আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

নতুন রাজন-রাকিবের জন্ম না দিয়ে এভাবেই হোক দ্রুততর রায়!

কবির য়াহমদ  

৮ নভেম্বর ২০১৫, বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসের অন্যতম এক অনন্য দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। কারণ এ দিন দুই শিশু হত্যার রায় ঘোষিত হয়েছে। ধারণা করি, এটাই দেশের বিচারিক ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দ্রুত কোন রায় ঘোষণা। রায় ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে, আবেগের প্রকাশ কিছু কি আছে সেটা উচ্চ আদালতের আপিলের পর নিশ্চিত হবে।

দ্রুততম সময়ে নিম্ন আদালত থেকে রায় ঘোষণা মানেই কিন্তু দ্রুততম বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া নয়। কারণ এরপর উচ্চ আদালত আছে। সেখানে আপিল হবে। হাইকোর্টের দীর্ঘ মামলার লাইনে পড়বে এ বিচারও। হাইকোর্টের রায়ের পর আবারও আপিল বিভাগ আছে। সেখান থেকে একই রায় অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে তারপর তা কার্যকরের পর্যায়ে আসবে।

এই দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় যদি জজ কোর্টের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে তখন রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনা এবং সেখান থেকে ব্যর্থ হলে সরকারের সিদ্ধান্তে কার্যকর হবে। এই সময়ের জন্যে হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারকে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই। এটা প্রকৃতই পরিবারগুলোর ধৈর্য্যের বাঁধ পরীক্ষার আরেকটা পরীক্ষা। একে ত সন্তান হারানো, তার ওপর অপেক্ষা- এত কিছুর জন্যে তারা কতখানি প্রস্তুত সেও এক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়!

শিশু সামিউল আলম রাজন ও রাকিব অসচ্ছল পরিবার থেকে আসা। একজন তরকারি বিক্রি করত আর অন্যজন গ্যারেজে কাজ করত। অসচ্ছল পরিবার হিসেবে তারা এবং তাদের অভিভাবকেরা অনেকক্ষেত্রেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পায় নি, অথবা খুব ভালোভাবে নেয়নি। বিচারিক প্রক্রিয়ার এ ক্রম স্তরগুলো তাদের মধ্যে বিচার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ভুল ধারণার জন্ম দিতেও পারে। এটা হয়ত বলেকয়ে হবে না কিন্তু সন্তানের প্রতি ভালোবাসা, আবেগতাড়িত হয়ে তারা ভুল বুঝলেও অনেকক্ষেত্রেই দোষ তাদের কতখানি দেওয়া যায়- সে প্রশ্নও সামনে চলে আসে।

রাজন ও রাকিব এ দুই হত্যা মামলা দ্রুত বিচার আদালতের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পাদিত হয়েছে। এজন্যে এ দুই মামলা নিষ্পত্তি করতে আদালত সময় নিয়েছিলেন যথাক্রমে ১৭ ও ১০ কার্যদিবস। এটা নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী ও দৃষ্টান্তসম। বাংলাদেশে এর আগে এত দ্রুততার সঙ্গে কোন বিচার সম্পন্ন হয়েছিল- হয়ত এমন নজির নেই। এ বিচারগুলোকে আগামিতে হয়ত নজির হিসেবে উপস্থাপিত হবে।

সিলেটের শিশু রাজনকে হত্যা করা হয় এ বছরের ৮ জুলাই। মামলার রায় হয় ৮ নভেম্বর; মানে হত্যাকাণ্ডের ঠিক চার মাসপূর্তিতে বিচারের প্রাথমিক পর্যায় সম্পন্ন। রাজনের পরিবার এ রায়ে খুশি হয়েছে। এখন তাদের দাবি দ্রুত রায় কার্যকর। এদিকে, খুলনার ১২ বছরের শিশু রাকিব হাওলাদারকে হত্যা করা হয় ৩ আগস্ট। খুলনার টুটপাড়া কবরখানা মোড়ের মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়া কমপ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বার দিয়ে পেটে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিবের মামলারও রায় সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে হয়েছে, তবে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ে তার পরিবার খুশি হতে পারে নি।

রাজনের পরিবার প্রাথমিক রায়ে খুশি, কিন্তু অপর শিশু রাকিবের পরিবার রায়ে খুশি নয়। এখন মামলার শতভাগ নিষ্পত্তি হতে, বিচারিক পর্যায়ের পরের ধাপগুলো অতিক্রম করতে গিয়ে রাজনের এ পরিবারের এ উচ্ছ্বাস মিইয়ে যেতে কি খুব বেশি সময় লাগবে? যখন তারা দেখবে উচ্চ আদালতে আপিলের পর আপিলের নিষ্পত্তি হতে সময় লাগছে, তখন দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাদের ভুল ধারণা জন্মানোই স্বাভাবিক।

এ মামলাগুলো যেহেতু নিম্ন আদালতে 'আলোচিত' হিসেবে দেখা হয়েছিল এবং দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছিল উচ্চ আদালতেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে হয়ত এ থেকে উত্তরণ সম্ভব।

শিশু রাজন-রাকিবের ওপর নির্যাতন এবং নির্যাতন পরবর্তী হত্যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল। ঘটনার ভিডিওচিত্র প্রকাশের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল। এর বাইরে দেশে অগণন শিশু নির্যাতন হচ্ছে, শিশু হত্যা হচ্ছে কিন্তু অনেক নির্যাতন-হত্যা আলোচনায় আসছে না।

প্রসূতি মায়ের পেটে লাথি দিয়ে শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে, মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সরকারদলীয় এক সংসদ সদস্য এক শিশুর ওপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেগুলো খুব বেশি আলোচনায় আসেনি। আর আলোচনায় আসলেও অন্য অনেক ইস্যুর ভিড়ে হারিয়ে গেছে। হয়ত নির্যাতন-হত্যা-গুলি চালানোর 'ভিডিওচিত্র' না থাকায় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে এর বিহিত করার মত চাপে ফেলতে পারে নি। সরকারকে বাধ্য করতে পারে নি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে।

এ কারণে শিশু রাজন কিংবা রাকিব হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দেশে-সমাজে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারে নি বলে ধারণা করি। রাজন-রাকিবের হত্যার পর আরও অনেক শিশুর ওপর, প্রসূতি মায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হয়েছে। কিন্তু মালতী রানী পেটে লাথি খেয়ে সন্তান হারালেও, গাইবান্ধার সরকারদলীয় সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন শিশু সৌরভকে গুলি করেও পার পেয়ে গেছেন, কিংবা যাচ্ছেন।

সংসদে যোগ দেবেন এ অজুহাতে এমপি লিটনকে জামিন পেয়েছেন। জামিন তিনি পেতেই পারেন কারণ এটা জামিন অযোগ্য কোন অপরাধ নয়! খুনের আসামিরা যেখানে জামিন পেতে পারে, একটা হত্যাপ্রচেষ্টার আসামিও জামিন পেতে পারে! তবে তাঁকে জামিন না দিলে অপরাপর প্রভাবশালী অপরাধীরা সামান্যতম হলেও সতর্ক থাকত বলে মনে করি। এমপি লিটন সংসদে যোগ দেবেন এ কারণে অন্তবর্তীকালিন জামিন পেয়েছেন। সংসদ অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত এ জামিনের মেয়াদ। কিন্তু নিম্ন আদালত এরপর কি ব্যবস্থা নেবে সেটাও দেখার বিষয়। তবে তাঁর এ জামিন দেওয়ার আগে হয়ত এটাও বিবেচনায় নেওয়া যেত যে তিনি মামলার পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েক দিন পলাতক ছিলেন। পলাতক অবস্থায় থেকে উচ্চ আদালতের সব পর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে যখন কোন আসামি বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পণ করেন তখন তাঁর ক্ষেত্রে আইন কিংবা অনুভূতির স্বাভাবিকতা কতখানি প্রযোজ্য হয় সেটাও একটা প্রশ্ন!

এই যে দেশে এত এত শিশু নির্যাতন হচ্ছে কিন্তু বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অন্য অনেকেই শিশু নির্যাতন করে যাচ্ছে। শারিরীক সক্ষমতায় শিশুরা নির্যাতকদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে না বলে বাড়ছে এ নির্যাতন। তাছাড়া অর্থবিত্তে যারা শক্তিমান, সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত তারা জানে নির্যাতন করেও প্রতিবিধানের কিছু নাই। তাই নিয়ত বাড়ছে এ নির্যাতন। শিশু রাজন ও রাকিবের দ্রুত বিচার যদি সামাজিক ক্ষেত্রে সামান্যতম হলেও প্রভাব বিস্তার করে তাহলে এ দ্রুতবিচারকে দৃষ্টান্ত বলা যাবে। তবে এখানেও আশঙ্কা আছে, মামলার পরবর্তী ধাপগুলো যদি দীর্ঘসূত্রিতার কবলে পড়ে তাহলে সামাজিক প্রভাবের ক্ষেত্রে সে ফল শূন্য হতে বাধ্য!

বাংলাদেশের শিশু নির্যাতনের পরিসংখ্যানগত চিত্রের দিকে তাকালে দেখা যায়, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ৬৩ জন শিশু যৌন হয়রানি এবং ৩২২ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ২০১৫ সালের সাত মাসে (জুলাই পর্যন্ত) সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ১৯১ জনে। এর বাইরে সাড়ে তিন বছরে দেশে ৯৬৮টি শিশুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। বছরওয়ারি এ হিসাবটা এরকম- ২০১২ সালে ২০৯, ২০১৩ সালে ২১৮ এবং ২০১৪ সালে ৩৫০ জন শিশুকে হত্যা করা হয়। শিশু নির্যাতন ও হত্যার এ গ্রাফটা উর্ধ্বমুখি। এটাই আশঙ্কার। তবে যে কথা না বললেই নয় তা হলো পরিসংখ্যানে আসে যা তা দেশের প্রকৃত চিত্র নয়। কারণ সবগুলো হত্যা ও নির্যাতন মিডিয়ায় আসে না।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১২ সালে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ১২৬, ২০১৩ সালে ১২৮, ২০১৪ সালে ১২৭ আর এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ৫৬ শিশু হত্যা শিকার হয়। এদের মধ্যে জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ১৩ জনকে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ৬৯ জন শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এত এত পরিসংখ্যান দিয়ে শিশু নির্যাতনের মাত্রা পরিমাপ করা যায় না। কারণ প্রতিনিয়ত শিশু নির্যাতন বাড়ছে। সবগুলো মিডীয়ায় আসছে না। মিডিয়ায় এলেও আলোচিত হচ্ছে না, আলোচিত হলেও প্রশাসনকে বাধ্য করার মত জনমত গড়ে তুলতে পারছে না। ফলে আমরা যে তিমিরে ছিলাম সে তিমিরেই রয়ে যাচ্ছি।

শিশু রাজন ও রাকিব হত্যার দ্রুত বিচারকে বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে একটা বিশাল অধ্যায় হিসেবে দেখতে চাই। আশা করি এর মাধ্যমে অন্য বিচারগুলোর গতি ত্বরান্বিত হবে। নতুন কোন রাজন, নতুন কোন রাকিব, রবিউল, সৌরভ, মালতী রানী অধ্যায়ের জন্ম না দিয়ে দ্রুতবিচার, দ্রুত সমাপন, দ্রুত শাস্তি কার্যকর বাংলাদেশে ঘটতে থাকুক।

কবির য়াহমদ, প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর; ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ