আজ মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বুয়েটে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির দায়িত্ব ছাত্রলীগের

কবির য়াহমদ  

স্বাধিকার-স্বাধীনতা আর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ছাত্রলীগ—এই পরিচয় এখন মূর্ত নয়। এখনকার পরিচয় কেবলই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। পরিচয়ের সঙ্গে ক্ষমতাসীনের নামের যোগ থাকায় এখানে ক্ষমতার (অপ)ব্যবহার, দখল বাণিজ্যসহ বহুবিধ অন্যায্য কাজের দেখা মেলে। এখন তাই নামটি যতটা শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তারচেয়ে বেশি হয় ভয়ের সঙ্গে। বাস্তবতা এমনই।

ছাত্রলীগের দখলে দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাস। তারা নিজেরা আবার নিজেদের মধ্যে বহুধা-বিভক্ত। ব্যতিক্রম কেবল ছিল বুয়েট। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকে ছাত্রশিবিরের মতো ঘৃণার চোখে দেখা হয়। ওখানে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ-সম কিছু। কারণ অজানা নয়। ছাত্রলীগে নিকট অতীতের নৃশংসতা তাদেরকে এই জায়গায় নিয়ে গেছে। ২০১৯ সালে ক্যাম্পাসের মধ্যে আবরার ফাহাদ নামের এক শিক্ষার্থীকে অমানুষিক নির্যাতনে হত্যার পর সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের কাছে ভয়ের এক সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যদিও মামলা-বিচার হয়েছে, তবু সেই ক্ষত শুকায়নি।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রবিক্ষোভ হয়েছে। দেশব্যাপী এটা ছড়িয়েছে। বুয়েট কর্তৃপক্ষ এরপর আবেগের বশে অতি-কঠোর সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতিই নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বসে। বুয়েট প্রশাসনের সে সিদ্ধান্ত যতটা না যৌক্তিক, তারচেয়ে বেশি আবেগের, বলা যায় অতি-আবেগী। দেশের অধিকাংশ ক্যাম্পাসেই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, অথচ বুয়েটে নিষিদ্ধ। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ইগোর প্রকাশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাচারিতারও প্রকাশ ঘটেছে। বুয়েট প্রশাসন যেখানে এই বিষয়ে স্থির-চিন্তার প্রকাশের কথা ছিল, সেখানে তারাও হয়ে পড়েছিল অতি-আবেগী। এই কারণে গত চার বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির প্রতি বিতৃষ্ণ হয়েছে। রাজনীতির উদ্দেশ্য যে জনকল্যাণ সে ধারণা তাদের থেকে দূরে সরেছে। 'হেইট পলিটিকস' বাসা বেঁধেছে শিক্ষার্থীর মাঝে। অনতি-তরুণ শিক্ষার্থীরা যেখানে পাঠান্তে দেশ গড়ায় মনোনিবেশের প্রস্তুতি নেবে, সেখানে এসেই দেখছে এমন পরিবেশ, যেখানে রাজনীতিকে দেখা হয় ঘৃণার চোখে। অথচ কর্মজীবনে এরাই আবার সেই রাজনীতি-রাজনীতিকের মাধ্যমে পরিচালিত 'জনকল্যাণে' নিয়োজিত হবে। এখানে তাই নিয়োগ হবে, কিন্তু নিবেদনের দেখা মেলা কঠিন অনেকটাই।

গত চার বছর রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এমন চোখে দেখছিল যাতে তারা নিষিদ্ধ বস্তু! এবারের এই আন্দোলন কিংবা নানা কর্মসূচির শুরু হয়েছে মূলত রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ কয়েকজন বুয়েটে প্রবেশ করায়। যদিও সাদ্দামরা বলছেন, বৃষ্টি কারণে কিছু সময়ের জন্যে তারা সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। তবে আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগ সভাপতির এই বক্তব্য মানতে রাজি নয়। প্রতিকূল প্রকৃতিতে বুয়েট ক্যাম্পাসের কোথাও আশ্রয়ও নিতে পারবে না ছাত্রলীগের কেউ—ঘৃণার এমনই উদ্‌গিরণ; ভাবা যায়! অথচ রাজনৈতিক কর্মসূচি হলেও ছাত্রলীগ সভাপতি যদি মিথ্যা বলেও থাকতেন, তবু এটাকে নিজেদের জয় ভেবে মেনে নিয়ে কথা না বাড়ানোই উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের। কিন্তু সেটা তারা করেনি। অতি-প্রতিক্রিয়া কিংবা অতিরিক্ত ঘৃণায় ফেটে পড়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির সিট বাতিল এবং তাকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বসে তারা। অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, বুয়েট প্রশাসনও ইমতিয়াজ রাব্বির সিট বাতিল করে দেয়।

এসব অতি-প্রতিক্রিয়া, নাবালক-সিদ্ধান্ত হিতে বিপরীত হয়ে গেছে। ইমতিয়াজ রাব্বি বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে জিতে গেছেন। উচ্চ আদালত বুয়েট-প্রশাসনের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্থগিত করেছে। এখন তাই দেশের অন্য ক্যাম্পাসের মতো বুয়েটেও ছাত্ররাজনীতি করা যাবে। যদিও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন- তারা আইনি লড়াই চালাবেন। তবে এখানে আইনি লড়াইয়ে তাদের জয়ী হওয়া কঠিন, কারণ এক দেশে দুই নীতি দেশের উচ্চ আদালত গ্রাহ্য করবে বলে মনে হয় না।

বুয়েটের শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিক ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে ওখানে ক্রিয়াশীল আছে একাধিক সংগঠন। এদের সকলেই প্রতিক্রিয়াশীল। জামায়াত-শিবির থেকে শুরু করে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরির বুয়েট ক্যাম্পাসে বিভিন্নভাবে ক্রিয়াশীল আছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত।

এবারের এই যে আন্দোলন, সেখানে বড় আওয়াজ 'বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চাই না'। কিন্তু যারা আছে এর নেপথ্যে, তারা কি সত্যি রাজনীতির বাইরের। বলা হচ্ছে, এই আন্দোলনে ইন্ধন যোগাচ্ছে ছাত্রশিবির-হিযবুত তাহরির; কিন্তু এটা বের করতে কোনোরূপ তদন্ত হচ্ছে বলে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি। যদিও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গত ৩০ মার্চ বলেছেন, 'কিছুদিন আগেও অনেকে অভিযোগ করেছিলেন, কিছু জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গোপনে সেখানে (বুয়েট) কার্যক্রম চালায়। বিষয়টি নিয়েও গভীরভাবে তদন্ত করবেন। তবে সব পক্ষের প্রতি তার আহ্বান, শিক্ষার পরিবেশ যাতে কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয়। আর ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ যদি এমন মানসিকতা রাখে যে, সেটা মনে হয় মৌলবাদী বা জঙ্গি গোষ্ঠীর কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেওয়ার মতো হচ্ছে, সেটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে, প্রতিহত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যারা আছে, যারা তদন্ত করছে, তারাও সেগুলো নিয়ে কাজ করবে। সেটি শুধু একটি প্রতিষ্ঠানেই নয়, সব প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য।' মন্ত্রী যখন বলেছেন তখন আশাবাদী হতে চাই যে, এর তদন্ত হবে, এবং জঙ্গিবাদী কোনো গোষ্ঠী বুয়েটে ক্রিয়াশীল থাকলে তা সমূলে উৎপাটন করা হবে।

গত কয়েকদিন ধরে আমরা দেখছি, বুয়েট শিক্ষার্থীদের উচ্চকিত একটা অংশ ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এটা তারা নিতেই পারে। তারা ছাত্ররাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখে। তবে কেউ বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করতে পারবে না এমন স্বেচ্ছাচারমূলক দাবি তাদের করা উচিত নয়। শিক্ষার্থীদের কেউ চাইলে রাজনীতি করবে, কেউ না চাইলে করবে না—এমনই তো হওয়া উচিত। ধারণা করা যায়, তারা ছাত্রলীগ-জুজুর মধ্যে আছে। বিশেষত ২০১৯ সালে বুয়েট-শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে। একটা ট্রমা ভর করেছে। সেখান থেকে অনেকেই বের হতে পারছে না।

এই ট্রমা কিংবা চাপ এমনি-এমনি আসেনি। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনা, সরকারি দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটির নিকট অতীতের কীর্তিকলাপ অনেক শিক্ষার্থীকে রাজনীতিবিমুখ করে তুলছে। ছাত্রলীগের যে ঐতিহ্য, দেশ স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে ছাত্রলীগের পূর্বতন যে ভূমিকা সেটা এই প্রজন্মের অনেক শিক্ষার্থীর কাছে অজানা থেকে যাচ্ছে। ধূসর বর্তমান ঐতিহ্যের অতীতকে আড়াল করে দিয়েছে। এটা থেকে বের হতে সময় লাগবে; লাগুক। তবে প্রকাশ্য রাজনীতির এমন বিরুদ্ধাচরণ কোনোভাবে শোভন নয়।

রাজনীতি চাই আমরা সবখানে। কারণ সত্যিকার অর্থে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি থাকলে মানুষের গুরুত্ব বাড়ে ক্ষমতাসীনদের কাছে, বিরোধীদলের কাছে, সকল রাজনৈতিক দলের কাছে, প্রশাসনের কাছে। প্রকাশ্য রাজনীতি না থাকলে মানুষের গুরুত্ব ক্রমে কমতে থাকে। এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা গণ-রাজনীতি সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এখানে তাই বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির পথ রুদ্ধ করার পক্ষে থাকা উচিত নয় কারোরই।

আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। ক্ষমতাসীনদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের কারণে কোনো ছাত্র সংগঠন বুয়েটে টিকতে পারবে না—এই ভয়ে অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোকে পিছিয়ে যাওয়া কিংবা ছাত্ররাজনীতি চালুর বিরোধিতা করা উচিত হবে না। তাদেরকে নিজস্ব ক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখা দরকার, কোনো ছাত্র সংগঠন না থাকলে 'অন্ধকারের আততায়ীরা' আরও শক্তিশালী হবে বুয়েটে। মাঠ তাই খালি রাখা যাবে না। ছাত্রলীগেরও উচিত হবে বুয়েটে তাদের নেতিবাচক যে ভাবমূর্তি সেখান থেকে উত্তরণের জন্যে অন্য ছাত্র সংগঠনগুলো বিশেষত বামধারার সংগঠনগুলোর জন্যেও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। কেবল সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের দাবি জানানোই নয়, নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির স্বপক্ষে ব্যাপক জনমত গড়তে প্রথমে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনগুলোকে সংলাপ বা আলোচনার আহ্বান জানানো। এটা আগে কখনই হয়নি বলে কখনোই হবে না বা করা যাবে না, এমন না; কিছু হোক বা না হোক অন্তত উদ্যোগ নেওয়া। এই উদ্যোগের ফলাফল যা-ই হোক, এটা অন্তত তাদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে।

হাইকোর্টের আদেশের পর ধরে নেওয়া যায়, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি ফিরছে। উচ্চ আদালতের এই আদেশের পর ছাত্রলীগ যদি ধূসর বর্তমান থেকে উত্তরণের পথ না খুঁজে নিজেদের বিজয়ী ভাবে, তবে আদতে প্রাপ্তির কিছু নেই। বরং আছে শঙ্কার কালো মেঘ। মেঘ কাটুক; ফিরুক আলো!

কবির য়াহমদ, প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর; ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৩ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ