আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

বিএনপির দেশপ্রেম ও প্রজন্মের উচ্চকিত হাত

ফকির ইলিয়াস  

বিএনপি এমন একটি দল, যেখানে এখন অনেক কামেল জাহির হচ্ছেন প্রায় প্রতিদিন। তারা বলেই যাচ্ছেন। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, তারা ক্ষমতায় গেলে শহীদ খুঁজে খুঁজে তালিকা করবেন। তিনি বলেছেন, ‘শহীদদের নাম আমরা জানি। বাংলাদেশের ইতিহাসে তাদের নাম সোনার অক্ষরে লিখে রাখা হোক। আমি নিশ্চিতভাবে আশা করি, যদি আল্লাহর মেহেরবানিতে আমরা আবার দায়িত্বে আসি, নিশ্চয়ই এই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা উচিত হবে আমাদের জন্য।’ জনাব খান বলেছেন- ‘শহীদদের সংখ্যা নিয়ে এই যে দ্বিমত বা বিতর্ক, এতে কোনোভাবে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, যারা নিহত হয়েছেন, তাদের কারও প্রতি কোনো অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায় না। বরঞ্চ এই দাবি আমাদের দেশের জন্য, এই মাতৃভূমির জন্য যারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আত্মদান করেছেন, জীবন দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, তারা রেকর্ডেড হোক।’

এর আগে, গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গয়েশ্বর বলেছেন, ‘সত্য কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা আর মিথ্যা কথা বললে হয় দেশপ্রেম। এই নীতিতে বিশ্বাস করি না। সত্য যত নির্মম হোক সত্য সত্যই। ইতিহাস সঠিকভাবে লিখতে হয়। কে কত লাখ বলল এটা বড় কথা নয়। গুনে গুনে ৩০ লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করুন। তার পরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত মামলা পারেন করেন। এই শহীদদের নাম উল্লেখ করে এলাকায় এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করতে হবে। শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আমাদের।’

বিষয়টি খুবই স্পষ্ট। বিএনপি এদেশের প্রজন্মকে নতুন করে আবার ধান্ধাবাজির খেলা দেখাতে চাইছে। তারা চাইছে মানুষ কনফিউজড হয়ে যদি তাদের দিকে ফিরে তাকায়। আমরা গেল তিন যুগেরও বেশি সময় দেখেছি, বাংলাদেশের প্রজন্মকে ইতিহাসের মিথ্যা সবক দিয়ে অন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর যে হীন মতলব শুরু হয়, তার পূর্ণ প্রাপ্তি আসে, রাজাকার-আলবদর কমান্ডারদের মন্ত্রী করার পর। সেই ধারাবাহিকতায় বাদ সাধে এই প্রজন্ম। তরুণ প্রজন্মের এক কোটিরও বেশি ভোটার ঘাতক-দালালদের বিচার দাবি করে রায় দেয়। এর পরবর্তী পরিক্রমা আমাদের সবার জানা।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা কত- সে বিষয়ে আদালত থেকে একটি ঘোষণা ইতোমধ্যে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি নেত্রীর বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেছে, এই ‘প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস’ নিয়ে বিতর্কের অবকাশ নেই। নেত্রকোনার রাজাকার মো. ওবায়দুল হক ওরফে আবু তাহের ও আতাউর রহমান ননীর যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই বক্তব্য আসে। রায়ের একটি অংশে বলা হয়, ‘প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস হলো- পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর দখল থেকে মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে বাঙালি জাতি ও মুক্তিযোদ্ধারা নয়টি মাস যুদ্ধ করেছেন। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন, লাখ লাখ নারী সম্ভ্রম হারিয়েছেন তাদের প্রিয় বাংলাদেশকে মুক্ত করতে। প্রায় এক কোটি মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, আরো বহু মানুষ তাদের বাস্তুভিটা হারিয়েছেন।’ এদিকে মিডিয়া মহলে এখন অনেক কথার হাওয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন- বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতির দৃশ্যপট। ভেঙে যেতে পারে বিএনপি! কয়েকজন সিনিয়র নেতা বেশ তৎপর। এরা সুবিধা নিতে চাইছেন বর্তমান সরকারের কাছ থেকে। তারা আর জেলে থাকতে চান না। জীবন কয়দিনের! একটু আরাম আয়েশেই কাটাতে চান বাকিটুকু সময়! শেষ পর্যন্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাড়ির ফটকে সমন ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তাকে আগামী ৩ মার্চ সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য এই সমন জারি করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ তালুকদারের আদালত।

বিএনপি আসলেই কি একটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল? এই প্রশ্ন আবার সামনে চলে এসেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এসব কথাবার্তা বিএনপির জন্য শোভনীয় নয়। তারা একটি প্রতিষ্ঠিত সত্যের বিরুদ্ধে কথা বলছেন- এটা কারো বুঝতে বাকি থাকার কথা নয়। ইতিহাস পাল্টে দেয়ার নামে বাংলাদেশে এখন চলছে বুদ্ধিবৃত্তিক চৌর্যকর্ম। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লেখক-বুদ্ধিজীবীদের চরিত্র হনন। তা তারা করছে নানাভাবেই। সেই রাষ্ট্রেই এখন রাজনৈতিক ইতিহাসের পকেট কাটা শুরু করেছেন কেউ কেউ। বিভ্রান্ত করা হচ্ছে প্রজন্মকে। সমাজ ও রাষ্ট্র নিশ্চিত করে একজন মৌলিক চিন্তকের স্বাধীনতা। তার অর্থ এই নয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে কেউ কটাক্ষ করবে। আজ বাংলাদেশে এই চেতনাকে স্তব্ধ করে দেবার পাঁয়তারা চলছে। এরা কারা? যারা ১৯৭১ সালে পরাজিত হয়েছিল, তারা এখন মাঠে নেমেছে অন্য লেবাসে।

এই আলোচনা অনেক দীর্ঘ করা যাবে। আন্তর্জালের কল্যাণে এখন মুক্তচিন্তার নামে সহিংস আক্রমণ যেমন হচ্ছে- তেমনি প্রতিক্রিয়াশীল চক্রও নানা ধরনের মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, শিক্ষক, চিকিৎসকদের হত্যার হুমকি এরই ধারাবাহিকতা। এসব সাম্প্রদায়িক শক্তি জ্ঞানীদের জ্যোতিকে ভয় পাচ্ছে। যার ফলে এই বাংলাদেশে এখনো সংস্কৃতির স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। হয়নি বিবেকি সমাজ গঠনের স্বপ্নপূরণ। আজ রাষ্ট্রকে বিষয়টি নিয়ে জরুরিভাবে ভাবতে হবে। শান্তি ও শৃঙ্খলার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রয়োজন মতো নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। যারা রাষ্ট্রে মূর্খতা ছড়াতে চাইছে, তাদের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে চলমান বিশ্বের অগ্রগতির সঙ্গে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারবে না। যে কোনো অগ্রসরমান সমাজেই পতন এবং পচন আগেও ছিল, এখনো আছে। প্রজন্মকে তা যাচাই-বাছাই করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। একটি সমাজ নির্মাণের শর্টকাট কোনো পথ খোলা নেই। যা করতে হবে, তাতে ধীশক্তির ছাপ থাকতেই হবে। আর প্রজ্ঞাবান সমাজ গঠনের অন্যতম নিয়ামক হচ্ছেন বিশ্বস্ত রাজনীতিকরা। যারা দুর্নীতির প্রশ্রয় দেবেন না। যারা প্রজন্মকে নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবহার করবেন না। বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা যেটুকু এগিয়েছে, সেই তুলনায় সামাজিক নিরাপত্তা এগোয়নি। মানুষ আজ ভীত। এই সুযোগ নিয়ে কিছু মূর্খের পৃষ্ঠপোষকরা আরো জঘন্য মানসিকতা নিয়ে পাল্টে দিতে চাইছে আমাদের গৌরবের ইতিহাস। বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ষোলো কোটি মানুষকে এই অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা বিদেশি কোনো প্রভু আমাদের সমাজ নির্মাণ করে দেবে না। আমাদের রাষ্ট্রীয় ইতিহাসও সংরক্ষণ কিংবা লালন করবে না।

বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির সামাজিক ভবিষ্যৎ নিয়ে যারা ভাবেন, তেমন মানুষের সংখ্যা এ দেশে কম। যারা ভাবেন, তাদের রাজনৈতিক গুরুত্ব সব সময়ই কম। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের যে কটি প্রধান লক্ষ্য ছিল, এর একটি ছিল পরিশুদ্ধ সমাজ নির্মাণ। কারণ পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা সেরা বুদ্ধিজীবীদের মূল্যায়ন কখনোই করেনি। না করার পেছনে যুক্তি ছিল তাদের এই, বাঙালি সমাজ এগিয়ে গেলেই জাতি এগিয়ে যাবে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করত না, সেই পাকিস্তানি শাসকদের কাছ থেকে তাই স্বীকৃতি কখনো চায়ওনি বাঙালি মননশীল শ্রেষ্ঠজনেরা।

স্বাধীন বাংলাদেশে তাই সৃজনশীল সামাজিক কাঠামো নির্মাণের একটি গভীর প্রত্যয় ছিল। সেই প্রত্যয় নিয়ে কাজ করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা আশাবাদীও ছিলেন। একাত্তরের মহান মুক্তিসংগ্রামের একেবারে শেষ দিকে এসে পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী নিধনের যে কাজটি এ দেশীয় খুনিরা করেছিল, তা তারা করেছিল জেনেশুনেই। কারণ এটা কে না জানে, জাতি মেধাশূন্য হলেই সমাজ পিছিয়ে পড়ে। এই দেশের মানুষকে মেধাবৃত্তি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। অর্থ-বিত্তের কাছে বিবেক বিসর্জন দিয়ে কেউ রাষ্ট্রের পক্ষে, সমাজের পক্ষে দাঁড়াতে পারে না। এই সত্য উপলব্ধি না করা পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজনীতি, অর্থনীতি জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ করবে না।

রাজনীতিকরা আইন প্রণয়ন করেন। খালেদা জিয়া এই দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা মেনেই রাষ্ট্রশাসন করেছেন। এখন তা নিয়ে বিতর্ক তুলছেন কেন? তার নেপথ্য মতলব কি? ২০১১-এর অক্টোবরের একটি ঘটনা মনে পড়ছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দাবি ছিল সাঈদী-নিজামী গংকে মুক্তি দিতে হবে। খালেদা জিয়ার ভাষায় এরা যুদ্ধাপরাধী কিংবা মানবতাবিরোধী কোনো কাজ করেননি। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, নিজামী যুদ্ধাপরাধী কি না! ‘ইয়েস অর নো’ বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি ‘ইয়েস অর নো কিছুই বলব না। আমি তো রাজনীতি করি।’ এই হলো বিএনপির রাজনীতি। সেই রাজনীতি এই ২০১৬ সালে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তা সবাই দেখছেন।

আজ তাই প্রজন্মকে আবারো উচ্চকিত হাতে দাঁড়াতে হবে। চিহ্নিত করতে হবে এসব দুষ্ট রাজনৈতিক চরিত্র। এ দেশের মানুষ সত্যের পক্ষেই থাকে- তা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। সবচেয়ে জরুরি কথাটি হলো, সঠিক ইতিহাস পড়ার উদ্যোগ। এখন মানুষের হাতে হাতেই মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট। তাই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে কি ঘটেছিল- বিদেশি মিডিয়া কি লিখেছিল, তার সবই গুগল সার্চ করে জানা সম্ভব। তাই সত্যকে কে ঠেকাবে? কিভাবে ঠেকাবে? শুধু দরকার শির উঁচু করে দাঁড়ানো। মানুষ দাঁড়ালেই সব অপশক্তি মাঠ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবে। অতীতে যেমন হয়েছে।

ফকির ইলিয়াস, কবি ও কলাম লেখক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ