আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ বনাম রাষ্ট্রধর্মের মুখ

চিররঞ্জন সরকার  

রাষ্ট্রধর্মের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আনা বহুল আলোচিত রিট আবেদনটি খারিজ হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির ধর্মীয় চরিত্রটি উন্মোচিত হয়ে পড়ল। সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে রাজনীতিবিদরা যে বিষবৃক্ষ রাষ্ট্রের মূলনীতিতে সংযুক্ত করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তা-ই বাংলাদেশের অনিবার্য নিয়তি হয়েই দেখা দিল।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অনেক সময়  সরকার বা জনপ্রতিনিধিরা কর্তব্যে অবহেলা করলে উচ্চ আদালত তা পূরণ করতে এগিয়ে আসে। রাষ্ট্রধর্মবিষয়ে হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ের পরিণামে এই দেশে ভিন্নধর্মী সংখ্যালঘু নাগরিকদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতা খর্বিত হবে, পরিণামে একটি গণতান্ত্রিক দেশের পক্ষে লজ্জাকর হবে, সভ্য পৃথিবীতে বাংলাদেশের উদার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হবে এই সকল আশঙ্কা সংগত, স্বাভাবিক এবং অবশ্যই গুরুতর। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রতিক্রিয়া বা পরিণামের প্রশ্ন গৌণ, বস্তুত অপ্রাসঙ্গিক। আদালতের কাজ নীতি স্থির রেখে সেই অনুসারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। যা আদালত করেছে তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা। আদালতের কাজ ছিল সংশ্লিষ্ট পিটিশনটি সংবিধানের মূল চেতনার পরিপন্থী কি না, বিচার করা। আদালত সে বিচারে যাওয়ার আগেই ‘টেকনিক্যাল গ্রাউন্ড’ থেকে সেটাকে খারিজ করে দেয়। অনেকের কাছে যা ‘ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শেষ স্বপ্নটুকু’ মুছে দেওয়া।কেউ কেউ আদালতের প্রতি ক্ষোভও ঝাড়ছেন আকারে-ইঙ্গিতে।

তবে এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকেই দুষতে হয়, আদালতকে নয়। এদেশে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হয়েছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে, আদালতের রায়ে নয়। এখনও রাজনৈতিকভাবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার বিধি বিধান বাতিল করা যায়। সংসদের সেই ক্ষমতাও আছে। রাষ্ট্রধর্ম বিধান বাতিল করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাও আছে। প্রশ্ন হলো, সরকার কী তা করবে? করতে চায়? সম্ভবত চায় না!

কাজেই রাষ্ট্রধর্ম ইস্যুটা যতটা না ধর্মীয় তার চেয়েও অনেক বেশি রাজনৈতিক। এমন একটি ‘রাজনৈতিক পাপ’-এর ভাগীদার না হয়ে আদালত বরং যথেষ্ট ‘পরিপক্বতা’র পরিচয় দিয়েছে। আমরা রাজনীতিকদের কেন বলছি না সংবিধানটা আগের জায়গায় নিয়ে যেতে? চাইলেই তো তারা এটা পারে। তাহলে অহেতুক কেন আদালতকে বিড়ম্বনায় ফেলা?

আসলে আমাদের বর্তমান শাসকদলসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সৎসাহস নেই। থাকলে পঞ্চদশ সংশোধনীর সময়ই করা যেত। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হওয়ার মানেই হলো মূল চার নীতির সম্পূর্ণ পুনর্বহাল হওয়া এবং এসবের সঙ্গে বিরোধাত্মক সবকিছু বাতিল হওয়া। কিন্তু উনারা (রাজনীতিক, সরকার) চার নীতি বহাল করলেন আবার রাষ্ট্রধর্মও রাখলেন! দুধও থাকলো, সঙ্গে গোচোনাও! কি বিচিত্র এই রাজনীতি!

রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এখন সর্বোচ্চ মীমাংসিত একটি ইস্যু। এমতাবস্থায়, এখন কেউ যদি কোরান, হাদিস এবং শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্রীয় আইন-কানুন, জীবনযাত্রা ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার দাবি নিয়ে আদালতে যায় তখন কি হবে?

আসলে রাষ্ট্রধর্মকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে করা রিটটি খারিজ হওয়ার পর সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিপণ্ণতা আরও বেড়ে গেছে। তারা চোখের সামনে আর কোন আশা দেখছে না। আমাদের সংবিধান দেশের সব নাগরিককে নিজ নিজ ধর্ম পালন করার স্বীকৃতি দিলেও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে পারেনি। ফলে হিন্দু জনগোষ্ঠীর ওপর উপর্যুপরি হামলা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে-এটাই প্রত্যাশিত।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের ভূমিকা আশানুরূপ নয়। আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় নীতিমালা ও সামাজিক অনুশাসনে বহুত্ববাদের স্বীকৃতি ও চর্চার বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত হয়েছে। যার ফলে এ দেশের সংখ্যালঘুরা নিজ দেশেই ঐতিহাসিক কাল ধরে বসবাস করা সত্ত্বেও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়ে তাদের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন।

আজ যাঁরা দেশ শাসন করছেন, কিছু কাল ধরে সংখ্যালঘু সমাজকে তাঁরা ভালই বুঝিয়ে দিতে পেরেছেন, তাঁদের পছন্দের সমাজে সংখ্যালঘুদের জায়গা নেই। প্রসঙ্গত, ১৯৪৮-এর ৪ নভেম্বর ভারতের গণপরিষদ বা কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলিতে ভারতের সংবিধানের খসড়াটি পেশ করার সময় ডক্টর আম্বেডকর সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দানের প্রয়োজন নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের মধ্যে যাতে কোনও অবিচারজনিত বিপন্নতার বোধ তৈরি না হয়, সেটা দেখা যে সংখ্যাগুরুর দায়িত্ব, সংখ্যাগুরুকেই সেটা বুঝতে হবে।’’

তথাকথিত ‘বাস্তবতা’, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের দাবি’র বাইরেও ‘সাংবিধানিক নৈতিকতা’ বলে একটা কথা আছেন। সাংবিধানিক নৈতিকতা সবার আগে সরকারকে শিখতে হয়। শিখতে হয় রাজনৈতিক দলকেও। সংবিধানের ধারাগুলি অক্ষরে অক্ষরে মানাই যথেষ্ট নয়, সংবিধানে নিহিত মূল ভাবটি বোঝা দরকার, সরকারের সমস্ত কাজে তার প্রতিফলন ঘটানো দরকার। যে উচিত কাজটি সরকারের করা দরকার সে কাজটি সরকার করেনি বা করছে না, তার নৈতিক স্খলন হয়েছে, এমন ধরে নিয়ে আমরা চুপচাপ থাকব? প্রতিবাদী হব না? লড়াই চালাব না? দেশের সংবিধানে যে চেতনা ও আদর্শের কথা বলা হয়েছে, রাষ্ট্রধর্ম রেখে কী সেই নৈতিকতা বহাল রাখা সম্ভব? এ প্রশ্নের জবাব কী আমরা জানি না?

যাঁদের হাতে দেশের ক্ষমতা, দেশের সমস্ত নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতার মৌলিক অধিকার রক্ষার ভার কিন্তু তাঁদেরই হাতে। কিন্তু তারা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোহাই দিয়ে নিজেদের জোরের যুক্তি প্রতিষ্ঠা করে, তাহলে সুশাসনের নীতি থাকে কোথায়?

ব্যক্তির স্বাধীনতার মূল্য অবশ্যই দিতে হবে। রাষ্ট্র শুধু শতকরা ৯০ জনের নয়। শতকরা দশ জনের মতকে ধারণ করতে পারাটাও আধুনিক রাষ্ট্রের লক্ষ্য। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষা করাটাই রাষ্ট্রের কর্তব্য। কে কী খাবে, কে কী পরবে, কাকে আপ্যায়ন করা যাবে, আর কার মুখে কালি লেপন করা যাবে, সেটা রাষ্ট্রের কাজ নয়। এটা ব্যক্তির অভিরুচিও হতে পারে না। যারা কথায় কথায় ‘পছন্দ না হলে’ দেশত্যাগের নির্দেশ দিচ্ছে তাদের লাগাম টেনে ধরাটাও রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব। শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠদের তোয়াজ-তোষামোদ করে ক্ষমতায় থাকাটা হবে মহাভুল।

মনে রাখা দরকার ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা ছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থিতি প্রতিষ্ঠা প্রায় অসম্ভব। ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটা এখন রাজনৈতিক কচকচানিতে পরিণত হয়েছে। কারণ চারদিকে এখন ধর্মবাদীদেরই জয়জয়কার। আমাদের দেশের রাজনীতিতে কে কার চেয়ে কে বেশি ধার্মিক, তার একটা অলিখিত প্রতিযোগিতা লক্ষ করা যাচ্ছে। মুখে এখনও অনেকে ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ এঁটে থাকলেও আড়ালে জ্বলজ্বল করতে থাকে ধর্মীয় পরিচয়। আর ধর্মপরিচয়কে সামনে টেনে এনে বিশেষ ধর্মগোষ্ঠীর সমাজ হয়তো বানানো যাবে, সকল ধর্মমতের বৈচিত্রময় মানবিক সমাজ গড়া যায় কী?   

ধর্মকে বাদ দিয়ে হয়তো সমাজ নির্মাণ সম্ভব নয়। তার দরকারও নেই। তবে ধর্ম অবশ্যই সঙ্কীর্ণ ব্যাখ্যায় সমাজকে বিভক্ত করে। কিন্তু ধর্মের মূল শিক্ষা বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করলে তা মানুষের চরিত্র তৈরির সহায়ক হয়ে ওঠে। ‘যত মত তত পথ’ শিশুদের পড়ানো হলে তা বিসম্বাদের পথ তৈরি করবে বলে তো মনে হয় না। গণতন্ত্রের সব থেকে সদর্থক দিকটা হল, সমস্ত আগ্রহী মানুষকে নিজেদের কথা বলতে দেওয়া। সেটাই ‘সহিষ্ণুতা’। সেটাই ‘গণতন্ত্র’। সেটাই বহুত্ববাদী সমাজ নির্মাণের মূল কথা।
এ ব্যাপারে রাজনীতিকদের ভূমিকা অত্যন্ত দুঃখজনক।রাজনীতিকরা ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি অনুসরণ করে ভোট বাঁচাতে যত্নবান থাকবেন, আর বঞ্চিত হতাশ ক্ষুব্ধ সংখ্যালঘুরা সেই তঞ্চকতার মুখোশ খুলতে যথেষ্ট পরিশ্রম না করে কেবল মাথা চাপড়াবেন, তাতো হয় না। হতে দেওয়া যায় না।

যদিও আমাদের দেশ এ ভাবেই চলছে। হয়তো চলবেও। অশিক্ষা, জড়তা আর মূর্খতা চলবে শিক্ষা আর সচেতনতার পাশাপাশি। ধর্মান্ধ আর রাজনীতিকরা নিজেদের স্বার্থ দেখবে, সমাজটাকে অন্ধকারেই ফেলে রাখবে, শুধু সুস্থ সচেতন মানুষই সমাজ পালটাবে। হাতে গোনা কিছু মানুষই সমাজ পালটায়। চিরকাল তা-ই হয়েছে।একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, রাজনীতিকরা যদি অন্ধকারের উপাসক হয়, তাহলে আদালত আলো জ্বালাতে পারবে না!

আমাদের গণতন্ত্র নিশ্চয় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে দায়বদ্ধ। এটা বিশেষ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য, কারণ, সংখ্যালঘুরা দেশের সর্বাপেক্ষা বিপন্ন প্রজাতি। আর্থিক-সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়ায় তাঁদের কণ্ঠস্বর এখন হ্রস্ব থেকে আরও হ্রস্ব হচ্ছে। তারা আজ নিজ ভূমেই পরবাসী, নাগরিক অধিকার যায়-যায়।

ইতিহাসের শিক্ষা হল, সত্য প্রায়শই, বিশেষত আদিতে, সংখ্যালঘুর সঙ্গেই থাকে। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘোরে, এ বক্তব্য দীর্ঘকাল সংখ্যাগুরুর অনুমোদন পায়নি। ব্রুনো’কে পুড়িয়ে মারা হয়, গ্যালিলিওর দীর্ঘ কারাবাস হয়। সূর্য কিন্তু পৃথিবীর চার পাশে ঘোরেনি। সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু দিয়ে সত্য বিচার্য নয়, নিজস্ব জোরেই তা প্রতিষ্ঠিত হয়। স্তর দিয়েও সত্যের বিচার হয় না। তাই, সংখ্যালঘুর অবদমন সত্যের অবদমন হয়ে দাঁড়ায়। সেই কারণেই গণতন্ত্রের দাবি হল সংখ্যালঘুর মর্যাদা ও গুরুত্ব রক্ষা করা। শুধু সংখ্যার বিচারে রাষ্ট্রকে ‘ধর্মের ষাঁড়’ বানালে সংখ্যালঘুরা গুঁতোর ভয়ে কুঁকড়ে থাকবেই।ধর্মের বিভাজন করে সংখ্যালঘুর অবদমন নিশ্চিত রূপে আত্মঘাতী হতে বাধ্য। সংখ্যালঘুর অধিকার খর্ব করে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র কল্যাণরাষ্ট্র হতে পারে না।এমনকি ধর্মও এতে রক্ষা পায় না।এতে বিষফল ফলতে পারে। ‘কিলিং দ্য মাইনরিটি’ হয়ে উঠতে পারে ‘কিলিং দ্য ট্রুথ’।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ