আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

কথিত শিশু পাচারকারী : পুলিশ কি প্রমাণ করতে চায়?

দেবজ্যোতি দেবু  

একজন ভয়ংকর অপরাধী, শিশু পাচারকারী, শিশু অপহরণকারী, যে কিনা আবার হালি হালি শিশুকে একাই কাঁধে তুলে নিয়ে যেতে পারে। যাদুকর বাঁশিওয়ালার চেয়ে চতুর যাদুকর এই রাক্ষসটি শিশুদের এমন ভাবে যাদু করেছে যে তারা নিজের বাসায় আর যেতে চায় না। থাকতে চায় এই অপরাধীর সাথে। যে কিনা আবার সকল ধরনের সু্যোগ সুবিধা দিয়ে, পড়ালেখা শিখিয়ে, কম্পিউটার চালানো শিখিয়ে, মাঝে মাঝে বাইরে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে শিশুদের স্বাভাবিক জীবন দেয়ার চেষ্টা করছে।

কি, আমাকে পাগল মনে হচ্ছে? শুনেছেন নাকি এমন ভয়ংকর অপরাধীর কথা কোনদিন? কোনদিন না শুনলেও আজ শুনবেন। আজ এমনই এক ভয়ংকর যাদুকরের কথা আপনাদের বলবো। আরিয়ান আরিফ নামে এক যুবক স্বপ্ন দেখেছিলেন পথকলি শিশুদের জীবন পালটে দেয়ার। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন পথকলি শিশুরা আর রাস্তায় টোকাই হয়ে ঘুরবে না। স্কুলে যাবে, লেখাপড়া করবে, সমাজের অন্য দশটা শিশুর মতো তারাও মানুষের মত মানুষ হবে।

সেই সূত্র ধরেই তিনি গত ২০১৩ সালের জানুয়ারী মাসে তার ফেইসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন যে তিনি ঢাকায় যেসব পথকলি শিশু আছে তাদের জন্য একটি স্কুল শুরু করতে চান। সেই থেকে শুরু। এরপর থেকে উনার মতই কিছু মাথা পাগলা তরুণ-তরুণী তার এই মহৎ উদ্যোগে সাথি হতে তার সাথে যোগ দিয়ে "মজার ইশকুল" নামে একটি স্কুল গড়ে তোলেন।

এই স্কুল যাত্রা শুরু করে ১০ জানুয়ারী ২০১৩ তারিখে। ৩ জন স্বেচ্ছাসেবি শিক্ষক আর ১৩ জন পথকলি শিশুকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই স্কুলটি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ১৫ জন শিক্ষক আর প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর একটি প্রতিষ্ঠিত স্কুলে পরিণত হয় এই মজার ইশকুল। দুটি স্থায়ী স্কুল ঘর আছে তাদের। একটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লালন চর্চা কেন্দ্রে, অপরটি আগারগাঁওয়ের ভাড়া করা একটি বাসায়। এছাড়াও কমলাপুরে রয়েছে তাদের একটি অস্থায়ী ক্লাসরুম। সপ্তাহে ৫ দিন দিনে তিনটি ভাগে সময় ভাগ করে তিন জায়গাতেই ক্লাস নেন এই স্বেচ্ছাসেবি তরুণ-তরুণীরা। পরবর্তিতে তারা মজার ইশকুলকে তাদের মূল এনজিও "অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন" এর উদ্যোগ বলে সরকারিভাবে নিবন্ধিত করেন। নিবন্ধন নং এস-১২০৫৫।

তাদের ফেইসবুক পেইজে গেলে দেখা যায় বিভিন্ন মজার মজার ঘটনার ছবি। তারা শিশুদের কিভাবে পড়ায়, কিভাবে শপথ বাক্য পাঠ করায়, কিভাবে মানুষ বানানোর চেষ্টায় দিনরাত শ্রম দিয়ে যাচ্ছে তার বাস্তব চিত্র পাওয়া যায় এই পেইজে। শুধুমাত্র এই স্কুল দিয়েই তারা তাদের স্বপ্নকে সীমাবদ্ধ করে রাখননি। ঢাকায় যেসব পথকলি শিশু রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতো তাদের একটি স্থায়ী ঠিকানা দেয়ার জন্য, একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন দেয়ার জন্য তারা তাদের এনজিও'র উদ্যোগে সেই শিশুদের তাদের কাছে এনে একটি বাসায় আশ্রয় দেন।

প্রথমে তাদের সংগঠনের ২০-২৫ জন স্বেচ্ছাসেবি ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে এসব শিশুদের অনুসন্ধান করেন। কোন শিশুকে একই জায়গায় দীর্ঘদিন অবস্থান করতে দেখলে তারা সেই শিশুর সাথে গিয়ে কথা বলেন। তাদের সমস্যা জানার চেষ্টা করেন। এরপরে সেই শিশুদের তাদের সেল্টারে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। শিশুরা আসতে রাজি হলে তবেই তাদের ফাউন্ডেশনের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের সম্পূর্ণ একটি প্রোফাইল বানানো হয়। তাদের বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড করে রাখা হয়। এরপর থেকে সেই শিশুটির যাবতীয় দেখাশুনার দায়িত্ব নেয় এই ফাউন্ডেশন।
 
এখানে শিশুরা কি করে? শিশুরা ঐখানে পড়ে, সারাদিন কম্পিউটারে বিভিন্ন মজা মজার জিনিস শিখে, কম্পিউটার কম্পোজ করা শিখে। তাদের খেলাধুলা করার জন্য আছে বিভিন্ন খেলার সরঞ্জাম। সারাদিন এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকে শিশুরা। মাঝে মাঝে তাদের নিয়ে বাইরে বেড়াতে যায় ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। যেসব শিশুরা বড় বড় রেস্টুরেন্টের বাইরে দাঁড়িয়ে শুধুই আফসোস করতো, স্বপ্ন দেখতো একদিন ঐসব রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়ার, একদিন হঠাৎ এমন শিশুদের স্বপ্ন পূরণের দিন আসলো। ৩৬৫ জন পথকলি শিশুকে নিয়ে 'স্টার কাবাব' নামে একটি রেস্টুরেন্টে ঢুকে যায় মজার ইশকুলের সদস্যরা। এসির বাতাসে বসে ভরপেট মাংশ পোলাও খেয়েছিল সেই শিশুরা। খাওয়ার মাঝে মাঝে টিভিতে সিসিমপুরের কার্টুনও দেখানো হয় তাদের। শিশুদের মুখে তখন স্বপ্ন সত্যি হবার এক অন্যরকম আনন্দ। হাসপাতালের বারান্দায় পরে থাকা অসুস্থ শিশুদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে একটু হাসি ফুটাতে চেয়েছিল এই স্বেচ্ছাসেবিরা।

শিশুদের নিয়ে বড় গাড়ি ভাড়া করে গিয়েছিল আনন্দ ভ্রমণে। সভ্য সমাজের শিশুরা যা খুব সহজেই পেয়ে যায়, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো শিশুদের কাছে তা শুধুই স্বপ্ন। আর সেই সব স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিয়ে শিশুদের মুখে হাসি ফোটানো ছিল এই পাগল তরুণ-তরুণীদের মূল উদ্দেশ্য।

আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আজ হঠাৎ এদের কথা বলতে বসেছি কেন? উত্তরটা শুনলে হয়তো আপনাদের আর মানুষের বিবেকবোধ, বিচারবোধের উপর আস্থা থাকবে না। হ্যাঁ, আমি ঠিকই বলছি। গত ১২ সেপ্টেম্বর এমনই কিছু একটা ঘটেছে এই তরুণ স্বেচ্ছাসেবিদের কপালে। শিশু পাচারকারী অপবাদ দিয়ে এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আরিয়ান আরিফ সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ প্রমাণিত হবার আগেই তাদের ছবি তুলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে তাদের শিশু পাচারকারী খেতাব দিয়ে প্রচার করা হয়েছে।

সেই পোষ্টে বলা হয়েছে তাদের গ্রেফতারের পর নাকি তারা স্বীকার করেছে তারা শিশু পাচারকারী দলের সদস্য। এখানেই পুলিশ ক্ষান্ত থাকেনি। আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছে এরা অভিনব কায়দায় শিশুদের অপহরণ করে পাচার করে। তাই এরা ভয়ংকর অপরাধী। এদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। মাননীয় আদালতও তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। কিছু অসহায় শিশুর মুখে হাসি ফোটানো স্বেচ্ছাসেবিরা আজ রিমান্ডে পুলিশের নির্যাতন ভোগ করছে। তাদের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে তাদের বড় বড় সন্ত্রাসী, জঙ্গী, অপরাধীর মত টেনে টেনে নিয়ে জেলে ঢুকানো হয়েছে, ছবি তোলা হচ্ছে, মিডিয়াতে মশলা মাখিয়ে খবর প্রচার করা হচ্ছে।

গ্রেফতারকৃত ৪ জনের বন্ধু-বান্ধবরা অভিযোগ করেছেন গ্রেফতারের দিন রাতের বেলা পুলিশের দাবি করা ৬ লাখ টাকা না দেয়ায় এদের ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ। এমন অভিযোগের কোন প্রমাণ না থাকলেও পুলিশের বর্তমান কর্মকান্ড এমন অভিযোগের সত্যতার দিকেই ইঙ্গিত করে। না হলে তারা নিবন্ধিত একটি সংগঠনের প্রতি এতো অপরাধীসুলভ আচরণের উদ্দেশ্য কি? যেখানে এই সংগঠনটির কাজের সকল তথ্য তাদের ফেইসবুক পেইজে প্রতিনিয়ত আপলোড হচ্ছে, আছে প্রতিটি শিশুকে নিয়ে কাজ করার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ, আছে দালিলিক প্রমাণ, তাহলে কিসের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের পাচারকারী প্রমাণ করতে চাইছে? প্রতিটি শিশুকে তারা গ্রহণ করার পরে শিশুদের স্বেচ্ছায় স্কুলে আসার স্বীকারোক্তি নিয়ে ভিডিও ফুটেজ তৈরি করে। সেই প্রমাণও আছে পুলিশের কাছে? তাহলে কেন পুলিশের এতো আক্রোশ?

সারা বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণ-তরুণী টিভিতে এই খবর দেখে বিস্মিত হয়ে যেখানে প্রশ্ন করছে এতো ভাল মানুষগুলোকে এভাবে ফাঁসানো হচ্ছে কেন, সেখানে পুলিশ বলছে গ্রেফতারকৃতরা অভিনব কায়দায় শিশু পাচার করে। তাদের একটি সংঘবদ্ধ দল আছে। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে কেন শুধু এই চারজনের মাঝেই পুলিশ আটকে আছে? কেন পুরো দলকে গ্রেফতার করছে না? যেখানে এই সংগঠনের প্রতিটি সদস্য থানা এবং আদালতে প্রতিদিনই আসা যাওয়া করছে এবং নিজের মুখেই বলছে তারা এই সংগঠনের সদস্য। তারা পুরো ঢাকা শহর ঘুরে কিভাবে এই শিশুদের সংগ্রহ করে তার বর্ণনা প্রতিটি জায়গায় তারা দিয়ে যাচ্ছে। তারা নিজেরাই বলছে এই চারজন যদি অপরাধী হয় তাহলে আমরাও অপরাধী। এদের এই সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ প্রায় প্রতিটি জায়গায় আছে, তাহলে কেন আক্রোশ শুধু এই চারজনের প্রতি?
 
পুলিশ যেসব শিশুদের ঐ বাসা থেকে উদ্ধার করেছে বলছে সেই শিশুদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা আরিয়ানের সাথেই তার স্কুলে থাকতে চায়। তারা রাস্তায় বা অন্য কোথাও যেতে চায় না। তারা বাড়ি ফিরে যেতে চায় না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একটি শিশুর বাবা আরিয়ানদের গ্রেফতারের খবর শুনে ছুটে এসেছিলেন। তিনি বলেছেন "আমি স্যারদের মুক্তি চাই। এরা খুব ভাল মানুষ। আরিফ স্যার ও জাকিয়া ম্যাডাম আমার ছেলেরে নিয়া গত নয় মাসে দুইবার আমার বাড়িতে গেছেন। আপনারা এদের মুক্তির জন্য কিছু করেন।" যেখানে শিশু নির্যাতনের দায়ে ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় শাহদাত হোসেনের নামে মামলা হবার পরেও এতোদিনে পুলিশ তাকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করতে পারে না, সেখানে সমাজ সেবায় নিয়োজিত একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের তরুণ-তরুণীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়ে তারা কি প্রমাণ করতে চায়? তাদের জনসেবার সকল তথ্য প্রমাণ থাকা সত্বেও তাদের শিশু পাচারকারী সাজিয়ে পুলিশ কি দেখাতে চায়?

ভুল মানুষই করে। এই সংগঠনটিরও ভুল থাকতে পারে। হয়তো বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কিংবা প্রশাসনিক জটিলতার মাঝে না জড়িয়ে এরা নিজেদের মত করেই কিছু গৃহহীন পথকলি শিশুর জন্য কিছু একটা করতে চেয়েছিল। শিশুদের স্বপ্ন পূরণের মাধ্যম হতে চেয়েছিল। এতে যদি তাদের কোন ভুল বা অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে তাদের সাথে কথা বলে তাদের সেটা শোধরানোর সুযোগ দেয়া যেত। সেটা না করে তাদের ভয়ংকর অপরাধী সাজিয়ে জেলে ঢোকানো হয়েছে, রিমান্ডে নেয়া হয়েছে! কেন?

আপাতত যতোটুকু চোখের সামনে আছে তাতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে একটি সামান্য ঘটনাকে পুলিশ ইচ্ছে করেই অপরাধের পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ কি অপরাধ করছে না? এভাবে গ্রেফতারের পরে ভাল মানুষদের নামে মিথ্যা স্বীকারোক্তির কথা প্রচার করে পুলিশ কি তাদের অতীতের সত্য এবং ভাল ঘটনাগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেনা?

একদল তরুণ-তরুণীর সুন্দর ভবিষ্যৎ কি নষ্ট করছে না? আমি শুধু এইটুকুই বলতে চাই, সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে পুলিশের উচিত ভুল স্বীকার করে নিয়ে এই ঘটনাকে এখানেই শেষ করে দেয়া। মামলা তুলে নেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হোক। ভুল স্বীকার করলে কেউ ছোট হয়ে যায় না। বরং স্বীকার করা মানুষটার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা আরো বেড়ে যায়। তা না হলে আমাদের দেশে সাধারণ মানুষের মনে যে ছিটেফোঁটা বিশ্বাসও পুলিশের প্রতি আছে সেটাও আর থাকবে না।

মহামান্য আদালতের কাছে বিনীত প্রার্থনা, এই ঘটনার সঠিক তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে ন্যায় বিচার করুন। না হলে হয়তো বিচার ব্যবস্থার প্রতিও মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। দুস্থ মানুষের সেবায় আর কেউ এগিয়ে আসার উৎসাহ পাবে না। সমাজ আরো নিচের দিকে ধাবিত হবে। যেখানে অপরাধ করেও অপরাধীরা আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে, সেখানে সমাজের কল্যাণ করতে গিয়ে কাউকে যদি অপরাধী সাজতে হয় তাহলে হয়তো একদিন মানুষ উপকার না করে বরং অপরাধ করার প্রতিই বেশি আসক্ত হবে।

দেবজ্যোতি দেবু, সংস্কৃতি কর্মি, অনলাইন এক্টিভিস্ট

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ