আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

টেমসের বুকে সুরমার স্রোত

অসীম চক্রবর্তী  

প্রথমেই শুরু করি একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে। লন্ডন শহরে আসা বাংলাদেশীদের মধ্যে খুব কমই আছেন যারা লন্ডন শহরে পা রাখার পরদিনই ব্রিকলেন অথবা হোয়াইট চ্যাপেলের বাঙালি এলাকায় যাননি। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় হয়নি।

প্রথমদিন এক বড় ভাইয়ের সাথে ঘুরে এলাম। সাহস করে দ্বিতীয়দিন একাই রওয়ানা হলাম। গন্তব্য ব্রিকলেন। শ্যাডুয়েল থেকে হেটে ক্যানন স্ট্রিট ধরে সোজা কমার্শিয়াল রোড। এর পর মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে হেঁটে সোজা আলতাব আলী পার্ক। ট্রাফিক লাইট পেরিয়ে অসবোর্ন স্ট্রিটে এসে এশিয়ান এক ভদ্রলোককে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলাম “ক্যান ইউ প্লিজ টেল মি হাউ ক্যান আই গো টু প্রিন্সলেট স্ট্রিট?” দেশী উচ্চারণ আর আমার চির চেনা বাঙালি চেহারা দেখে উত্তর নাদিয়ে নিমেষেই এশিয়ান ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন ” ভাইছাব কিতা বাঙালি নি?” আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই তিনি বললেন “ভাইছাব মনে হয় নয়া দেশ থাকি আইছইন? অউ বিরিকলেইন আর হোয়াইট চ্যাপেল এলাকাত কিন্তু আমরার মানুষউ বেশি। ইনো সিলেটী মাতলে বেশি সুবিধা ফাইবা। ” জীবনে কোনো ইজম অথবা আঞ্চলিকতায় বিশ্বাস নাকরা আমি সেইদিনই নিজের আরও একটি সত্বার অস্তিত্ব আবিষ্কার করলাম। যে স্বত্বা নিজের অজান্তেই ঘাপটি মেরে লুকিয়েছিল আমার মাঝে। সেই স্বত্বার নাম সিলেটী স্বত্বা।


মূলত: সিলেট অঞ্চলের সমৃদ্ধশালী  লোকজ সাহিত্যকে কিছুটা হলেও সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াটাই হলো  মূল উদ্দেশ্য। লিখতে গিয়ে পদে পদে বুঝেছি এ নিয়ে বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। এর জন্য  আমাদের প্রথমে যেতে হবে সংগ্রহে, তার পর যাচাই বাছাই করে একটা সংকলন তৈরি করা যেতে পারে, যা নিয়ে হয়তো অনাগত প্রজন্ম গবেষণা করবে। এখনো  আমাদের অনেকেই স্মৃতি হাতড়ে কিংবা বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে জেনে কিছু লিখতে পারবেন, হয়তো আর কিছু দিন পর সেটাও হয়ে যাবে দুষ্কর।

সিলেটী ভাষা  একটি  স্বতন্ত্র ভাষা। এটি কেবল মাত্র আরেকটি আঞ্চলিক  ভাষা নয় ! ভাষা কিংবা উপভাষা যাই বলিনা কেনো সিলেটী ভাষার  রয়েছে রীতিমতো  একটি স্বাধীন বর্ণমালা, যা নিয়ে সিলেটের অধিবাসীরা গর্ববোধ  করতেই পারেন ।  এই পৃথিবীর অনেক স্বীকৃত ভাষারই নিজস্ব বর্ণমালা নেই। নাগরী ভাষায় হয়তো আমরা কথা বলিনা, এবং অনেক শব্দাবলী আমরা ব্যবহার করি যা নাগরীতে নেই। বস্তুত: নাগরীর ব্যবহার আমরা দেখতে পাই পুঁথি এবং গান রচনায়। সিলেটের স্বতন্ত্রতা আমরা দেখতে পাই এ অঞ্চলের ভাষায় সাহিত্যে সংস্কৃতিতে।

বাউলের দেশ, সাধকের দেশ বাংলাদেশ।  সিলেট অঞ্চলে যেন এই কথাটা আরো  অনেক বেশি সত্যি। জারি, সারি, ঘাটু, পল্লী, আধ্যাত্মিক , জালালী, বাউলা গান আরো  কতো ধরনের গান আমরা পাই। কোন রকম গবেষণা ছাড়াই আমরা এসব গান এবং উদাহরণ চিহ্নিত করতে পারি। সিলেটকে বলা হয় আধ্যাত্মিক রাজধানী ; যুগে যুগে এ অঞ্চলে হয়েছে বহু আউল, বাউল, সাধকের আবির্ভাব। তাদের সঙ্গীতে আমাদের সাহিত্য হয়েছে সমৃদ্ধ। হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, রাধা রমন, আরকুম শাহ, ক্বারী আমির উদ্দিন এরকম হাজার বাউল, গীতি কবি লিখে গেছেন হাজারও গান।

জারি, সারি, জালালী, কবি গান, ঘাটু গান, পালা গান সহ আরও অনেক ধরনের রচনা আমরা দেখতে পাই। মুসলমান কিংবা সনাতন উভয় ধর্মাম্বলী সাধকেরা  আধ্যাত্মিক ভাবে বিলীন হয়ে লিখেছেন ভাবের গান। প্রেমের গান যেমন আছে, তেমনি আছে দেশের গান, আছে জীবনের গান, আছে কিচ্ছা কাহিনী কত যে বৈচিত্র্যময় আমাদের এই অঙ্গন তা আসলে না শুনলে বুঝা কঠিন।

বাংলায় প্রবাদ প্রবচন, সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় এটাকে ডিটান ছিল্লখ, কিংবা ডাখর খতা। অনেক সময় বাংলা খনার বচন, প্রবাদ-প্রবচনের সিলেটী রূপ আমরা দেখতে পাই যেমন ‘একেতো নাচুনে বুড়ি, তার উপরে ঢোলের বাড়ি’ সিলেটী রূপ ‘ এখতো নাছইয়া বুড়ি, তার উফরে ডুলর বাড়ি’ কিন্তু একই সময়েই আমারা দেখি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র সিলেটী ছিল্লখ যেমন ‘ কার হুউগদা খাউ লো বান্দি ঠাকুর ছিন না’ (যে সাহায্য করে তাকে অস্বীকার করা ) ‘বাফে না গুতে, চুঙ্গা ভরি মুতে’ অথবা (চৌদ্দ গোষ্ঠী যা পারে না তা করার চেষ্টা ) চোরে চোরে আলি এক চোরে বিয়া করে আরেক চোরের হালি ( অর্থাৎ চোরে চোরে মাসতুত ভাই ) ঘাট ফারৈতে উলামেলা , ঘাট ফারৈলে খেয়ানি হালা (বিপদ শেষ হয়ে গেলে সাহায্যকারীকে না চেনা ) অক্কিলোর ধন বক্কিলে খায় কাঙালের ধনে গড়াগড়ি বায় (কঞ্জুসের ধন বাটপারে খায় ) হাওরের গরু মামা হৌররে দান (বেনামী সম্পত্তি দান করা ) চিনেনা ভুবির গুড়ি বিয়া করতে চায় মৌলবির পুড়ি ( যোগ্যতা নাই কিন্তু উঁচু বংশে বিয়ে করতে চায় ) অইব পুত ডাকব বাফ থেউ যাইবো মনোর তাফ (ফলের জন্য অপেক্ষা ) যার আতে যে খাইসে না তাইন বড় রান্ধুনি, যারে যে দেকছে না তাইন বড় সুন্দরী (অদেখা জিনিস সবসময় আকর্ষণীয় ) যার লাগি যত, তারে ফাইলাম ফতো (মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি ) তিন কুটায় বাইঙ্গন পাড়া (সহজ কাজ কঠিন করে করা ) যত মরা বাইয়া যাইন, ফউদ্দারো ছইয়া যাইন (সকল বিপদ নিজের দিকে আসা ) মৌলভির নাও আগেদি গেলেও জিত, পিছেদি গেলেও জিত ( প্রভাবশালী সবসময় বিজয়ী )

ধাঁধা কে  সিলেটি ভাষায় বলা হয়  ফই। গ্রামে এখনও অনেক প্রচলিত সিলেটী ফই আছে । প্রশ্নকর্তা ফই বলেন আর উত্তরদাতা সেটাকে ভাঙ্গান; আমি নিশ্চিত আপনাদের সবারই দু-একটা পই জানা আছে। আচ্ছা এবার আমি কিছু ফই দিচ্ছি ভাঙ্গান দেখি ?

যেমন
ও ঘরর বুড়ি হ ঘরে যাইন কট কটাইয়া গুয়া খাইন।

মানুষ আছে মাত নাই,গর আছে দুয়ার নাই।

উক্কলসি বুক টান্ডা,
ফাতা তার খন্ডা খন্ডা,
যেদিন ফুল ফুটিব, পৃথিবী উল্টিব।

লখটন ও থাখে,
ফখটন ও খায়,
খাটিয়া দিলে আটিয়া যায়।

ছইওনা আমারে,মারি দিমু তুমারে।

উটান টন টন ফিছে লাই, খাই বিছ তর বাখল নাই

জলো থাখে জলুনি,
জলো তাইর বাসা,
হাড্ডি নাই গুড্ডি নাই মাংশয় তাই ঠাসা।

সিলেটী নানা ছন্দময় শব্দ আমরা প্রতিদিনই ব্যবহার করি যেমন বেবাট, আড়ুয়া, দুরুমছান্দী, আঙ্গাজ, নিমরা সহ হাজারো। সিলেটের অনেক অঞ্চলে অনেক রকম শব্দাবলী আছে যা মূল ভাষা যেটায় আমরা সচরাচর কথা বলি তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। নতুন প্রজন্মের যারা শহর অঞ্চলে বেড়ে উঠেছেন এবং বসবাস করেন , প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়েছেন বাংলায়, এবং নানা অঞ্চলের মানুষের সাথে একই পরিমন্ডলে থেকেছেন , স্বভাবতই তাদের ভাষা অনেকটাই পরিবর্তিত। কিছুটা যেন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে গেছে সিলেটি  কথ্য ভাষায়, অনেক শব্দের সিলেটী রূপ জানা থাকলেও  এখন তা আর ব্যবহার করা হয় না । আবার অনেক আদি আঞ্চলিক শব্দের অর্থও আমরা সঠিক জানিনা। আমরা ইংরেজি, প্রমিত  বাংলা, রূপান্তরিত সিলেটী যে ভাষায়ই কথা বলি না কেন, হারিয়ে যাওয়া শব্দ গুলোও আমাদের ঐতিহ্য সেগুলোকে আমরা অন্তত লিপিবদ্ধ করে রাখতে পারি, এবং তা এখনই…

সিলেটী ভাষার অনেক শব্দই আসলে প্রমিত  বাংলা ভাষার একটু পরিবর্তিত রূপ, যেগুলো আঞ্চলিক কিংবা কথ্য রূপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, কিন্তু একই সময় আমরা এমন কিছু শব্দাবলী দেখতে পাই যার মূল রূপের সঙ্গে কোন রকম মিল বা সঙ্গতি নাই। যেমন দক্ষিণ এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশের মতো বাংলাদেশেও সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় পোশাক লুঙ্গি, সিলেটীতে আমরা সচরাচর সেটাকে বলি লঙ্গি, কিন্তু এর সম্পূর্ণ আলাদা  একটা শব্দ ও আমরা দেখতে পাই যেটা হলো ‘তফন’। এরকম আরও অনেক শব্দ আমরা অনেকেই জানি হয়তো এখন আর ব্যবহার করি না, কিন্তু সেগুলি এখনই সংগ্রহ করে লিখে না ফেললে ভবিষ্যতে এই শব্দগুলো আর কেউ জানবেও না ।

আমি নিশ্চিত এই লেখার পাঠককুলের প্রায় বড় একটি অংশ  যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে থাকেন। সকাল সন্ধ্যা ব্যস্ত থাকেন কাজ আর ব্যবসা নিয়ে। আসলে আমাদের প্রায় সকলের পরবাসী হবার গল্প কিন্তু প্রায় একই। অনেকটা অঞ্জন দত্তের সেই গানের মতো :

একটু ভালো করে বাঁচব বলে আর একটু বেশি রোজগার
ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়
ভালো করে হয়তো আমরা বেঁচে আছি, এবং বেশি রোজগার ও করছি কিন্তু এক মুহূর্তের জন্য কি ভুলতে পেরেছি সুরমা পারের হাতছানি, কুশিয়ারা নদীর জলের মায়া, মনু কিংবা খোয়াই নদীর স্রোত ? আমাদের মনের মধ্যে প্রতিদিনই নিরবে বহে যায় চা বাগানের সুমিষ্ট বাতাস, কমলার সুঘ্রাণ আর শ্রীমঙ্গলের আনারসের মিষ্টতা।  প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর সিলেটী তথা আমাদের আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে দেশ কাল সীমানার গণ্ডিকে অতিক্রম করে যুগযুগান্তর বেঁচে থাকুক ।

অসীম চক্রবর্তী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ