আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

পাকিস্তান ভাইরাস

মাসকাওয়াথ আহসান  

ধর্মকে জাতীয়তা বলে ভুল করা পাকিস্তান ভাইরাসের মূলে রয়েছে। পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের ভাষা-সংস্কৃতি আলাদা। তাদেরকে ধর্মের সুতোয় বাঁধা যায়নি। যে কারণে পাকিস্তানী জাতীয়তাবাদ বিকশিত হয়নি। সমাজের ভেতর নিজেরা নিজেদের সিন্ধি-বালুচ-পাঞ্জাবী-পাঠান-উর্দুভাষী হিসেবে বিভাজিত রেখেছে।

 
ভারত বিভাগ ভুল ছিলো এটি পাকিস্তানের সচেতন সমাজের অন্তিম স্বীকারোক্তি। কারণ ভারত-পাকিস্তান দ্বি-পাক্ষিক সম্মেলনগুলোতে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের লোক পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের লোকের সঙ্গেই মিথষ্ক্রিয়ায় আগ্রহী হয়;ধর্মের ভিত্তিতে আন্তঃব্যক্তিক মিথষ্ক্রিয়া কার্যকর নয়। যতটা কার্যকর নৈকট্য ভাষা ও সংস্কৃতির বন্ধনে থাকে। আর সমসাময়িক কথ্য হিন্দী-উর্দুর মাঝে পার্থক্য নেই।বলিউড কেবল তার বাজার তৈরীর জন্য এরকম একটি ভাষারীতি তৈরী করেছে এরকম একটি ন্যারেটিভ চালু আছে, তবে ভারতও পাকিস্তানের চলচ্চিত্র ভারতের বাজারে ঢুকতে দিয়েছে।

ভারতের টিভি শো পাকিস্তানে এবং পাকিস্তানের টিভি শো ভারতে প্রচার করে চ্যানেলগুলো যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। পাকিস্তানের অধিকাংশ টিভি দর্শক ভারতীয় চ্যানেল দেখে।ভারতীয় দর্শকরাও ইদানীং পাকিস্তানের চ্যানেলগুলো দেখে। বিনোদনের ক্ষেত্রে ভাষা-সাংস্কৃতিক নৈকট্যের কাছে ধর্মের বিভাজন টিকতে পারেনি। ফলে ভারত-পাকিস্তান শত্রুতার যে মিথ জারী রয়েছে তা সমসাময়িক বাস্তবতায় খুব কার্যকর মনে হয়না।
 
পাকিস্তানের সমাজের মূল সংকট শিক্ষা বিস্তার না হওয়া; সংস্কৃতি চর্চা দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকা।ফলে পাকিস্তানের সামগ্রিক বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটেনি। পাকিস্তানে বুদ্ধিজীবীর বেশ অভাব। ফলে  সমাজবিকাশের জন্য কোন বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব চোখে পড়েনা।
 
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সচেতন শ্রেণী প্রতিবাদী এবং সক্রিয় হলেও; সাধারণ মানুষের মাঝে সেনাবাহিনীর প্রতি একটি সমীহের প্রবণতা আছে। ফলে সেনাবাহিনী সবসময় একটি ‘ভীতিপ্রদ’ পেশী শক্তি হিসেবে নিজেকে দেখতে ও দেখাতে পছন্দ করে। ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে যে সেনা কর্মকর্তারা গণ-হত্যার কমান্ডে ছিলো; তাদের শাস্তি না হওয়ায়; পাকিস্তানে যা খুশী তা করার লাইসেন্স তারা পেয়ে যায়।একাত্তরের গণহত্যার বিষয়ে পাঞ্জাব প্রদেশের লোকেদের মাঝে ডিনাইয়াল খুব স্পষ্ট।যেহেতু গণহত্যায় পাঞ্জাবী অফিসারদেরই প্রধান ভূমিকা ছিলো।

পাঠ্য পুস্তকে এটিকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে চিত্রায়িত করা হলেও ডন পত্রিকা-জিওটিভি ক্রমশঃ সত্যটিকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। ততকালীন পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ (পশ্চিমপাকিস্তান) শাখার যে সদস্যরা ছিলেন, তাদের উত্তরসূরীরা ক্রমশঃ নাগরিক সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বে এসে যাওয়ায় তারা ৭১ এর সত্য সামনে নিয়ে আসে। ৭০’এরনির্বাচনে আওয়ামী লীগ স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় আওয়ামী লীগেরই পাকিস্তানের শাসনভারের দায়িত্ব পাওয়া যৌক্তিক ছিলো; এই সত্য এখন পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত।আর মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে ক্যানিবাল বিতর্কটি তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে প্রামাণিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অসাড় প্রমাণিত।

কিছুদিন আগে মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতিবাদ জানানোর সাহসিকতা দেখানো ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে নিঃগৃহীত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিয়েছে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালিদের বাঁচানো ছাড়াও সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী ও তাকে সমর্থন দেয়া বেলুচিস্তান ও ততকালীন উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের অন্যান্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের নেতাদের জীবন রক্ষা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো নিজের স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরীর পরেও।

শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতারা এই বিষয়গুলো জানেন। বঙ্গবন্ধুকে তার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর চলমান নির্যাতন বন্ধের জন্য ভুট্টোর সঙ্গে একটা কৌশলী সম্পর্ক তৈরী করতে হয়েছিলো।অবিমৃষ্য ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পাকিস্তানের বিমানে করে লিবিয়া পাঠানোসহ-বাংলাদেশে পাকিস্তান রচনার ষড়যন্ত্রে শামিল হয়েছিলেন। অথচ ঐ সময় তার প্রশ্রয় দেয়া জামাতের অনুসারী জেনারেল জিয়াউল হক ক্ষমতা দখল করে এবং ভুট্টোর ফাঁসি দেয়। এরপর ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টো সেনা শাসকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই শুরু করেন।বাংলাদেশে তখন সেনা শাসকের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের মুক্তির লড়াই লড়ছেন শেখ হাসিনা।দুজনের একটি রাজনৈতিক সখ্য তৈরী হয়। যে কারণে বেনজির ভুট্টো করাচীর বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারের দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর এক খুনীকে ডিপ্লোম্যাট হিসেবে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রম থেকে পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে সরিয়ে আনেন শেখ হাসিনা।
 
যে কারণে সাম্প্রতিক পাকিস্তান পিপলস পার্টির শাসনামলে; সেই ৭১ পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগের নেতাদের সন্তান, বেলুচিস্তান ও অন্যান্য প্রদেশে যারা বঙ্গবন্ধুর সমর্থক ছিলেন তাদের উত্তরসূরীদের নিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়।একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা শাহরিয়ার কবির এটি প্রতিষ্ঠায় সফল হন।  বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে জামাত ছাড়া অন্যদের নিষ্ক্রিয় রাখার জন্য এরা লবি করেছে নিয়মিত। অন্যদিকে শেখ হাসিনা উনার সাহজিক ক্যারিশম্যাটিক কূটনৈতিক ততপরতায় নওয়াজ শরীফকে নিষ্ক্রিয় থাকতে অনেকটা বাধ্য করেন।

যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক খালেদা জিয়ার সঙ্গে মক্কায় হজ্জ্বব্রত উদযাপনকালে দেখা করার মাশুল দিতে নওয়াজকে অন্ততঃ চারটি চিঠি লিখতে হয় শেখ হাসিনার কাছে। ফলে পাকিস্তানের সমসাময়িক রাজনৈতিক বৃত্তে শেখ হাসিনার সমর্থকের সংখ্যাই বেশী।শত্রু ঘুরে ফিরে সেই জামাত আর এর বাহুলগ্ন কিছু মুসলীম লীগ ও পিটি আই নেতা। ইমরান খানকে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার জন্য কাঁদাকাটিতে প্ররোচিত করেছে তার সহযোগী আসাদ উমর; যার পিতা ৭১-এর যুদ্ধাপরাধী সেনা কর্মকর্তা।
 
পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সমস্যা এর গোয়েন্দা সংস্থা। দেশটির ভেতরে-বাইরে এরা সমস্যা সৃষ্টি করে বেড়ায়। রাজনৈতিক প্রশাসন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে এগুলেই; গোয়েন্দা সংস্থা তা ভন্ডুল করে দেয়; জঙ্গীদের ব্যবহার করে ভারতে নাশকতা চালিয়ে। কাজটি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাও করে বেলুচিস্তানে। পাকিস্তান ও ভারতের সিভিল-মিলিটারী প্রশাসনের একাংশ অপেক্ষাকৃত অশিক্ষিতও অনালোকিত হওয়ায় সেই ৬৫-র যুদ্ধ আজো লড়ে যাচ্ছে। হয়তো নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখার জন্য। অথচ নিজেদের দেশের বড় সন্ত্রাসী হামলার আগাম তথ্য দিতে না পারায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে এরি মাঝে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আয়েশে মোটা বাজেটের টাকা উড়ানোর ও আখের গুছানোর যে বদ-অভ্যাস সেটি দূর করা সুদূর পরাহত।
 
পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জিন্নাহর ধর্ম-ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে ভুল তত্ত্ব; তারই ডোমিনো এফেক্ট আজকের বিলীয়মান পাকিস্তান। সমাজের মধ্যে ধর্ম প্রদর্শনের বিনিময়ে দুর্নীতি ও মনোবিকৃতি লুকানোর যে ছল চাতুরী তা পাকিস্তানের সমাজটিকে অন্ধকার যুগে নিয়ে গেছে।সব কিছুতেই ইনশাল্লাহ-আলহামদুলিল্লাহ বলে এক বিশাল ধর্মের ঠিকাদার হয়ে বসে আছে জঙ্গী ব্যবসায়ীরা। পাকিস্তানের মোল্লাদের আচার আচরণ যেন হোলিয়ার দ্যান দাউ। যেন ইসলাম ধর্মের সৃষ্টিই হয়েছিলো পাকিস্তানে।

এশিয়ার প্রাচীনতম সভ্যতা মেহেরগড়-মহেঞ্জোদারো-তক্ষশীলা যেখানে; বহু স্মৃতি বিজড়িত হিংলাজ মন্দির যেখানে; সেইখানে একজন আরব লুন্ঠক বিন-কাসেমের অনুপ্রবেশ কার্যত হত্যা করে পাকিস্তানের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য। পাকিস্তানের অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত মানুষ বিন-কাসেম থেকে তাদের ইতিহাসের পাঠ ও গর্বের চিহ্ন খোঁজে। জিন্নাহ এক অর্থে বিন-কাসেমেরই চিন্তার নবায়ন। যেহেতু তিনি পাকিস্তানের জাতির জনক তাই ইমরান খানও ব্যক্তিগত লিবেরেল জীবনচর্যা লুকিয়ে তালেবানের দরবারে আনাগোণা শুরু করেছিলেন। সাম্প্রতিক পেশোয়ার শিশু হত্যার ট্র্যাজেডির পর দলের সমর্থকদের চাপে ও গণসমালোচনায় ইমরান এখন আমেরুল মুমেনিন হবার আশা ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী হবার রেসে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কট্টরপন্থা এমন এক ভাইরাস যা দূর হওয়া কঠিন। সময়ই বলে দেবে ইতিহাসের ভুল-বোমা হামলায় নির্দোষ মানুষের মৃত্যু দেখে দক্ষিণপন্থী নওয়াজ শরীফ বা ইমরান খান কিছু শিখলেন কীনা।
 
দুর্ভাগ্যবশতঃপাকিস্তানের বিন-কাসেমের জঙ্গীবাদী ভাইরাস বাংলাদেশেও বখতিয়ার খিলজীর কট্টরপন্থী ভাইরাস হিসেবে বিরাজমান। সাংস্কৃতিক মানের দিক থেকে বাংলাদেশ খুব এগিয়ে আছে; এটা দাবী করা খুব যৌক্তিক নয়। বর্তমানে অর্থনৈতিক সামর্থ্যের দিক থেকে বাংলাদেশে্র যুদ্ধাপরাধী জামাত পাকিস্তানের জঙ্গীপালক জামাতের চেয়ে এগিয়ে। হিজাব-দাড়ি-টুপি দুই দেশেই শস্যের চেয়ে বেশী। ধর্মের আগাছা খুবই বেশী। কুরান শরীফ না বুঝে মুখস্ত করা ও মনগড়া হাদিস পড়ে সামাজিক পুলিশী করতে এগিয়ে আসা অসম্পূর্ণ মানুষগুলোর আচরণ একই রকম।জ্ঞান-বিজ্ঞানের বই-পুস্তক পড়া মানুষের সংখ্যা বেশ কম। বাড়ী-গাড়ী-নারী; এর বাইরে সৃজনশীল চিন্তা করার মত মানুষের সংখ্যা একই রকমভাবে কম। চিন্তার বিবর্তনে পিছিয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা প্রায় একই। সেই জনগণের সম্পদ লুন্ঠন করে বিদেশে সেকেন্ড হোম বানানো চোরের সংখ্যাও একি রকম। চট করে রেগে গিয়ে গালি দেয়া লোক সমান সংখ্যায় বিরাজমান।ভারতের লোকেরা এই কাজটি কখনোই করেনা। যে কোন পরিস্থিতিতে একজন ভারতীয় তার সাংস্কৃতিক মান বিচ্যুত হয়না।
 
এইসব কারণে বাংলাদেশে পাকিস্তানের অনুরূপ কুরুক্ষেত্র রচিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক দৈন্যকে প্রাণপণে ঢাকতে; অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়তে অক্ষম যারা পাকিস্তান পন্থা নিয়ে জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা দেয়;তারা হয়তো জানে না; এই বিন-কাসেম বা বখতিয়ারের ভাইরাস বাংলাদেশেও বসবাস করে।প্রগতিমোল্লাদের রুক্ষ আচরণেও বখতিয়ারের প্রতিহিংসা। অর্থাৎ জীনে বখতিয়ার ঢুকে গেলে রবীন্দ্র সংগীতে মাথা দুলিয়ে বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কতৃত্ব হাতে নিয়ে আঙ্গুল নাচিয়ে তর্ক করে নিজের জীনগত বখতিয়ারের খচ্চরকে লুকিয়ে রাখা কঠিন।আত্মপরিচয়ের এই সংকটকালে তাই মোল্লার বিরুদ্ধে প্রগতিমোল্লার এই সার্কাস বন্ধ করে আত্মজিজ্ঞাসার মুখোমুখি হতে হবে।

স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরেও যদি পাকিস্তান এলিবাই সামনে এনে নিজেদের সমাজ গঠনের ভুলগুলো আমরা এড়িয়ে যাই; সেটাও হবে ডিনাইয়াল।ডিনাইয়ালের পরিণতি যে একটি রাষ্ট্রের মৃত্যু তাতো আমরা পাকিস্তানকে দেখেই শিখেছি। আজ বাংলাদেশ জঙ্গীবাদ আক্রান্ত; চলমান মানুষ পোড়ানোর নরককান্ড কোনভাবেই বিএনপির গণতন্ত্রের লড়াই নয়। কারণ বিএনপির মতো এরকম মানুষ হত্যা পাকিস্তানের দক্ষিণপন্থী মুসলীম লীগ নওয়াজ বা ইমরানের পিটি আই কখনো করেনি। এটি করেছে জামাত ঘনিষ্ট তালিবানরা। যাদের পাকিস্তানে মিডিয়ার পরিভাষায় দেশদ্রোহী বলা হয়। অথচ বাংলাদেশের মিডিয়ার পরিভাষায় তারা দুর্বৃত্ত (বিএনপি-জামাত)।

এখন বাঙালি জাতীয়তাবাদ আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রেটোরিকসের সময় অতিক্রান্ত। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে জনমানুষকে সম্পৃক্ত করে সামষ্টিকভাবে দেশদ্রোহী জঙ্গী নির্মূলই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া জরুরী। আর যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদন্ডগুলো একই সময়ে কার্যকর করে ফেললে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ন্যায় বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে।

মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা শিক্ষক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ