আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

প্রাসাদ-নগর যেন বিলাসের নিদারুণ রসিকতা

নাজমুল হাসান  

আদালত বা বিচার বিভাগ নিয়ে কটূক্তি করা যাবে না। বিচার বিভাগ ভাল-মন্দ যা-ই করুক না কেন- কথায় কথায় তাকে ‘মাননীয়’  বলতে বলতে মুখে ফেনা উঠিয়ে ওখানকার প্রটোকলের মধ্যে পরম শান্তিতে বসে থাকা কিছু মানুষকে পরম সম্মান জানানোর নামে তৈলমর্দনের চরম মোসাহেবির স্বাক্ষর রাখাকে বলে  ‘আদালতের সম্মান’ রক্ষা করা! কৃতকর্মের দ্বারা যে যার সম্মান যদি রাখতে না পারে, তবে এই রকম জোর-জবরদস্তি করে মোসাহেবি করতে বাধ্য করাকে বলে ‘সম্মান রক্ষা’!  আজব!

মানবতাবিরোধীদের বিচার করার জন্য একটা আইন করা হলো, যেখানে সরকারপক্ষের আপিল করার সুযোগ নাই কিন্তু আসামীপক্ষের আছে। অথচ এখানে বাদীই সরকার!  কি বুঝে এমন আইন বানানো হলো? এটা বুঝতে জ্ঞানী হবার দরকার আছে?

তারপরেও জ্ঞানীরা তা বুঝতেই পারলো না,  বুঝল আম-জনতা!  যারা সকালে-বিকালে বাঘা বাঘা মানুষের পেঁদানি খায় সেই সকল না-বুঝ জনতা। তারা সবাই শাহবাগে দাঁড়িয়ে গেল। গলা ফাটালো, মার খেলো,  মরলো। এরপরে জ্ঞানীদের জ্ঞানকোষ্ঠে ঘা লাগল এবং তারা বুঝল তারা কাজটা ঠিক করে নাই। আম-জনতার চাপে সেই  আইন পরিবর্তন হয়ে জনগণের চাওয়া আইন তৈরি হয়ে গেল।

কিন্তু যারা এই আইন তৈরি করেছিল তাদের কোন জবাবদিহি করতে হলো না। কাজ করতে গিয়ে যদি কাজ খারাপ হয় তাহলে জবাবদিহি করা লাগে না,  দুনিয়ায় এমন কোন জায়গা আছে?

দুনিয়ায় বিচার ব্যবস্থা প্রণয়নের ইতিহাস কী আমি জানি না। আমি হলাম গিয়ে এক মূল্যহীন পাবলিক। এক পয়সারও যার কোন মূল্য নাই। বাঁচলেও খবর হই না,  মরলেও খরব হই না। তারপরেও আমার মধ্যে বে-বোধ নামক যে বোধ যেটুকু আছে তা দিয়ে যা বুঝি তাতে মনে হয়,  বিচার ব্যবস্থা দুনিয়াতে খামোখাই পরিবর্তন হয়ে এই পর্যন্ত আসে নাই। পাবলিক তার স্বার্থে রাস্তায় নেমেছে,  মার খেয়েছে, রক্ত দিছে,  মরছে তারপরে একটার পর একটা আইন যুক্ত-বিযুক্ত হয়ে, পরিবর্তন হয়ে এ পর্যন্ত এসেছে। আরও পরিবর্তন হতে হবে।

পাবলিক রাস্তায় না নামলে আজও দাসপ্রথা থাকতো,  দ্বীপান্তর-কালাপানি,  হত্যার বিনিময়ে হত্যা,  ষোল ঘণ্টা কাজ, সূর্যাস্ত আইন ইত্যাদি আজও বলবত থাকতো।

গত ২ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শাহ আলমের লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন-  “এদেশের যেখানে রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম,  সেখানে বিচার বিভাগ আলাদা কোনো দ্বীপের মতো নয় যে সব জায়গায় অনিয়ম থাকবে আর বিচারবিভাগের সব ফেরেশতা হয়ে যাবে,  এটা হতে পারে না। বিচারবিভাগেও কিছু অনিয়ম আছে কিন্তু সেটা পাঁচ থেকে ১০ শতাংশের বেশি না। এই প্রক্রিয়া মেনে নিয়েই আমাদের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে।”

বিচার বিভাগের মধ্যে আকাম ভরা থাকবে আর সেই প্রক্রিয়া মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে,  এটা কেমন তরো কথা হলো? যদি বলা হতো এটাকে পরিবর্তন করে শতভাগ শুদ্ধ হয়ে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে,  সেটা হতো একটা কাজের কথা। পাঁচ থেকে দশ ভাগ অশুদ্ধতা টিকিয়ে রেখে এগিয়ে যেতে হবে তাহলে সেই অশুদ্ধতাকে জেনে শুনে ‘মাননীয়’ বলে নিজেকে অসম্মান করার তো কোন মানে হয় না!

যাকগে, শত ভাগ শুদ্ধ হওয়ার সাহস আমাদের দেশের বিচার প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত মানুষজনের হওয়ার কথা নয়। এই মাটিতে জন্ম নিয়ে,  এই চর্চার মধ্যে বেড়ে উঠে শতভাগ শুদ্ধ হয় কেমনে!  তারপরেও এদের কোন ইচ্ছে বা মেধা আছে বলেও মনে হয় না। অন্তত কার্যত নেই।

প্রধান বিচারপতির তথ্য অনুযায়ী যদি পাঁচ থেকে দশভাগ ঘাপলা থাকে তবে যারা এ ঘাপলার মধ্যে পড়ছে তাদের উপায় কী? ভুক্তভোগীদের জন্য তো এটা একশভাগ! অসুবিধা নাই, বলছে যখন তখন এভাবেই এগোতে হবে। তবুতো বলেছে, আগে পরে তো কাউকে বলতেও শুনি নাই। সেজন্য অন্তত তাঁকে বাহবা দেই।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন-  “আমাদের দেশের বেশিরভাগ আইন অচল হয়ে গেছে। এসব আইনের ব্যবহারের কার্যকারিতা অনেক কম। এসব আইনের ব্যাপক সংস্কার করা না হলে বিচার বিভাগ আরও মুখ থুবড়ে পড়বে।”

মুখ থুবড়ে পড়বে মানে কী? আর কতো থুবড়াবে? থুবড়ানোর বাকী আছে কিছু? পত্রিকায় প্রকাশিত ২০১৫ সালের এক হিসেবে দেখলাম নিম্ন আদালতে ২৭ লাখ এবং উচ্চ আদালতে প্রায় ৪ লাখ মামলা ঝুলে আছে যার মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগেই ৩ লাখ ৬১ হাজার মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। এটা কোন কথা হলো?  দেশে যতো মামলা হয়,  তার সবই তো প্রায় ঝুলে থাকে। কয়টার বিচার হয়? ঝুলে থাকা আর নিষ্পত্তির হার দেখলেই তা বোঝা যায়।

সেই ব্রিটিশ যে আইন বানিয়ে গিয়েছিল আমাদের বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট লোকজনের পক্ষে তার একটি অক্ষরও আজ পর্যন্ত পরিবর্তন করা সম্ভব হয় নি। এরা কেউ ক্রিয়েটিভ নয়, মুখস্থবিদ্যায় পারদর্শী। যে যতো বড় আইন বিশারদ,  সে ততোবেশি আইন মুখস্থ করেছে। কোন কিছু পরিবর্তন করার মত মেধাবী এরা নয়। সে উদ্যোগও নাই। আছে সুখে, এসবের দরকারই বা কী?  ভিতরে কী আছে জানি না, আমি পাবলিক যেটুকু আমার গায়ে লাগে আমি সেটুকু নিয়েই বলি।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে,  দেওয়ানি শ্রেণিভুক্ত মামলাগুলি ১৭ থেকে ২০ বছর ধরে অনিষ্পন্ন অবস্থায় থাকে। এইটা কোন কথা? বাস্তবে আসামী- ফরিয়াদি মরেও যায়, নইলে ছেলে-মেয়ে বিয়ে দিয়ে দুজনে বেয়াই হয়ে যায়-  আরও দিকে আদালতে মামলা চলতে থাকে! আশ্চর্য! কী বুদ্ধিমান মানুষজন এরসাথে জড়িত! কোন পরিবর্তনের বুদ্ধি কার্যত এরা বাস্তবায়ন করতে পারে না। সে মেধা এদের আছে কিনা সে সন্দেহ থাকাও অমূলক নয়। বাস্তবতা তাই বলে।  

সাংসদদের সমালোচনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন-  “এর আগে সংসদে আইনের ওপর ব্যাপক আলোচনা-বিতর্ক হতো। কিন্তু এখন কোনো বিতর্ক হয় না,  আলোচনা হয় না। ফলে আইনসভায় আইনের চর্চা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এজন্য এখনকার প্রত্যেকটা আইনত্রুটিপূর্ণ থেকে যায়। জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে যান। বিচারবিভাগে চাপ পড়ে।”

সংসদে কারা যায়, কিভাবে যায়,  কী জন্য যায় তা আর বলতে চাই না। তবে সব দায় সংসদের উপরে দিয়ে বিচারবিভাগের মানুষজন ফেরেশতা সাজলে চলবে না। যাদের কোনক্রমে আদালতের সম্মুখীন হওয়ার ‘দুর্ভাগ্য’ হয়েছে তারা জানে ওটা কী ধরণের যক্ষপুরী। ওখানে শ্বাস নিতে টাকা লাগে, শ্বাস ছাড়তে টাকা লাগে।

আইন-শৃঙ্খলা বা বিচারবিভাগের আওতায় আসা মানেই এক বিরাট অনিশ্চয়তা এবং কষ্টার্জিত টাকার শ্রাদ্ধ। মানুষ ভাল থাকার চেষ্টা করে-  যতোটা না আদালত শাস্তি দেবে সে কথা ভেবে, তারচেয়ে বরং ভেজাল বাধলে আর ছাড়াবে না- সে কথা বিবেচনায় নিয়ে।  

সুয়োমটো করেও অনেক কিছুর সমাধান করা যায়,  তারও কোন উদ্যোগ নাই। খালি এ-নাই, ও-নাই,  তা-নাই বলেই দায় সারা হচ্ছে। নাই তো করতে হবে না? নাই তো আনেন না, এভাবে চলে নাকি!  আর তাও না পারলে বিদায় নেন। যারা পারে তারা চালাবে,  না পারলে না চলবে। মানুষ তার সমাধানের পথ বাতলে নেবে। খরচ করে মানুষ পুষে কাজ না করার কোন মানে হয় না। লক্ষ লক্ষ মামলা আদালতে ঝুলে আছে আর ওখানের মানুষজন অবকাশে যাচ্ছে। আর কেউ অবকাশে যায়? কাজের জ্বালায় যে পথ চোখে দেখে না,  তার আবার অবকাশ আসে কোত্থেকে? বলতেই হবে, মানুষের জন্যই নিবেদিত একটা বিভাগ বটে।

১লা মার্চ ২০১৬ তারিখের পত্রিকার খবরে প্রকাশ-  “প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে বলেছেন, বিচার বিভাগ সরকারের কোনো অংশ নয়, বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের অঙ্গ। দেশের সংবিধান মানতে হলে বিচার বিভাগকে মানতে হবে।”

তিনি বলেন, “মন্ত্রীরা-রাজনীতিবিদরা বিচার বিভাগের সমালোচনা করেন। তারা যদি সমালোচনা করেন, বিরূপ মন্তব্য করেন, তাহলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে। বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়,  এমন মন্তব্য করা থেকে রাজনীতিবিদদের বিরত থাকা উচিত।”

আমি বলি কি, মানুষের বলার কারণে আদালতের আস্থা ও সম্মান নষ্ট হয়,  নাকি বলার কারণে ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া আস্থা ও সম্মান ফিরিয়ে আনার তাগিদ অনুভূত হয়? বিচার বিভাগের কৃতকর্মের কারণেই এর উপরে মানুষের কোন প্রকার আস্থা, সম্মান কোনটাই নাই। এটা শুধু শূন্যই না,  রীতিমত মাইনাস। কেলভিনেটর স্কেল দিয়ে মেপে বের করতে হবে কতোটা মাইনাস!  

সাক্ষী আদালতে হাজির না হলে তার নামে হুলিয়া জারি করে আদালত। এই হুলিয়া হচ্ছে একটুখানি একখানা চিরকুট। চিরকুটখানা নিয়ে পুলিশ সাক্ষীদের হাজির করার জন্য ধেয়ে বেড়ায়। আদালতের নাম, মামলা নম্বর আর নাম ছাড়া এই চিরকুটে আর কিছু লেখা থাকে না। কোন সময় উল্লেখ থাকে না।

এমন অস্পষ্ট যে,  পুলিশও কিছু বুঝতে পারে না। সাক্ষীর সাথে আলাপ না করে হুলিয়া পাঠানোর জন্য সাক্ষী নিজেও পড়ে মহা-দুশ্চিন্তায়। অনেক সময়েই সাক্ষী জানেও না যে সে কোন মামলার সাক্ষী। সে আসামীপক্ষের নাকি ফরিয়াদিপক্ষের। যাতায়াতের জন্য কোন ব্যবস্থা করা হয় না। খরচ-খরচা দেয় না আদালত,  অন্তত তেমনটি কেউ দেখেছে এমনটি শোনা যায় নি। আবার অনেক সময়ে হুলিয়া আসে মামলার তারিখ চলে যাওয়ার পরে। এর দায় আদালত নেবে না, সাক্ষীকেই নিতে হবে। আদালত বলে কথা! জ্ঞানী মানুষেরা এটা তৈরি করে পাঠায়।

বলতেই হবে ওখানে বিজ্ঞজনরা কাজ করে যারা সত্যিই ‘মাননীয়’ আর সে কারণেই ওটা ‘মাননীয় আদালত’; ‘বিজ্ঞ আদালত’ও বটে!

নাজমুল হাসান, লেখক, গবেষক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ