আজ শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫

Advertise

এনজিও আর ফটোসেশনের ডিপ্লোম্যাসি: রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘কথা-শিল্পীর’ বাগাড়ম্বর

এনামুল হক এনাম  

এই যে আমরা একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ পেয়েছি, যার প্রধান এক নোবেল-বিজয়ী, ‘কথা-শিল্পী’, এটিকে কোনো সাধারণ ঘটনা বলে মনে করবেন না। এ আমাদের জন্য নিয়তির লেখা একটি নিদারুণ ট্র্যাজিক কমেডি, যা আজকাল হাস্যরসের আবরণে ঢেকে এসেছে প্রায়।

আমরা শুনেছিলাম, জুলাই অভ্যুত্থান নামক এক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে (পড়ুন মেটিক্যুলাস প্লান, শব্দটি ঐদিনই আমি প্রথম শুনেছি), যেখানে ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম, এবার আমাদের নোবেল-বিজয়ী মসিহা, ড. মুহাম্মদ ইউনূস পেয়েছি, যাঁর হাত ধরে একদিন দুনিয়ার সকল দরিদ্র ভুখানাঙ্গা নারী-পুরুষ ‘আকাশকুসুম’ স্বপ্ন দেখতে শিখেছিল, তিনি এসে জাতির পিঠে জমে থাকা দীর্ঘদিনের পুঁজ পরিষ্কার করবেন, সার্জারি করবেন, ভাল এন্টিবায়োটিক দিবেন, মেরুদণ্ড সোজা করবেন।
সবাই আমাকে দোষারোপ করেন আমি সবকিছু নিয়ে স্যাটায়ার করি, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে হাস্যকর বানিয়ে ফেলি। আচ্ছা, সিরিয়াস হয়েও যদি কয়েক লাইন লিখি, আদতে প্রায়োরিটি বেসিসে কী কী করার কথা ছিল ইউনূস স্যারের? প্রথমে, দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া, সিস্টেমকে ঢেলে সাজানো। তারপর? ফ্যাসিস্ট সরকার যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রায় ধ্বংস করে গেছে, তাকে পুনর্গঠন করা। সবশেষে, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, এবং নির্বাচন সম্পন্ন করা। ও হ্যাঁ, “আইনের শাসন” এর কথা মাঝে বলে ফেলেছি, এই ধরণের শব্দ আজকাল ব্যবহার করি না, যা শেষ কবে ছিল, তা বোধহয় ইতিহাসবিদেরাও ভুলে গেছেন।

কিন্তু বাস্তবতা বড় নির্মম, বড় হাস্যকর! আমাদের ‘প্রধান উপদেষ্টা’ স্যার এখন এই সব ‘তুচ্ছ’ গার্হস্থ্য কাজ ফেলে উড়ে বেড়াচ্ছেন বিশ্বজুড়ে, যেন কোনো ‘এনজিও কর্পোরেট’ ট্যুরে বেরিয়েছেন, অদ্ভুত হলেও সত্য, গত চৌদ্দ মাসে তিনি চৌদ্দ বার দেশের বাইরে ট্যুরেই ছিলেন। তিনি কথা বলেন, আর সেই কথাগুলো শুনে বিশ্ববাসী মুগ্ধ হয়। এনজিও-ব্যক্তিরা এমনই হয়, কথায় তাদের যত জোর, কাজে ততটাই ফাঁকি (আমি বলিনি, দুর্জনরা বলে)। আর আমাদের স্যার তো এই দলেরই ‘আচার্য’। তিনি কথা বলেন, আর সেই কথাগুলো এতই সুমিষ্ট, এতই গুছানো যে, মনে হয় যেন, দরিদ্রতাও বুঝি তাঁর কথা শুনে লজ্জা পেয়ে পালিয়ে যাবে। কিন্তু দেশের ভেতরের অবস্থা কী? ওসব নিয়ে তাঁর কি আর ভাববার ফুরসত আছে? তিনি তো এখন ‘আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’-এর গোলকধাঁধায় হারিয়ে যাওয়া এক নিপাট ভদ্রলোক।

তাঁর সর্বশেষ ‘রোমাঞ্চকর’ রোম-যাত্রাটি ধরুন! রোমে গিয়ে তিনি কী করলেন? শুনলাম, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার সঙ্গে নাকি বৈঠক করেছেন। ছবি দেখে মনে হলো, দুই পুরনো বন্ধুর পথে দেখা, একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেস করছে, “ভাই, তোর বাসায় যামু কিন্তু, বাচ্চাকাচ্চা কেমন আছে?” ফলপ্রসূ আলোচনার ছিটেফোঁটাও সেখানে ছিল না। বরং, আসল খবর হলো, ইউনূস স্যার জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি-সম্বলিত ‘Art of Triumph’ নামের এক সংকলন গ্রন্থ লুলা’র হাতে গুঁজে দিয়েছেন!
দেড় বছর ধরে এই ভদ্রলোক কুমিরের বাচ্চা দেখানোর মত এই সংকলন গ্রন্থ বিলিয়ে বেড়াচ্ছেন, যেন এটি কোনো ‘এনজিও-প্রোডাক্ট’ যা ‘বিক্রি’ করতে পারলেই তাঁর ক্ষমতা গ্রহণের ‘বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা’ নিশ্চিত হবে। বই বিতরণ কোনো রাষ্ট্রীয় কাজ হলো, না ব্যক্তিগত প্রচারণা? একজন সরকারপ্রধান কি তাঁর ব্যক্তিগত প্রজেক্টের প্রচারক? মনে হচ্ছে, রাষ্ট্র এখন তাঁর এনজিও’র ‘শাখা-কার্যালয়’ মাত্র।

মারাত্মক কৌতুকটি যেন তাঁর রোম সফর। গেলেন ‘বিশ্ব খাদ্য ফোরাম’-এ, যেখানে এর আগে নাকি কেবল লাইবেরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান গিয়েছিলেন। অর্থাৎ, ইতিহাসে ইউনূস দ্বিতীয় সরকারপ্রধান, যিনি এমন এক ‘এনজিও-ধর্মী’ আয়োজনের অতিথি। কিন্তু আয়োজকদের ‘আতিথেয়তা’ দেখে মনে হলো, তাঁরা নিজেরাই ভুলে গিয়েছিল যে, ইউনূস নামের একজন ‘সরকারপ্রধান’ আসছে! বিমানবন্দরে ইতালির সরকার তো দূরের কথা, ফোরামের একজন কর্মচারীও ছিল না স্বাগত জানাতে। ভাবখানা এমন, আহা, এনজিও’র লোক এসেছেন, উনি নিজেই ম্যানেজ করে নেবেন।

দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান, যা কিনা এক রাষ্ট্রীয় প্রতীক, তিনি গেলেন রোমের মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে! মেয়র এলেন না তাঁর কাছে, বরং ইনি গেলেন মেয়রের দপ্তরে! এটা কি রাষ্ট্রনীতি, না কোনো ‘ব্যক্তিগত জনসংযোগ প্রচারণা’? একজন জিবুতির প্রধানমন্ত্রী যদি ঢাকায় এসে আমাদের সিটি মেয়রের অফিসে গিয়ে ছবি তুলে বলতেন, ‘মেয়র অব ঢাকা মিটস প্রাইম মিনিস্টার অব জিবুতি!’, আমাদের কেমন লাগত? এই হলো আমাদের ‘নোবেল-মর্যাদা’! প্রোটোকল নয়, এই ঘটনা রাষ্ট্রের প্রতীকী সম্মানকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। ইউনূস সাহেব হয়তো মনে করেন, গ্রামীণ ট্রাস্টের সফর আর রাষ্ট্রীয় সফর একই জিনিস!

ছবিতে দেখলাম, রোমের মেয়র একাকী এক সোফায় বসে আছেন, আর ইউনূস সাহেব দুই আসনের সোফায় অন্য একজনের পাশে। এ কেমন বসার ভঙ্গি? একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যও হয়তো এমনভাবে বসতেন না! অথচ আমরা এতদিন শুনে এসেছি, দুনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা নাকি তাঁর হাত মেলাতে লাইনে দাঁড়ান। এখন দেখা যাচ্ছে, তিনি ‘বিশ্বনেতা’ নন, বরং ‘বিশ্বনেতৃত্বের পর্যবেক্ষক’ হিসেবেই গ্রহণযোগ্য। এই যে বিদেশ-বিভূঁইয়ে রাষ্ট্রের সম্মানকে এভাবে নামিয়ে আনা, এ তো কেবল কৌতুক নয়, এ এক রাজনৈতিক ‘ট্র্যাজেডি’।

এরপর ধরুন জিবুতির প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা! জিবুতি!!, হ্যাঁ, আফ্রিকার এই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটি, যার অর্থনীতি দুর্বল, যেখানে কৃষি নেই বললেই চলে, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা কী এমন দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের আলোচনা করলেন? যে দেশের জনসংখ্যাই হলো মাত্র ১১ লক্ষ ৬৯ হাজার। দেশ না বলে আপনি মাইক্রোনেশন বলতে পারেন। মোটামুটি আমাদের একটা মাঝারি ধরনের উপজেলায়ও এর থেকে বেশি লোক বসবাস করে। আর বাংলাদেশ!! ১৭ কোটি মানুষের দেশ, যার শিল্প-কৃষি-রেমিট্যান্সের ভিত্তি মজবুত, সে জিবুতি থেকে কী নেবে? মাছ, নাকি মরুভূমির বাতাস? এই সফর রাষ্ট্রের স্বার্থে ছিল না, ছিল ড. ইউনূসের দীর্ঘদিনের ‘এনজিও নেটওয়ার্ক’ সম্প্রসারণের এক নিদারুণ প্রয়াস। অবশ্য মিডিয়া মারফত জানতে পেরেছি, ইউনূস স্যার এই বৈঠকেও ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কথা বলেছেন। হয়তো শীঘ্রই গ্রামীণ ব্যাংক তাদের শাখা খুলবে জিবুতিতে। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় অর্থে এনজিওর সফল প্রচারণা।

গ্রামীণ মডেলের পুরনো বিতর্ক নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। সুদের ফাঁদে পড়া দরিদ্র নারী, ঋণের চক্রে আটকে থাকা পরিবার, এসব তো পুরনো ইতিহাস। এখন তিনি আফ্রিকার দরিদ্র দেশে এই মডেল ছড়িয়ে দিয়ে নিজের ‘এনজিও কর্পোরেট’ সাম্রাজ্যকে আরও বড় করতে চাইছেন। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হিসেবে তাঁর ম্যান্ডেট ছিল নির্বাচন, সংস্কার, আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। তিনি সেটা না করে বিদেশ সফরকে বানিয়েছেন আত্মপ্রচার ও পুরনো নেটওয়ার্ক পুনরুজ্জীবনের মঞ্চ।

দেশের জনগণ এখন চায় প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ, আর অর্থনৈতিক স্থিতি। সেখানে ‘জিবুতি সফর’-এর কথা শুনে মানুষ কেবলই হাসে। এ যেন দেশের বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এক এনজিও-প্রধানের ‘আত্মতুষ্টির’ অভিযান।

এনজিও, সেলফি ডিপ্লোম্যাসি আর রাষ্ট্র পরিচালনা এক জিনিস নয়, এই তফাৎটা যদি তিনি না বোঝেন, তবে এই তামাশা চলবে আরও দীর্ঘ। শুধু তিনি হাসবেন না, হাসবে পুরো জাতি, এক নিদারুণ কৌতুক দেখতে দেখতে, যা কিনা আমাদেরই বানানো এক মঞ্চে অভিনীত হচ্ছে। একসময় বলা হতো, ইউনূস বিশ্বকে শেখাবেন দরিদ্রতার মুক্তির পথ। এখন মনে হয়, তিনি নিজেই হারিয়ে গেছেন ‘স্ব-প্রচারণার’ গোলকধাঁধায়। এভাবেই রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব চাপা পড়ে যায় এক ‘কথা-শিল্পীর’ বাগাড়ম্বরের নিচে।

আমি কোনো ধৃষ্টতা দেখাতে চাই না, ড. ইউনূস স্যার আমারও পছন্দের লোক। স্যারকে ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভালবাসি এবং খুবই শ্রদ্ধা করি। আর ভালবাসি বলেই মাঝেমধ্যে সমালোচনা করি, অনুজ হিসেবেই করি। তিনি যখন এই দেশের ‘ভার’ কাঁধে তুলে নিলেন, তখন আমাদের চোখেও তো কম স্বপ্ন ছিল না! আমরা তো নির্ভেজাল আবেগে বুক বেঁধেছিলাম, যাক, শেষমেশ একজন যোগ্য, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, নোবেল-জেতা ‘আকাশের চাঁদ’ আমাদের কপালে জুটল! মনে পড়ে? আমার সেইসব বন্ধু-বান্ধবদের কথা, যারা ফেসবুকে গলা ফাটিয়ে স্ট্যাটাস দিত: "নির্বাচন চাই না, পাঁচ বছর ইউনূস স্যারকেই ক্ষমতায় চাই!"

সেই ‘আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা’ আজ কোথায়, স্যার?

দেড় বছরের ব্যবধানে আপনি নিজেই প্রমাণ করলেন, স্বপ্ন আর বাস্তবতার মধ্যে শুধু একটা নোবেল পুরস্কারের দূরত্ব। আমরা চেয়েছিলাম একজন রাষ্ট্রনায়ক, যিনি বিধ্বস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে মেরামত করবেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। কিন্তু আমরা পেলাম একজন ‘বিশ্ব পর্যটক’, যিনি রাষ্ট্রীয় অর্থ ও মর্যাদা ব্যবহার করে তাঁর পুরনো ‘এনজিও কর্পোরেট’ সাম্রাজ্যের জন্য নতুন শাখা অফিস খুলতে জিবুতিতে পাড়ি জমাবেন। তিনি প্রমাণ করলেন, ক্ষমতার মসনদ আর গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডরুমের মধ্যে পার্থক্য তিনি আজও ধরতে পারেননি।

আমাদের সেই স্বপ্নগুলো এখন কেবলই এক তিক্ত কৌতুক। জনগণ এখন দেখছে, দেশ চালানোর চেয়ে নিজের ‘বৈশ্বিক ব্র্যান্ডিং’-এর কাজটাই স্যারের কাছে বেশি জরুরি। এটাই যদি হয় আমাদের ‘আচার্য’-এর আসল রূপ, তবে প্রশ্ন জাগে: আমরা আসলে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছি, নাকি কেবল একজন ‘আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ম্যানেজারের’ ক্ষমতা গ্রহণের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে জাতি এখন ক্লান্ত, আর আমাদের প্রিয় নোবেল-বিজয়ী তখন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে উপহার দিচ্ছেন জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি সংকলন! এটাই হলো আমাদের রাজনৈতিক নিয়তি, গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে অকিঞ্চিৎকর কাজে মজে থাকার এক নিদারুণ ট্র্যাজেডি, যা সুন্দর, সুমিষ্ট কথায় মোড়ানো।

এনামুল হক এনাম, কলামিস্ট, সাহিত্যিক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অধ্যাপক ডা. শেখ মো. নাজমুল হাসান ২৭ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭২ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৫২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৪ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৮ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১১১ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. নাদিম মাহমুদ ৩৭ ড. মাহরুফ চৌধুরী ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪৫ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩২ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪৩ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯৪ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ৩৩ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ