আজ রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

মানদণ্ডের গণতন্ত্র ও নির্বাচনী গণতন্ত্র

জুয়েল রাজ  

অবশেষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের দ্বাদশ নির্বাচন। কোন ধরনের বড় দুর্ঘটনা ছাড়াই নির্বাচনটি সম্পন্ন হয়েছে। দেশ বিদেশের সবারই দৃষ্টি ছিল বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে। এবং এক ধরনের আতংক ও ছিল। বিশেষ করে বড় ধরনের সহিংসতা ও আন্তর্জাতিক ভূমিকা নিয়ে সংশয় ছিল। আদৌ কতটুকু শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নির্বাচনকে কীভাবে নেবে, গ্রহণযোগ্য হবে কী না। সাধারণ মানুষের মনে ও সেই দোলাচল ছিল। কিন্তু সব ধরনের দোলাচল মিথ্যা করে একটি নির্বাচন বাংলাদেশে সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এবং সরকার ও প্রশাসনের ভাষ্যমতে, অবাধ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু একটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশে। যদি ও নানা মুনির নানা মতের বিষয় এখনো আলোচিত হচ্ছে, এবং সেটি হতে থাকবে। বড় যে প্রশ্নটি রয়ে গেছে, তা হচ্ছে ভোটারের অংশ গ্রহণ। নির্বাচন কমিশন জোর গলায় বলেছে, মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে এবারের নির্বাচনে। এবং প্রধান নির্বাচন কমিশন বলেছেন কারো সন্দেহ থাকলে সেই ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করতে। যদিও বিদেশি পর্যবেক্ষক ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরটা একটু ভিন্ন ধরনের। তাদের মতে, ২৭-২৮ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি।

নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আমরা দেখেছি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, কমনওয়েলথ, ওআইসির মত প্রতিষ্ঠানগুলোও অভিনন্দন জানিয়েছে। তার মানে এই নির্বাচনকে তারা মেনে নিয়েছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে যে ভয় ছিল সেটি ও অনেকাংশেই কেটে গেছে। মার্কিন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য আমাদের ভাগ করা ভিশনকে এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সুশীল সমাজকে সমর্থন করার জন্য এবং আমাদের জনগণের সাথে জনগণের এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করতে তারা বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তার মানে এই নির্বাচিত সরকারের সাথে তারা কাজ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কার্যালয় থেকে ইস্যু করা বিবৃতির শিরোনাম ছিল 'পার্লামেন্টারি ইলেকশনস ইন বাংলাদেশ'। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করেছে সাতই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী-লীগ সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন নিয়ে জয়ী হয়েছে। তবে, হাজারো বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীর গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিনে বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের অনিয়মের খবরে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। সেই সাথে, বাংলাদেশের এই নির্বাচন সুস্থ ও অবাধ হয়নি বলে অন্য পর্যবেক্ষকদের প্রতিক্রিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্র একমত বলে জানানো হয় বিবৃতিতে। এছাড়া নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় হতাশা প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনের সময় এবং এর আগের মাসগুলোতে বাংলাদেশে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য উদ্যোগ নিতে বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সাথে সব দলের প্রতি সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে, সামনের দিনে, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠন, মানবাধিকার এবং বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আর দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নেও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কথা জানানো হয়।

আবার যুক্তরাজ্য তাদের বিবৃতিতে মোটা দাগে যে কথাটি বলেছে, বা যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটি হচ্ছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু মানদণ্ড অনুযায়ী হয়নি। বড় একটি বিরোধী দলের অংশগ্রহণ না থাকাটাকে তারা গণতন্ত্রের মানদণ্ড হিসাবে বিবেচনা করছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য বিবৃতিতে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন নির্ভর করে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু প্রতিদ্বন্দ্বিতার ওপর। মানবাধিকার, আইনের শাসন ও যথাযথ প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অপরিহার্য উপাদান। নির্বাচনের সময় এসব মানদণ্ড ধারাবাহিকভাবে মেনে চলা হয়নি। ভোটের আগে বিরোধী দলের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’

নির্বাচন সামনে রেখে এবং নির্বাচনের প্রচার চলাকালে সহিংসতা ও ভয়ভীতি দেখানোর কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাজনীতিতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থান নেই।’ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। সে কারণে বাংলাদেশের মানুষের ভোট দেওয়ার যথেষ্ট বিকল্প ছিল না।’ যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি টেকসই রাজনৈতিক সমঝোতা ও সক্রিয় নাগরিক সমাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।

বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি মতভিন্নতা দূর করে জনগণের স্বার্থে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অভিন্ন পথ বের করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই প্রক্রিয়ায় সমর্থন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। তার মানে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র কেউই আসলে নির্বাচন কে খারিজ করে দেয়নি।

মূলত বিএনপি বা তাদের শরিকরা প্রথম বলতেন ৭ জানুয়ারির নির্বাচন আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা কোন ভাবেই সফল ভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন না। যখন কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায়, তখন তাদের দাবী ছিল এই নির্বাচন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মেনে নিবে না। নতুন নির্বাচিত সরকার একদিন ও টিকবে না। কিন্তু তার কিছুই আসলে হয়নি, আওয়ামী লীগ সুন্দর ভাবেই সব আয়োজন সম্পন্ন করে সরকার গঠন প্রক্রিয়া ও সম্পন্ন করেছে। এবং আগামী ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। বিএনপি বরং রাজনীতির মাঠ থেকে অনেক দূরে চলে যাবে। গণতান্ত্রিক নির্বাচনী বা অংশগ্রহণ মূলক গণতন্ত্রের পরীক্ষায় শেখ হাসিনা এবার উৎরে গেছেন। বাকি রয়েছে গণতন্ত্রের মানদণ্ড।

সেই পরীক্ষায় যদি স্বতন্ত্র যারা নির্বাচিত হয়েছেন , তারা যদি জোরালো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হন , তাহলে সেই মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ ও কমে যাবে। কারণ যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন , তারা সাধারণ ভোটারের রায়ের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন।

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ১৯৭০ সালের নির্বাচন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি কোন নির্বাচনেই শতভাগ ভোটের ইতিহাস নেই। সেই নির্বাচনেই ভোট পড়েছিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এরপরে জিয়াউর রহমান এর নাটকীয় হ্যাঁ না ভোট ছাড়া কোন নির্বাচনে সেই রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হয়নি।

তাই ৪০ শতাংশ ভোটারের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গণতান্ত্রিক পরীক্ষায় পাশ-মার্ক পেয়ে পাশ করে গেছে। একাডেমিক ভাবে, কাগজে কলমে স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের প্রার্থীদের বিজয়ের পর কোন ভাবেই আসলে প্রশ্নবিদ্ধ করার আর সুযোগ থাকেনা। শুধুমাত্র একটা জায়গা থেকে যায়, সেটি হচ্ছে নৈতিক ভাবে, বিএনপির মত বড় একটি দলের অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ে আত্মতৃপ্তির জায়গাটায় ঘাটতি থেকে যাবে। মানদণ্ডের নির্বাচনের চেয়ে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় গণতান্ত্রিক নির্বাচনটাই জরুরি ছিল। মানদণ্ড নিশ্চিত করতে হলে এককভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে সেটি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বিএনপিসহ দেশের প্রতিটা রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজকে ও সেই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ, বিএনপির উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে শতভাগ গণতন্ত্র আশা করার সুযোগ নেই।

তবে, ইংরেজ কবি, নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়র বলেছেন, ‘গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, সে তার সুগন্ধ বিতরণ করবেই’। তাই এই নির্বাচনকে যে নামেই ডাকা হউক না কেন। নির্বাচন নির্বাচনই।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৩ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ