আজ বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

Advertise

ভিন্ন লৈঙ্গিক বাস্তবতার বিরুদ্ধতা: ধর্মীয় গোঁড়ামি নাকি সাংস্কৃতিক?

জাকিয়া সুলতানা মুক্তা  

একবিংশ শতাব্দীতে এসে যদি লৈঙ্গিক বৈচিত্র‍্যভিত্তিক একটি কন্টেন্ট (আলোচিত-সমালোচিত 'রূপান্তর' নাটক) প্রশ্নের সম্মুখীন হয়, তাহলে এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক চর্চাকে আরও একটু জানা-বোঝার প্রয়োজন রয়েছে। উল্লেখ্য উক্ত নাটকটি একান্তভাবেই লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যের বার্তাবাহী একটি নাটক। এখানে সমকামিতাকে অহেতুক টেনে আনা হচ্ছে। এতে সমকামিতাকে বা নারী/পুরুষ ভিন্ন অন্য কোনো যৌনতার বৈচিত্র্যকে উপস্থাপন করা হয়নি। বরং দেখানো হয়েছে যে এ অঞ্চলের পরিচিত যাপনে নারী/পুরুষ লৈঙ্গিক পরিচয়ের বাইরেও, ভিন্ন লৈঙ্গিক পরিচয়ের বৈচিত্র্যের রয়েছে। এ ধরনের পরিচয়ের ব্যক্তিরা এ অঞ্চলে একটি দ্বৈত যাপনে থাকতে বাধ্য হয় বলে, তাদের ভিন্ন লৈঙ্গিক পরিচয় নিয়ে সাংস্কৃতিকভাবে এখানকার গণমানুষের তেমন জানাশোনার সুযোগ নেই। তবে এটি ঠিক যে লিঙ্গের ভিত্তিতে বাহ্যিক পরিচয়ে নারী/পুরুষ হওয়ার পরেও তাদের যৌনতার বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হতে পারে। এ নিয়ে পরিচিত জানাশোনায় বলা হয়ে থাকে মানসিকভাবে তারা তাদের বাহ্যিক লৈঙ্গিক পরিচয়ের বিপরীতে বা মাঝামাঝি অবস্থান করে। এর ফলে তাদের মাঝে কামের চর্চা বা যৌনতার বিষয়ে এ অঞ্চলের নারী/পুরুষের বাইনারি কাম বা যৌনতার চর্চার বাইরেও ভিন্ন বাস্তবতা বর্তমান। যেমন- সমকাম, উভকাম, কামহীনতা ইত্যাদি। কিন্তু লৈঙ্গিক বৈচিত্র‍্যভিত্তিক "রূপান্তর" নাটকে উপস্থাপিত এ বিষয়টি আর মনুষ্যজীবনের যৌনতার বৈচিত্র্যের ভিন্নতার একেবারেই ভিন্ন আলোচনার বিষয়। এটি বোঝাটা প্রথমত বেশি জরুরি। কেননা দু'টো আসলে একেবারেই ভিন্ন বিষয়।

উল্লেখ্য প্রাথমিকভাবে এ নাটকটি এ অঞ্চলের নারী/পুরুষ লিঙ্গভিত্তিক বাইনারির বাইরেও যে, এক বৈচিত্র্যপূর্ণ লৈঙ্গিক বাস্তবতা মনুষ্যজীবনে রয়েছে তা উপস্থাপন করেছে। এখানে নারী/পুরুষ বাইনারির বাইরের লৈঙ্গিক পরিচয়ের একটি বিশেষ বৈচিত্র্যকে (ডিএসডি বা ডিসঅর্ডারস অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট) লৈঙ্গিক ত্রুটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তা চিকিৎসাবিজ্ঞানের যৌক্তিক ব্যাখ্যাসমেত দেখানো হয়েছে। এতে উল্লেখ রয়েছে যেকোনো মানবসন্তান (মেয়ে/ছেলে শিশু) জন্মগতভাবে কিংবা বয়ঃবৃদ্ধির প্রাক্কালে নারী/পুরুষ বাইনারির বাইরের লিঙ্গের বিকাশ বা উন্নয়নের মধ্য দিয়েও যেতে পারে। এতে যা হয় তা হলো উক্ত মানব সন্তানদের লিঙ্গের বিকাশ বা উন্নয়ন, তাদের জন্য সামাজিকভাবে নির্ধারিত লিঙ্গের বিকাশের স্বাভাবিক নিয়মে হয় না। যা ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় লিঙ্গ উন্নয়নে পার্থক্য (ডিএসডি) হলো বিরল একটি লৈঙ্গিক অবস্থা। এর সাথে মূলত মানুষের জিন, হরমোন এবং যৌনাঙ্গসহ প্রজনন অঙ্গ জড়িত। অর্থাৎ মোটা দাগে একজন ব্যক্তির লিঙ্গ-নির্ধারণের ক্ষেত্রে তার যৌন (যৌনতা নয় অবশ্যই) বিকাশ অন্যান্য বেশিরভাগ মানুষের থেকে আলাদা হতে পারে।

চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে কোনো মানব সন্তানের এমনও যৌন ক্রোমোজোম (জিনের বান্ডিল) থাকতে পারে, যা সাধারণত মহিলা হওয়ার সাথে যুক্ত (XX ক্রোমোজোম) বা সাধারণত পুরুষ হওয়ার সাথে যুক্ত (XY ক্রোমোজোম), কিন্তু তাদের অভ্যন্তরীণ প্রজনন অঙ্গ এবং বাহ্যিক যৌনাঙ্গ যা স্বাভাবিকের থেকে আলাদা হতে পারে। সচরাচর নারী/পুরুষ-নির্ধারণের জিনের সাথে পার্থক্যের কারণে বা কারোর শরীরের যৌন হরমোনগুলির সাথে সে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় এর ওপরে পুরো বিষয়টি নির্ভর করে। এটি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হতে পারে, তবে প্রায়শই এটি কেন ঘটে তার কোনও স্পষ্ট কারণ নেই।

চিকিৎসাবিজ্ঞান ডিএসডি'র অনেকগুলো প্রকারভেদের উল্লেখ করে থাকে। যেমন:
১. যৌনাঙ্গসহ সাধারণ নারী প্যাটার্ন জিন, যা মেয়েদের যৌনাঙ্গের থেকে আলাদা দেখায়
২. জিনগুলি সাধারণত পুরুষদের যৌনাঙ্গে দেখা যায়, যেগুলো বেশিরভাগ মেয়েদের এবং কিছু অভ্যন্তরীণ পুরুষ কাঠামোর মতন দেখায়
৩. দেখতে সাধারণ যৌনাঙ্গ কিন্তু ভিন্ন লিঙ্গের বিকাশ
৪. স্বাভাবিক বাহ্যিক যৌনাঙ্গসহ নারী, কিন্তু একটি গর্ভ ছাড়া ইত্যাদি।

প্রথমটির ক্ষেত্রে ডিএসডি থাকা কারোর স্বাভাবিকের চেয়ে আরও উন্নত ভগাঙ্কুর থাকতে পারে এবং এমনকি তাদের যোনি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর সবচেয়ে সাধারণ কারণ হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞান দায়ী করে কারোর জন্মগত অ্যাড্রিনাল হাইপারপ্লাসিয়া (CAH) কে। এই CAH আছে এমন কারোর ক্ষেত্রে তাদের শরীরে একটি এনজাইমের (রাসায়নিক পদার্থ) অভাব থাকে, যা তাদের শরীরে কর্টিসল এবং অ্যালডোস্টেরন হরমোন তৈরি করতে প্রয়োজন। এই হরমোনগুলি ছাড়া তাদের শরীর আরও এন্ড্রোজেন তৈরি করে অর্থাৎ সেক্স হরমোন তৈরি করে, যা স্বাভাবিকভাবে পুরুষদের মধ্যে বেশি লক্ষণীয়। যদি এধরনের ডিএসডি-সম্পর্কিত কোনো শিশু মেয়ে হয়, তবে জন্মের আগে বেড়ে যাওয়া তাদের শরীরের এন্ড্রোজেনের মাত্রা তার যৌনাঙ্গের ক্ষেত্রে ভিন্ন বলে পরিলক্ষিত হতে পারে। যেমন একটি বড় ভগাঙ্কুর এবং একটি যোনি যা স্বাভাবিক জায়গায় খোলা থাকে না।

দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে কারোর XY (পুরুষ) ক্রোমোজোম থাকে, তবে তাদের বাহ্যিক যৌনাঙ্গ মেয়েদের বা ছেলেদের স্বাভাবিক উপায়ে বিকশিত হতে পারে। কখনও কখনও তাদের যৌনাঙ্গ মেয়েদের না ছেলেদের সাথে বেশি মিল এটি নির্ধারণ করা প্রাথমিকভাবে কঠিন হয়। এতে করে একজন ব্যক্তির গর্ভ তৈরি হতে পারে এবং তার শরীরের ভিতরে একইসাথে একটি অণ্ডকোষও থাকতে পারে। অনেক সময় উক্ত অণ্ডকোষটি ঠিকমত কাজ নাও করতে পারে। কারো কারোর ক্ষেত্রে তাদের অণ্ডকোষ দু'টো ছোট থলিতে বিভক্ত থাকতে পারে। কেননা এই ধরনের ডিএসডি-আক্রান্ত ছেলেদের এবং পুরুষদের শরীরে "টেস্টিস" নামক একধরনের এন্ড্রোজেনের উপস্থিতি পাওয়া যায়, যা পুরুষ হতে প্রয়োজন তা সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হতে পারে বা আংশিকভাবে বিকশিত হতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে, উক্ত এন্ড্রোজেনের প্রতি সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতা XY ক্রোমোজোমযুক্ত একজন ব্যক্তিকে মহিলা করে তোলে। এছাড়াও উক্ত অ্যান্ড্রোজেনের প্রতি আংশিক সংবেদনশীলতার অর্থ হলো এধরনের কেউ বাহ্যিকভাবে হবে পুরুষ আর বাকিরা হবে মহিলা।

তৃতীয়টির ক্ষেত্রে কোনো কোনো মানব সন্তানের সাধারণ XY বা XX ব্যতীত একটি ভিন্ন ক্রোমোজোমের প্যাটার্ন থাকতে পারে। অর্থাৎ তাদের একটি X ক্রোমোজোম (XO) থাকতে পারে, আবার তাদের একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজোমও (XXY) থাকতে পারে। ফলে তাদের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক যৌন অঙ্গগুলি পুরুষ বা মহিলার হলেও, তারা তাদের বয়ঃসন্ধিকালে সম্পূর্ণ শারীরিক বিকাশের মধ্য দিয়ে নাও যেতে পারে বা বলা ভালো যেতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, নারী যৌনাঙ্গসহ একটি মানব শিশুর বয়ঃসন্ধিকালে স্বাভাবিক নিয়মে পিরিয়ড শুরু নাও হতে পারে। এই ধরনের ডিএসডির একটিকে বলে "টার্নার সিন্ড্রোম", যেখানে একটি মেয়েশিশু শারীরিকভাবে তার স্বাভাবিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় X ক্রোমোজোমের অনুপস্থিতি নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। ফলে এই "টার্নার সিন্ড্রোম"-এ আক্রান্ত মেয়েরা এবং মহিলারা প্রায়শই বন্ধ্যা হয় এবং তাদের উচ্চতা গড় থেকে কম হতে পারে। এমনকি এর ভিন্ন বাস্তবতাও রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞান এই ভিন্নতাকে ব্যাখ্যা দেয় এভাবে যে, এধরনের ডিএসডি-আক্রান্ত কেউ টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক স্তর তৈরি করতে পারে না। উল্লেখ্য এটি একটি যৌন হরমোন যা পুরুষ বৈশিষ্ট্যের বিকাশের জন্য দায়ী, যেমন পূর্বের উল্লেখিত "টেস্টিস" নামক রাসায়নিক পদার্থ এবং শরীরের চুল। পুরুষদের হাড়ের শক্তি এবং উর্বরতার জন্যও টেস্টোস্টেরন গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এদের ক্ষেত্রে দেখতে তারা বাহ্যিকভাবে পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের হলেও, আদতে এ ধরনের ডিএসডি-আক্রান্ত পুরুষের মাঝে পূর্ণাঙ্গ পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের অভাব থাকে।

চতুর্থটির ক্ষেত্রে দেখা যায় কোনো কোনো মানব সন্তান একটি অনুন্নত গর্ভ নিয়ে বা গর্ভ, সার্ভিক্স এবং উপরের যোনি ছাড়াই জন্মগ্রহণ করে। এক্ষেত্রে ডিম্বাশয় এবং বাহ্যিক যৌনাঙ্গ বেশিরভাগ মেয়ে এবং মহিলাদের মতই দেখায়। এমনকি বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের স্তন এবং পিউবিক চুলের বিকাশও সাধিত হয়। কিন্তু তারা ডিএসডি পর্যায়ভুক্ত হয়ে থাকে। বিষয়টিকে চিকিৎসাবিজ্ঞান "রোকিটানস্কি সিনড্রোম" নামে অভিহিত করে। প্রায়শই "রোকিটানস্কি সিনড্রোম"-এর প্রথম লক্ষণ হয়ে থাকে এরকম যে, এধরনের ডিএসডি-আক্রান্ত কোনো মেয়ের পিরিয়ড শুরু হয় না। আবার কারোর কারোর ক্ষেত্রে নারী হিসেবে তাদের আর সব নারী বৈশিষ্ট্য স্বাভাবিক থাকলেও, দেখা যায় তাদের যোনিতে পুরুষ লিঙ্গের সাথে জড়িত হওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা তাদের যোনিপথ বেশিরভাগ নারীদের স্বাভাবিক যোনির চেয়ে ছোট হয়ে থাকে। তবে তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসাবিজ্ঞান গর্ভ না থাকার বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে এভাবে যে, ডিএসডি-আক্রান্ত কোনো নারী গর্ভবতী হতে না পারলেও, কখনও কখনও তাদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম নেওয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে তাদের নিষিক্ত করা এবং অন্য মহিলার গর্ভে ডিম্বাণু রোপণ করা সম্ভব। অর্থাৎ তারা চাইলে সারোগ্যাসির মাধ্যমে মা হতে পারে।

মূলত "রূপান্তর" নাটকের কন্টেন্টটিতে স্বাভাবিক নারী/পুরুষ লিঙ্গভিত্তিক বাইনারির বাইরের শারীরিক ও মানসিক কন্ডিশনের (ডিএসডি-আক্রান্ত বা ডিএসডি পর্যায়ভুক্ত) মানব সন্তানদের বাস্তবতাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে নারী/পুরুষ বাইনারির বাইরের যৌন চাহিদার বিষয়কে ভিত্তি করা হয়নি। এটি বরং ভিন্ন আলোচনা। বরং ডিএসডি বা ডিসঅর্ডারস অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট কিংবা বৈচিত্র্যময় যৌন বিকাশের বৈচিত্র্যসম্পন্ন উপরিউক্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রাথমিক ব্যাখ্যাটিই বলে যে, "রূপান্তর" নাটকের কন্টেন্ট একেবারেই চিকিৎসাবিজ্ঞানের ব্যাখ্যা-সমর্থিত বিষয়কে ভিত্তি করে। এধরনের লৈঙ্গিক ত্রুটি/পর্যায়ের জন্য কোনো মানবসন্তান নিজে থেকে দায়ী নয়। এতে মূলত তাদের জন্মগত বৈশিষ্ট্য বা বয়ঃসন্ধিগত স্বাভাবিক বিকাশের অন্তরাটিই দায়ী। বিষয়টি জানা থাকা বা এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। কেননা চিকিৎসাবিজ্ঞান এসব বিষয়ে এখন অনেক এগিয়ে গেছে। কোনো সমাজ যদি এই জানাশোনায় আগ্রহী না হয় বা এরকম জ্ঞানতাত্ত্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে ভিন্ন বাস্তবতার উপস্থাপন বা গ্রহণ করা থেকে দূরে অবস্থান করে, এজন্য কিন্তু বৈশ্বিক প্রগতি বা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার অগ্রগতি থেমে থাকবে না। বরং তা স্বাভাবিক গতিতেই এগিয়ে যেতে থাকবে। এখন এই গতির বিরুদ্ধে দাঁড়ালেই তো এ গতি থামবে না, বরং পিছিয়ে থাকতে চাওয়া বা অনাগ্রহী সমাজই বরং স্বাভাবিক নিয়মে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ায় পিছিয়ে পড়বে। এর দায় উক্ত সমাজের মানুষদেরই ওপরেই তখন বর্তাবে, বিশেষত উক্ত সমাজের শিক্ষিত সমাজের দায়টাই এর জন্য বেশি দায়ী থাকবে।

সবশেষে "রূপান্তর" নাটকের সাথে জড়িত সব পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। কেননা এই নাটকটি নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম না হলে নাটকটি দেখার সময় বা সুযোগ কোনটিই করে উঠতে পারতাম না। বিতর্কিত হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে যে যৎসামান্য জ্ঞান ছিলো তা নিয়ে আরও বড় পরিসরে পড়াশোনা করার আগ্রহের সৃষ্টিও হত না। কেউ বা কোন সমাজ অজ্ঞান থাকতে চাইতেই পারে, কিন্তু পশ্চাৎপদ মানসিকতার যে কারোর এটা জানা নেই যে জ্ঞান একটা আলো। আর আলো যত ক্ষুদ্র পরিসর দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন, তা অন্ধকারকে ম্লান করে দিতে সবসময়েই সক্ষম। সম্ভবত এই অস্তিত্বে সংকটটাই যেকোনো অন্ধকারকে উত্তেজিত করে তোলে। তা বলে তো আলোর উদ্ভাসন থেমে থাকবে না।

জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৩ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ