আজ রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

একুশে বইমেলা: আমাদের প্রাপ্তি কী?

জুয়েল রাজ  

চলছে ভাষার মাস, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। পাঞ্জাবি পায়জামা আর রঙিন বাসন্তী শাড়িতে রঙিন হয়ে উঠেছে বাংলা একাডেমির আয়োজিত একুশের মাসব্যাপী বইমেলা। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার বই বাণিজ্য হচ্ছে এই বইমেলাকে কেন্দ্র করে। লেখক প্রকাশকগণ সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন এই বইমেলার। কোটি কোটি টাকার বই বিক্রি হওয়ার মানে বাংলাদেশের মানুষ বই পড়েন। নাকি শুধুই বাসায় বুক শেলফের শোভা বর্ধনের জন্য বই কেনেন? এবং বই ব্যবসায়ী যারা, তারা সারা বছরের আয় ঘরে তুলেন এক মেলার বাণিজ্য থেকে। এই কোটি টাকার বইমেলায় আদৌ লাভ কি হচ্ছে? শুধুই কি বাণিজ্য? এই প্রশ্নটা বারবার আমার মনে আসছে। বইমেলা কি বাংলা একাডেমি শুধুই বাণিজ্যিক কারণে করে থাকেন।

মোশতাক-তিশা দম্পতি এক অসম প্রেমের আখ্যান। সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে যা দেশে বিদেশে প্রচার পেয়েছে। সেই প্রচারের আলো তাদেরকে রীতিমতো সেলিব্রিটিতে পরিণত করেছে। প্রচারের আলো একবার কেউ পেয়ে গেলে সে আরও প্রচারলোভী হয়ে যায়। অতীতে হিরো আলম কিংবা রাজনীতিতে নুরুল হক নূরকে আমরা দেখেছি, যোগ্যতার চেয়ে বেশি প্রচারের বদৌলতে এদের রাতারাতি তারকা বানিয়ে দিয়েছিল, ঠিক রাতারাতি আবার তাদের হারিয়ে যেতে হয়েছে।

মোশতাক-তিশার মত হাজার হাজার ঘটনা ঘটে সারাদেশে, সারা পৃথিবীতে। বাংলাদেশে এখনো বাল্যবিবাহ পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হয়নি। মোশতাক-তিশা প্রাপ্তবয়স্ক অসম প্রেম তাদের সেই অধিকার আছে, প্রেম করার বিয়ে করার। কিন্তু তাদের নিয়ে উন্মাদনা তৈরি করার দায় আছে আমাদের ভাইরাল মিডিয়াগুলোর।কিন্তু তার চেয়েও ভয়ংকর হয়েছে বইমেলার আগত দর্শনার্থীরা যে রকম বিশ্রীভাবে তাদের মেলা থেকে বের করে দিয়েছে, তাতে করে মানুষের মূল্যবোধের প্রশ্নটা থেকে যায়।

নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ যখন রুচির দুর্ভিক্ষ বলে মন্তব্য করেছিলেন তখন আমরা মানবতার পতাকা তলে দলে দলে এসে সেই বক্তব্যের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে মামুনুর রশীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে উঠে পড়ে লেগেছিলাম। সেই রুচির দুর্ভিক্ষ কিন্তু প্রমাণ হয়েছে। আমার মনে হয়েছে গণমাধ্যমকে থেকে আগে রুচির দুর্ভিক্ষ দূর করতে হবে। মূলত সৃষ্টিশীল মানুষের অভাবে সহজ ভাবে শেয়ার লাইক আর ভিউ বাণিজ্যের কারণে গণমাধ্যম তাদের স্বকীয়তা ধরে না রেখে স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়। আমরা সাধারণ দর্শক পাঠকদের প্রতিদিন সেই একই ইস্যু নানাভাবে নানা পদে রান্না করে পরিবেশন করা হয়।

দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার একটি ভিডিও ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হচ্ছে, একুশের বইমেলায় আগত একদল কিশোর কিশোরী বা তরুণদের সেই সাংবাদিক বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা দিবস বিজয় দিবস নিয়ে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন এবং তারা অনায়াসে ভুলভাল উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। কী ভয়ংকর অবস্থা!

এদেরকে যদি প্রশ্ন করতেন শাহরুখ খানের পাঠান বা জোয়ান সিনেমা কিংবা হালের এনিমেল ছবি পৃথিবীর কোন দেশে কত ব্যবসা করেছে, সিনেমার পরিচালক কে? কিংবা মালায়ালাম, তেলুগে কিংবা কন্নর সিনেমার নায়ক নায়িকা নিয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস দিন তারিখ সহ কবে কোথায় কখন কোন সিনেমা কত ব্যবসা করেছে কোন নায়ক নায়িকার প্রেমের খবর কী সব ওরা হড়হড় করে বলে দিতে পারত। ইউরোপ আমেরিকার সকার আর ফুটবল ক্লাবগুলো ওদের মুখস্থ কোন ক্লাবের ম্যানেজারের বেতন কত? কোন খেলোয়াড়ের প্রেমিকা কী করে সব ওদের মুখস্থ। পৃথিবীর কোন কোম্পানি কোন ব্রান্ডের কাপড় বানায় স্মার্ট, ডিজিটাল প্রজন্মের নামে আমরা কী তৈরি করছি? শিকড়হীন একটা প্রজন্ম! যাদের নিজের ইতিহাস, ত্যাগ, সংগ্রাম, অর্জন সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। ওরা শুধু দেশ ছেড়ে পালাতে চায় ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডায়। সেখানেও যাচ্ছে অদক্ষ শ্রমিক হিসাবে। যাদের বড় একটা অংশই না ইংরেজি ভাষা ভাল করে জানে, না যে বিষয়ে সে পড়াশোনা করেছে সেই বিষয়ে সে কোন জ্ঞান রাখে। ব্রিটেনে এইবার বেশ কিছু তথাকথিত স্মার্ট তরুণের সাথে আমার সাক্ষাতের সুযোগ হয়েছে। যারা কাজের সন্ধানে যোগাযোগ করেছেন, কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এরা সবাই ব্যর্থ হয়েছেন। ভাষার দক্ষতা বাদ দিলেও এই দেশের গতির সাথেই মানিয়ে নিতে পারছে না তারা। এটা অভিযোগ নয়, মূলত তারা আয়েশি, ডিভাইস-নির্ভর একটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।

খেলাধুলা নেই, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নেই, এরা করবে কী? কেউ অধিক পরিমাণে ধর্ম-কর্মে নিবেদিত হচ্ছে, আর আড্ডাগুলো চলে গেছে রেস্টুরেন্ট সংস্কৃতিতে। রেস্টুরেন্টে রেস্টুরেন্টে খেয়ে বেড়ায়। কেউ কেউ দেশে বিদেশে ঘুরতে যায়। ১০০ টাকা ২০০ টাকা চাঁদা তুলে দল বেঁধে মাইক বাজিয়ে পিকনিকের সংস্কৃতিও নেই। কারণ পরিবারগুলো এখন আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী এখন খরচ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এখন এই দায় কার? এই দায় কি এই তরুণদের? না রাষ্ট্রের? না আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার? না পরিবারের?

আমাদের যাদের আশির দশকে জন্ম, গ্রামে বা মফস্বলের স্কুল কলেজ পড়াশোনা করেছেন, আমার মনে হয় আমরা সবাই কম বেশি সেই অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়েই গিয়েছি। ১০টা ট্রান্সলেশন আর মুখস্থ ২০টা ইংরেজি রচনা ৩০টা প্যারাগ্রাফ আর টুকটাক গ্রামারের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল আমাদের ইংরেজি শিক্ষা। শিক্ষা ব্যবস্থাও অনেক বেশি আধুনিক স্মার্ট হয়েছে, ডিজিটাল সুবিধায় পুরো পৃথিবীর দুয়ার তাদের সামনে খোলা। সাহিত্য সংস্কৃতি কৃষ্টি ভাষা ইতিহাস সব হাতের মুঠোয়। তারা জ্ঞানে, তথ্যে প্রবাহে, আরও বেশি সমৃদ্ধ হওয়ার কথা।

একুশে ফেব্রুয়ারি বা জাতীয় দিবস সমূহে আমাদের লাল সঙ্গে সবুজ বা, সাদাকালো পাঞ্জাবি ছিল না, স্কুল ড্রেস কিংবা আগের দিনের ধোয়া পরিস্কার কাপড় পরিধান করতাম, কিন্তু সাংস্কৃতিক ভাবে অনেক সমৃদ্ধ ছিল সেই সময়। একুশের প্রভাতফেরি, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসের দিনগুলো উৎসবের আমেজে উদযাপিত হত। এখনো স্কুল কলেজে দিবসগুলো পালন করা হয়। তখন স্কুল কলেজে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হতো না। আলাদা ভাবে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো পালন করত সেই দিবস।

কিন্তু ধরণ ছিল একই, আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই স্কুলের মাঠে মাইক লাগানো হয়ে যেত, রাতভর সেখানে বেজে চলত দেশের গান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানগুলো। স্কুল কলেজে কোন ধরণের আর্থিক অনুদান পাওয়া যেত কী না আমি ঠিক জানি না। তবে আমরা শিক্ষার্থীরা ৫ টাকা ১০ টাকা চাঁদা দিতাম। কিন্তু দিবসগুলোর তাৎপর্য অনুধাবন না করলেও বিষয়গুলো আমরা জানতাম। অথচ সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু এইসব বিষয়ে অনেক বিকৃত প্রচারণা বা ভিন্নভাবে পাঠ্যক্রম ছিল। তবু ও ইতিহাসের সেই শিক্ষা আমরা পেয়েছি এই সব দিনগুলোতে শিক্ষক বা নানা জ্ঞানী গুণীদের আলোচনায়।

টিপু সুলতান নামের ঐ ভদ্রলোকের বদৌলতে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার দীনতা উলঙ্গ ভাবে প্রকাশ পেয়েছে। যদিও তাকে নিয়ে অনলাইন মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক নেতিবাচক সমালোচনা হয়েছে, বিশেষ করে, বইমেলায় ঘুরতে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি শব্দের বানান এবং বাংলা অর্থ জিজ্ঞাসা করে আলোচিত-সমালোচিত হন তিনি। এর মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের বিব্রত এবং হেয় করছেন বলে অনেকে মত দেন।

ঠিক ততোটাই আমাদের গণমাধ্যমগুলোও এই মানুষটিকে সমান ভাবে বিব্রত করেছেন। উনি যা করেছেন, তিনি নিজেও বলেছেন তিনি মূলত কুইজ করতেন, যে উত্তর দিতে পারত তাকে একটি বই তিনি উপহার দিতেন। ছেলেমেয়েরা আগ্রহ নিয়ে সেই সেই কুইজে অংশ নিত। এমন তো না যে তিনি কাউকে আটকিয়ে জোর করে বাধ্য করেছেন।

কিন্তু একজন সাংবাদিক যখন প্রশ্ন করেন তখন কিন্তু বাধ্য করেন উত্তর দিতে। শিরস্ত্রাণ বাংলা শব্দটি আমরা কয়জন জানি? ইংরেজিটা কথা কিন্তু সবাই জানে। টিপু সুলতানকে যে ভাবে হেয় করে মেলা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, মোশতাক-তিশাকে বের করে দেওয়ার চাইতে কোন অংশে কম নয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনো তা চলছে। আমরা প্রতিবাদ মুখর হচ্ছি ভারতের সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের, আমরা প্রতিবাদ মুখর হচ্ছি টাঙাইল শাড়ির জিআই অধিকার নিয়ে। কিন্তু যা করার তা করছি না। নিজের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে কোন ধারণা দিচ্ছি না। টাঙাইল শাড়ি যে আমাদের ঐতিহ্যের অংশ সেই তথ্যটুকোই তো আমাদের এই প্রজন্ম জানেনা। এখন ভারত যখন তার উৎস মালিকানা দাবি করেছে তখন আমাদের অনেকেই নড়েচড়ে বসেছেন। যে দেশের আগামীর নেতৃত্ব তার নিজের উৎস জানে না, সেই দেশে ঐতিহ্য ও উৎস অধিকার কিভাবে নিরাপদে রাখবে। ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সমুদ্র বিজয় সম্ভব হয়েছে, শাড়ির উৎস অধিকার নিশ্চিত করা সেখানে কিছুই নয়।

বাংলা একাডেমির বইমেলা শুধু বাণিজ্য আর উৎসবের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে তথ্যবহুল করুন নতুন প্রজন্মকে সাদাকালো পাঞ্জাবির ভিতর থেকে টেনে বের করুন। রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সংস্কৃতি, শেকড়ের সাথে একাত্ম না করে শুধুমাত্র স্মার্টফোন দিয়ে আগামীর স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তোলা যাবে না।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৩ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ