আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

প্রধান বিচারপতি কি বেশি কথা বলছেন?

কবির য়াহমদ  

অবসরে যাওয়া বিচারপতিদের অবসরকালীন সময়ে রায় লেখা নিয়ে মাননীয় প্রধান বিচারপতি এস কে (সুরেন্দ্র কুমার) সিনহার এক মন্তব্যকে ঘিরে সারা দেশ, বিশেষত সচেতন রাজনৈতিক সমাজের মধ্যে মত-প্রতিমত-ভিন্নমত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ মন্তব্য নিয়ে বরাবরের মত সামাজিক এক বিভক্তি লক্ষণীয়, যা প্রবলভাবে রাজনৈতিক।

বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বাণীতে এস কে সিনহা বলেন, ‘কোনো কোনো বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের দীর্ঘদিন পর পর্যন্ত রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী’।

বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিগণ বাংলাদেশের সংবিধান, আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধানের শপথ গ্রহণ করেন। কোনো বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর তিনি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে গণ্য হন বিধায় তাঁর গৃহীত শপথও বহাল থাকে না। আদালতের নথি সরকারি দলিল (পাবলিক ডকুমেন্ট)।

"একজন বিচারপতি অবসর গ্রহণের পর আদালতের নথি নিজের নিকট সংরক্ষণ, পর্যালোচনা বা রায় প্রস্তুত করা এবং তাতে দস্তখত করার অধিকার হারান। আশা করি বিচারকগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এমন বেআইনি কাজ থেকে বিরত থাকবেন।"

তাঁর এ কথাগুলো মূলত বিতর্ক উসকে দিয়েছে।  দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ- বিএনপি এ বক্তব্যকে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে নিজেদের মত ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছে। এ বক্তব্যকে সমর্থন করতে গিয়ে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল বিষয়ে রায়কে অসাংবিধানিক হিসেবে দেখানোর প্রয়াস পেয়েছে, কারণ সে রায় যখন প্রকাশ হয়েছিল তখন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ছিলেন অবসরে। উপরন্তু, তৎকালীন প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতারেরও দাবি জানিয়ে বসেছেন কিছু অতি-উৎসাহী বিএনপি নেতা।  অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ প্রধান বিচারপতির এ বক্তব্যকে সমর্থন না করে একে  বর্তমান প্রধান বিচারপতির ‘অতি কথন’ হিসেবে দেখছে এবং জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন যুক্তিও তুলে ধরেছেন কিছু আওয়ামী লীগ নেতা ও সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীও।

রাষ্ট্রীয় পদের ধারাক্রম বিবেচনায় নিলে প্রধান বিচারপতির স্থান রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর পর পরই। এ পদে থাকা ব্যক্তি বিশেষত তাঁর মন্তব্যগুলো গুরুত্বের দিক থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের হয়ে থাকে। তাছাড়া নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক কিংবা অন্য যে কোন অবস্থা থেকে যে কেউ নিগৃহীত অথবা নিপীড়িত কিংবা অন্যায়ের শিকার হলে বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হয়ে থাকে। এবং সে জায়গাটা সব মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে। এমন এক বিভাগের সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকা কোন ব্যক্তি বিতর্কের মধ্যে নিপতিত হলে এটা আমাদের জাতীয় ক্ষতি বলে বিবেচিত হতে বাধ্য। সুতরাং প্রধান বিচারপতির প্রত্যেক মন্তব্য, বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। যদিও রায়ের পর্যবেক্ষণ কিংবা রায়ের মধ্যকার তাঁর বাইরে দেওয়া বক্তব্যগুলো আইন হিসেবে বিবেচ্য নয়, তবুও এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানুষের আশাভরসার স্থলকে তিনি প্রতিনিধিত্ব করছেন।

'অবসরে যাওয়া বিচারপতিদের লেখা রায় সংবিধান ও আইন পরিপন্থী'- প্রধান বিচারপতির এ বক্তব্য নিয়ে নানামুখী আলোচনার মধ্যে কেবল এ বাক্যকে মূল আলোচ্য হিসেবে ধরে নিলে হয়ত ভুল ব্যাখ্যা কিংবা খণ্ডিত ব্যাখ্যার আশঙ্কা থাকবে। এর জন্যে হয়ত অতীতে দেওয়া কিছু রায়ের দেরিতে রায়-প্রকাশ জনিত অসুবিধাকে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। আদালতের সংক্ষিপ্ত আদেশের পর মূল রায় প্রকাশের অপেক্ষায় অনেকেই থেকেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক মানুষ। এসব অনেক রায়ের ক্ষেত্রে হয়ত বর্তমান প্রধান বিচারপতি নিজেও জড়িত ছিলেন।

সাধারণ রায়গুলো যা আলোচিত হয়নি সেগুলো বাদ দিলেও বলা যায় যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদীর আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের জন্যে আপিল বিভাগ দীর্ঘ ১৬ মাস সময় নিয়েছিল। বর্তমান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা সে আপিল বেঞ্চের একজন বিচারক ছিলেন। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সহ অন্য একজন বিচারপতি বর্তমানে অবসরে এবং তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সে আপিলের রায় নিজে লিখেন নি, বর্তমান প্রধান বিচারপতি যা লিখেছেন সেখানে তিনি নিজের সমর্থন দিয়েছেন। ফলে বিচার প্রক্রিয়ার এ দীর্ঘসূত্রিতায় বর্তমান প্রধান বিচারপতিও সমভাবে অংশগ্রহণকারী বলা যায়। তবে তাঁর সাম্প্রতিক এ মন্তব্য যদি হয় পূর্বের কৃত ও চলমান অবস্থা থেকে উত্তরণের এক উপায় তবে তা নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক।

উল্লেখ্য যে,  এর বাইরেও এ পর্যন্ত অনেকগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিচারপতিরা অবসরে যাওয়ার পর রায় লিখেছেন, যে রায়গুলো দেওয়া হয়েছিল বিচারপতি থাকাবস্থায়। দায়িত্বরত থাকাবস্থায় দেওয়া রায় অবসরের পরে লিখিত হলেও রায় দেওয়ার দিন, তারিখ দিয়ে স্বাক্ষর করা হয় বলে প্রকাশ। এটা হয়ত আইনি দিক থেকে রায়কে রক্ষা করতে পারে কিন্তু নৈতিকতার দিক থেকে কতখানি পারে সেটাও বিবেচ্য। কারণ কেতাবের ভাষায় শপথের আওতায় থাকা ব্যক্তি কেতাবের বাইরে কতখানি শপথের প্রতি দায়বদ্ধ সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ! কারণ, অবসরে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ সাংবিধানিক ক্ষমতা হারান, যদিও শপথ ও সাংবিধানিক দায়িত্ব সম্পাদন করার বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকেন নিশ্চিতভাবেই। কার্য সম্পাদনের যে শপথ নিয়েছিলেন সেটার ব্যত্যয় হয়ত হয়ে থাকে, তাই বাধ্যবাধকতা অবসরে যাওয়ার পর পর্যন্ত বর্তায়।

অবসরে যাওয়া বিচারপতিদের লেখা রায় সংবিধান ও আইন পরিপন্থী' বাক্যটিকে আমি অর্থগত দিক থেকে বিবেচনা না করে দিকনির্দেশনাগত ও শৃঙ্খলতাজনিত দিক থেকে দেখতে আগ্রহী। এটাকে ভূতপূর্ব হিসেবে না দেখে বর্তমান থেকে আগামী হিসেবে দেখাটাই সম্ভবত সঙ্গত। কারণ প্রধান বিচারপতির যে কোন বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও কোর্টের বাইরে দেওয়া বক্তব্য আইন নয়। আর আইন না হলে তা পূর্বের কোন কিছু সে সব বক্তব্য দিয়ে ‘নাজায়েজ’ হয়ে যায় না। উপরন্তু, তিনি নিজেও এমন কিছু রায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত যেখানে অবসরে যাওয়া বিচারপতিও রায় লিখেছেন এবং সে বিশদ রায়ে তাঁর আলাদা বক্তব্য সহ সাক্ষর রয়েছে।

এবার দেখি প্রধান বিচারপতির এ মন্তব্যের আগে তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পরের সময়কালে আদালতের অবস্থা। প্রধান বিচারপতি তাঁর বাণীতে উল্লেখ করেছেন, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত আপিল বিভাগে মামলা নিষ্পত্তির পরিমাণ নয় হাজার ৩৫৬টি। এ সময় বিগত বছরের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৮৯টি। এ ক্ষেত্রে তুলনামূলক মামলা নিষ্পত্তির শতকরা হার ১৬২ শতাংশ।

হাইকোর্ট বিভাগে ২০১৫ নালের নভেম্বর পর্যন্ত মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা ৩৩ হাজার ৩৮০ টি। অথচ ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ২২ হাজার ৪৭৭ টি। এ ক্ষেত্রে তুলনামূলক মামলা নিষ্পত্তির শতকরা হার ১৪৯ শতাংশ।

২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন আদালতে মোট মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৩টি। এ সময়ে ২০১৪ সালে নিষ্পত্তির পরিমাণ নয় লাখ ৯৭ হাজার ৬৫২ টি। এ ক্ষেত্রে তুলনামূলক মামলা নিষ্পত্তির হার ১০৭ শতাংশ। ফলে তাঁর বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে ব্যাখ্যা না করে হয়ত আদালতের রায় প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতা নিরসনের একটা বার্তা হিসেবে দেখা যেতে পারে। এখন তাঁর কার্যসময়কালে আদালতের রায় প্রকাশের গতিবৃদ্ধি হলে তবেই মনে হবে এ বক্তব্য সার্থক!

প্রধান বিচারপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক বিতর্ক অঙ্গন উত্তুঙ্গু হওয়ার প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে কঠিন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক শোকসভায় অংশ নিয়ে অভিযোগ করে বলেছেন ‘প্রধান বিচারপতি বেশি কথা বলছেন’। সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আরও অভিযোগ, ‘সাংবিধানিকভাবে তিনি (প্রধান বিচারপতি) দেশের প্রধান তিনজনের একজন। প্রধান বিচারপতিরা প্রধান বিচার করেন, প্রধান কথা বলেন না। এই বিচারপতি কথা একটু বেশি বলেন। এই পদে থেকে তিনি এমন কিছু কথা বলে ফেলেছেন যা জাতীয় রাজনীতিতে উৎকণ্ঠা এবং বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যখন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধাচরণ করছিলেন তখন সেটা তাঁর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই করেছেন। কারণ প্রধান বিচারপতির এ বক্তব্যকে লুফে নিয়েছে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে। এখন আওয়ামী লীগ বিএনপির মত একে সমর্থন করবে না, আর বিএনপি সেই তত্ত্বাবধায়ক বাতিল ইস্যুকে এ বক্তব্য দিয়ে বর্ম বানিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে। ফলে দ্রুত রায় প্রকাশের জন্যে আগামীর প্রতি দিকনির্দেশনা কোনভাবেই আলোচিত হচ্ছে না; যা সাধারণ মানুষদের কাছে কাঙ্ক্ষিত ছিল।

বিতর্ক সৃষ্টিকারী বাণীতে প্রধান বিচারপতি তাঁর এক বছরের আদালতের গতি নিয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন সেটাকে তুলনামূলকভাবে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখা যেতে পারে। এবং ভবিষ্যতে রায় প্রকাশজনিত এমন দীর্ঘসূত্রিতা করতে দেওয়া হবে না বলে প্রধান বিচারপতি এ বাণীর বাইরে অন্যান্য অনুষ্ঠানে যে বক্তব্য রেখেছেন সেটাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা যায়। এটা যদি সম্ভব হয় তবে নিশ্চিতভাবেই বিচারের বাণী সকল ক্ষেত্রে নীরবে-নিভৃতে নাও কাঁদতে পারে।

অবসরে যাওয়া বিচারপতিদের লেখা রায় আইন ও সংবিধান পরিপন্থী- এ খণ্ডিত বক্তব্যের কেবল তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল ইস্যুতে সমর্থন আর একই ইস্যুতে বিরোধিতা করছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। তবে সাধারণ নাগরিক হিসেবে একে বিচার প্রক্রিয়ায় গতিবৃদ্ধি হিসেবে আমরা দেখতেও পারি।

প্রশ্ন আসে, প্রধান বিচারপতি কি বেশি কথা বলছেন? সাধারণ নাগরিক হিসেবে যখন নাগরিক কথা কেউ বলে তবে নাগরিকগণ দেখে নাগরিক মতের কতখানি প্রতিফলন ঘটেছে, যদি এখানে গুরুত্বের দিকে সে নাগরিককথা সর্বোচ্চ স্থান পায় তখন সে ‘অতিকথন’ মধুর কথন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বলা যায়, এখন থেকে যদি কেউ সময়মত এবং দীর্ঘ অপেক্ষা ব্যতিরেকে সঠিক বিচার পায় তবেই হয়ত আওয়ামী লীগের সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এ অভিযোগ নাগরিকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হয়েও উঠতে পারে।

প্রধান বিচারপতি বেশি কথা বলছেন, নাকি উচিত কথা বলেছেন সে প্রমাণ হবে যদি বিচারপ্রক্রিয়ায় গতি ত্বরান্বিত হয়। আর যদি গতিবৃদ্ধি না হয় তবে এটা স্রেফ এক আইওয়াশ হিসেবেই পরিগণিত হবে। তখন অনেকেই তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিত্ব দ্বন্দ্বের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসবে। যা সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরীর অবসরে যাওয়ার আগে ঘটেছিল বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, প্রধান বিচারপতি সে বিচারপতির অবসরকালীন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার অনুমোদন দিচ্ছিলেন না কিছু রায় লেখা পেন্ডিং ছিল এ কারণে।

অনেক জায়গায় কর্মঘণ্টার বাইরেও অনেকেই অনেক কাজ করে থাকে। এসব ক্ষেত্রে অনেক কর্তৃপক্ষ বেশি কাজে সন্তুষ্ট হয়, আর অনেকেই একে দেখে যোগ্যতার ঘাটতি হিসেবে। অথচ শেষ বিচারে সবাই কাজ দেখতে চায়। বিলম্বিত কাজ আর সময়মত কাজ এ দুয়ের মধ্যে সব কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই সময়মত কাজকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তবে এখানে দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার আছে, আছে বোধজ্ঞানের বিষয়ও। বিচারিক প্রক্রিয়া সময়মত শেষ হওয়ার বিষয়ে জনগণ যদি হয় সে কর্তৃপক্ষ এবং সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণি  তবে সময়মত এবং দীর্ঘ অপেক্ষার অবসানের ইঙ্গিত দেখে তবে সেটাকে নিশ্চিতভাবেই সমর্থন দেবে!  

নাগরিক দেখবে না প্রধান বিচারপতি বেশি কথা বলছেন, নাকি উচিত কথা বলছেন; তাদের দেখার বিষয় তিনি সঠিক কাজ সময়মত করতে আর করাতে পেরেছেন কিনা! 

কবির য়াহমদ, প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর; ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ