টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
জুয়েল রাজ | ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
আবুল সরকারের গ্রেপ্তার নিয়ে শিল্প-সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট অনেকেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদ কার কাছে? কী উদ্দেশ্যে আমি জানি না। বাউল আবুল সরকার তো শেষ নয়, বাংলাদেশে শুধু বাউল নয়, কোন সংস্কৃতিই অবশিষ্ট থাকবে না।
আবুল সরকার তো প্রথম নয়, এর আগেও টেস্ট কেইস হিসাবে বহু বাউলের ওপর হামলা হয়েছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনকি বিশ্ববরেণ্য সংগীতজ্ঞ আলাউদ্দিন খাঁ'র বাড়ি মিউজিয়াম আক্রান্ত হয়েছে। আমরা কিছুই করতে পারিনি। এমনকি প্রচন্ড প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ সরকারও তখন কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি।
কারণ তারা ধরে নিয়েছিল, ধর্মীয় গোষ্ঠীর সাথে তারা আঁতাত করে বিরোধী রাজনীতির সাথে রাজনীতি খেলবে। কিন্তু দিন শেষে ধর্মীয় গোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে খেলে দিয়েছে। এবং সেই শুরুর সময় থেকে আমাদের অনেকেই বলে আসছি, এই উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি কৃষ্টি সংস্কৃতিকে ধারণ করে না। প্রগতিশীল বাংলাদেশকে ধারণ করে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও এই উগ্র ধারায় আকৃষ্ট একটা অংশ ছিল, যারা এই গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেটা বুঝে না বুঝে অথবা পরিকল্পনার অংশ হিসাবে। রাষ্ট্রব্যবস্থায় আশকারা দিয়ে উগ্রগোষ্ঠীর মাটি মজবুত করতে সাহায্য করেছেন। ২০২০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একইভাবে পালাগানের আসরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বাউলশিল্পী রিতা দেওয়ান। একই বছর আবুল সরকারের মতো শরিয়ত সরকার নামের আরেক বয়াতিকে ইসলামকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।।
এবার আসি বর্তমান সরকার পরবর্তী সময়ে গত বছরের ২৫ নভেম্বর যশোরে বাউলশিল্পীদের দুই দিনব্যাপী সাধুসংঘের বাউলগানের আসর ভণ্ডুল করা হয়। (ইত্তেফাক, ২৬ নভেম্বর ২০২৪)। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বাউলগানের আসর বন্ধ করে সেখান থেকে বাদ্যযন্ত্র জব্দ করে পুলিশ। (দ্য ডেইলি স্টার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫)। পরের মাসেই মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে প্রয়াত বাউলশিল্পী রশিদ সরকারের ‘সাধুর মেলা’ স্থানীয় লোকজনের বাধায় পণ্ড করা হয়েছে। (বিডিনিউজ, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)
শুধু বাউল গান নয়, কোন ধরনের কনসার্টই কোথাও হতে দেয়া হচ্ছে না। নানা কারণে একের পর এক কনসার্ট বাতিল ঘোষণা হচ্ছে, ছোট ছোট কনসার্টগুলোতেও মই বেয়ে দেয়াল টপকে শিল্পীদের পালাতে হচ্ছে আত্মরক্ষায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কাওয়ালী গাওয়া হচ্ছে, পাকিস্তান থেকে শিল্পী এনে কনসার্ট হচ্ছে। এর বাইরে কোন সংস্কৃতি নেই। মঞ্চের চলমান নাটক থামিয়ে দিয়ে নাটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেন? এই প্রশ্ন কেউ করছে না। কারণ উত্তর সবার জানা। আর জানা বলেই কেউ সাহস করে ভাসুরের নাম মুখে নিচ্ছে না।
বাউল পীর ফকির, সাধুসন্তুদের কাজ কী? এরা কি রাজনীতি করেন? রাষ্ট্রক্ষমতার অংশ হতে চান? মসজিদ কমিটি নিয়ে, মন্দির কমিটি নিয়ে, এসবের অনুদান দিয়ে, ফান্ড নিয়ে মারামারি করেন? মেধা বা কোটার মাধ্যমে সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন? কোন টেলিভিশন, পত্রিকার অফিস দখল করেন? রাষ্ট্র মেরামতের নামে কোটি কোটি টাকার গাড়ি চড়ে ফাইভ স্টার হোটেলে হাঁসের মাংস দিয়ে ডিনার করতে যান? এর কোনটাই করেন না। এরা এই বৃত্তের বাইরের মানুষ। কিন্তু তবু এরাই কেন আক্রান্ত হন? এই বাউল সাধক, পীর ফকির সন্ন্যাসী সন্ত এরা মূলত কী করেন?
আমি সিলেট অঞ্চলের মানুষ। সৈয়দ শাহ নূর, শেখ ভানু, রাধারমণ, শিতালং শাহ, দ্বীনহীন, দূরবীন শাহ, হাসন রাজা, প্রতাপ, বাউল করিম, কারী আমির উদ্দীনের মাটি হাওয়া জলের সাথে আমার রক্তের উত্তরাধিকার আছে। এদের নাম মানুষ জানে বাউল গান হিসাবে এরা ধর্মের বাণী প্রচার করে না। মূলত সংগীতের মাধ্যমে মানুষের ভেতরের প্রেম, মানবিকতা, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব, বন্ধনকে সুদৃঢ় করেন।
আরেক দিকে আছে হাজার হাজার মাজার শরীফ, খানকা শরীফ নানা আস্তানা। এই দেশে লালসালুর মজিদরা যেমন আছে সত্যি, তেমনি ধর্মের চেয়ে টুপিও অনেক বেশি সেটিও সত্যি। কিন্তু এই বয়াতি, বাউলরা ধর্মবিরোধী মানুষ নন। তারা নাস্তিকতার প্রচারণা করেন এমন উদাহরণ কোথাও নেই। তবুও তাদের রক্ষা নেই। কারণ তারা গানে, পালায়, কবি গানে মানুষকে ভাবনার খোরাক দেয়, প্রশ্নের জন্ম দেয়, ধর্মীয় বিভাজন ভুলে, এক মানবিক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখায়। সবার উপরে মানুষ সত্য এই বাণীই তাদের মূল মন্ত্র।
সিলেটের খুব জনপ্রিয় একটি গান আছে, দেশে বিদেশে গীত হয় এই গানটি সিলেটের জাতীয় সংগীতের মতো। প্রথম লাইনটা শুরু হয়- আমার এক কিনারে শাহ জালাল আরেক কিনারে নিমাই চাঁদ, নদীর নামটি সুরমা সিলট জেলা নাম। অন্তরায় লিখেছেন কান্দিয়া যেই মাটিতে ঘুমায় হাছন রাজা, যার কান্দনে আইজো কান্দে রাইতের চন্দ্র তারা, কান্দে আরকুম শিতালং শাহ, কান্দে রাধারমণ রে, বাবা শাহ জলালের দেশ সিলট ভূমিরে... এই যে বন্ধন নিমাই চাঁদ হচ্ছেন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু। এই মিলন এই সম্প্রতির মালা গাঁথেন এরা। তাহলে, এই প্রেম প্রীতি ভালবাসায় সমস্যা কোথায়? এই প্রশ্নটা আসা অতি স্বাভাবিক। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে এসব মব-হামলা দেশব্যাপী ধর্মীয় সহাবস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যবিরোধী শক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশ, ধর্মান্ধতা ও সংখ্যাগুরুতান্ত্রিক অসহিষ্ণুতার বিপজ্জনক বিস্তৃতির উদ্বেগজনক উদাহরণ।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে টিআইবি অভিযোগ করেছে, বাউলদের ওপর প্রকাশ্য হামলা চলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় ছিল এবং সরকারও ঘটনার বিষয়ে নীরবতা বজায় রেখেছে। এ অবস্থান আইনের শাসন, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকারকে পদদলিত করছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত উত্তেজনাকর কর্মকাণ্ডও ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণের দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের মব স্বাধীনতার কারণে যে কথাগুলো আমরা বলতে পারি না, বা নানাভাবে ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে বলতে হয়, সেই কথা গুলো টিআইবি সুন্দর করে ছোট করে বলে দিয়েছে।
এই পরিকল্পিত আক্রমণের দৃষ্টান্ত পয়েন্টই হচ্ছে মূল বিষয়। বাংলাদেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত এই দেশকে বিধর্মীমুক্ত করা, সঙ্গে পীর-সুফি-বাউল-মাজার নির্মূল করে দেয়া। ইসকন এর মতো আশ্রম বা আখড়া নিষিদ্ধ করে দেয়াও এই দীর্ঘ পরিকল্পনারই অংশ। ইতোমধ্যে, পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদ ভারতে হামলার ছক বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে করেছেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম। শুধু তাই নয়, তাদের অভিযোগের তালিকা আরও দীর্ঘ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ৩২৬টি মাদ্রাসাকে এই অভিযানে সামিল করা হয়েছে। সেখানে বিশেষ প্রচার করে কয়েক হাজার ছাত্রকে জেহাদের পথে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অনেক মাদ্রাসায় নব্য জেহাদিদের প্রশিক্ষণ পর্বও শুরু হয়েছে। এই গোটা কর্মসূচির 'থিঙ্কট্যাঙ্ক' হচ্ছেন পাকিস্তানি উগ্র সংগঠনগুলোর নেতারা। আর এ কারণেই পাকিস্তানি উগ্রপন্থী ধর্মীয় নেতাদের ঘন ঘন বাংলাদেশ সফর করছেন, পাকিস্তান মারকাজি জমিয়ত আহলে হাদিস-এর সাধারণ সম্পাদক ইবতিসাম ইলাহি জহির এই সরকারের সময় দুইবার বাংলাদেশ সফরে এসে রাজশাহীসহ পুরো উত্তরবঙ্গ সফর করেছেন। জেহাদি পথে আসার দাওয়াত দিচ্ছেন সঙ্গে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা উচ্ছেদ করে শরিয়ত সম্মত খিলাফত প্রতিষ্ঠার কাজে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস আদান প্রদান হচ্ছে। ইবতেসাম জহিরের পরে পাকিস্তানের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান ঢাকা সফরে আসতে পারেনি ১৩ নভেম্বর। রাওয়ালপিন্ডির মারকাজুল নাদিমুল কোরান-এর প্রধান মুফতি সৈয়দ ফয়সাল নাদিম শাহের রাজশাহী আসার কথা ২ ডিসেম্বর। হারুন ইজহার কথিত লস্কর-ই-তৈয়বার বাংলাদেশ শাখার প্রধান, যিনি তার বিভিন্ন বক্তৃতায় স্বীকার করেছেন, সেনাবাহিনীর ভিতরের একটি অংশ কিভাবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনে তাদের সহায়তা করেছে। আর এর মূল নেটওয়ার্ক হচ্ছে জামায়াত ইসলামী। জামায়াত ইসলামীকে কেন্দ্র করেই সবকিছু আবর্তিত হচ্ছে। এবং মূল কলকাঠি নাড়ছে। বাংলাদেশ আগ্নেয়গিরির লাভার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। তাই জামায়াত দল হিসাবে নিজেদের একটা ভিন্ন ইমেজে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। কোনদিকে মোড় নিবে কেউ জানে না। মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ থাকবে নাকি ইসলামী শরিয়াভিত্তিক উগ্র ধর্মীয় শাসন থাকবে। জামায়াত ইসলামীর গঠনতন্ত্র আদর্শ ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। কিন্তু বাংলাদেশে তারা গণতান্ত্রিক রাজনীতির বয়ান দেয়। সরাসরি ঝুঁকি নিতে চায় না। তাই দুই ধরনের ব্যবস্থায়ই তারা কার্যক্রম চালু রেখেছে।
আর বাকি ছোট ছোট পকেটগুলোতে তাদের ইসলামী শাসন ব্যবস্থা বা ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠার পথে কখনো মাজার ভেঙে, মন্দির ভেঙে, বাউলদের মুখে চুনকালি মাখিয়ে, নাটক সিনেমা বন্ধ করে দিয়ে, কনসার্ট বন্ধ করে দিয়ে, ভিন্নমত মানেই আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে শায়েস্তা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গলায় পা দিয়ে বসে আছে। ইতোমধ্যে অনেক তথাকথিত ইসলামী নেতা আফগানিস্তান সফর করে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার মডেল দেখে আসছেন। এবং প্রকাশ্য গণমাধ্যমে বলেছেন, বাংলাদেশে কিভাবে তা প্রয়োগ করা যায় সেই জ্ঞান অর্জনের জন্য সফর করেছিলেন।
জামায়াত আপাতত স্বপ্ন দেখছে নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার। কারণ জামায়াত জানে বাংলাদেশে তাদের প্রতিপক্ষ বিএনপি বা বামদল গুলো নয়। তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। এর পীর ফকির বাউল, আউলিয়া, কবি শিল্পী, গায়ক লেখক এরা প্রেমের কথা বলে, বাঙালি জাতিসত্তার কথা বলে, বাঙালি সংস্কৃতি ও অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে। এই দেশের মানুষ এই দেশের মাটির মতো নরম কোমল। গানে কবিতায়, বারবার ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে এক মিলন মোহনায় মানুষকে মিলিয়ে দেয়। এই মিলনই মুক্তিযুদ্ধের উৎস বা চেতনা।
এদের কার্যকলাপ কোন না কোনভাবে আওয়ামী লীগের একাউন্টে জমা হয়ে যায়। তাই এই আক্রমণ আমরা খোলা চোখে ধর্মীয়ভাবে বিচার করি। মূলত এইসব রাজনৈতিক আক্রমণ। কোনভাবেই ধর্মীয় কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো ভারত উপমহাদেশের ইসলামের আগমন প্রচার প্রসারের মূল এই সুফি দরবেশ পীর ফকির ও তার অনুসারীরা। পুরো উপমহাদেশে যত সুফি দরবেশের নাম নেয়া যাবে, সেখানে একজন রাজনৈতিক বা তথাকথিত ইসলামী পণ্ডিতের নাম পাওয়া যাবে না যারা ধর্ম প্রচারে কাজ করেছেন। ধর্মীয় ইসলাম নয়, রাজনৈতিক ইসলাম সেই ধর্মীয় ইসলামকে বিনাশ করে। এক উগ্রবাদের জন্ম দিচ্ছে।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য