আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

জয় আমাদের হবেই

ফরিদ আহমেদ  

মানবতাবিরোধী মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর প্রথম দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারককে হুমকি দিয়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দম্ভোক্তি করেছিলেন যে-

'চোখ রাঙাবেন না। আমি রাজাকার। আমার বাপ রাজাকার। এখন কে কী করতে পারেন করেন।'

আদালত কী করতে পারে, তা এখন সবাই দেখছে। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। ওই রায়ে বিরুদ্ধে আপিল করেন এই বিএনপি নেতা। চলতি বছরের ২৯ জুলাই আপিল বিভাগ সালাহউদ্দিন কাদেরের আপিল খারিজ করে দিয়ে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখে। পরে এ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। সবশেষ গতকাল বুধবার তার রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর এই দম্ভের কথা তাঁর বিচারের পূর্ণাঙ্গ রায়তেও লিখে রেখেছেন বিচারকেরা। সেখানে বলা হয়েছে-

“বিচারের কোনো পর্যায়েই তিনি তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য অনুশোচনা এবং অনুতাপ দেখান নি, বরং এই আদালতের বিচারকাজকে অবমাননা এবং উপেক্ষা করেছেন। তাঁর হাবভাবকে ট্রাইবুনাল দম্ভ হিসাবে দেখেছে এবং বার বার সতর্ক করার পরেও তিনি পুরো বিচার প্রক্রিয়া চলার সময়েই চিৎকার-চেচামেচি করে ট্রাইবুনালের সৌষ্ঠবকে নষ্ট করেছেন। ট্রাইবুনালের কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো সম্মান তিনি প্রদর্শন করেন নি এবং ট্রাইবুনালের কর্তৃত্বকে অমান্য করে গিয়েছেন প্রতিনিয়ত।”

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর শুধু একার নয়, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির আদেশের রিভিউ আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে একই সাথে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত এখন। ফাঁসি দেবার জন্য জল্লাদরাওপ্রস্তুত। প্রস্তুত বাংলাদেশের মানুষেরাও। চুয়াল্লিশ বছর আগে মানবতার বিরুদ্ধে যে নিষ্ঠুর অপরাধ সংঘটিত হয়েছিলো, তার কিছুটা পাপমোচন হতে যাচ্ছে এর মাধ্যমে। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে আবদুল কাদের মোল্লা এবং মো. কামারুজ্জামানের ফাঁসি হয়েছে। এরা দুজনও সেই একই পথের পথিক হতে যাচ্ছেন খুব শীঘ্রই।

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত তেইশটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।যারা মধ্যে নয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।

এর চারটিতে মৃত্যুদন্ড এবং পাঁচটিতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছিলো তাকে।

এইসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের রাউজানে কুন্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহ ও হাটহাজারীর একজন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মোজাফফর হোসেনকে তার পুত্রসহ হত্যা, এবং একাধিক এলাকায় গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও দেশত্যাগে বাধ্য করার ঘটনা।

অন্যদিকে আলী আহসান মুজাহিদ ছিলেন কুখ্যাত আলবদর বাহিনীর প্রধান। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সংগ্রাম যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, সেই বছর জানুয়ারিতে ইসলামী ছাত্রসংঘের ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি হন মুজাহিদ। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর জুলাই মাসে সংগঠনের পূর্ব পাকিস্তান শাখার সেক্রেটারি এবং এরপর প্রাদেশিক সভাপতির দায়িত্ব পান।
 
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় ইসলামী ছাত্রসংঘের সদস্যদের নিয়ে আলবদর বাহিনী গঠিত হলে, ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার নেতৃত্ব দেন ইসলামী ছাত্রসংঘের তখনকার সভাপতি ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। অক্টোবরে ওই বাহিনীর প্রধান হন মুজাহিদ।
 
তদন্ত সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদের নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী যুদ্ধের মধ্যে ফরিদপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা, অপহরণ, লুটপাটের মতো ব্যাপক মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালায়। মুজাহিদের নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী সেপ্টেমর মাস থেকে শুরু করে দেশ স্বাধীন হবার আগ পর্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এ দেশের বরেণ্য সব বুদ্ধিজীবীদের।

২.
আজকে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের যে বিচার হচ্ছে, এর ভিত্তিটা কিন্তু গড়ে দিয়েছিলেন এক অসমসাহসিক নারী জাহানারা ইমাম। একটা সময়ে প্রায় সবাই যখন একাত্তরের কথা ভুলতে বসেছে, বাংলাদেশের সমাজে যুদ্ধাপরাধীরা যখন শক্ত ভিত গেড়ে বসেছে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষেরা যখন কোণঠাসা, ঠিক সেই সময়েযুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় আন্দোলনটা গড়ে তুলেছিলেন তিনি। ভিয়েতনামে মার্কিন আগ্রাসনের বিচারের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে বার্ট্রান্ড রাসেলে একটি বেসরকারী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিলেন। সেই ট্রাইব্যুনালে ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং উত্তর ভিয়েতনামে গুপ্তহত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জনসনের সরকারকে দায়ী করা হয়। এরই আদলে জাহানার ইমাম ১৯৯২ সালের ২৬শে মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গড়ে তোলেন গণ আদালত। সেখানে প্রতীকী বিচারকার্য সমাধা হয় গোলাম আযমসহ কুখ্যাত বেশ কিছু রাজাকারের। এই গণআদালতের রায় বাস্তবায়নের জন্য সারা দেশব্যাপী এক বিশাল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তিনি।

পচাত্তরের পরে আমাদের ইতিহাসকে বিকৃত করার, আমাদের গৌরবোজ্জল উত্তরাধিকারকে কালিমালিপ্ত করার, ইতিহাসের সাহসী মানুষদের বিস্মৃতির আঁধারে ঠেলে দেবার, খলনায়কদের নায়ক বানানোর সব প্রচেষ্টাই চালু হয়ে যায়। একসময় যারা বাংলাদেশের জন্মে প্রবল বিরোধিতা করেছে, নিদারুণ নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছে একে আঁতুরঘরেই হত্যা করতে, একাত্তরের সেইসব যুদ্ধাপরাধীরা তখন সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কোনো কণ্ঠ তখন বাংলাদেশে ছিলো না। অদম্য সাহস নিয়ে মহিয়সী এই মহিলা এগিয়ে আসেন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে। সেই সময় তিনি মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত। মৃত্যুকে সঙ্গী করে আন্দোলন পরিচালনা করেছেন তিনি। বিএনপি-জামাত এবং ফ্রিডম পার্টিওয়ালাদে অকথ্য গালিগালাজ খেয়েছেন। বিএনপি সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশের লাঠিপেটা খেয়ে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটেও থেকেছেন। তারপরেও তাঁকে ঠেকানো যায়নি। নির্মূল কমিটির জেলা বা থানা পর্যায়ের আয়োজিত যে কোন জনসভাতেই অংশ নিতেন তিনি। ফলে আন্দোলন হয়ে উঠেছিল দুরন্ত-দুর্বার।

গণ আদালত গঠন করার অপরাধে তাঁকে সহ চব্বিশজনকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ফেলে দেয় বিএনপি সরকার। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপবাদ মাথায় নিয়েই মারা যান তিনি। কী আজব এই দেশ! অথচ এই ভদ্রমহিলা মানব ইতিহাসের বিরল এক মা। একাত্তরে বাংলাদেশের যাতে জন্ম হয় সেই কারণে নিজ হাতে সন্তানকে রণসাজে সাজিয়ে ভারতের পথে নামিয়ে দিয়ে এসেছিলেন তিনি। যুদ্ধে যাওয়া তাঁর সেই ছেলে রুমি বাঁচে নি। আরো অসংখ্য গেরিলা যোদ্ধার সাথে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো তাঁকে। শুধু যে ছেলে হারিয়েছিলেন তিনি, তাই নয়। তাঁর স্বামীও মারা গিয়েছিল এই যুদ্ধের প্রত্যক্ষ স্পর্শে। আর সেই দেশে তিনি রাষ্ট্রদোহী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন!

মৃত্যুকে বিছানার একেবারে পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখার পরেও তিনি তাঁর কর্তব্য কর্মে অবিচল ছিলেন। মারা যাবার আগে দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে শেষ চিঠি লিখে যান তিনি। সেই চিঠিতেও আশংকা প্রকাশ করে গিয়েছিলেন এই বলে যে, এই আন্দোলনকে এখনো অনেক দুরস্ত পথ পাড়ি দিতে হবে। তাঁর মৃত্যুর এতদিন পরেও দেখা যাচ্ছে যে, তাঁর কথাই সত্যি ছিল। এই আন্দোলনকে অনেক চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে ধীরে ধীরে সাফল্যের মুখ দেখতে হচ্ছে।

জাহানারা ইমামের লেখা শেষ চিঠিটা ছিলো এরকম-

“সহযোদ্ধা দেশবাসীগণ,
আপনারা গত তিন বছর একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমসহ স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন। এই লড়াইয়ে আপনারা দেশবাসী অভূতপূর্ব ঐক্যবদ্ধতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আন্দোলনের শুরুতে আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের অঙ্গীকার ছিল লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছেড়ে যাবো না। মরণব্যাধি ক্যান্সার আমাকে শেষ মরণ কামড় দিয়েছে। আমি আমার অঙ্গীকার রেখেছি। রাজপথ ছেড়ে যাইনি। মৃত্যুর পথে বাধা দেবার ক্ষমতা কারো নেই। তাই আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি এবং অঙ্গীকার পালনের কথা আরেকবার আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই। আপনারা আপনাদের অঙ্গীকার ও ওয়াদা পূরণ করবেন। আন্দোলনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে থাকবেন। আমি না থাকলেও আপনারা, আমার সন্তান সন্ততিরা –আপনাদের উত্তরসূরিরা সোনার বাংলায় থাকবে।

এই আন্দোলনকে এখনো অনেক দুরস্ত পথ পাড়ি দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র ও যুবশক্তি, নারীসমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ এই লড়াইয়ে আছে। তবু আমি জানি জনগণের মত বিশ্বস্ত আর কেউ নেই। জনগণই সকল শক্তির উৎস। তাই একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরোধী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও ’৭১ এর ঘাতক দালাল নির্মূল সমন্বয় আন্দোলনের দায়িত্বভার আমি আপনাদের বাংলাদেশের জনগণের হাতে অর্পণ করলাম।

জয় আমাদের হবেই।“

জাহানারা ইমামের দেখানো সেই পথ ধরেই আজ এতো দিন পর একে একে সব কুখ্যাত রাজাকার-আলবদরদের বিচার হচ্ছে এই বাংলাদেশে। যে বাংলাদেশকে একদিন আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম এদের হিংস্র নখরাঘাতে, সেই বাংলাদেশকে যেনো ফিরে পাচ্ছি ধীরে ধীরে।


আমাদের আগের প্রজন্ম তাদের প্রথম তারুণ্যে ভালবাসার রমণীর হাত ধরার আগেই দেশ মাতৃকারদুর্দিনে হাতে তুলে নিয়েছিল অস্ত্র। একটা প্রজন্মের অসংখ্য তরুণজানে নি কেমনলাগেভালবাসার মানুষের চোখে চোখ রাখতে, কী রকম অনুভূতি হয় নিজের সন্তানকে বুকে জড়িয়েধরতে, কী ধরনের আনন্দে মানুষ ভেসে যায় নাতি নাতনির হাত ধরে হাঁটার সময়। তার আগেইদেশ আর দেশের মানুষের জন্য সব ত্যাগ করে চলে গিয়েছিল তারা। তারা চলে গিয়েছে, কিন্তু আমাদের দিয়ে গিয়েছে স্বাধীন একটা দেশ। সেই দেশটাকে, একদল হিংস্র শকুন-শ্বাপদের কাছে হেরে তাদের অভয়ারণ্য হতে দিতে পারি না আমরা কিছুতেই। এ লড়াইয়ে জয় আমাদের হবেই। শুধু প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ থাকা।

জয় বাংলা

ফরিদ আহমেদ, কানাডা প্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ