আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

‘হালুয়া রুটি লীগ’ বনাম ‘খালি পেট লীগ’

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

(১)
শেখ হাসিনা তখন বিদেশে, ডঃ কামাল হোসেনও দেশে ফিরেননি। আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত দুর্দিন। সেরকম একটা সময়ে আমি দেশ রাজনীতি সমাজ এইসব বুঝতে শুরু করি। বারো তেরো বছর বয়স, নামাজ রোজা করি, পকেটে টুপি নিয়ে ঘুরি। বাসার পাশে নতুন মসজিদ হয়েছে সেখানে নির্মাণ কাজে মিস্ত্রিদের সাথে ভলান্টারি যোগালির কাজ করি। নতুন মসজিদে মুয়াজ্জিন ছিল না, একেক সময় একেকজন আজান দিত, আমিও দুই একবার ফজরের আজান দিয়েছি।

আমরা তখন থাকি চকরিয়া। এটা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছর। আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগের তখন চূড়ান্ত দুর্দিন। সময়কালটা আরও মনে আছে কারণ কয়েকমাসের ব্যবধানে সেসময় কাজী নজরুল ইসলাম আর মওলানা ভাসানি মারা গেলেন। কিশোর আমি সেসময় পড়া শুরু করেছি। ঘরে অনেকরকম বই ছিল। মুক্তধারা থেকে ভিপি ডাকযোগে বই কিনি। গোগ্রাসে পড়ি। মাসুদ রানা তো পড়তামই, হাতের কাছে যা পেতাম তাই পড়তাম। বাইবেল পঞ্জিকা পর্নোগ্রাফি যাই হোক, ছাপা অক্ষর হলেই হতো।

এরকম একটা সময়ে (সম্ভবত ১৯৭৭ সনে) চকরিয়া থেকে বাসে করে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম। লোহাগড়া নাকি আমিরাবাদ জায়গাটার নাম, সেখানে বাস থামতো চা নাস্তা খাওয়ার জন্য। সেখানে দেখি আওয়ামী লীগের একটা পোষ্টার। পোষ্টারে আর কি লেখা ছিল মনে নাই, শুধু পোস্টারের মাঝবরাবর একটু উপরের দিকে লেখা জোহরা তাজউদ্দীনের নামটা মনে আছে। সেই পোস্টার দেখে আমার সেসময় কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল মনে নাই, কিন্তু সেই পোস্টারটির কথা আমি কোনদিনই ভুলবো না।

(২)
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর বছর দেড় দুই পর সামরিক শাসনের মধ্যে যখন ঘরোয়া রাজনীতি, পলিটিকাল পার্টি রেগুলেশন এইসব শুরু হলো, সেসময়টা আওয়ামী লীগের জন্যে ছিল চূড়ান্ত দুঃসময়। তরুণরা অনেকেই সেই ট্রানজিশনের সময়টার কথা জানেন না। বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের চারজন মৃত। অনেকে জেলে। অনেকে পলাতক। অনেকে নিষ্ক্রিয়। খন্দকার মুশতাকের সাথে গেছে অনেকে। দলকে যে দিকনির্দেশনা দিবে সেরকম লোক পাওয়াই কঠিন।

বৈরি পরিবেশ, রাজাকার ইত্যাদি যারা ছিল শত্রুপক্ষের ওদেরকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ১৫ই আগস্টকে সেসময় কিছু লোক উৎসব হিসাবে পালন করতো। রাষ্ট্রীয় প্রচার যন্ত্র আর দেশের এক নম্বর খবরের কাগজ দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালাতো আওয়ামী লীগকে ভিলেন হিসেবে চিহ্নিত করে। মিজান চৌধুরী আর নুরে আলম সিদ্দিকি ওরা আবার নিজেরা গিয়ে আলাদা আওয়ামী লীগ বানিয়েছে।

সেইসব কঠিন দিনে কিছুসংখ্যক নেতা দায়িত্ব নিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠন করেছেন। জোহরা তাজউদ্দীন তো ছিলেনই, সদ্য স্বামীকে হারানোর শোক ভুলে দেশের পথে প্রান্তরে ঘুরেছেন দলকে সংগঠিত করার জন্যে। মালেক উকিল ছিলেন, রাজ্জাক ভাই ছিলেন, তোফায়েল আহমেদ ছিলেন। আমির হোসেন আমু ছিলেন যুব লীগের চেয়ারম্যান। আর ছিল আওয়ামী লীগ ছাত্র লীগ যুব লীগ কৃষক লীগের গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য সাধারণ কর্মী।

(৩)
গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এইসব সাধারণ নেতা কর্মীদেরকে আমি দেখেছি বিভিন্ন জেলা শহরে, থানা শহরে, হাটে বাজারে, মফস্বলে। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে, জীবনের সকল আশা আকাঙ্ক্ষা লোভ লালসা ছুড়ে ফেলে এরা আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছে, এগিয়ে নিয়ে গেছে। পুলিশের মার খেয়েছে, জেলে গেছে, জিয়াউর রহমানের লোকেরা পিটিয়েছে, এরা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পতাকা কখনো ছাড়ে নাই।

আরও পরে, তখন আমি ছাত্র ইউনিয়ন করি। আমাদের নিজেদের সাংগঠনিক অবস্থাও তখন বিশেষ ভাল না। জিয়াউর রহমানের জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করতে গেলে বেশিরভাগ সময়ই ছাত্রলীগ আমাদের সাথে থাকতো। আমি ছাত্রলীগের সেইসব নিবেদিতপ্রাণ কর্মীকে দেখেছি। নিকট ভবিষ্যতে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবে সেরকম কোন সম্ভাবনা তখন নাই। টাকা পয়সার লোভ নাই। নিজের খেয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে হাত পা ভেঙ্গেছে।

এর মধ্যে আরেক উৎপাত গজিয়েছে তখন জিয়াউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায়- শিবির। শিবিরের কোন টাকার অভাব ছিল না। ওদের মধ্যে ছিল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গুণ্ডারা। শিবিরের সাথে প্রায়ই মারামারি লাগতো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আমরা ছাত্র ইউনিয়নের ছেলে মেয়েরা মারামারিতে অত পটু ছিলাম না। সেখানে ছাত্রলীগের ছেলেরা আমদের সাথে এসে শিবিরের বিরুদ্ধে মারামারি করতো। অনেক ছাত্রলীগ কর্মী মার খেয়েছে, জীবন দিয়েছে।

(৪)
কিন্তু আওয়ামী লীগের মধ্যে ধান্দাবাজ ধরনের লোকেরাও সবসময়ই ছিল। ছাত্রলীগের মধ্যেও। বিভিন্ন সময়ে এরা ভোল পাল্টেছে, ডিগবাজী দিয়েছে, আবার আওয়ামী লীগে ফেরত এসেছে, আবার নেতা বনে গেছে। এইরকম ধান্দাবাজদের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৭৯ সনে সংসদ নির্বাচনের সময়। আমি তখন নবীনগরে, ক্লাস টেনে পড়ি, ছাত্র ইউনিয়ন করি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেখানে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা কাজি আকবর উদ্দিন সিদ্দিক, তিনি নৌকা মার্কা নিয়ে ইলেকশন করছেন। সেখানে আওয়ামী লীগ (মিজান) এর প্রার্থী হয়েছেন এডভোকেট আহম্মদ আলী। তাঁর মার্কা ছিল মই। কাজি আকবর উদ্দিন সিদ্দিক ফকিরা ধরনের মানুষ, টাকা পয়সা বেশী নাই, খাদি পরে ঘুরে বেড়ান আর আওয়ামী লীগ করেন। এডভোকেট আহম্মদ আলীর টাকা পয়সা আছে। ছাত্র লীগের একটা বিরাট অংশ দেখলাম এডভোকেট আহম্মদ আলীর দলে জুটে গেল।

ওদেরকে জিজ্ঞাসা করি, তোমরা কি মিজান আওয়ামী লীগে চলে গেলে? ওরা জবাব দেয়, যে, না, শুধু এই নির্বাচনের জন্যে এডভোকেট আহম্মদ আলীকে সমর্থন দিয়েছি। মই মার্কার ইলেকশন যারা করতো ওরা সুন্দর অফিস খুলে সেখানে দুপুর বেলা বিরানি মারতো। ছাত্রলীগের একটা ক্ষুদ্র অংশ কিন্তু আকবর উদ্দিন সিদ্দিকের সাথেই ছিল। ওরা না খেয়ে, আধা পেটা খেয়ে নৌকা মার্কার পোস্টার মেরেছে, চিকা লিখেছে, বিএনপির গুণ্ডাদের মার খেয়েছে।

মই মার্কার ওরা কিন্তু পরে আবার মুল আওয়ামী লীগে ফেরত এসেছে, বড় নেতা হয়েছে। আর ঐসব খালি পেটে মার খাওয়াগুলি, ওরা সম্ভবত এখনো খালি পেটেই আছে। আবার যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাবে, ওরা আবার মার খাবে, জেলে যাবে।

(৫)
এই যে আওয়ামী লীগের খালি পেটে মার খাওয়া কর্মীরা, এরা কিন্তু তখনো খালি পেটে ছিল, এখনো খালি পেটেই আছে। এরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে, জয় বাংলা শ্লোগান শুনলে এদের চেহারা পাল্টে যায়, হাতের পেশী দৃঢ় হয়ে যায়। আমি এদেরকে দেখছি সেই শৈশব থেকে। সাধারণ মানুষ। হয়তো ছোট সরকারী বা বেসরকারি চাকরী করে। বা ছোট একটা দোকান করে। হয়তো কিছুই করে না, সামান্য কিছু জমিজমা আছে সেগুলি নেড়েচেড়ে খায়। এদের জীবনে বঙ্গবন্ধু, জয় বাংলা আর মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর কিছু নাই।

আপনি ইচ্ছা করলেই এদেরকে খুঁজে বের করতে পারেন জনসমাগম আছে এরকম কোন হাটে বাজারে বা গঞ্জে। ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে একবার বা দুইবার জোরে জয় বাংলা জয় বাংলা বলে চিৎকার কলেই দেখবেন কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে পরে আপনার সাথে শ্লোগান ধরবে। জয় বাংলা ধ্বনি শোনার সাথে সাথে দেখবেন কালাকোলা হাড় জিরজিরে লোকটার চেহারায় অপার্থিব এক দৃঢ়তা চলে এসেছে। লুঙ্গি পড়া একটা লোককে হয়তো পাবেন, রোগে জরাজীর্ণ বাহু তুলে আপনার সাথে জয় বাংলা শ্লোগানে আকাশ বিদীর্ণ করে ফেলবে।

এরাই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর খালি পেটে মার খাওয়া কর্মীরা। এরা মরে না, এরা ধ্বংস হয় না। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে এই লোকগুলি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান ঠুকে এসেছে। প্রাণ যাবে, জয় বাংলা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর নামে এরা হাসতে হাসতে প্রাণ দিবে- একদম আক্ষরিক অর্থেই। একজন মরবে তো ঠিক ওর জায়গায় এসে আরও দুইজন এসে দাঁড়াবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার উপর যতবার প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে, তখন আপনি এই কথার প্রমাণ পেয়েছেন।

পৃথিবী উল্টে যেতে পারে, এরা পাল্টাবে না। এবং এরা সংখ্যায়ও নেহায়েত কম না। আমার ধারনা প্রতি দশজন বাঙালির মধ্যে একাধিক লোকই এদের দলে।

(৬)
এই কথাগুলি কেন লিখছি? এই কথাগুলি লিখছি কারণ আমি আপনাদেরকে জানিয়ে রাখতে চাই যে আওয়ামী লীগের এই খালি পেটে মার খাওয়া বোকা কর্মীগুলির প্রতি আমার সীমাহীন শ্রদ্ধাবোধ  কোনদিনই ম্লান হয়নি। ওদের সাথে আমার অনেক সময় বিরোধ হয়েছে। প্রতিনিয়ত তর্কাতর্কি সেটা তো আছেই। ওদেরকে সময়ে অসময়ে কত সমালোচনা করেছি। ছাত্রলীগ যখন আমাদের উপর হামলা করেছে, এদের সাথে মারামারিও করতে গেছি। কিন্তু সব কিছুর পরেও ওদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা চলে যায়নি।

এই কথাগুলি আরেকটা কারণে জরুরী। আওয়ামী লীগের এখন দুঃসময় চলছে। সরকারের নানারকম কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। কিন্তু কিছুসংখ্যক লোক এই অবস্থার মধ্যেই বেশ হালুয়া রুটি বাগিয়ে নিচ্ছেন, ঝোলটা নিজের পাতে টেনে নিচ্ছেন। এরা আওয়ামী লীগেরই নেতা- কর্মী না নেতা। নানারকম কমিটিতে এরা বেশ জাঁকিয়ে বসে আছে। আর যারা কোন কমিটিতে জায়গা পায়নাই, ওরা নিজেদের একটা 'লীগ' বানিয়ে সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সম্পাদক ইত্যাদি সেজে বসে আছে। এই হালুয়া রুটি ওয়ালাদের কারণে আমরা যেন সেই খালি পেটের লোকগুলিকে ভুল না বুঝি।

আওয়ামী লীগ যখন ডুববে, এই নেতাগুলিই সবার আগে লাফিয়ে পালাবে। তখন আবার সেইসব খালি পেটে লোকগুলিই আসবে মাঠে। আর আপনি তো জানেনই আওয়ামী লীগ যদি ডুবে তখন আপনাকে নিয়েই ডুববে। ধর্ম নিরপেক্ষতা নিয়ে ডুববে, গণতন্ত্র নিয়ে ডুববে। সেই দুর্দিন যখন আসবে, তখন, আমি নিশ্চিত জানি, এইসব খালি পেটে থাকা লোকগুলিই আপনার আমার পাশে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের জন্যে শ্লোগান দিবে আর ধর্মনিরপেক্ষতার জনী শ্লোগান দিবে।

আর শেখ হাসিনার পাশেও তখন হালুয়া রুটি খেয়ে চর্বী বানানো লোকগুলি থাকবে না। থাকবে এই না খাওয়া লোকগুলিই।

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ