আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

রাষ্ট্র কেন, কখন, কিভাবে জঙ্গি রাষ্ট্র হয়ে উঠে এবং সম্ভাব্য সমাধান

আজম খান  

আজ পর্যন্ত যতগুলো রাষ্ট্র মৌলবাদিদের হাতে পতিত হয়েছে সবগুলো রাষ্ট্রে নানা রকমের সমস্যা ছিল। সুশাসনের সমস্যা, অবাধ দুর্নীতি, ক্ষমতাবানদের রামরাজত্ব, ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন যেসব রাষ্ট্রে মৌলবাদ কোণঠাসা সেখানে কি এসব সমস্যা নেই? আছে এবং খুব ভালভাবে আছে। তাহলে যেসব রাষ্ট্র মৌলবাদের খপ্পরে পড়েছে তাদের সাথে সেসব দেশগুলোর মৌলিক পার্থক্য কি? কী এমন সেখানে যা আছে যা জঙ্গিবাদের নীল বিষে আক্রান্ত দেশগুলোতে নেই? কী সেই অসাধারণ মৌলিকত্ব? উত্তর হচ্ছে সহনশীলতা। এটাই একমাত্র উপাদান যা সমাজ এবং রাষ্ট্রের নানা উপাদানকে কাঁঠালের আঠার মত আঁকড়ে রাখে।

একটি সমাজ কিভাবে গঠিত হয়? সমাজ গঠিত হয় একদল মানুষের সমন্বয়ে। প্রাচীন কিংবা মধ্যযুগীর আমলে মানুষ ছিল গোত্রভিত্তিক। গোত্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠত তাদের ঈশ্বর বিশ্বাস, সংস্কৃতি, অভ্যাস, পরম্পরা। একবিংশ শতকের এই সমাজের চরিত্র সম্পুর্ণ ভিন্ন। সৌদি আরব, পাকিস্তানের মত গোঁড়া রাষ্ট্রগুলো বাদ দিলে অধিকাংশ দেশগুলোতে সমাজ ধারণ করেছে নানা বিচিত্রতাকে। সেখানে নানা মতের মানুষ আছে, নানা ধরনের চিন্তা ভাবনার মানুষ আছে, নানা ধর্মের মানুষ আছে। এত এত বিচিত্রতার পরেও সেখানে মত কিংবা ভাবনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয় না। বরং উল্টোটা হয়েছে। যে সমাজ এবং রাষ্ট্রের বিচিত্রতার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা যত বেশি তারা তত বেশি ধনে-বলে শক্তিশালী। যে সমাজ এবং রাষ্ট্রের মানুষ চিন্তার বিচিত্রতাকে ধারণ করতে অক্ষম তারা তত বেশি পশ্চাৎপদ এবং দরিদ্র। এখানেই সহনশীলতা নামক ভীষণ সাধারণ শব্দটার অসাধারণ ক্যারিশমা।

আজকের পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়ার দিকে তাকালে আমরা যে ধ্বংসযজ্ঞ এবং মানবতার আহাজারি দেখতে পাই তা একদিনে আসেনি। পাকিস্তান নামক দেশটা যা এক সময়ে পশ্চিম পাকিস্তান ছিল সেখানে জনসংখ্যার প্রায় ১৫-২০ ভাগ ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বী। ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা থেকে পাওয়ার পরপর সেখানে শুরু হয় হিন্দু ধর্মের মানুষের উপরে অত্যাচার, অবিশ্বাস, সন্দেহ। ফলাফল, ৭০ এর দশকের আগেই পাকিস্তান প্রায় হিন্দুশূন্য হয়ে পড়ে। সহনশীলতার বিলোপ সেখানেই।

সংখ্যাগরিষ্ঠের সংখ্যালঘু মানুষের উপরে অত্যাচার হচ্ছে বাঘের প্রথম মানুষ শিকারের মত। নোনা রক্তের স্বাদ একবার পেয়ে গেলে বাঘের যেমন অন্য কিছু মুখে রুচে না তেমনি একবার সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় রাষ্ট্রে বা সমাজে নিরংকুশ প্রাধান্য বিস্তার করতে গেলে সে একেবারে নিঃশেষ না করা এবং হওয়া পর্যন্ত থামে না। ঠিক সে কারণেই আজকের পাকিস্তানে খ্রিস্টানদের ব্লাসফেমি আইনে ফাঁসানো হচ্ছে, হয়েছে।

৯০-এর দশক থেকে খ্রিস্টান পরিবারগুলোর মধ্যে সেখানে দেশত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে। সেক্যুলার বা নিধার্মিক ভাবধারার মানুষের অবস্থা একই। সুন্নী ভাবধারাগুলোর মধ্যে খুব একটা পার্থক্য না থাকলেও তারাও একে অপরকে সুযোগ ফেলে ছাড়ছে না। শিয়াদের অবস্থা তথৈবচ। তারা ঘরে আগুনে পুড়ে মরে, বাসে বোমা হামলায় মরে, এমনকি নামাজরত অবস্থাতেও মরে। সিরিয়ার প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। তবে শুরুর প্রকারে পাকিস্তানের সাথে তাদের খুব একটা পার্থক্য নেই।

শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ প্রায় হাজার বচ্ছরের পুরানো। কারবালার শোকাবহ ঘটনা কিংবা আলী-মুয়াবিয়ার ক্ষমতার লড়াইকে কেন্দ্র হিসেবে দেখানো হলেও ব্যাপারটা একদম তা নয়। পারস্য বা বর্তমান ইরানের সম্রাট কিংবা শাহেরা কখনোই সুন্নি খেলাফতের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেনি। বরং সুযোগ পেলেই হানা দিয়েছে খেলাফতের সীমানায়। এমনকি সুযোগ পেলে মধ্য এশিয়ার শাসকদের মাথায় পরিয়ে দিয়েছে শিয়া লাল টুপি।

দামেস্ক কিংবা তুরস্ক সব খেলাফতের আমলেই সুন্নিদের সাথে পারস্যের সম্পর্ক ছিল তিক্ত। সুন্নি খেলাফতের সীমানায় হানা দেয়া হতে শুরু করে বিদ্রোহি শাসকদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিতে পারস্য কখনোই দুইবার ভাবেনি। তাদের ধর্মীয় আচার আচরণের রীতিতে বা বিশ্বাসের মৌলিকত্বে বড় কোন পার্থক্য না থাকলেও দুই সাম্রাজ্যের প্রায় সহস্র বছরের দ্বন্দ্বের রেশ এখনো বেশ তেজি। সহস্র বছরের অবিশ্বাস আর দ্বন্দ্বের অভিজ্ঞতা আরব শাসকেরা এখনো বহন করেন। যার কারণে শিয়া আসাদ কিংবা ইরানে বাদবাকি আরবের প্রবল আপত্তি।

এটাকে যদি খুব সরলভাবে ব্যাখ্যা করি তাহলে বলা যেতে পারে অনেকটা বাংলা সিনেমার মির্জা বাড়ির সাথে চৌধুরী বাড়ির গৌরব অহমিকার লড়াইয়ের মত। এটা সাধারণ জনগনের ক্ষেত্রে সত্য। কিন্তু শাসকদের ক্ষেত্রে পুরোপুরি সত্য না। তাদের কাছে এটা ইগোর লড়াইয়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক আধিপত্য আর অধিক ক্ষমতা ভোগের লড়াইও। সিরিয়াতে খ্রিস্টানদের প্রতি অনেক আগে থেকে বৈষম্য চলছিল। আসাদ কিংবা তার পিতা হাফিজের সরকার কিছুটা সেক্যুলার ঘরানার বিধায় এরপরেও তাদের জীবনযাত্রা সহনশীল ছিল।

বাশার সরকারের বিরুদ্ধে “আরব বসন্তের” সেই কথিত জাগরণ শেষ পর্যন্ত ধর্মযুদ্ধে রূপ নেয়ার একটা কারণ হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অন্য ধর্মের উপরে উগ্র মুসলমান এবং তাদের ধর্মীয় নেতাদের প্রবল বিদ্বেষ এবং ক্রমাগত বিষোদগারের ফল। বাংলাদেশে যেমন হিন্দুদের শরীরে আওয়ামী লীগের ছাপ লাগানো তেমনি বাশারের বাথ পার্টির ছাপ লাগানো ছিল সিরিয়ান খ্রিস্টানদের গায়ে। ফলাফল, সশস্ত্র বিদ্রোহের প্রথম দিন থেকে তারা আক্রান্ত হয়েছে। এক সময় তারা পালিয়ে গেছে ইউরোপ-সহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে।

নিয়তির কি নির্মম পরিহাস, সে বিদ্রোহে সরব, নীরব জনসমর্থন জোগানো মুসলমানেরাও এখন সিরিয়া ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতসব কিছুর একটাই কারণ সিরিয়াকে রাষ্ট্র হিসেবে যা এতদিন ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছিল সে সহনশীলতা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়েছিল।

এখন তাকাই আমাদের দেশের দিকে। এখানে কি হচ্ছে? ওয়াহাবিজমের ঢেউ প্রথম এই দেশে শুরু করেন হাজি শরিয়তউল্লাহর মত একজন ইতর প্রজাতির লোক। তিনি সর্বপ্রথম মানুষ যিনি এই অঞ্চলে এসে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে “বিদাত” বলে ঘোষণা দেন। ভারতীয় উপমহাদেশ বিধর্মীদের করতলগত বিধায় তিনি জেহাদের ডাক দেন। সে জেহাদে দেশের জন্য কোন ভালবাসা ছিল না। ছিল শুধু ধর্মীয় উন্মাদনা। যার কারণে ইংরেজ এবং জমিদারদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে যে যৎসামান্য এলাকা দখল করতে সক্ষম হন সেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষসহ যাবতীয় ভিন্নমতের মানুষের উপরে জিজিয়া কর ধার্য করেন। ধীরে ধীরে ওয়াহাবিজম প্রভাব বিস্তার করে। পূর্ণতা পায় ইংরেজ শাসনামলে ১৯০৫ সালে। শুধুমাত্র ধর্মীয় উন্মাদনাকে কেন্দ্রে করে সে সময় থেকে আজ পর্যন্ত যে পরিমাণ রক্ত ক্ষয় হয়েছে তা শুধু ঘেন্না এবং পাল্টা জবাবের ফল।

ধর্মের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান হয়ে গেলেও ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের পর থেকে নতুন করে তৈরী হতে থাকে সহনশীলতা আর দেশপ্রেমের ঐক্যতান। যার ফলাফলে ১৯৭১ সালে বাংলার হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ-নিধার্মিক সকলের বুক থেকে নিঃসৃত তাজা রক্তের বিনিময়ে আসে গর্বের লাল সবুজের পতাকা।

এখন তাহলে প্রশ্ন দাঁড়ায়, ঘেন্নার চর্চা থেকে বের হয়ে কিভাবে সেখানে আবার বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের পুনঃপ্রবেশ ঘটলো। এর দায় কিছুটা অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর সরকারকে নিতে হবে। সেসময়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জায়গা জমি দখলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা জড়িত ছিলেন। এমনকি রাজাকারদের দ্বারা দখলকৃত জায়গা জমি স্বাধীনতার পরপর অনেক হিন্দু পরিবার দেশে এসেও ফেরত পাননি। বরং নানা হুমকি-ধামকি আর আঞ্চলিক নেতাদের সাম্প্রদায়িক আচরণের মুখে কেউ রিক্ত হস্তে কেউ বা নামমাত্র মূল্যে জায়গাজমি বিক্রি করে দিয়ে ভারতে ফেরত যেতে বাধ্য হন।

পাকিস্তান আমলে করা শত্রু সম্পত্তি আইনের মাধ্যমে হিন্দুদের জায়গা জমি দখল করার আইনটিও বঙ্গবন্ধু সরকার বাতিল করেননি। এ এক নির্মম ট্র্যাজেডি। শুধু মাত্র কবিতা লেখার জন্য কবি দাউদ হায়দারকে বিতাড়িত করা হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। এসব ছিল অসাম্প্রদায়িক দেশের উপরে একটি বড় আঘাত। এমনকি পাকিস্তান আমলের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা যা কিনা আদতে যতটা ধর্ম শিক্ষার কেন্দ্র তার চাইতে ঢের বেশি ভিন ধর্মের প্রতি ঘৃণা শেখানোর জায়গা সেখানেও কোন সংস্কার হয়নি। শত্রুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বড্ড বেশি অবমূল্যায়ন করেছিলেন নয়তো কালসাপ তিনি চিনতে পারেননি।

বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পরে জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতা সুসংহত করতে গিয়ে বুঝতে পারেন তার শক্তির জায়গা হতে পারে একটাই। এন্টি-আওয়ামী সেন্টিমেন্ট। দলভারী করতে গিয়ে তিনি জামায়াতে ইসলামি, নেজামি ইসলামির মত যুদ্ধাপরাধী সংগঠনগুলোকেও রাজনীতি করার অধিকার দেন। ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে রাজনীতিতে ব্যবহার করা শুরু করেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ওয়াহাবিজমের তথা উগ্র মৌলবাদের সেই পথচলা শুরু। এরশাদের সময়ে একই কার্যকলাপ অব্যাহত থাকে। রাষ্ট্রীয় সকল প্রণোদনা এবং উন্মাদনার দরুন ওয়াহাবি ধর্মগুরুদের একচ্ছত্র রাজত্ব ক্রমাগত ভিন্ন ধর্ম এবং বিশ্বাসের মানুষের প্রতি ক্রমাগত উন্মাদনা ছড়াতে থাকে।

আরজ আলী মাতব্বর স্বনামে নাস্তিকতার চর্চা করলেও তাকে দেশ ছাড়তে হয়নি সেই ৮০ এর দশকেও। কিন্তু এক দশকের মাথায় তসলিমা নাসরিনকে দেশ ছাড়তে হয়। তার দেড় দশকের মাথায় ২০১৩ সালে শুরু ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দারকে হত্যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ওয়াহাবি ঘরানার ইসলামের বাংলাদেশে রক্তাক্ত পথচলা। সমাজে ধর্মীয় বিষবাষ্প ছড়ানোর কারণে স্বাধীনতার পরপর এই দেশে মোট জনসংখ্যার বিশ ভাগের উপরে হিন্দু ছিল এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৮ শতাংশের ঘরে। সহনশীলতা যখন ঘৃণায় রূপ নেয় তখন এভাবে সমাজের অন্য মানুষের সংখ্যা একে একে কমতে থাকে। যখন তারা পুরোপুরি বিপন্ন হয়ে পড়ে তখন সে রাষ্ট্র হয়ে যায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সিরিয়ার মত জঙ্গি রাষ্ট্র।

সমাজের অবশিষ্ট অংশ তখন সামান্য মত পার্থক্যের একে অন্যকে নিঃশেষ করার উন্মাদনায় নামে। এ লড়াই কোনদিন শেষ হওয়ার নয়। যেদিন সব মানুষকে শেষ করে দুইজন মানুষ থাকবে তারাও এক সময়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কারণ, কোন মানুষ কারো মত নয়। ভিন্নতা আছেই। যেহেতু সহনশীলতা সেখানে নেই তাই সেখানে এই লড়াই অবশ্যম্ভাবী। আমাদের সমাজে এবং রাষ্ট্রকে সফল করতে, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই সহনশীলতা। কিন্তু ধর্মীয় ক্রমাগত বিষবাষ্পের কারণে তা আজ বিপন্ন। আমরা হাঁটছি জঙ্গি রাষ্ট্রের পরিণত হওয়ার রাস্তায়।

এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি নেই? অবশ্যই আছে।
এক. ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
দুই. অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায় সকল মুফতি-মৌলভি-মাওলানাদের হয় জেলখানা বা পাগলা গারদ কোথাও না কোথাও ঢুকাতে হবে।
তিন. মাদ্রাসাসহ সকল প্রকারের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার। কোন বইয়ে ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি ঘেন্না এবং ক্ষতি করার মানসিকতা পোষণ করে বা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ঘৃণা ছড়ায় এমন সব উপাদান বাদ দিতে হবে।
চার. বাহাত্তরের সংবিধানে পুরোপুরি ফেরত যেতে হবে।

আমি জানি, সরকারের জন্য কাজগুলো ভীষণ কঠিন হবে। ধর্মান্ধ মানুষেরা তাতে ভীষণ খেপে উঠবে। তাই এসব কিছুর পাশাপাশি সবচাইতে জরুরী সরকারী এবং বেসরকারী উদ্যোগে সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত প্রয়াসে জনগণের মধ্যে এই পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে ইতিবাচক প্রচারণা। যাতে ধর্মীয় উগ্রবাদিদের নেতিবাচক প্রচারণার মোকাবেলা করার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন থাকে।

আমাদের হাতে সময় খুব একটা নেই। বিগত কয়েক দশকের নানা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান পর্যালোচনা করলে দেখি আমরাও প্রায় খাঁদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছি। এখনই এসব ব্যবস্থা না নেয়া হলে আমরা প্রবেশ করবো অন্ধকার যুগে।

প্রয়োজনে উগ্রবাদের প্রচার, প্রসার যারা আদর্শিকভাবে ছড়ায় এবং কার্যকর করে সবাইকে কঠোরভাবে দমন করা হোক। নয়তো ধীরে হলেও এদেশের আকাশ দীর্ঘ সময়ের জন্য অন্ধকারে ঢেকে যাবে। কিছু না করে হারার চাইতে লড়াই করে হারা অনেক বেশি কার্যকর। অন্তত জেতার নুন্যতম সম্ভাবনা হলেও থাকে।

আজম খান, ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট ও সংগঠক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ