আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

তনু হত্যার বিচার দাবি যেন প্রহসনে পর্যবসিত না হয়

জুয়েল রাজ  

সোহাগী জাহান তনু ধর্ষণ ও হত্যা পরবর্তী প্রতিবাদ প্রতিরোধ, উত্তাল সারা বাংলাদেশ। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য শুভ লক্ষণ। বাঙালি অন্তত এক হতে পারে সেটা মনে করে আশান্বিত হওয়া যায়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি বাম, ডান সবাই এসে এক জায়গায় সমবেত হয়েছিলেন।  

ইয়াসমিনকে কি ভুলে গেছি আমরা? দিনাজপুর শহরের রামনগর এলাকার গরিব পরিবারে জন্ম নেয়ায় চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়তে পেরেছিল সে। টাকা জমিয়ে আবার লেখাপড়া করার স্বপ্ন বুকে নিয়েই পাড়ি জমায় ঢাকায়। ঢাকায় এসে একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। আট-নয় মাস কাজ করার পর নিজের বাড়িতে যেতে চায়। কিন্তু গৃহকর্তা তাকে দুর্গাপূজায় বাড়িতে যেতে বলেন। কিন্তু মায়ের জন্য মন ছুটে যায় ইয়াসমিনের। আর সে কারণেই হয়তো ২৩ আগস্ট ওই পরিবারের ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে একাই দিনাজপুরের উদ্দেশে রওনা হয় ইয়াসমিন।

১৯৯৫ সালের ২৩ আগস্ট ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিল কিশোরী ইয়াসমিন। ভুল করে ঠাকুরগাঁওগামী নৈশকোচ হাছনা এন্টারপ্রাইজে উঠে পড়ে সে। বাসটি রাত ৩টার পরে দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও-রংপুরের সংযোগ মোড় দশমাইল এলাকায় এসে পৌঁছায়। মায়ের কাছে আর ফেরা হয়নি ইয়াসমিনের। সকালবেলা রাস্তায় রক্তের দাগ, পাশে ইয়াসমিনের জুতা, রুমাল, হাতপাখা ও ভাঙা চুড়িও পড়ে থাকে।  এর ঘণ্টা তিনেক পরে গোবিন্দপুর সড়কে ব্র্যাক অফিসের সামনে ধর্ষিতা ইয়াসমিনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। সেইসময় ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল সর্বস্তরের জনতা। তখন প্রতিবাদী জনতার ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে দিনাজপুর শহরের সামু, সিরাজ, কাদেরসহ সাতজন নিরপরাধ ব্যক্তি নিহত হন।এর প্রায় ১ যুগ পরে, ইয়াসমিন হত্যা মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২০০৭ সালের ৩১ আগস্ট ৩ পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

তার ঠিক ২০ বছর পর,  সোহাগী জাহান তনু, তাঁর  বাবা কুমিল্লা সেনানিবাসে বোর্ডে একজন বেসামরিক কর্মচারী। সেই সুবাদে সেনানিবাসে কোয়াটারে তাদের বসবাস। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে ইতিহাস বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সোহাগী জাহান তনু লেখাপড়ার পাশাপাশি তাঁর কলেজে নাটকসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত ছিলেন।

টানাটানির সংসারে তিনি কুমিল্লা সেনানিবাসের ভিতরেই টিউশনি করে নিজের খরচের কিছুটা যোগাতেন তনু। গত রোববার ২০শে মার্চ বিকেলে টিউশনি করতে গিয়েছিল। কিন্তু রাত আটটাতেও না ফিরলে তনুর মা তাঁকে  রাস্তায় খুঁজতে যান। যে বাসায় পড়াতে যেতেন, সেই বাসায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যা সাতটাতেই তনু চলে গেছে। রাত দশটার দিকে তাদের বাবা বাসায় ফিরলে তখন আবার তারা খুঁজতে বের হন। যে পথ দিয়ে টিউশনির বাসায় যেতেন, সেই পথেই সেনানিবাসের ভিতরে একটি কালভার্টের নীচে মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এরপর থেকেই দেশে বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। এই প্রতিবাদ, মানবতার জন্য, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার পথে অবশ্যই শুভযাত্রা।

কিন্তু হঠাৎ করেই যেন আন্দোলনের চিত্রটা বদলে যেতে শুরু করেছে। এর কারণ হিসাবে দুই একটা উদাহরণ যদি দেই, গণজাগরণ মঞ্চ শুরু থেকে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ, ধর্ষক ও ৭১-এর  মানবতাবিরোধীদের ফাঁসির দাবিতে নানা রকম আল্টিমেটাম দিয়ে আসছিল। অথচ আদালত  রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বিষয়ক রিটটি খারিজ  করে দিলেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকল। গণজাগরণ মঞ্চ এ নিয়ে কোন কথা বলেনি। তাঁরা তনু হত্যার বিচারের দাবিতে কুমিল্লা পদযাত্রায় গেলেন!

স্কুল কলেজের সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে এসেছে। প্রতিবাদ মুখর হচ্ছে স্যালুট তাঁদেরকে। কোন এক বাম ছাত্র সংগঠন দেখলাম ঢাকা অচল করার ডাক দিয়েছেন। তনু হত্যার বিচার দাবিতে। পার্বত্য চট্টগ্রামে  স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা মানববন্ধন করছে। যেখানে ২০১৫ সালে সারাদেশে ৮৫ জন আদিবাসী নারী ও কন্যাশিশু শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার ২৬ জন, হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে, ১১ জন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত, ধর্ষণের চেষ্টা ১৬ জনকে, ৫টি অপহরণ, ৬টি শারীরিক ও যৌন হয়রানি এবং দুটি পাচারের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এর আগে পাহাড়ি সংগঠনগুলো ছাড়া কোন প্রতিবাদ বা মানববন্ধনের খবর আমরা পাইনি।  

ঢাকার বাইরে ও বিদেশে যারা তনু হত্যার বিচারের দাবিতে হঠাৎ করে খুব সোচ্চার হয়েছেন তাঁদের অনেকেই আবার মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত রাজাকার কূলের শিষ্য। কেউ বা সামনে আসছেন কেউ পিছনে বসে কলকাঠি নাড়ছেন। মূল উদ্দেশ্য তনু হত্যার বিচার আদায় নয়। সাধারণ মানুষের আবেগ কে কাজে লাগিয়ে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এবার আরেকটি তথ্য জানাতে চাইছি ২০১৫ সালের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর কমপক্ষে ২৬২টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এ সবের অধিকাংশ একক ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার সংখ্যা কমপক্ষে ১৫৬২টি। এ সময়ে বিভিন্ন হামলার ঘটনায় ২৪জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২৩৯জন, অপহরণের শিকার হয়েছেন ২৪ জন সংখ্যালঘু নারী যাদের মধ্যে ৯টির ক্ষেত্রে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের অভিযোগ রয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫ জন। তাদের মধ্যে ১০জন গণধর্ষণের শিকার, ২জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন ৪জন, তাদের মধ্যে একজনকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসিড সন্ত্রাসের শিকার ১জন। জমিজমা, ঘরবাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, দখল ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে ২০৯টি। এর মধ্যে উচ্ছেদের শিকার হয়েছে ৬০টি পরিবার। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩১টি। প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে ১৮০টি।

কোন আন্দোলন সংগ্রাম কি চোখে পড়েছে কোথাও? হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নামে একটি ভাঁড় সংগঠন মাঝে মাঝে রাস্তায় দাঁড়ায়। যারা আবার আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেনা কোন কালেই।

১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল বাড়ির ঠিকাদার ও তার তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে হত্যা করেছিল স্কলাসটিকা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী  ১৫ বছরের  ছিলো শাজনীনকে। যদি ও বিচার হয়েছে কিন্তু এখনো কার্যকর হয়নি মৃত্যুদণ্ড।

২০০১ সালে ঢাকার খিলগাঁওয়ে বখাটেদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে  বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিল সিমি । সিমি তাঁর সুইসাইড নোটে বখাটেদের সাথে এক পুলিশের দারগা বাশারের নাম লিখে গিয়েছিল।যাদের নামে মাত্র সাজা হয়েছিল একজন আবার বেকসুর খালাস ও পেয়েছিল।  

২০০২ সালে ১৭ জুলাই বিকেল বেলা স্কুল থেকে ফেরার সময় মাত্র চতুর্থ শ্রেণীতে পড়া  তৃষা বখাটেদের হাত থেকে বাঁচতে পানিতে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছিল।

২০০৩ সালের পহেলা বৈশাখে বখাটেদের সীমাহীন লাঞ্ছনা আর অপমান সহ্য করতে না পেরে সিলিং ফ্যানে ওড়না ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করে ফারজানা আফরিন রুমি।

২০০২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বখাটেদের হাতে ধর্ষিত হবার পর পুরো সমাজ মুখ ফিরিয়ে নেয় মহিমার উপর থেকে এক ঘরে করা হয় মহিমাকে। মহিমাও বেঁচে নিয়েছিল আত্মহত্যার পথ।

২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ের পর হিন্দু হওয়ায় এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার অপরাধে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা গণ ধর্ষণ করে পূর্ণিমা শীল সহ কয়েকশত হিন্দু নারী ও কিশোরীদের যার অনেক ঘটনাই অপ্রকাশিত। যাদের অনেকেই আবার লজ্জায় ঘৃণায় ভয়ে দেশান্তরী হয়ে গেছেন।

ঘটনাগুলো তুলে আনার কারণ  হল আমরা এইসব কোন ঘটনারই সঠিক বিচার পাইনি। গোঁড়ায় গলদ রেখে কি তনু হত্যার বিচার পাওয়া সম্ভব। শুধু তনু হত্যা নয় প্রতিটা ধর্ষণ, হত্যা নির্যাতন, ধর্মীয় কারণে নিপীড়ন এর বিচার দাবী করছি। এখন সর্বাগ্রে যে দাবিটি উঠে আসা দরকার, ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান পুনর্বহাল করা।

সোহাগীর খুনি ধর্ষক ধর্ষণকারীরা, (আমরা জানি না এক না একাধিক ব্যক্তি জড়িত) যদি আইনের আওতায় আসে তাদের সাজা কি হবে সেটা কি আমরা জানি?

এসিড নিক্ষেপের জন্য অপরাধ দমন আইন, ২০০২-এ সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। এসিড নিক্ষেপের জন্য মৃত্যুদণ্ডের আইন থাকলে ও ধর্ষণের জন্য তা বলবত নয়।

ধর্ষণের পর হত্যার শাস্তি একমাত্র মৃত্যুদণ্ড’-এমন বিধান দিয়ে ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের তিনটি ধারাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। যে আইনটিকে রহিত করে ২০০০ সালে‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন’ করে বাংলাদেশ সরকার।

সে আইনে ধর্ষণ ও হত্যার সাজা মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি যাবজ্জীবনের বিধানও রাখা হয়। তবে নতুন এ আইনেরও একটি ধারাকেও অসাংবিধানিক বলেছেন আপিল বিভাগ। যে ধারায় বলা হয়েছিল- ‘১৯৯৫ সালের আইনে করা মামলা সেই পুরোনো আইনেই চলবে’।

আপিল বিভাগের এই রায়ের ফলে ধর্ষণের পর হত্যা সংক্রান্ত পুরাতন ও নতুন সব ধরনের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে।যেখানে ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সাজা হিসেবে শুধু মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছিল।

সে সময় আইনজীবীদের মতামত ছিল , কোনো অপরাধেরই একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে না। অপরাধের ধরন অনুযায়ী অন্য শাস্তিও হতে পারে। দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করলে কেউ কম অপরাধী, আবার কেউ বেশি অপরাধীও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সংবিধান পরিপন্থী। কারণ, অপরাধের ধরন অনুযায়ী সাজা কম বা বেশি হতে পারে।

তনু হত্যার ন্যায়বিচার প্রাপ্তি দেশের আপামর মানুষের দাবী ও  প্রত্যাশা, এই প্রত্যাশাকে যেন আন্দোলন সংগ্রামের নামে সহিংস বা অস্থিতিশীল করে প্রহসনে পর্যবসিত না হয়।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ