আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয় এবং একজন বীর বিক্রম জুয়েল

ফরিদ আহমেদ  

একাত্তর সালে ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনা করার জন্য তরুণদের একটা দল ছিলো। এর নাম ক্র্যাক প্লাটুন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে অভিজাত গেরিলা গ্রুপ এটি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ক্র্যাক প্লাটুন ঢাকা শহরে পাকিস্তান আর্মির নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলো। হিট এন্ড রান পদ্ধতিতে আক্রমণ চালাতো এরা। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য মূর্তিমান ত্রাসে পরিণত হয়েছিলো তারা। স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের কাছে পরিণত হয়েছিলো কিংবদন্তীতে।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঢাকা শহরে বিরাশিটা আক্রমণ পরিচালনা করেছিলো এরা। এলিফ্যান্ট রোড, যাত্রাবাড়ী, আশুগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, উলন পাওয়ার স্টেশন উড়িয়ে দেয় তারা। ঢাকা শহরের বেশ কিছু পেট্রোল পাম্পও বোমা মেরে ধ্বংস করে দেয়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সারা বিশ্বকে ঝাঁকুনি দিয়ে জানিয়ে দেয় যে তথাকথিত পূর্ব পাকিস্তানে সবকিছু ঠিকভাবে চলছে না। ফার্মগেটের চেক পয়েন্টেও স্টেনগান এবং গ্রেনেড নিয়ে অকুতোভয় ক্র্যাক প্লাটুন সদস্যরা মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান বাহিনীর। গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো পাকিস্তান আর্মির অহমিকাকে। ক্র্যাক প্লাটুনের দুঃসাহসিকতা দেখে বাঙালিরা আশায় বুক বেঁধেছিল। এরকম দুরন্ত ‘বিচ্ছু বাহিনী’ যাদের আছে, তাদের স্বাধীনতা প্রাপ্তিকে আটকাবে কোন শক্তি?

এই অভিজাত ক্র্যাক প্লাটুনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন জুয়েল। স্বাধীনতাপূর্বকালের অন্যতম সেরা এবং প্রবল সম্ভাবনাময় এক বাঙালি ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। যুদ্ধ শুরু হতেই ব্যাট-প্যাডকে একপাশে সরিয়ে রেখে অস্ত্র হাতে তুলে নেন। ক্রিকেটের চেয়ে দেশের স্বাধীনতা অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিষয় ছিল তাঁর কাছে।

একাত্তর সালের ২৯ আগস্ট রাতে একযোগে অভিযান চালিয়ে এই বাহিনীর বেশ কিছু গেরিলা যোদ্ধাকে ঢাকা শহরের নানা জায়গা থেকে গ্রেফতার করে ফেলে পাকিস্তান আর্মি। বদি, রুমি, আজাদ,  সামাদ, মাসুদ সাদেকসহ ক্র্যাক প্লাটুনের অনেক গেরিলাই গ্রেফতার হন। বাদ যান না জুয়েলও। নাখালপাড়ার এক টর্চার চেম্বারে নিয়ে গিয়ে অমানবিক অত্যাচার করা হয় তাঁদের উপরে। আঙুল কেটে নেওয়া হয় অনেকেরই।


এদের মধ্যে জুয়েলও ছিলেন। অনেকেরই হয়তো হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’ সিনেমাটার কথা মনে আছে। ওটা এই ক্র্যাক প্লাটুনের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে। সেই সিনেমাতে একজন বন্দি মুক্তিযোদ্ধার আঙুল কাটার দৃশ্য আছে। আঙুল কাটার এই দৃশ্য হুমায়ূন আহমেদ কল্পনা করে লেখেন নি বা চিত্রায়ন করেন নি। সত্যি সত্যিই আমাদের গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের আঙুল কেটে নিয়েছিল পাকিস্তান আর্মি এবং রাজাকার-আল বদররা।

ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন জহিরুদ্দিন জালাল। তাঁকে ‘বিচ্ছু জালাল’ বলে ডাকা হতো। নিউ ইস্কাটনের এক বাসায় আর্মি এবং রাজাকারদের মিটিং হবার কথা ছিলো। ৩০ আগস্ট তাঁর কমান্ডার সেই বাসাতে আক্রমণ করার জন্য রেকি করতে পাঠান। দুর্ভাগ্য বিচ্ছু জালালের। আর্মির হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। তাঁকে নিয়ে আসা হয় নাখালপাড়ার এক বাড়িতে নির্যাতনের উদ্দেশ্যে। এখানে এসে তিনি আগের রাতে গ্রেফতার হওয়া ক্র্যাক প্লাটুনের অনেক সদস্যকে দেখতে পান। অমানবিক নির্যাতন করে আটকে রাখা হয়েছে তাঁদের।

রাজাকার শিরোমণি আল বদর বাহিনীর অন্যতম প্রধান আলী আহসান মুজাহিদের বিচারে বাদিপক্ষের সাক্ষী ছিলেন বিচ্ছু জালাল। তিনি নাখালপাড়ার সেই বাড়িতে নিয়ে যাবার পরে কী কী দেখেছিলেন তা শপথ নিয়ে আদালতের সামনে বলেছিলন। বিচ্ছু জালালের ভাষ্য থেকেই দেখি কী হয়েছিল সেখানে-

“১৯৭১ সালের ৩০শে আগস্ট ঢাকা কোম্পানি কমান্ডার আবদুল আজিজ সার্কিট হাউসে  এসে আমাকে খুঁজে বের করলেন এবং বললেন আজ বিকাল ৪/৫  টায় ১৯, নিউ ইস্কাটন রোড, ডলি আসাদের বাড়ী (বর্তমানে বিটিএমসি  ভবন, যিনি আইয়ুব খান আমলের একজন এমএনএ ছিলেন) সেই বাসায় রাজাকারদের সাথে আর্মিদের বৈঠক হতে পারে। তোমাকে সেখানে এ্যাকশন চালাতে হবে। আমি আমার কমান্ডার আজিজের নির্দেশ মত আমার সার্কিট হাউসের বাসার ২০০ গজ উত্তরে সেই বাসার সামনে রেকি করতে যাই। হঠাৎ চাঁন তারা খচিত রাজাকার লেখা একজন কমান্ডার দুই/তিনটি অস্ত্র হাতে নিয়ে কয়েকজন মিলে ঘিরে দাঁড়াল। সাদা হোন্ডায় করে আরো কয়েকজন এলো। তখনই মগবাজারের দিক থেকে আর্মির জিপে চড়ে কিছু আর্মি সেখানে এসে থামল। রাজাকাররা তাদেরকে স্যালুট দিয়ে আমাকে গাদ্দার, মাদারচ্যোৎ ইন্ডিয়ান আদমি বলে  তাদের গাড়ীতে তুলে নিল। আর্মিরা জিপে চড়ে বাংলা মোটর মোড় দিয়ে ডানে সোজা তেজগাঁ এম,পি, হোস্টেল গলি দিয়ে কিছুটা সামনে গিয়ে হাতের ডানে একটি গলির ভিতর দেড় তলা একটি দালানে আমাকে ঢুকাল। পরে জেনেছি এই বাড়ীটি পশ্চিম নাখাল পাড়ার ১১২ নম্বর বাড়ী ছিল। সন্ধ্যা ৭টায় একটি বাসের শব্দ কানে ভেসে এলো। আর্মির জুতার খট খট শব্দে আমার রুমের সামনে কিছু আর্মি এলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার বন্দী রুমে আট দশ জন লোককে কুঁজো বাঁকা অবস্থায় ঢুকাল। তাদের দিকে চোখ ফেরাতেই আমি চমকে উঠলাম। আমি বোবার মত হয়ে গেলা। দেখলাম ঐ ৮/১০ জন লোক সবাই মুক্তিযোদ্ধা, যাদের সাথে আমি মতিনগর ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। তাদের মধ্যে বদি, জুয়েল, আজাদ, রুমি ভাইকে দেখতে পেলাম। পাশে আরেক জন ছিল যার নাম আলতাফ মাহমুদ যিনি একুশে ফেব্রুয়ারির গানের সুরকার। সবার চেহারা ছিল বীভৎস, ক্ষত-বিক্ষত। বদি ভাইকে দেখলাম তার দুহাতের আঙুল কেটে দিয়েছে এবং তার পুরো চেহারায় আঘাতের চিহ্ন ফুলে উঠেছে। কোন ভাবেই সে মাজা সোজা করতে পারছিল না। আজাদ ভাইয়েরও আঙুল কেটে নিয়েছিল এবং তার বাম কানে তখনও  রক্ত জমে ছিল। দেখলাম বদি ভাইয়ের ডান চোখ কমলার মত ফুলে উঠেছে, চোখের মনি দেখা যাচ্ছিল না, তার বাম চোখ ক্ষত-বিক্ষত ফুলানো ছিল, তার আঙুলও কেটে ডান হাত বাঁকা করে দিয়েছিল। আলতাফ মাহমুদের ঠোট দুটো পুরো শসার মত ফুলানো ছিল। তারো ডান হাত বাঁকা করে দিয়েছিল। জুয়েল ভাইয়ের কাছে কথা বলার সময় দেখলাম তার দুহাতের আঙুল নেই। তারও বাম দিকের কানের নিচে রক্তের জমাট ছিল।”

এই রকম পরিস্থিতিতেও সামান্যতম ভয় পায় নি অকুতোভয় এই তরুণ। ‘বিচ্ছু জালাল’ বাচ্চা মানুষ। তাঁকে অত্যাচার করে যাতে কথা বের করে নিতে না পারে পাকিস্তানিরা, সেটা নিশ্চিত করতে জালালের সাথে কথা বলেন তিনি।

“জুয়েল ভাই আমাকে দেখে বলছিল তোকেও যখন ওরা টর্চার করবে তখন কারো নাম বলবি না। জুয়েল ভাই আরো বললো এম,পি হোস্টেলের পাকের ঘরে ফ্যানে সিলিংয়ে ঝুলিয়ে হান্টার দিয়ে পেটাতো। তারপর মুখের উপর গামছা বিছিয়ে গরম পানি ঢালত,পায়খানার পথে প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে টর্চার করত। যখন কথা বলছিলাম তখন রাত ৮টা বাজে। তখনই ক্যাপ্টেন কাইয়ুমের সাথে মতিউর রহমান নিজামী ও মুজাহিদ সহ ৩/৪ জন লোক অস্ত্র হাতে আমার রুমের সামনে দিয়ে ক্যাপ্টেন কাইয়ুমের রুমে গেল। জুয়েল ভাই মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে দেখিয়ে বললো এরাই এবং আরো কয়েকজন তাদেরকে এইভাবে টর্চার করেছে। আরো বললো যে কোন সময় মুজাহিদ,নিজামী তাদের মেরে ফেলতে পারে।”

মেরে ফেলতে পারে তাঁদের, জুয়েলের এই আশংকাই সত্যি হয়েছিল। জুয়েলসহ ক্র্যাক প্লাটুনের সব বন্দি মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়। ‘বিচ্ছু জালাল’ ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। বাঙালির ইতিহাসের অন্যতম দুঃসাহসী এই সব বীর যোদ্ধাদের লাশগুলোকে গুম করে দেয় পাকিস্তানিরা।

জুয়েলের মৃত্যু খবর যখন তাঁর মা কাছে এসে পৌছায়, অবাক হন নি তিনি। এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে শুধু বলেছিলেন, ‘ক্রিকেটকে যে ভালোবাসতো, সে হাতে স্টেনগান নিল। আমি মা হয়ে মানা করিনি। নিজের চোখে যখন দেখলাম অসংখ্য মানুষ মিলিটারির হাতে প্রাণ দিচ্ছে, তখন বাছাকে আমি মানা করি কীভাবে? আমি জানতাম স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন-প্রাণকে উৎসর্গ করে, তাদের পরিণতি কি হয়। তাই ছেলের মৃত্যুতে আমি অবাক হইনি।'

বুধবার (২ মার্চ) মিরপুরে জুয়েলের উত্তরসুরী এগারোজন জুয়েল মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে। গ্রেনেড, স্টেনগান হাতের মুঠোয় নিয়ে নয়, চেরি আর উইলো হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছিল তাঁরা জয়ের উদ্দেশ্যে। সেই কাঙ্ক্ষিত জয় তাঁরা ছিনিয়ে এনেছে টাইগার মাশরাফির নেতৃত্বে। এ এমনই এক জয়, যা কাঁদিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সুদূর সন্দ্বীপের শওকত হোসেনও।

পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রতিটা লড়াইয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনুক আমাদের এই নবপ্রজন্মের জুয়েল ক্রিকেটা্রা, এমনই আনন্দ অশ্রু সাগরে ভাসাক দেশবাসীকে বার বার, সেই শুভ কামনা রইলো অন্তর থেকে, অনিঃশেষ ভালবাসা নিয়ে।

ফরিদ আহমেদ, কানাডা প্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ