আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

চক্রান্ত চলমান: ‘বার্গম্যান থেকে খালেদা; মজহার থেকে গয়েশ্বর’

সাব্বির খান  

মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লক্ষ শহীদের স্মৃতি-সুরক্ষার মত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্ন তুলেছিলেন বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশে বসবাসকারী বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে ডেভিড বার্গম্যানের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বিশ্বখ্যাত দ্য ডেইলি নিউইয়র্ক টাইমস অত্যন্ত কদর্য ভাষায় একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছিল, যেখানে বাংলাদেশের বিচারবিভাগ ও সার্বভৌমত্বকে অত্যন্ত অসম্মানজনকভাবে কটাক্ষ করা হয়েছিল।

যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির পরে বিশ্ববিবেককে হতবাক করে দিয়ে ৩০ নভেম্বর, ২০১৫ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে একটি বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান কর্তৃক কোন ধরনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়নি বলে বিবৃতি দেয়, যা পরোক্ষভাবে একাত্তরে বাংলাদেশে ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যাকে নাকচ করার শামিল।

গত ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে জামায়াত-বিএনপির বাম ঘরানার বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার তাঁর ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, “আজ ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে পরাজিত হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দিন”। এই বক্তব্যে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকারই শুধু করেননি, একই সাথে অবমাননা করেছেন ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগকে। গত ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আজকে বলা হয়, এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে।‘ (কালের কণ্ঠ, ২১ ডিসেম্বর-২০১৫) অর্থাৎ তিনিও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে নির্লজ্জ কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো একধাপ গলা চড়িয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ‘নির্বোধ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তাঁরা নির্বোধের মতো মারা গেলেন, আর আমাদের মতো নির্বোধরা প্রতিদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে ফুল দেয়। না গেলে আবার পাপ হয়।‘ (সূত্র: ঐ)

উপরের ঘটনাগুলো যে কাকতালীয় নয়, বরং অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং সংঘবদ্ধ একটি গোষ্ঠীর সুচিন্তিত চক্রান্তের ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড, তা তাঁদের একই ধারার এবং লক্ষ্যের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়। এই ধারা মূলত শুরু হয়েছে ১৯৭২ থেকেই। পরাজিত শক্তি পাকিস্তান এবং তাদের দোসররা সুচিন্তিতভাবেই বলার চেষ্টা করেছে যে, বাংলাদেশে কোন যুদ্ধ হয়নি, এটা কোন মুক্তিযুদ্ধ ছিল না, একাত্তরের যুদ্ধটি ছিল গৃহযুদ্ধ, কটাক্ষ করে তারা তখন এও বলেছে যে, বঙ্গবন্ধু ভাল ইংরেজি জানতেন না বলে ‘তিন লাখকে তিন মিলিয়ন’ বলেছেন, ইত্যাদি।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকে নাকচ বা অস্বীকার করলে, বাংলাদেশের কোন বৈধতাই থাকেনা। মুজিবনগর সরকারের প্রণীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কোন প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই ঘোষণার আলোকেই আন্তর্জাতিক আইন তখন মুক্তিযুদ্ধকে বৈধতা দিয়েছিল। এই ঘোষণার আলোকেই একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হওয়া ছাড়াও মুজিবনগর সরকারের যাবতীয় কাজের বৈধতা দিয়েছিল। ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে ফিরে আসার আগমূহুর্ত পর্যন্ত মুজিবনগর সরকার প্রণীত ঘোষণাপত্রই পরিগণিত হয়েছিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান হিসেবে।

বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে এলেন এবং ১১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন নির্দেশ দিচ্ছিলেন, সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে বলতেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমি...’। পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের নির্বাচিত সংসদীয় প্রতিনিধিরা মূল সংবিধানে মুজিবনগর ঘোষণাপত্রকে সংযুক্ত করে তার শুধু বৈধতাই দেয়নি, সেই সাথে তার সুরক্ষাও দিয়েছে। সুতরাং যখনই কোন মহল বা ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে যে, অত্যন্ত সুচতুরভাবে তারা শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রকেই নাকচ করে না, একই সাথে মুক্তিযুদ্ধকেও অস্বীকার করে। এই অস্বীকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে এখনো পাকিস্তানের অংশ হিসেবে মানা বা চিহ্নিত করা। ১৯৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে চক্রটি ক্ষমতা দখল করেছিল, মূলত সেই ধারাই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এবং সংঘবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধ, একাত্তরে ৩০ লক্ষ শহীদ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে। একই সাথে স্বাধীন বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানকরণের সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করার চেষ্টায় রত থাকছে।

জামায়াত-বিএনপি ছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন মহল এবং তাদের প্রভু পাকিস্তান যখন ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যাটি অতিরঞ্জিত বলে প্রোপাগান্ডা চালায়, তখন এর সঠিক হিসেবটি নিয়ে নতুন প্রজন্মের ভিতরে এক ধরনের প্রশ্নবোধক ভাবনা তৈরি করে দেয় এবং একাত্তরের সব অর্জনকে ধূলিসাৎ করে দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত একাত্তরে বাংলাদেশে কতজন নিহত হয়েছিল, তা মৃতের মাথা গুনে হিসেব করা সম্ভব ছিল না। ৩০ লক্ষ সংখ্যাটি ছিল একটা Estimation বা ধারনা। এই ধারনাটিও মনগড়া নয়, বরং যৌক্তিক ও সার্বিক প্রেক্ষাপটকে আমলে নিয়েই করা।

ধরা যাক, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চ লাইটের মাধ্যমে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন ঘুমন্ত ঢাকাবাসীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন ঢাকায় অবস্থান করছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকরা। ২৬ মার্চ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পত্রিকায় সে রাতে ঢাকায় যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল, তার খবর প্রকাশ হয়েছিল। সেখানে মৃতের সংখ্যা কোন পত্রিকা আনুমানিক দশ হাজার লিখেছিল, আবার কোন পত্রিকায় এক লাখের মতও উল্লেখ করেছিল। সংখ্যাগত দুইয়ের মাঝে পার্থক্যটা নিঃসন্দেহে বিশাল এবং অকল্পনীয়। সেক্ষেত্রে আমরা ধরে নেই যে, সে রাতে দশ হাজার নিহত হয়েছিল। নয় মাস ধরে প্রতিদিন যদি গড়ে ১০ হাজার বাঙালীকে যদি হত্যা করা হয়, তাহলে সে হিসেবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২৭ লাখের মত। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে, যেমন চুকনগরে মাত্র ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে হত্যা করা হয়েছিল প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণীতে সেদিন চুকনগরের নদীর পানি লাল বর্ণ ধারণ করেছিল। নৈমিত্তিক হত্যার পাশাপাশি এই ধরনের গণহত্যা সারা বাংলাজুড়ে বিভিন্ন জায়গাতেই বিক্ষিপ্তভাবে হয়েছিল। এই ধরনের গণহত্যার হিসেব করলেও মৃতের সংখ্যা কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যায়। এছাড়াও ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রায় এক কোটির অধিক বাঙালী বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এক কোটি শরণার্থী যদি সামষ্টিক অর্থে ৫-৬ সদস্য বিশিষ্ট ১৫ লক্ষ পরিবারও হয়ে থাকে এবং অনাহারে, রোগে-শোকে যদি প্রতি পরিবারের অন্তত একজনও মৃত্যুবরণ করে থাকেন, যা সেসময় হয়েছিল, সে হিসেবেও প্রায় ১৫ লক্ষ বাঙালি মৃত্যুবরণ করেছিলেন এই যুদ্ধের কারণে। আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে প্রায় ছয় কোটি মানুষ ছিল, যারা নিজ বসতবাটি ছেড়ে কোথাও যেতে পারেননি বা যেতে চাননি, যুদ্ধকালীন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খাদ্যাভাব এবং চিকিৎসার অভাবে কত মানুষ মারা গিয়েছিল, সে হিসেব করাটা নিশ্চয়ই খুব সহজ ছিলনা! অর্থাৎ খুব মোটা দাগের হিসেবেও আমরা দেখতে পাই যে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আসলে ৩০ লক্ষ নয়, তারও অধিক মানুষ শহীদ হয়েছিল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনী কর্তৃক গণহত্যাকে (হলোকাস্ট) ঠিক ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করতে চাননি বলে ডেভিড আর্ভিঙ নামের পশ্চিমের একজন খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ ১৩ মাস জেল খেটেছিলেন। অন্য এক ঘটনায় ‘প্রফেসর বার্নার্ড লুইস একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ, যিনি যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছেন। তিনি ফরাসী পত্রিকা Le Monde তে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন ‘গণহত্যার সংজ্ঞায় পড়ে না বলে আর্মেনিয়ায় গণহত্যা হয়েছে বলা যাবে না।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আর্মেনিয়ানরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় এবং এর সূত্র ধরে ফরাসি এক আদালত তাঁকে এক ফ্রাঙ্ক জরিমানা করেছিলো। আরেক ঘটনায় মার্কিন অধ্যাপক ও আইনজীবী পিটার আর্লিন্ডার রুয়ান্ডার গণহত্যাকে অস্বীকার করে এটাকে যুদ্ধের একটি বাই প্রোডাক্ট বলে অভিহিত করেছিলেন। এ কারণে গণহত্যা বিষয়ক মামলায় একটি পক্ষের আইনি পরামর্শক হওয়া সত্বেও রুয়ান্ডার আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে প্রতিটা মৃত্যুর দায় পাকিস্তান সরকার ও তার সেনাবাহিনী ছাড়াও তাদের এদেশীয় দোসরদের। সুতরাং একাত্তরের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং এই সংখ্যাকে কমিয়ে দেখে তারাই, যারা এই দেশের স্বাধীনতা চায়নি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যেভাবে একাত্তরের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাতে তিনি শহীদদের এই সংখ্যাকে পরোক্ষভাবে অস্বীকার করেছেন। এব্যাপারে প্রশ্ন তুলে শুধু বাংলাদেশের সংবিধানকেই তিনি অবমাননাই করেননি; সেই সাথে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকেও অস্বীকার করেছেন। একারণে একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে নিঃসন্দেহে তিনি ফৌজদারি আইনে দেশদ্রোহীতা করেছেন।

ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সংসদে পাশ করা ‘ল এগেইনস্ট ডিনায়াল অব হলোকাস্ট’ বলে একটা আইন আছে। জার্মানির নাৎসি বাহিনী ইউরোপে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তাকে অস্বীকার বা এর তীব্রতাকে লঘু করার হীন প্রচেষ্টাকেও আইনগতভাবে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সে আইনে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা বা প্রশ্ন তোলাকে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ‘রিভিশনইজম’এর দোহাই দিয়ে যারা হলোকাস্ট বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণের চেষ্টা করেন, তাকেও ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোদ্দাকথায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনী দ্বারা গণহত্যা হয়েছে, এটার অন্য কোনও ধরনের পাণ্ডিত্যমূলক অপব্যাখ্যা দেওয়া চলবে না।

জামায়াত-বিএনপি ছাড়াও তাদের দেশী এবং বিদেশী দোসরা একের পর এক যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান ও সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার ও কটাক্ষ করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে, তার দায় আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারও এড়াতে পারেন না। ইউরোপের মত বাংলাদেশেও আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবিই শুধু নয়, বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিদে তার প্রয়োগও অনস্বীকার্য।

অবিলম্বে ‘মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন’ প্রণয়ন করা সরকারের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে বিবেচনা করতে হবে এবং সেই সাথে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ডেভিড বার্গম্যানদের মত হীন চক্রান্তকারীদের মোকাবেলার জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধে ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ আইন’ প্রণয়ন করে এদেশে ৩০ লক্ষ আত্মত্যাগী শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। এছাড়াও একাত্তরের খেতাবপ্রাপ্ত যেসব মুক্তিযোদ্ধা খালেদা-নিজামী ও পাকিস্তানের সুরে কথা বলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও একাত্তরকে অবদলিত করবে, তাদের খেতাব সহ সব ধরনের সরকারী ভাতা ও সুবিধা প্রত্যাহার করার আইনও প্রণয়ন করতে হবে। সরকারের ভুলে গেলে চলবে না, সুশাসনের জন্যই আইন। উল্লেখিত আইনগুলো খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়ন করা না হলে দেশে সুশাসন বিরাজ করছে বলে প্রতীয়মান হবেনা।

সাব্বির খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলাম লেখক ও সাংবাদিক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ