প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
ফরিদ আহমেদ | ১৫ নভেম্বর, ২০১৫
আমাদের এই সুন্দর নীল গ্রহটা আর সুন্দর থাকছে না। দিনে দিনে অনিরাপদ এক বাসস্থানে পরিণত হতে চলেছে এটি। কিছু ধর্মীয় উন্মাদ বৃশ্চিকের মতো দংশন করে চলেছে এর সারা গা। এদের ঘৃণার বিষবাষ্পে সুস্থভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার উপায় নেই এখন আর সাধারণ মানুষদের।
পৌরাণিক কাহিনিতে দেবী মনসাকে পুজো দিলে তিনি তুষ্ট থাকতেন। তুষ্ট থাকার বিনিময়ে দংশন করতেন না, আহ্লাদে আশীর্বাদ দিতেন। কিন্তু, কেউ তাঁকে পুজো না দিলেই হিংস্র, ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতেন তিনি তার প্রতি। প্রতিহিংসার তীব্র আগুন জ্বলে উঠতো দুই চোখে। বুকের মাঝে জেগে উঠতো জনম জনমের জিঘাংসা। সেই জিঘাংসা আর প্রতিহিংসার প্রতিক্রিয়ায় লোহার বাসরঘর ভেদ করে এসেও দংশন করে বিষ ঢেলে দিয়ে যেতেন লখিন্দরের শরীরে।
বাস্তবের এই মনসা অতোখানি বিচার বুদ্ধিসম্পন্ন নয়। আজ যারা ধর্ম নামের বিষাক্ত নাগিনীটাকে দেবী ভেবে দুধ, কলা খাইয়ে পুষছেন, সাপ হয়তো তাদের ছোবল দিচ্ছে না তার সাময়িক প্রয়োজনে, নিজস্ব পুষ্টি এবং বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষায়। পুষ্টিদাতাদের কিছু না বললেও, তেজি শরীর নিয়ে ফোঁস-ফোঁস করে ফণা তুলে কামড়ে বেড়াচ্ছে একে এবং তাকে। এই যত্রতত্র কামড়ে বেড়ানো নাগিনীই একদিন ফণা তুলবে এর খাবার যোগানো পুষ্টিদাতাদের দিকেও। সেই দিন খুব বেশি দূরে নেই। এর লক্ষণ এখন সুস্পষ্ট, দিনের আলোর মতো দৃশ্যমান। এই ভবিষ্যতবাণী করার জন্য মহাজাতকের মতো মহাজ্যোতিষী হবার প্রয়োজন পড়ে না কারো।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) আইসিস হামলা চালিয়েছে ফ্রান্সে। নৃশংস এবং ন্যাক্কারজনক এই হামলা। সুস্থ যে কোন মানুষকে অসুস্থ করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট এটি। একটা নয়, একাধিক হামলা চালানো হয়েছে একাধিক স্থানে।অসম্ভব রকমের সুসমন্বিত এই হামলা। মারা গিয়েছে দেড়শ’র উপরে সাধারণ মানুষ। হামলাকারীদের মধ্যে সাতজন নিজেরাও এই হামলায় মারা গিয়েছে। আত্মঘাতী আক্রমণ ছিলো এটি। অষ্টমজন মারা গেছে পুলিশের গুলিতে।
জরুরী অবস্থা জারি করা হয়েছে ফ্রান্সে। কড়া প্রহরায় ছেয়ে গেছে সারাদেশ। জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত, মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত। যাত্রীবাহী বিমান চলছে, তবে কড়া প্রহরায় বিলম্বিত লয়ে। আতঙ্কনগরীতে পরিণত হয়েছে শিল্প-সাহিত্যের এই কেন্দ্রভূমি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এই হামলার জন্য দায়ী করেছেন ইসলামিক স্টেটকে। ইসলামিক স্টেট নিজেও এক বিবৃতি দিয়ে এই আক্রমণের দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়েছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী এই আক্রমণ ‘ঝড়ের সূচনামাত্র’। এর অর্থ হচ্ছে যে, আরো আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা বা না নেওয়া হয়ে গিয়েছে এর মধ্যে। ফ্রান্সকে পতিতাবৃত্তি এবং অশ্লীলতার কেন্দ্র বলেও হাসি ঠাট্টা করা হয়েছে এই বিবৃতিতে।
ফ্রান্সকে নিয়ে ইসলামিক স্টেটের মশকরা করা দেখলেই বোঝা যায় যে, ফ্রান্সের প্রতি তাদের আক্রোশটা একটু বেশি। এক বছরের মধ্যে এটি ফ্রান্সে দ্বিতীয় হামলা। এ বছর জানুয়ারী মাসেই ফরাসি পত্রিকা শার্লি হেবদোর অফিসে হামলা চালিয়েছিলো ইসলামি জঙ্গিরা। সেই হামলায় মৃতের সংখ্যা সতেরো। ইসলামিক স্টেট বলেছে যে, এর যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের প্রচারণা এবং প্রতিরোধ এবং সেই সাথে ইসলামের নবিকে অপমান করার প্রতিশোধ হিসাবেই এই আক্রমণ পরিচালনা করা হয়েছে।
ফ্রান্সের উপর যে বড় ধরনের আক্রমণ হতে পারে, এটি ফ্রান্সের অধিবাসীরাও আশংকা করেছিলো। এই আক্রমণের পর প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা সেগুলো বলেছেও মিডিয়ার কাছে। ফরাসি পত্র-পত্রিকায় কালাশনিকভ রাইফেল নিয়ে ফ্রান্সে আক্রমণ হতে পারে এরকম আশংকার কথা প্রচার হয়ে আসছিলো গত কয়েকদিন ধরে। সিরিয়ার যুদ্ধে এবং এর আগে লিবিয়াতে ফ্রান্সের ভূমিকার কারণে ইসলামিক স্টেট ফ্রান্সে আক্রমণ চালাবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিলো।
এই মাত্র সেদিন, অগাস্ট মাসে ব্রাসেলস থেকে প্যারিসগামী যাত্রীবাহী ট্রেনে এক বন্দুকধারীর যাত্রীদের হত্যা করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। ভাগ্যক্রমে এই সন্ত্রাসীর অস্ত্র জ্যাম হয়ে গিয়েছিলো এবং সাহসী যাত্রীরা তার কু-উদ্দেশ্যের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অদ্য ফ্রান্সে যে পৈশাচিক আক্রমণ হয়েছে, তার চেয়েও মারাত্মক সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ হয়েছিলো দেড় দশক আগে নিউ ইয়র্কে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো টুইন টাওয়ার। মারা গিয়েছিলো কয়েক হাজার মানুষ। দুই হাজার চার সালের পর থেকে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ ইয়োরোপে। দুই হাজার চার সালে মাদ্রিদে যাত্রীবাহী ট্রেনে সুসমন্বিত বোমা হামলা চালানো হয়েছিলো। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলো একশ’ একানব্বই জন নিরীহ মানুষ। আহত হয়েছিলো আঠারো শ’।
সাম্প্রতিককালের সব সন্ত্রাসী ঘটনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, সন্ত্রাসীরা তাদের সন্ত্রাসের সময় এবং স্থান এমনভাবে বেছে নেয় যে, যাতে করে সবাইকে ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়ে দেওয়া যায়। মুম্বাইয়ের আক্রমণে সন্ত্রাসীরা একই সাথে রেলওয়ে স্টেশন, একটা ক্যাফে এবং আবাসিক এক হোটেলে একযোগে আক্রমণ করেছিলো। এগুলো সহজ লক্ষ্য। অসংখ্য নিরীহ মানুষকে এক জায়গায় এক সাথে পাওয়া যায়। এদের জিম্মি করা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো যায়।
এর মূল উদ্দেশ্য দুটো। প্রথম হচ্ছে মিডিয়া কভারেজ। জনারণ্যে আক্রমণ চালালে সহজে অনেক মানুষ মারা যায়, এর ফলে মিডিয়া হুমড়ি খেয়ে পড়ে এখানে। সন্ত্রাসীরা তাদের প্রচারের জন্য যা চায়, তা সহজেই তারা পেয়ে যায়। দ্বিতীয় হচ্ছে যে, এর মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা সুস্থবুদ্ধিসম্পন্ন মানবিক মানুষদের অসহায়ত্বের একটা অনুভুতি প্রদান করে। ভাবটা এমন যে, দেখো আমরা কতোখানি শক্তিশালী, মহাবিক্রমশীল, আর তোমরা কতোটা অসহায়, কতো ক্ষুদ্র। আমরা ইচ্ছা করলেই তোমাদের পিষে মারতে পারি পায়ের নিচে পিঁপড়ার মতোন।
ইসলামি সন্ত্রাসবাদে ভয়াবহভাবে এখন আক্রান্ত সারা পৃথিবী। গত বছরের এপ্রিলের চৌদ্দ তারিখে নাইজেরিয়াতে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী দল বোকো হারাম দুইশ’ ছিয়াত্তর জন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মে মাসের পনেরো তারিখে সুদানে মরিয়ম ইব্রাহিম নামের একজন মহিলাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁর অপরাধ ছিলো তিনি স্বধর্ম অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করেছিলেন। জুনের ঊনত্রিশ তারিখে ইরাক এবং সিরিয়াতে আইএস তার খিলাফত ঘোষণা করে।
অগাস্টের ঊনিশ তারিখে আমেরিকা নসাংবাদিক জেমস ফলির শিরোচ্ছেদ করা হয়। এই শিরোচ্ছেদের ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেপ্টেম্বরের দুই তারিখে আরেক আমেরিকান সাংবাদিক স্টিফেন সটলফকেও একই পরিণতি ভোগ করতে হয়। এদের দুজনেরই শিরোচ্ছেদ যে করেছে, সে বৃটিশ শিক্ষায় শিক্ষিত একজন। শুধু এরা দুজনেই নয়, এরকম প্রায় তিন থেকে চার হাজার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নাগরিকেরা ইরাক এবং সিরিয়াতে জিহাদে অংশ নিয়েছে।
সেপ্টেম্বরের ছাব্বিশ তারিখে এলটন নোলেন নামের এক নব্য মুসলমান, ওকলাহোমার এক ফুড প্রসেসিং প্লান্টে তার সহকর্মী কলিন হাফর্ডের কল্লা নামিয়ে দেয়। অক্টোবরের বাইশ তারিখে আরেক নব্য মুসলমান মাইকেল জিহাফ- বিবো অটোয়ার ক্যাপিটল বিল্ডিং এ হামলা চালায়। এই আক্রমণে করপোরাল ন্যাথান সিরিলো গুরুতরভাবে আহত হন। ডিসেম্বরের পনেরো তারিখে ম্যানহার নমরিস সিডনির এক ক্যাফেতে আঠারো জন মানুষকে জিম্মি করে ফেলে। গোলাগুলিতে দুই জন মারা যায়।
জানুয়ারি মাসের সাত তারিখে ঘটে সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ। সাইদ এবং শেরিফ কুয়াচি নামের দুই ভাই মুখোশ পরে একে-৪৭ এসল্ট রাইফেল নিয়ে ঢুকে পড়ে ফরাসি স্যাটায়ার ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোর অফিসে। পত্রিকার সম্পাদকসহ এগারো জনকে হত্যা করে তারা। সেই সাথে আহত করে আরো এগারো জনকে। বের হবার সময় বিল্ডিং এর বাইরে তারা গুলি করে হত্যা করে একজন পুলিশ অফিসারকেও।
কুয়াচি ভাইয়েরা নিজেদের ইসলামি সন্ত্রাসী গ্রুপ আল কায়েদার ইয়েমেনি শাখা বলে পরিচয় দেয়। আল কায়দার ইয়েমেনি শাখা এই হামলার দায়-দায়িত্বও স্বীকার করে নেয়।
একই দিনে এর সাথে সম্পৃক্ত আরো কিছু হামলা ঘটে শহরের নানা জায়গায়। এতে আরো পাঁচ জন নিহত হয়, আহত হয় এগারো জন। ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম নামে পরিচিত এর অনুসারীদের কাছে। কিন্তু, ইসলামি জঙ্গিদের এইসব কর্মকাণ্ড দেখলে, সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।
অনেকেই হয়তো বলবেন যে, এই সব সন্ত্রাসীরা যে ইসলাম অনুসরণ করে, সেটি আসল ইসলাম না। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষায় এইসব সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। কিন্তু, আসলেই কি তাই? আয়ান হারসি আলি উল্লেখ করেছেন যে, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তেরো বছরেরও বেশি সময় ধরে খুব সহজ একটা সত্যকে আমি বলার চেষ্টা করছি। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা সবসময় বলার চেষ্টা করেন যে, উগ্র মৌলবাদী মুসলমানদের কর্মকাণ্ড যে ধর্মীয় আদর্শ দ্বারা তারা অনুপ্রাণিত তার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। তার বদলে আমি বলবো যে, আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, তারা এমন এক রাজনৈতিক মতাদর্শ দ্বারা পরিচালিত যা ইসলামের মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে, যা রয়েছে পবিত্র কোরানের মধ্যে, যা রয়েছে নবী মুহাম্মদের জীবন ও শিক্ষা বলে খ্যাত হাদিসের মধ্যে। ইসলামিক সন্ত্রাস সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক অস্থিরতা, বা ধর্মতাত্ত্বিক ভ্রান্তির মধ্যে নিহিত নয়, বরং এর শিকড় রয়ে গিয়েছে কোরানের আদি এবং অকৃত্রিম আয়াতসমুহের মধ্যে”।
সন্ত্রাসবাদ ইসলাম ধর্মের মধ্যেই রয়ে গিয়েছে কী যায় নি, সেই বিতর্ক বাদ দিয়েও একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, আজকে বিশ্বের নানা জায়গা যে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ পরিচালিত হচ্ছে, যার কারণে সাধারণ মানুষ আহত-বা নিহত হচ্ছে অকাতরে, সেই সমস্ত সন্ত্রাসী আক্রমণগুলোর বেশিরভাগই পরিচালনা করছে ইসলামি জঙ্গিরা।
এগুলো ঘটানোর পরে তারা ধর্মের কারণেই এই আক্রমণ করেছে এই বিবৃতিও দিচ্ছে বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যেই। সভ্যতার সাথে ইসলামের সংঘাত এখন খুব বেশি পরিমাণে দৃশ্যমান। শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না, সন্ত্রাসের সাথে ইসলামি জঙ্গিদের সম্পৃক্ততাও তেমনি আড়াল করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে আজকের এই আধুনিক প্রযুক্তির যুগে, যেখানে মিডিয়ার মাধ্যমে সেকেন্ডের মধ্যে সারা বিশ্বের মানুষ ঘটনাগুলো জেনে যাচ্ছে সাথে সাথেই।
কোনো এক বিচিত্র কারণে পাশ্চাত্যের ধর্মনিরপেক্ষ এবং আধুনিক সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ হচ্ছে মুসলমানদের একটা অংশ। আজকের এই সহিংসতাপূর্ণ বিশ্বের জন্য মুসলমানদেরও যে দায় রয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েই এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে সবাইকে।
যে কালসাপ আজ ফণা তুলছে এখানে ওখানে, তার বিষদাঁত উপড়ে ফেলে ঢোঁড়া সাপে পরিণত করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমাদের জন্য। অন্যান্য প্রায় সব বড় ধর্মগুলোই নানা সময়ে সামাজিক চাপে, সংস্কারের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে ধারালো নখ হারিয়েছে, বিষদাঁত খুইয়ে নির্বিষ এবং নিরীহ বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। ইসলাম এর মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম। সমস্ত সংস্কারকে প্রতিহত করে, এটি এখনো সেই প্রাচীন অবস্থাতেই নিজেকে টিকিয়ে রেখেছে। এতে করে সমস্যা হচ্ছে আধুনিক বিশ্বের, প্রগতিশীল মানুষদের।
সভ্যতাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে গিয়ে এমন একদল মানুষকে সাথে নিয়ে এগোতে হচ্ছে, যারা শুধু মন্থর বা পিছিয়ে পড়া বললে ভুল হবে, বরং জোর করে উল্টোদিকেই হাঁটতে বেশি ইচ্ছুক তারা। এই দ্বন্দ্বমুখর বিপরীতমুখী যাত্রার ক্ষতিকর প্রভাব বর্তমান বিশ্বকে বইতে হচ্ছে চরমভাবে।
আগামী দিনের বিশ্বকে আরো বেশি রকমের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে এর জন্য। হাজার হাজার বছর ধরে যে সভ্যতাকে নির্মাণ করেছে মানুষ বহু যত্নে, গভীর ভালবেসে, কিছু সংখ্যক সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীর কারণে তা সমূলে ধ্বংস হোক, সেটা নিশ্চয়ই আমাদের কাম্য নয় কারোরই। সন্ত্রাসমুক্ত একটা সুন্দর পৃথিবী দেখার কামনা আমার, আপনার, সকলেরই।
সেই পৃথিবীতে যে বাস করবে আমাদের আমাদের সন্তানেরা, আমাদের অনাগত প্রজন্মের মানুষেরা।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য