সে কারণে তারা নতুন ভোটারদের সমর্থন আদায় করতে পারছেন না।

বিএনপিতে এমন একজন নেতা দরকার যিনি দলের প্রাথমিক মুখপাত্র হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবেন। জনসাধারণের কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দিতে পারবেন এবং দলের এজেন্ডা প্রচারের জন্য কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। তিনি হবেন এমন এক নেতা যিনি তার ও দলের ধারণাগুলো স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারেন এবং জনগণের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন। নেতা হবেন স্পষ্টভাষী, অনুকরণীয় এবং জনপ্রিয়। যার উপস্থিতি দলকে উজ্জীবিত করবে। এটি মনে রাখা দরকার যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়, রাজনৈতিক দলের টিকে থাকা ও প্রভাবের জন্য নির্বাচনী সাফল্য সর্বাগ্রে। একজন শক্তিশালী নেতা ভোটারদের মধ্যে আস্থা জাগিয়ে তুলতে পারেন, সমর্থন জোগাড় করতে পারেন এবং কার্যকর নির্বাচনী প্রচারণায় নেতৃত্ব দিতে পারেন। যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া, একটি দল ভোটারদের সাথে যোগাযোগ করতে এবং নির্বাচনে জয়ী হতে পারে না। বর্তমান বিএনপির মধ্যে আমরা সেই নেতৃত্বের হাহাকারই দেখতে পাচ্ছি।

একজন দক্ষ ও ভাল নেতার মধ্যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হয়। একজন ভাল নেতা নমনীয় এবং রাজনৈতিক পরিবেশের জটিলতায় কৌশলের সাথে দলকে এগিয়ে নিতে পারেন। নীতিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলাই হোক, কিংবা অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তন কিংবা জনসাধারণের অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ; দলের দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য একজন নেতার মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ আমরা দুঃখের সাথে দেখতে পাই বিএনপির নেতারা কী ভীষণরকম অসহিষ্ণু, বাচাল, জ্ঞানহীন ও অদূরদর্শী। বিএনপির নেতাদের অদক্ষতার কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে বিএনপির ক্রমাগত অজনপ্রিয় হচ্ছে। ইতিবাচক ইমেজের একজন নেতা দলের সুনাম বাড়াতে পারেন, নতুন সদস্যদের আকৃষ্ট করতে পারেন এবং জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেন। বিপরীতদিকে, নেতিবাচক একজন নেতা দলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করে জনসমর্থন নষ্ট করে দেন।

সার্বিকভাবে বলা চলে বিএনপির বর্তমান যে জনবিচ্ছিন্নতা, অজনপ্রিয়তা তার মূল কারণ দলের নেতৃত্ব শূন্যতা। বিএনপি যত দ্রুত তারেক জিয়ার মতো আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীদের দল থেকে বিতাড়িত করে শিক্ষিত, যোগ্য নেতৃত্ব আনতে পারবে, যিনি জামায়াতের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য, প্রধানমন্ত্রী হত্যা চেষ্টার জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চাইবে এবং নতুন বিএনপি গড়ে তুলে সরকারের দুর্নীতি ও ব্যর্থতার যৌক্তিক সমালোচনা করতে পারবেন; ততই দল ও দেশের জন্য মঙ্গল।

আমরা চাই দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধীদল থাকুক, হোক সেটি বিএনপি, তাই বিএনপি কীভাবে তার বর্তমান অজনপ্রিয়তা কাটিয়ে দেশের স্বার্থে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে – সেই পরামর্শ দেওয়া একজন দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার দায়িত্ব। এটি পরিষ্কার যে ব্যাপক উন্নয়ন কাজের কারণে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন নিয়ে আবার ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু আমরা চাইব সামনের দিনগুলিতে আমরা সংসদে একটি কার্যকর বিরোধীদল পাব যার নেতৃত্বে থাকবে একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব যিনি সরকারকে তাদের ভুল কাজ ও সিদ্ধান্তের জন্য জনগণের সামনে ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য করতে পারবে।

ড. শামীম আহমেদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সামাজিক-বিজ্ঞান গবেষক।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৪ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৮ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ