আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

প্রথম কার্যদিবসে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যা শোনালেন

কবির য়াহমদ  

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম কার্যদিবস গেল গতকাল। প্রথম দিন স্বাভাবিকভাবেই ছিল পরিচয়, অভিনন্দন আর ফুলগ্রহণ-পর্বের। প্রথম দিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেছেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলেরা সামগ্রিক অবস্থা তোলে ধরেছেন, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাদের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন, দায়িত্ব পালনে চেয়েছেন সকলের সহযোগিতা। চাওয়া-পাওয়ার এই পর্ব মন্ত্রিসভায় আসা নতুন সদস্যদের ক্ষেত্রে। পুরনোদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই এটা ছিল না, তবে ছিল ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যয় আর প্রত্যাশা।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার এবারের স্লোগান—‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে যে অভিযাত্রা সরকারের তাতে প্রাণ সঞ্চার করবে নতুন মন্ত্রিসভা। নতুন-পুরনোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে এমন প্রত্যাশা সকলের। নতুন মন্ত্রিসভায় আসা অর্ধেকের বেশি সদস্যের ক্ষেত্রে দায়িত্ব নতুন যেমন, তেমনি তাদের জন্যে চ্যালেঞ্জেরও। বিবিধ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে আমলাতন্ত্রকে মোকাবেলা করাও তাদের জন্যে আরেক চ্যালেঞ্জ। এখানে সফল না হলে চলবে না তাদের!

নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ তিন অর্থ, পরিকল্পনা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবাইকে পরিবর্তন করেছেন। আ হ ম মুস্তফা কামালের জায়গায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে এসেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। পেশাদার কূটনীতিক এই মন্ত্রী অর্থনীতির ছাত্র ও শিক্ষক হলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগ ছিল না। তবে তিনি সরকারের গত মেয়াদে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। সেই হিসেবে এই মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু বিষয় তার জ্ঞাত থাকার কথা। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল না বললেও অত্যুক্তি হবে না। তবে তিনি তার সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে প্রথম দিনেই সকলকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আজ দায়িত্ব নিয়ে কালই সব সমস্যার সমাধান করা যাবে না। সময় দিতে হবে সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে সমাধান সম্ভব।

দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কার্যদিবস শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, অর্থনীতিতে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল, আছে। একে মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সমস্যার সমাধান করতে হবে। তবে রাতারাতি সব সংকট দূর করা যাবে না। বিষয়গুলো বুঝতে তারও কিছুটা সময় প্রয়োজন বলে জানান তিনি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ দিক দ্রব্যমূল্য সকলের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সময় দিতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় একা পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। রাতারাতি সবকিছু ঠিক করা যাবে না। জানিয়েছেন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দেবেন তিনি। একই সঙ্গে অর্থ পাচার রোধে কাজ করা হবে। টাকার মূল্যমান নিয়েও কাজ করবেন তিনি। সার্বিকভাবে সবাইকে নিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবেন।

দ্রব্যমূল্যের বিষয়টিকে প্রথম দিনেই গুরুত্ব দিয়েছেন নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। দ্রব্যমূল্যকে ভোক্তাবান্ধব করতে ‘স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনার’ ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর ডিজিটাল নজরদারির কথা বলেছেন, বলেছেন পণ্য আমদানিতে অগ্রাধিকারমূলক চুক্তির কথা, বলেছেন সরকারিভাবে টিসিবির মাধ্যমে রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ নানা উদ্যোগের কথা। আগের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি যেখানে সিন্ডিকেটের কাছে প্রকারান্তরে নতি স্বীকার করেছিলেন, সেখানে নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী প্রথম দিনে বলেছেন, বাংলাদেশে কোন সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। এখানেও আমরা সফল হবো, আমরা সুষ্ঠু মনিটরিং ও জবাবদিহির মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব। এই চেয়ারে আমি কোন ব্যবসায়ী বা গোষ্ঠীর স্বার্থ দেখব না। কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করব। সবার জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে। আমরা ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করব, সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করলে মন্ত্রণালয় তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। সবাই ব্যবসা করবে নিয়ম মেনে, মন্তব্য নতুন প্রতিমন্ত্রীর। তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীদের মজুতদারি আমরা শক্ত হাতে দমন করব। তারা অসাধু কিছু গোষ্ঠী। কোথাও মজুতদারির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট দেখলে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেব। তার ভাষ্যে, কোনো ভয়ভীতি দেখিয়ে নয়; সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। তেল, চিনি, লবণ, কৃষিপণ্য, ডাল– এসব নিয়ে যারা কাজ করে, তারা যেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে কাজ করে– সেটা আমরা নিশ্চিত করব। তিনি বলেছেন, পণ্য আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বড় প্রতিষ্ঠানগুলো যেন কোনো কারসাজি করতে না পারে, সে জন্য কঠোর তদারকি করা হবে। কেউ কারসাজি করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো. আবদুস শহীদ সচিবালয়ে তার প্রথম কার্যদিবসে সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলেছেন। ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, কৃষিতে উৎপাদনটাই বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি উৎপাদন না করতে পারি তাহলে বাজার কীভাবে দখল করব, মূল্য কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, কীভাবে ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই চেইনকে কার্যকর করব। সেজন্য, সকল সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা হবে। সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট সব জায়গায় থাকে। তাদের কীভাবে ক্র্যাশ করতে হবে, সেটার পদ্ধতি বের করতে হবে। কাউকে গলা টিপে মারার সুযোগ নেই আমাদের। কর্মের মাধ্যমে এগুলোকে কন্ট্রোল করতে হবে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বারোপ করা হবে। সিন্ডিকেট অবশ্যই দুর্বল হয়ে যাবে।

দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত করে ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলছেন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কর্তন রোধে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ গ্রহণ করে সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার এবং মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। টেকসই উন্নয়ন, বন দখল রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক অর্থ ছাড়ের চেষ্টা করা হবে। পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে এক নম্বরে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম বলেছেন, গ্রামীণ রাস্তাঘাট, অবকাঠামোসহ গ্রাম নির্ভর উন্নয়ন প্রকল্পে বেশি জোর দেওয়া হবে। যাতে করে অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য থাকে। মানুষ যদি নিজ এলাকায় স্থিতিশীল হয়, কাজ পায় তাহলে শহরে অভিগমন হবে না। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের অগ্রগতির স্বার্থে তথ্যের অবাধ প্রবাহ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার তা নিশ্চিত করেছে। আগামী দিনেও তা অব্যাহত থাকবে। কোনো গোষ্ঠী যদি অপপ্রচার করে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অপব্যবহার করে, সেটা গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। কারণ, মানুষ তা চায় না। যখন কেউ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেয়, অসত্য তথ্য দেয়, সেটা মানুষের ওপর অবিচার হয়।

সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের জায়গা কূটনৈতিক ক্ষেত্র। অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যে টানাপড়েন সেটা ভালোভাবে সামলাতে পারেননি বলে হয়ত সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের জায়গা হয়নি মন্ত্রিসভায়। নতুন মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ অবশ্য তার প্রথম কার্যদিবসে বলেছেন, নানা রকমের চাপ উৎরে নির্বাচন হয়ে গেছে। তার ভাষ্য, আমরা কারো চাপ অনুভব করছি না। নির্বাচন নিয়ে বহু চাপ, গভীর চাপ, মধ্যম চাপ, নানা ধরনের চাপ ছিল। সব চাপ উৎরে নির্বাচন হয়ে গেছে। সুতরাং আমরা কারও কোনো চাপ কখনো অনুভব করি না। আমরা মনে করি, বিভিন্ন দেশের নানা পারসেপশন, নানা ন্যারেটিভ থাকে, আমরা সেগুলোকে ভ্যালু করি, তবে আমরা সবার সাথে একযোগে কাজ করব। দিনশেষে সবাই আমরা একযোগে কাজ করব। তিনি আরও বলেছেন, পূর্ব-পশ্চিম সমস্ত রাষ্ট্রগুলো আমাদের সাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। অভিমত প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ তারা সরকারের সাথে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে, এটি হচ্ছে শেষ কথা।

পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় শ্রম ও মেধা দেওয়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সচিবালয়ে তার প্রথম কার্যদিবসে জানিয়েছেন, হাসপাতাল করতে কতখানি কাঠখড় পোহাতে হয়ে তার। এই কাজের জন্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তার টেবিলে টেবিলে ঘুরেছেন তিনি। বসার জায়গা পাননি, বারান্দায় দাঁড়িয়েছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা, চেয়ার না পেয়ে কর্মকর্তাদের সামনে দাঁড়িয়ে থেকেছেন অনেক বার, তবু লক্ষ্যে স্থির ছিলেন। অনেক কর্মকর্তা তার ফাইল ছুড়ে ফেলেছেন, তবু ধৈর্য হারাননি। তার সেই ধৈর্যের ফল পেয়েছে বাংলাদেশ; ৫ শয্যার ছোট একটা ইউনিট থেকে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট তৈরি করতে পেরেছেন তিনি। সেই সামন্ত লাল সেন এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বিনয়ী, এবং কাজের লোক। টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হয়ে প্রথম দিনেই বলেছেন, আমরা যদি সবাই সিনসিয়ারলি কাজ করি অসম্ভব কিছু না।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নতুন-পুরাতন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা নিজ নিজ দপ্তরে নানা কথা বলেছেন। জানিয়েছেন তাদের প্রত্যাশা কথা, সমস্যার কথা বলেছেন, সমাধানে গুরুত্বারোপ করেছেন, আশাবাদের কথা শুনিয়েছেন। আশায় বাঁচি বলে আমরাও অপেক্ষায় আছি তাদের সাফল্যের। কারণ তাদের সাফল্যেই দেশের অগ্রগতি।

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের প্রথম কার্যদিবস শেষে তাদের কর্মপদ্ধতি নিয়ে চূড়ান্ত মন্তব্য সমীচীন নয়। তবে উদ্দেশ্য যে সকলেরই সৎ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সকলেই সফল হতে চায়, মন্ত্রীরাও চাইছেন। প্রথম দিনের সকলের বক্তব্য গণমাধ্যমে সমভাবে আসেনি এবং এই লেখায় উল্লেখ হয়নি, তবু ধারণা সকলেই দেশের স্বার্থের কথাই বলেছেন।

প্রথম কার্যদিবসে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে শুনেছেন, আমাদেরকে শুনিয়েছেন। তারা কাজের কথা বলেছেন, আমাদেরকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন। তাদের বক্তব্যে জবাবদিহির কথা আছে, সুশাসনের ইঙ্গিত আছে। তাদের আশ্বাসে আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই। সততার সঙ্গে কাজ, সঙ্গে জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে বিবিধ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তারা সফল হতে পারেন!

কবির য়াহমদ, প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর; ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ