আজ মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

দেশের টাকা লোপাট : ‘সুইফট’ ঘিরে গুজব ও বিভ্রান্তি

কবির য়াহমদ  

বাংলাদেশের রিজার্ভের ৮০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা এই মুহূর্তে টক অব দ্যা কান্ট্রি। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্ট থেকে জনগণের শ্রমে-ঘামে অর্জিত এত টাকা মুহূর্তে চুরি যাওয়ার ঘটনা বাংলাদেশের জন্যে নজিরবিহীন। অবশ্য এর আগে বিভিন্ন সময় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে, ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।

ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা রাখার জায়গা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অসুস্থ প্রতিযোগিতা কিংবা তদীয় কর্মকর্তাদের যোগসাজশে যা-ই ঘটুক না কেন মানুষজন ভাবত সর্বশেষ আশ্রয়স্থল বাংলাদেশ ব্যাংক আছে, এবং দেশের এ কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি ব্যাংকিং ব্যবস্থার যেকোনো দুর্দিনে তাদের সে ভূমিকা পালনের মাধ্যমে মানুষকে আশ্বস্ত করতে পেরেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা লোপাটের ঘটনায় এ আস্থার জায়গায় বড় ধরনের হোঁচট খেল। প্রশ্ন আসতে পারে, এখন মানুষজন কার ওপর আস্থা রাখবে?

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে কেবল বাংলাদেশই টাকা রেখেছে এটা বিশ্বাস করানো যাবে না, আর এটাও বিশ্বাস করানোর উপায় নাই এটা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের ব্যাক-অফিসের কারও না কারও যোগসাজশ আছে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। কারণ এ লেনদেন সুইফট-এর মাধ্যমে সম্পাদিত হলেও এর অপারেট/কন্ট্রোলিং-এ ব্যাক-অফিস কিংবা অন্য বিভাগ থাকলে এর দায় তারা কিভাবে এড়াতে পারে?

ফেডারেল রিজার্ভ বলছে হ্যাকিংয়ের কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। গ্রাহকের নির্দেশনা ছাড়া দেশের 'প্রবলেম ব্যাংক'গুলোও যেখানে কোন লেনদেন করে না সেখানে ফেডারেল রিজার্ভ করে ফেলবে এটা অবিশ্বাস্য। আর ফেডারেল রিজার্ভের সিকিউরিটি সিস্টেম কি এতই ঠুনকো যে কেবলই টার্গেট করে বাংলাদেশের টাকা লোপাট হবে? তারা যেখানে শতাধিক দেশের টাকা গ্রহণ করে সেখানে কেবলই বাংলাদেশের টাকাকে নিরাপদে রাখতে পারবে না? এ টাকাগুলোর লেনদেন সুইফট বার্তায় সম্পাদিত হয়েছে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে জানাও গেছে এটাকাগুলোর বাইরে আরও ২০০কোটি টাকা শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে পাচার হওয়া থেকে অল্পের জন্যে আটকে গেছে সামান্য এক ‘ভুল বানানে’।

সুইফটের মাধ্যমে লেনদেন হয় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে। ঠিকমত মেসেজ প্রদান সম্পন্ন হলে এবং ডেবিট নস্ট্র (Nostro) একাউন্টে ফান্ড থাকলে সে ট্রানজেনকশন বেনিফিশিয়ারি একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাওয়ার কথা। এখানে ইন্টারমিডিটিয়ারি ব্যাংক থাকতে পারে, আবার নাও থাকতে পারে। ইন্টারমিডিটিয়ারি ব্যাংকের অপশন তখনই একান্ত প্রয়োজন হয়ে যায় যখন বেনিফিশিয়ারি ব্যাংকের সাথে সেন্ডার ব্যাংকের সরাসরি একাউন্ট থাকে না; এটা বিশ্বজনীন এক পদ্ধতি। ব্যাংক সংশ্লিষ্ট, আর খোলাসা করলে বলা যায় একাউন্টস, ব্যাক-অফিস ও ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিপার্টমেন্ট সংশ্লিষ্টজনদের এ সাধারণ জ্ঞানটুকু থাকার কথা। এখানে সুইফট মেসেজে সামান্য বানান ভুল থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের ভুল থাকলে বেনিফিশিয়ারি ব্যাংক চাইলে সে লেনদেন সম্পাদন না করে সেন্ডার ব্যাংক ও একাউন্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আরও তথ্য চাইতে পারে। এজন্যে সুইফটে ১৯৯, ৯৯৯ নাম্বারের মেসেজ আদান-প্রদান হতে পারে। এবং এসব মেসেজের মাধ্যমে তারা লেনদেন সম্পন্নও করতে পারে পূর্ববর্তী লেনদেন নির্দেশনার আলোকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভকে অভিযুক্ত করলেও তারা সেটা অস্বীকার করে বলছে এধরনের কোন প্রমাণ নেই। যেহেতু সুইফটের মাধ্যমে এ লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে সেহেতু এর জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনমতেই দায় এড়াতে পারে না। এজন্যে বিভিন্ন ধরনের তদন্ত হচ্ছে। আশা করছি এথেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে, আর সেটা জানা গেল মার্চ মাসে এসে। এ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলরা কি দায় এড়াতে পারে? কারণ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর রুটিন কাজ যেখানে বিদেশি একাউন্টগুলোর লেনদেন ও স্থিতি সম্পর্কে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ সেখানে তারা কেন এবং কী কারণে এটাকে এড়িয়ে গেলেন, অথবা গোপন করলেন?

আমরা আশাবাদী যে, তদন্তের মাধ্যমে সঠিক তথ্য সামনে আসবে। এ সময়ে কাউকে সরাসরি দোষারোপ করা হয়ত উচিত হবে না, সে উদ্দেশ্যও নয়। তবে এ মধ্যবর্তী সময়ে মিডিয়ায় চলা ভিন্নমুখি প্রচার-অপপ্রচার নিয়ে কিছু আলোচনা করাই যায়।

এই মুহূর্তে সংবাদকর্মী হলেও ব্যক্তিগতভাবে আমার আছে সাড়ে আট বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা। তৎকালে পেশাগত কাজে দেশে-বিদেশে একাধিক ট্রেনিং নেওয়ার এবং পরবর্টিতে দেওয়ার সুযোগও হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল ফরেন এক্সচেঞ্জ, সুইফট, ট্রেজারি সহ বিভিন্ন দিক। সে হিসেবে সুইফট নিয়ে কিছুটা ধারণা ও অভিজ্ঞতা আছে। তাই সুইফট ট্রানজেকশন ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে চলা ভিন্নমুখি গুজব, অপপ্রচার নিয়ে কিছু বলা দরকার বলে মনে করছি।   

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ার সাম্প্রতিক আলোচনা দেখে মনে হয়, এখন গুজবে কান দেওয়ার সময়। এখন গুজবে কেবল কানই নয় পারলে নিজেকে শুদ্ধ ভাসিয়ে দেওয়ার সময়। এ গুজবের কাল এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার লোপাট ইস্যুকে কেন্দ্র করে।

বাংলাদেশের টাকা লোপাটের ঘটনার পর কয়েকটি অনলাইন পত্রিকার লিঙ্ক দেখেছি এমন "ভারত থেকে বাংলাদেশের সুইফট কোড নিয়ন্ত্রিত হয়" এমন অদ্ভুত হেডিং আর ওসব নিউজের ভেতরে লেখাও আবার ভারত নাকি কিছুতেই সাড়া দিচ্ছে না।

তাজ্জব হয়ে যাচ্ছি, কিছু লোক এসব লিঙ্ক শেয়ার করছে। কিছু লোক বিশ্বাস করে বসে আছে, আর কিছু লোক সে ভুয়া নিউজগুলোর বার্তা নিয়ে এ সম্পর্কে 'বিদগ্ধ' মন্তব্য করে যাচ্ছে। মানুষের মধ্যে সব বিষয়ে মন্তব্য করার ও নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করার এ প্রবণতা আশঙ্কাজনক যদিও তবু এটা বাস্তবতা।

ভারত থেকে সুইফট কোড নিয়ন্ত্রিত হয়- এধরনের ভুয়া তথ্য প্রচার করছে যারা তারা ভালভাবেই জানে এখানে রাজনৈতিক উপকরণ আছে। যেমন ভারত উচ্চারণ করলে ভারতবিরোধিতার ধোঁয়া তোলা যাবে, পাকিস্তান উচ্চারণ করলে সেখানেও পাকিস্তানবিরোধিতার ধোঁয়া তোলা সম্ভব। ভারত এখন এ ইস্যুতে সবচেয়ে 'কার্যকর' এক নাম, এর কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। আর অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে বসে আছে আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে ভারত। দেশের টাকা যেহেতু লুটপাট হয়েছে সেহেতু এখানে ভারতের যোগসাজশ আছে-এরকম ধারণা পোষণ করার লোকের অভাব নাই। এটা আত্মঘাতি হতে যাচ্ছে। কারণ এধরনের মিথ্যা প্রচারের কারণে কিছু মানুষ বিশ্বাস করছে, কিছু বিভ্রান্ত হচ্ছে। এ সুযোগে অসাধু, নৈতিকতা বিবর্জিত লোকেরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার সব ধরনের কৌশল প্রয়োগ করছে।

এবার দেখি সুইফট কোড ভারত থেকে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে এটা কতখানি মিথ্যা আর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সেটা।

সুইফট (SWIFT- Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunication) কোড বিশ্বব্যাপী প্রতি ব্যাংকের এবং অনেকক্ষেত্রে সে ব্যাংকের কিছু কিছু ব্রাঞ্চের জন্যে একটা ইউনিক আইডেন্টিফায়ার কোড। সুইফট হচ্ছে ট্রান্সফার মাধ্যম, সুইফট কোডটা হচ্ছে BIC (Bank Identifier Code/s অথবা Business Identifier Code/s)।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন সুইফট কোড হতে পারে ৮ অথবা ১১ ডিজিটের। ১১ ডিজিট তখনই হয় যখন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অন্য কোন শাখা নির্দেশ করে। ৮ ডিজিট হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হেড-অফিসের। উদাহরণ হিসেবে দেখা যেতে পারে, এবি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের হেড-অফিসের এ কোড ABBLBDDH, আবার একই ব্যাংকের খুলনা ব্রাঞ্চের এ কোড ABBLBDDH301. মানে হেড-অফিসের কোড যেখানে ৮ ডিজিটের অন্য ব্রাঞ্চের সেখানে ১১ ডিজিট।

বলে রাখা দরকার, এই ১১ ডিজিটের মধ্যে প্রথম ৪ ডিজিট ব্যাংকের নাম (ABBL), পরের ২ ডিজিট দেশের নাম (BD), পরের ২ ডিজিট লোকেশন (DH), এবং পরের ৩ ডিজিট অপশনাল; ব্রাঞ্চের।  এখানে আরও উল্লেখের দরকার কিছু ব্যাংক তাদের হেড-অফিসকেই একমাত্র সুইফট কোড হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। ফলে এটা হয় ৮ ডিজিটের কিন্তু যখন কোন ১০৩, ২০২ বা অন্য মেসেজ আসবে তখন এ ৮ ডিজিটের পাশে ৩টা XXX চিহ্ন এসে থাকে। কেবল ৮ ডিজিটের সুইফট কোডধারী একটা ব্যাংক উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করছি CCEYBDDH মানে কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলোন পিএলসি।

ফলে এটা প্রমাণ হয় SWIFT code বা BIC গোপনীয় কোন জিনিস নয়। এবং এটা ভারত কিংবা অন্য কোন দেশ থেকে নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নই আসে না। সুইফট আইডি ও পাসওয়ার্ড যা ব্যক্তিগত ও গোপনীয় সেটা SWIFT code বা BIC থেকে আলাদা বিষয়।
 
SWIFT code বিষয়ে মিথ্যাচার কেমন তার আর একটা প্রমাণ দিই। যা বিদেশের ব্যাংকের। ধরেন, এইচএসবিসি লন্ডনের সুইফট কোড হচ্ছে MIDLGB22, ব্যাংক অব আমেরিকার সুইফট কোড হচ্ছে BOFAUS3M. এটা সহ অনেকগুলো জানি- এই কোড জানার অর্থ কি সুইফট কোডের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশ থেকেই হয়। মানে আরও পরিষ্কার করলে কি বলা যায়, এই ব্যাংকগুলোর সুইফট কোড নিয়ন্ত্রণ করছে কবির নামের কেউ একজন? কেবল এ দু'টো ব্যাংকের নামই নয়, আপনি-আমি চাইলে সুইফটের সাথে সম্পর্কিত যে কোন ব্যাংকের সুইফট কোড গুগল সার্চ দিয়ে বের করতে পারি। অথবা BIC Directory নামের বিশাল এক বই যা বিভিন্ন ব্যাংকে পাওয়া যায় সেখানেও দেখতে পারি।

ভাবা যায়, কতখানি হাস্যকর আর জঘন্য মিথ্যাচার করলে মানুষ এমন করতে পারে?  আর কতখানি নিচে নামলে ও হাওয়ায় কান ডুবালে মানুষ এমন জিনিসগুলো বিশ্বাস করতে পারে!

এখানে মুল বিষয় হচ্ছে সুইফট অপারেটরদের আইডি ও পাসওয়ার্ড। এটা কোনভাবেই ভারত থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় না। সংশ্লিষ্ট আইডি-হোল্ডার ছাড়া আর কেউ জানার সুযোগ নেই, যদি না তৃতীয় পক্ষের কারও সঙ্গে সেয়ার করা হয়। ধরেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাক-অফিসের লোকদের কয়েকজন আইডি-হোল্ডার, তারা নিজেরা নিজেদেরটা জানা ছাড়া অন্যদের জানার সুযোগ নেই; এমনকি অন্যের আইডি ও পাসওয়ার্ড জানার অধিকার ও কর্তৃত্ব বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরেরও নেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সুইফট (SWIFT) অপারেশনের জন্যে আইডি পাসওয়ার্ড ছাড়াও তিন ধরনের লেবেল থাকে। অপারেটর/ইউজার লেবেল, চেকিং লেবেল ও অথোরাইজেশন লেবেল। এ তিনটা ধাপ অতিক্রমের পরেই কেবল ট্রান্সফার নির্দেশনা মূল জায়গায় যায় এবং তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রান্সজেকশন সম্পন্ন হয়। এখানে একই সঙ্গে তিন লেবেলের আইডি-পাসওয়ার্ড অন্যের কাছে গেছে এটা কষ্টকল্পিতভাবনা ছাড়া আর কী?

এখানে বলে রাখা দরকার, অফিসিয়াল কনফিডেনসিয়াল বিষয়গুলোর সেয়ারিংয়ের সুযোগ খুব সীমিত ও বিধিবদ্ধ। কোড অব কন্ট্রাক্টে এ নিয়ে পরিষ্কার লেখাও থাকে। সুতরাং এখানে সেয়ারিংয়ের সুযোগ নাই। তবে কেউ এসব করলে সেটা আইনভঙ্গ করা। আইন ভঙ্গ তারাই করে থাকে, যারা অসাধু পন্থা অবলম্বন করে। এধরনের সেয়ারিং কেউ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে করে না, করে ব্যক্তিগতভাবে। এবং এদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।

ভারত বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট কোড জানে এমন অপপ্রচার বিশ্বাস করার আগে ভাবুন, এই যে আপনি ফেসবুকিং করছেন। এখানে ত অর্থের লেনদেন নেই। কিন্তু আপনি কি আপনার আইডি-পাসওয়ার্ড নিঃসঙ্কোচে সেয়ার করছেন তৃতীয় পক্ষের কারও সঙ্গে। ব্যক্তি আপনি করলেও আপনি যখন কোন লিখিত কিছু দ্বারা চুক্তিবদ্ধ হবেন তখন চুক্তির বরখেলাপ অসম্ভব, যদি না আপনি নৈতিকতা হারান স্বার্থ অথবা অন্য কোন কারণে।

বাংলাদেশের টাকা লোপাট হয়েছে, এতে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি। এ ক্ষতি কেবল বাংলাদেশ ব্যাংক, কিংবা সরকারের ক্ষতিই নয়। এ ক্ষতি আমাদেরও। সংশ্লিষ্টরা ব্যর্থ হয়েছে প্রতিরোধে, প্রতিবিধানে- তাদের সমালোচনা করছি, করুন, করব। কিন্তু দয়া করে অসত্য তথ্য আর মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষদের বিভ্রান্ত করবেন না। 

কবির য়াহমদ, প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর; ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৪ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ