আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Advertise

বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পোস্টমর্টেম

জহিরুল হক বাপি  

বেগম খালেদা জিয়া সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনি শুধু নন। তিনি দুইবার সরাসরি নির্বাচিত এবং একবার প্রহসনের, গায়ের জোরে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীও। যদিও তৃতীয় বার তাকে নাস্তানাবুদ হয়ে জনরোষে পড়ে শপথ গ্রহণের অল্প কয়দিন পরই ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। 

৭১ এর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ নিয়ে তার বক্তব্য নিয়ে সারা দেশেই আলোচনা সমালোচনা চলছে। প্রায় পঞ্চাশ মিনিটের এ বক্তব্যে তিনি শুধু মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়েই কথা বলেননি, বলেছেন আরও অনেক কিছু নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ সমাবেশ নামে বিজয়ের এ মাসে তার পুরো বক্তব্যের অনেক গুলো গলি ঘুপচি আছে। আমার ভাবনায় এসব গলি ঘুপচির অনেকগুলো কিম্ভুত দিক ধরা পড়েছে।

শুরু করি শহীদের সংখ্যা নিয়ে। এ নিয়ে বেশি কিছু বলার নাই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার এবং তাদের দলের অনেক ধরনের পরস্পরবিরোধী, স্ববিরোধী বক্তব্যের কথা জানি। ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের সংসদ সদস্য সংসদে সাদা শাড়ি পড়ে কাঁপা কাঁপা গলায় মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং তিন লক্ষ নির্যাতিত নারীর প্রতি সম্মান জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেছিলেন। সেই মনি আবার টক শোতে সে সংখ্যা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছিলেন!! অদ্ভুত। নিজেকে অস্বীকার করার প্রবণতা সম্ভবত বিএনপির প্রতিটি নেতারই স্বভাবজাত। বাঙালি আবেগ প্রবণ হুজুগে । এরা এই সুযোগটাই নেয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে তখনকার আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যমগুলোর রিপোর্ট এখন চাইলেই পাওয়া যায়। সোভিয়েত পত্রিকা তাস, প্রভাদা, ইউএনআই, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি সহ বিভিন্ন স্বনামধন্য গণ মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষের কথা উঠে এসেছে। কিন্তু বেগম জিয়া বাঙালির সরলতার স্বভাবকে কাজে লাগিয়ে চতুর ভাবে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন কোন রেফারেন্স না দিয়েই।তিনি কোন সংখ্যা প্রকাশ করেন নি। করলে ঝামেলা আরও বাড়তো।

একটা কথা প্রচলিত আছে “ গুনতে পারিনা তো কি হয়েছে চোখের মাপেতো বুঝি” । ৭১ এর শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বেগম জিয়ার চোখের মাপ মাপারও কোন সম্ভাবনা নাই। কারণ সে সময়টায় তিনি ছিলেন পাকিস্তানীদের ক্যাম্পে। বাইরের বিভীষিকা দেখার তার কোন পথ ছিল না। এ প্রসঙ্গে খালেদার একটা বক্তব্য না তুললেই নয়। তিনি বলেছেন তিনি ৭১ এ নির্যাতিত পাকিস্তানীদের দ্বারা। আসলাম বেগ, জানজুয়া, ইউসুপ রেজা প্রমুখ পশুর তত্বাবধানে ছিলেন তিনি। এদের পাশবিকতা নিয়ে কোন কথা, কোন কিছু নতুন করে বলার নেই।মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনাকর্মকর্তার বন্ধী স্ত্রীর প্রতি বহুগুণ বেশি অত্যাচার তো স্বাভাবিক । কিন্তু একটা কিন্তু থেকে যায়।

পাঠক, কেউ যদি আপনার হাত কেটে ফেলে, বা আপনার বাবাকে মেরে ফেলে আপনি কি তার মৃত্যুতে ব্যথিত হবেন। আপনি যদি নারী হন এবং ধর্ষিত হন, অত্যাচারিত হন দিনের পর দিন, কারো দ্বারা তবে সে ব্যক্তির মৃত্যুর পর আপনি কি দুঃখে মুষড়ে পড়বেন? উত্তর: প্রশ্নই আসে না মুষড়ে পড়ার। জানজুয়া নরকবাসী হওয়ার সময় বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী। জানজুয়ার মৃত্যুর খবরে বেগম জিয়া বিচলিত হয়ে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রোটকল ভেঙ্গে তিনি রাষ্ট্রীয় শোক প্রকাশ করেন। শত্রুপ্রতীম দেশের জেনারেলের মৃত্যুতে এমন রাষ্ট্রীয় শোক পৃথিবীর ইতিহাসে নাই। নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত জেনারেলের মৃত্যুতে নিজ দেশেও রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয় না। কিন্তু সেবার বেগম জিয়ার রাষ্ট্রীয় শোকবার্তা পাঠানোর পর তৎকালীন পাকিস্তানি সরকার জানজুয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে বাধ্য হয়। এখানে “কিন্তু”টা হলো যে লোক দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে খালেদাকে বন্ধী করলো, রাখলো, নির্যাতন করলো তার মৃত্যুতে তিনি রাষ্ট্রীয় শোক প্রেরণের কারণ কি?!!! কি?! কি? এখানে আর উল্লেখ্য জরুরি যে জানজুয়া ১৯৫ জন পাকি যুদ্ধাপরাধীর ভিতর একজন।

বিএনপির মেজর হাফিজের পুরানো কথা অনুযায়ী তিনি খালেদাকে আনতে কয়েকবার ক্যান্টনম্যান্টে যান কিন্তু বেগম জিয়া আসতে অস্বীকার করেন। জানজুয়ার মৃত্যুতে শোকের কথা বাদ দিলেও একটা প্রশ্ন থেকে যায়- তিনি জিয়ার কাছে যেতে অস্বীকার করলেন কেন? খালেদা জিয়ার কথা অনুযায়ী তার স্বামী ঐ সময় নিয়মিত তার খোজ খবর নিতেন। এ কথার সাথে সাথে অনেকগুলো প্রশ্ন উদিত হয় এবং অনেক কিছু পরিষ্কারও হয়। যুদ্ধের সময় এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাতায়তও ছিল আতংক জনক। রাজাকার, পাকিস্তানি বাহিনী কত কি! মুক্তিযোদ্ধাদের এক ক্যাম্প থেকে আরেক ক্যাম্পে যাতায়াতও কঠিনতর। সে সময় জিয়া তার স্ত্রীর খবর নিতে মানুষ পাঠাতেন, চিঠি পাঠাতেন জল্লাদের সুরক্ষিত দুর্গে । এটা কি ভাবে সম্ভব যদি না সেখানে অন্য ঘটনা থাকে।

মাঝে মাঝে কানাঘুষা পাওয়া যায় জিয়া ৭১ থেকেই পাকিস্তানি স্পাই। ইচ্ছের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলেও তিনি শেষ পর্যন্ত পাকি মনোভাবাপন্নই ছিলেন এবং তাদের হয়েই কাজ করেছেন? না হলে তার স্ত্রীর হাতে কিভাবে তার চিঠি পৌছায়? কি ভাবেই বা তার লোকজন বেগম জিয়াকে আনতে যায় এবং ফেরত আসে? মেজর হাফিজও যেহেতু নিজে গিয়েছেন আবার জীবিত ফেরতও এসেছেন সেহেতু কি আমরা ধরে নিব মেজর হাফিজও পাকি স্পাই? বেগম জিয়ার বক্তব্যের ভিতর দিয়ে সে সন্দেহ আর সন্দেহ থাকছে না। ঐ বক্তব্যে বেগম জিয়া আরও বলেছেন এ. কে. খন্দকারের সমালোচিত বইয়ের প্রতিটি বক্তব্যই সঠিক। সেই বইতেই আছে জিয়া সরাসরি কোন যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন নাই। সিরু বাঙালি বা অন্যান্যদের বই এর রেফারেন্স দিলাম না। বেগম জিয়া যে বই বিশ্বাস করেন, সত্য মনে করেন সেই বইকে সত্য ধরলাম। জিয়া কেন কোন যুদ্ধে অংশ নেন নাই? স্পাই বলে? যুদ্ধ যুদ্ধ খেললাম আবার সহজেই খবরও পাচার করলাম? বেগম জিয়ার বক্তব্যের মধ্যে আজ প্রমাণিত যে জিয়া পাকি স্পাই ছিল প্রথম থেকেই।

এবার যাই অন্য প্রসঙ্গে। মিথ্যা মামলা দিয়ে কোকোকে হয়রানি করার কারণে কোকো অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। বাহ! অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা বেগম জিয়া চিকিৎসা বিদ্যাও জানেন। মিথ্যা মামলা না হয় দেশে হয়েছে। কিন্তু কানাডা বা সিঙ্গাপুরেতো বাংলাদেশ সরকার মামলা করে নাই। মামলা যদি মিথ্যা হয় তবে সরকার মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় কোকোর টাকাই বা সরকার দেশে ফেরত আনলো কিভাবে?

বেগম জিয়া বলেছেন এ দেশে জিয়া শিল্প কারখানা গড়তে চেয়েছেন। দেশকে সমৃদ্ধশালী করার জন্য। ৭১ পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার এদেশে পাকিস্তানীদের সকল শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু জিয়া ক্ষমতায় আসার পর তা আবার ফেরত দেয়। কেন? তার সময়ে নতুন কোন কোন কলকারখানা গড়ে উঠেছে বা শিল্প বিপ্লব হয়েছে বলে কোন ইতিহাস পাইনি। তাহলে? 

তারা সংসদ নির্বাচনে যান নাই কারণ তারা জানেন ঐ সময় তারা ভোট দিতে পারবেন না। আজ যাওয়ার কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন স্থানীয় নির্বাচনে জনগণ সম্পৃক্ত থাকে। তারা নির্বাচনের দল তাই তারা পৌর, উপজেলা , ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে। সংসদ নির্বাচনে কি তবে সুন্দর বনের বান্দররা ভোট দেয়?! 

বেগম জিয়া সে দিন দাবী করেন তারা ৮০% জনগণের সমর্থিত দল। বাকী ১৫% গায়েব হলো কোথায়? আগেতো তিনি দাবী করেছেন তাদের সমর্থক ৯৫%। এই ১৫% সমর্থন কমার কোন কারণ তিনি দেখান নি। ধরলাম তার কথাই ঠিক। ৮০% বা ৯৫% যাই হোক এত সমর্থন নিয়েও কেন বারবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে জনগণকে মাঠে নামাতে পারে নাই? শেখ হাসিনা একবারই ডাক দিয়ে ছিলেন লগি বৈঠার সে ইতিহাস নিশ্চয় পাঠক ভুলে যান নি। 

দলীয় প্রতীকে নির্বাচন নিয়ে তিনি এক দিকে ক্ষুব্ধ । এখান ষড়যন্ত্র আছে। আবার অন্য দিকে খুশি কারণ ৮০% জনগণ তাকে বলেছে তারা ধানের শীষ প্রতীকে অনেক দিন পর ভোট দিতে পারবে। কি চমৎকার স্ববিরোধী বক্তব্য এক বক্তৃতায়ই। ৮০% না যদি ৪০% সমর্থনও থাকে তবে তা বর্তমান সরকারের বিপদের কারণ হবে। ১০%, ২০% ৩০% জনগণের বিরুদ্ধে হয়ত ষড়যন্ত্র করা সম্ভব কিন্তু তাই বলে ৮০% এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র? তিনি আরও বলেছেন দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন কেউ কখনও দেখে নি। আগামী কালের সূর্য পাঠক আপনি এখনও দেখেন নি, তাই বলে দেখবেন না। সময়ের সাথে নূতন আইন হয় নিয়ম হয়। এটা স্বাভাবিক। 

পদ্মা সেতুর নিয়ে বক্তব্যে আমি রীতিমত আতংকিত। তিনি বলেছেন বানে ভেসে যাবে পদ্মা। তার কোন কথাই ফেলনা না। তিনি নির্বাচনের আগে বলেছিলেন গণতন্ত্রের স্বার্থে কিছু প্রাণ হানি ঘটবে। ঘটেছেও। তার বোমা বাহিনী কম মানুষকে পুড়িয়ে মারে নাই। নিরীহ সব মানুষ যাদের বেশির ভাগেরই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা নেই। সে হিসাবে আমি মনে করি এ বিষয়ে বেগম জিয়া গোপন কোন তথ্য জানেন। স্যাবেটাজ, বোমা হামলা করে পদ্মা সেতুর কাজ যতটুকু এগিয়েছে সেটা ধ্বংস করবে? নাকি কোন ষড় যন্ত্রের মাধ্যমে বিদেশিদের ভাগিয়ে দেবেন। এমন চেষ্টা তো তিনি ড. ইউনুসকে দিয়ে করিয়েছেনই।

গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস করার জন্য তিনি বর্তমান সরকারকে দায়ী করেন। যদিও গার্মেন্টস শিল্প এখন বহাল তবিয়তেই আছে। কিন্তু জে.এস.পি সুবিধা বাদ দেওয়ার জন্য তিনি আমেরিকাতে পত্র দিয়েছিলেন। সে জিএসপি আমরা আজও পাইনি। আমাদের আর দরকারও নাই।

তার কথায় দেশে দারিদ্রতার হার ক্রমাগত বাড়ছে। তিনি যদি তার ও তার খুনি স্বামীর দেশ পাকিস্তানের কথা বোঝান এ বক্তব্যে তাহলে আপত্তি নাই।জঙ্গিবাদের কারণে পাকিস্তান আজ পৃথিবী সবচাইতে ব্যর্থ রাষ্ট্র । কিন্তু বাংলাদেশের কথা বললে আপত্তি আছে। অনেক গভীরে যাওয়া লাগবে না। বছর কয়েক আগের বিপণি বিতানগুলোর সামনে ভিখারির ভিড় আর আজকের চিত্র দেখলে অনেক কিছুই স্বচ্ছ হয়ে যাবে।

বেগম জিয়া আরও বলেছেন শিক্ষার পরিবেশ নাই দেশে। ঠিক। সহমত। এখানে দুইটা পয়েন্ট আছে। তার স্বামী ও তার প্রিয় জামাতিদের মিথ্যা শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আমরা বের হয়ে আসছি। পাকি ভাব ধারা শিক্ষার পরিবেশ আসলেও দেশে নাই। এখন হবে বাংলা ভাব ধারার শিক্ষা । তাছাড়াও বেগম জিয়ার বোমা বাহিনী ৫০০ বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিয়েছে। সেগুলার সংস্কার চলছে। সে হিসাবেও শিক্ষার্থীদের একটু কষ্ট হচ্ছে।

আমার কাছে সবচেয়ে অদ্ভুত লেগেছে বেগম জিয়ার বাক্য বিন্যাস। তিনি মঞ্চে বসেই তার পাশে বসা সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইব্রাহীমকে নাম ধরে এমন বলেছেন যেন তিনি তার ভৃত্য সম্বদ্ধে বলছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্বধোন করেন “সে” “সে” বলে! জনসম্মূখে এটাতো অশিক্ষিত বাসাবাড়ির গৃহকর্মীদের আচরণ! অথচ শেখ হাসিনা বেগম জিয়ার সমলোচনার সময় “তিনি” করেই বলেন।

জহিরুল হক বাপি, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ