আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

শিখণ্ডী হোচিমিন, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও হিযবুত তাহরীর

রাজেশ পাল  

মহাভারতে ভ্রাতৃঘাতী মহাসমর চলছে। কৌরব-বাহিনীর প্রধান সেনাপতি মহাবীর ভীষ্মের শৌর্য বীর্য আর রণকৌশলের কাছে একেবারে অসহায় পাণ্ডববাহিনী। লাখে লাখে পাণ্ডবসেনা কচুকাটা হচ্ছে প্রতিদিন। দুশ্চিন্তায় মনোবল হারিয়ে ফেলছেন পাণ্ডব সেনানায়করা। তারা বুঝতে পেরেছেন যে ভীষ্মের পতন না হলে এই লড়াইয়ে বিজয়লাভ অসম্ভব। কিন্তু আর্যবর্তের শ্রেষ্ঠ বীর পরশুরামের শিষ্য ভীষ্মের মোকাবেলা করার মতো সমকক্ষ যে কেউ নেই দুপক্ষেই, সেটাও তারা জানতেন। অবশেষে পাওয়া গেলো সেই কাঙ্ক্ষিত পথের সন্ধান। বলের স্থলে নেওয়া হলো ছলের আশ্রয়। সহায়তা নেওয়া হলো শিখণ্ডীর। আর তার সহায়তাতেই যুদ্ধের দশম দিনে রণভূমে রচিত হয় কুরুসেনাপতি মহাবীর ভীষ্মের শরশয্যা।

এই শিখণ্ডী ছিলেন তৃতীয় লিঙ্গের একজন মানুষ। প্রচলিত ভাষায় যাকে অনেকেই বলেন হিজড়া। মহাভারতে আরও একবার গুরুত্বের সাথেই আলোচিত হয়েছে এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কথা। যখন অজ্ঞাতবাসের এক বছর বিরাট রাজ্যে আত্মগোপন করেছিলেন পাণ্ডবেরা। সেসময় অর্জুন এই তৃতীয় লিঙ্গের একজন বেশে আশ্রয় পেয়েছিলেন বিরাট রাজার অন্তঃপুরে। হয়েছিলেন রাজকুমারী উত্তরার নৃত্য শিক্ষক। নাম নিয়েছিলেন "বৃহন্নলা"।

মহাকাব্যের শিখণ্ডী বা বৃহন্নলা নয়, গত কদিন ধরে এদেশের সচেতন মহলে অনলাইন অফলাইনে তর্ক-বিতর্কের ঝড় তুলেছে তৃতীয় লিঙ্গের আর একজন সংগ্রামী সফল মানুষ, আর একটি নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চাৎপদ মানসিকতার একটি বিশেষ শ্রেণির প্রচণ্ড সংকীর্ণতা। মানুষটির নাম হোচিমিন ইসলাম, আর বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।

প্রখ্যাত ট্রান্সজেন্ডার রাইটস, উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এবং গণস্বাস্থ্য সচেতনতা অ্যাক্টিভিস্ট হোচিমিন ইসলামকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না দেওয়ার ন্যক্কারজনক ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে সচেতন মহলে। এর প্রধান কারণ মূলত দুটো। প্রথমত: হোচিমিন ইসলাম হলেন পুরুষ আর নারী ছাড়া প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালে যে অপর যে লিঙ্গের আবির্ভাব ঘটিয়েছে পৃথিবীর বুকে সেই তৃতীয় লিঙ্গের, প্রচলিত ভাষায় অনেকেই যাকে হিজড়া বলে সম্বোধন করেন, সেই লিঙ্গের একজন মানুষ। আর দ্বিতীয়ত: তিনি আমন্ত্রিত হয়েছিলেন নারীর ক্ষমতায়ন, নারী মুক্তি আর জেন্ডার ইকুইটির কথা বলার জন্য। আর এই ব্যাপারগুলোই মাথাব্যথার কারণ উগ্র ধর্মান্ধ সংকীর্ণমনা গোষ্ঠীর কাছে। কারণ যে মেকি সংস্কারের অদৃশ্য নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে পুরুষতন্ত্র দাবিয়ে রেখেছে বিগত ৫ হাজার বছর ধরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে তা।

প্রথমটির অর্থাৎ তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে সাধারণত এই সমাজে জন্ম থেকেই এক ঘরে হয়ে যাওয়া, আর জন্মগত শারীরিক মানসিক বৈশিষ্ট্যের ফলে চরম উপেক্ষা আর গ্লানির শিকার হওয়া। এই মানুষদের যে চিত্র আমরা দেখি, যেমন: গণপরিবহনে, দোকানে-দোকানে দলবেঁধে হাতে তালি দিতে টাকা তোলা বা কোনো মেলা বা অনুষ্ঠানে নাচগান করে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষদের সাথে হোচিমিনের রয়েছে বিশাল পার্থক্য। তার দরিদ্র নাইট গার্ড পিতা ভিয়েতনামের মুক্তির প্রাণপুরুষ "হোচিমিন" এর নামে তার নাম রাখেন "হোচিমিন ইসলাম", সেই নামের যথার্থতা প্রমাণ করেছেন তিনি ছোটবেলা থেকে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রতি এই পঙ্কিল সমাজের সকল বৈষম্য, অবজ্ঞা আর চরম প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে। হয়েছেন সফল। উচ্চতর একাডেমিক এডুকেশন শেষ করে নিমগ্ন আছেন সফল কর্মজীবনে। সেইসাথে কাজ করে চলেছেন তার মতোই এদেশের চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবন ধারণ করা অগণিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের উন্নতিকল্পে। পাশাপাশি কাজ করছেন নারীর ক্ষমতায়ন এবং জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে।

মানবতার স্বার্থে নষ্ট সমাজের ভ্রষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে এক মূর্ত প্রতিবাদী প্রতীকের নাম "হোচিমিন ইসলাম"। আর এহেন মানুষকে চরম হেনস্থার শিকার হতে হলো দেশের সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় "নর্থ সাউথে"!! একটি আধুনিক সভ্য রাষ্ট্রে একটি এলিট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশ্বের কোথাও এ ধরনের কদর্য ঘটনা আর মৌলবাদের চরম আস্ফালন কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু সব সম্ভবের বাংলাদেশে সেটাও দেখতে হলো দুর্ভাগ্যজনকভাবেই।

উইমেনস ক্যারিয়ার কার্নিভাল’-এর একটি অনুষ্ঠান গত ২৪ নভেম্বর শুরু হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ‘হিরোস ফর অল (এইচএফএ)’ ও ‘আই-সোশ্যাল’। অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য নেটওয়ার্কিং, লার্নিং এবং পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন। সে অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ ছিলো হোচিমিনের। নারীকে পদাবনত করে রাখতে পুরুষতন্ত্র হাজার হাজার বছর ধরে যে অস্ত্রটির সবচেয়ে সফল ব্যবহার করেছে , সেটি হলো ধর্মীয় অনুভূতি। এমনকি যেসব ক্ষেত্রে আপত্তির তেমন প্রয়োজন নেই, সেসব ক্ষেত্রেও করা হয় এর অপব্যবহার মানুষদের সহজে উত্তেজিত করতে। এমনটিই করা হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ইসলামিক প্র্যাকটিশনার ফর এনএসইউ’ নামের একটা ফেসবুক পেজে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিকে ইমেইল করে বলা হয়, "হোচিমিন বাংলাদেশের আইন অমান্য করে ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিজ করছেন। সেখানে সমকামিতাকে প্রচার করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এমনকি মেইলে এ নিয়ে ‘স্টুডেন্টরা প্রটেস্ট করছে’, তারা এক্সাম বয়কট করবে, এমনকি দাঙ্গাও হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়!!"

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ধরনের নোংরা বর্বরতাপূর্ণ মানসিকতা দেখে বেশিরভাগ বিবেকবান মানুষ বিস্মিত হলেও, একটু বেশি সচেতন আর স্মৃতিশক্তি সম্বলিত কেউ কিন্তু তেমন অবাক হননি বলেই আমার বিশ্বাস। কেননা দেশে একের পর এক ভয়াবহ জঙ্গি সংশ্লিষ্ট ঘটনার সাথে যে কটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের বেশি সংশ্লিষ্টতার খবর বারবার পত্রপত্রিকার শিরোনাম হয়েছে , তার মধ্যে শীর্ষেই রয়েছে "ধনীর দুলালদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান" হিসেবে পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বিশ্বসেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেশের ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এসেছে। এগুলো হলো-ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। সে হিসেবে এটিকে আঞ্চলিক বিবেচনায় একটি সমৃদ্ধ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বিবেচনা করাই যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বারবার সংবাদ জাতীয় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টতার জন্য।

বিগত সময়ে একাধিক হত্যা ও নাশকতামূলক তৎপরতার ঘটনার সঙ্গে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির একাধিক ছাত্র ও শিক্ষক জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। কেবল দেশের মাটিতেই নয়, যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় পুরো শিক্ষাঙ্গনে। আর এর সাথে বার বার পত্রিকার হেডলাইন হয় বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর উগ্রপন্থী মতাদর্শে দীক্ষিত জঙ্গি সংগঠন আইএস এর মতাদর্শে দীক্ষিত ও পৃথিবীর ২০টির ও অধিক দেশে নিষিদ্ধ "হিযবুত তাহরীর" ও তাদের অঙ্গসংগঠন "লিবারেটেড ইয়ুথ" এর নামটি।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান ক্যাফেতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলা ও ২০ জন বিদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র নিবরাস ইসলাম। হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চাকরিচ্যুত হাসনাত করিম সেখান থেকে মুক্ত হয়ে আসার পর ফের আলোচনায় আসে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম। এর পরপরই ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় বৃহত্তম ঈদের জামাতে সশস্ত্র হামলা চালাতে গিয়ে নিহত হয় নর্থ সাউথের আবীর আহামেদ। এর আগে ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলনের সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে ব্লগার রাজীব হায়দার শোভনকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় জড়িত ছিলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও হিযবুত তাহরীর কর্মী ফয়সাল বিন নাঈম ও রেজওয়ানুল হক।

জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে পাঁচজন শিক্ষক ও ১৪ জন শিক্ষার্থী। ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্লগার রাজীব হায়দার শোভনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণ কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসও দেশে থাকাকালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতো।

এদেশে সচ্ছল উচ্চবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সন্তানদের বেশিরভাগই পড়াশোনা করেন নামী দামী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। আর এদেরকে টার্গেট করেই এদেশে কার্যক্রম শুরু করে হিযবুত তাহরীর। মূলত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবন যখন শুরু হয় , অর্থাৎ ২০০০ সালের পর থেকে আমরা এই সংগঠনটির কর্মকাণ্ড প্রথম দেখতে পাই। বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সাঁটানো, লিফলেট বিতরণ, সেমিনার, পাঠচক্র আয়োজন ইত্যাদি আয়োজিত হতে থাকে এদের দ্বারা নিয়মিতভাবেই। আর তাতে কিছু কিছু শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হতে শুরু করে ধীরে ধীরে। রেডিকালাইজেশন অর্থাৎ মগজ ধোলাই এর সেই শুরু। যা বিষবৃক্ষে পরিণত হয় পরবর্তীকালে। ব্লগার হত্যাকাণ্ড থেকে গুলশান ম্যাসাকার সেই রেডিকালাইজেশনেরই ফলাফল। সংগঠনটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলেও এর কর্মকাণ্ড যে থেমে নেই, যা একাধিকবার এসেছে পত্রপত্রিকায়। অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে আজো নিজেদের বিষ নিঃশ্বাস ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা ছাত্রছাত্রীদের মাঝে। ফলে ধর্মান্ধতা আর ঘৃণাবাদে বিষিয়ে উঠছে কোমলমতি মনগুলো। ঝুঁকে পড়ছে তারা ক্রমশই উগ্রপন্থার দিকে। সামান্য ভিন্নমতের হলে তার প্রতিও পোষণ করে তীব্র ঘৃণা। হোচিমিনের সাথে ঘটে যাওয়া ন্যক্কারজনক ঘটনাটি তারই একটি প্রতিফলন মাত্র।

তবু এরই মাঝে এগিয়ে যাবে হোচিমিনরা। ঘৃণার সাগর পাড়ি দিয়ে জীবন সংগ্রামে যুদ্ধ করে তীরে পৌঁছা হোচিমিনরা তাই হারবে না কখনোই। যতই বাধা আসুক না কেন একটি সুন্দর আগামীর জন্য হোচিমিনদের পাশে চিরকালই সমর্থন জানিয়ে যাবে দেশের প্রতিটি মানবতাবাদী মানুষ। আর বিরোধিতাকারী ব্রেইন ওয়াশড গোষ্ঠীটি এখন "হলুদ ব্যাধি"তে আক্রান্ত। খারাপ জিনিসটা এমন যে চরম পর্যায়ে পর্যায়ে যেতে যেতে সেটা নিজেকেই ধ্বংস করে ফেলে শেষ পর্যন্ত। বিশ্বাসের ভাইরাসের কারণে "মগজে কারফিউ" ডাকা এসব "সবুজ"দের "হলুদ ব্যাধি"ই হবে তাদের চরম পরিণতির প্রধান কারণ অদূর ভবিষ্যতে। টিকে রইবে হোচিমিনদের মানবতার জয়গানই। সেই গানের অপেক্ষায় রইলাম সাদর আগ্রহে।

এ কালের শিখণ্ডী হোচিমিনদের মানবতাবাদের কারণে পরাজিত হবে আঁধারের অপশক্তি।

রাজেশ পাল, আইনজীবী, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কর্মী

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ