আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে খোলাচিঠি

জহিরুল হক বাপি  

শুভেচ্ছা নিবেন। বাউরি বাতাসের শুভেচ্ছা। আপনার রুমে এসি না থাকলে বা জানালা খুলে ঘুমালে আপনার মশারিও নিশ্চয় নাও-এর পালের মতন দুলে দুলে, ফুলে ফুলে উঠে হাওয়ার জাহাজে।

সুন্দর রাত্রি। রাতটা অসুন্দর হয়ে যেতে পারতো রাজাকারবিরোধী একজন একটিভিস্ট নাজিমুদ্দিন সামাদ খুন হওয়ার কারণে। কিন্তু খুনিদের চাহিদা মোতাবেক আরও অনেকের মতো এ সবে প্রায় “গা” সওয়া হয়ে গেছে তাই বাউরি বাতাসে মন মজাতে খারাপ লাগছে না।

বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ীর ফুলের গন্ধ আমার বাড়ী আসে

“গা” কিছুটা এখনো বাকী আছে মনে হয় তাই চিঠিটা লিখছি।

এক সময় পুরো গা সওয়া হয়ে যাবে, এই সব । দলে দলে বাড়বে “গা সওয়ার” দল। বাড়ছে, বাড়ছে বাতাসে যেমন ধূলী বাড়ে বর্ষা শেষ হলে, তেমন বাড়ছে। এরপর তো বুঝেনই। মধ্যপ্রাচ্য আর বাংলাদেশের জঙ্গি বনায়ন কর্মসূচী এক নয়। মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গিবাদ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে লোভের মাধ্যমে, ভয়ের মাধ্যমে, জোর করে, সুপ্ত হিংস্রতাকে চাঙ্গা করে দিয়ে।

পাকিস্তান নিয়ে নতুন কিছুই বলার নাই। মার্কেটে জঙ্গিবাদ বিক্রি শুরু হয়েছে তাদের হাত দিয়েই।আর বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, হচ্ছে অন্তরে, রক্তের কোষে কোষে, ধর্মীয় পথ চলায়। আজকের জঙ্গি সমস্যা শুরু ৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পরই। চারদিকে এখনও জামাত-বিএনপি ঘরনার লোকজন জলজ্যান্ত উদাহরণ।

মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা হয়তো উপড়ে ফেলা যাবে কিন্তু এখানে যে তরীকায় জঙ্গিবাদ আগাচ্ছে তাতে উপড়ানো যাবে না। কারণ গাছ না লাগিয়ে গাছ লাগানোর মাটি বানাচ্ছে এখানে তারা। আপাত তারা সফল হলেও যদি সত্যিকারের সফল হয় কখনও, তবে আরও কয়েক ডজন গণজাগরণে কিছু হবে না।

মাননীয় মন্ত্রী,
আপনি নিশ্চয় একজন পিতা? ধরুন এক দিন বাসায় ফিরে দেখলেন আপনার এক সন্তান আবু-বকর আল বাগদাদি আরেক সন্তান নাজিমুদ্দিন সামাদকে কিলায়ে ভসকায়ে ফেলছেন! তখন আপনি কি করবেন?
১) চিকিৎসার ব্যবস্থা+ পরিবারকে সান্ত্বনা+ আবু-বকর আল বাগদাদিকে আটকে রাখা?
২) কেন আবু বকর আল বাগদাদি এ কাজ করলো তা খতিয়ে দেখবেন?

আপনার ঘরের মানবতা, বোধ, শিক্ষা তথা সাংসারিক শিক্ষার অভাবে যদি এমন হয় তাহলে ১ নং বাদ। ১ নং যেহেতু বাদ সেহেতুও দুইও বাদ। আপনি খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রেও সামাদের ক্ষেত্রে এটা সম্ভব না, আপনি করতে পারবেন না কারণ রাষ্ট্রের আইন, শৃঙ্খলা, বোধ, রুচি এটা না। এটার সম্পূর্ণ বিপরীত। আমি আবার বলছি, আমার জ্ঞানে, বাংলাদেশের একজন ভোটার হিসাবে আমার কাছে এটা শতভাগ বিপরীত।

মাননীয় মন্ত্রী,
নাজিমুদ্দিন সামাদ কি লিখতো তা আপনি খতিয়ে দেখবেন। খুনি কারা তা খতিয়ে দেখার দরকার নাই। স্টাইল হুবহু এক। মাননীয় মন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কোন আইন বা সামাজিক আচারে কি এমন কোন নিয়ম আছে কেউ কারো বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই তা খুন করা জায়েজ?!

বলবেন ইসলাম অবমাননা (মিনমিন করে, পরোক্ষ ভাবে)। মাননীয় মন্ত্রী ইসলাম অবমাননার সংজ্ঞাটা কি? জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, রাজাকার আলবদরদের বিরুদ্ধে কিছু লিখলেই ধর্ম অবমাননা হয়ে যায়?! কেউ যদি লিখে সে ধর্ম মানে না তাহলেই ইসলাম অবমাননা হয়ে যায়?

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,
“রাষ্ট্রধর্ম” কি আমি আসলে বুঝি না। কিন্তু রাষ্ট্র ধর্ম মানে নিশ্চয় একমাত্র ধর্ম নয়? কেউ তার মত ইন্টারনেটে প্রকাশ করলেই (যা গুটি কয়েক শিক্ষিত লোকের কাছে যায়) ধর্ম অবমাননা হলে এত ঘন ঘন মন্দির ভাঙ্গা কেন ধর্ম অবমাননা নয়? আবার প্রকাশ্যে হাজার লোকের সামনে, কোটি লোকের সামনে টিভির মাধ্যমে কাউকে “কতল/কোতল” করার হুমকি, ঘোষণা দিলে সেটা ধর্ম অবমাননা বা অপরাধ কেন হয় না বুঝি না।

আমি যতদূর জানি, বুঝি শান্তির ধর্মে এমন কিছু নাই। বরং নবী ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি না করার এবং সাম্য অবস্থার কথা বলেছেন। কোরানেও বলা আছে “যার যার ধর্ম, তার তার কাছে”। রাষ্ট্রধর্ম মানে যদি একমাত্র ধর্ম হয় তাহলে তাহলে আপাতত কিছু বলার নেই। বাংলাদেশে ইসলামের সূফী ধারাটা বিদ্যমান ছিল। যা ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে সফলভাবে। যাই হোক এ সূফী ধারার পীর ফকিরে তরীকা, আচারে ভিন্নতা সহ কোরান-হাদিসের ব্যাখ্যায় পর্যন্ত ভিন্নতা দেখা যায়। বৈপরীত্য দেখা যায়। তাহলে কার ইসলাম সহি ধরে কোনটা ইসলাম অবমাননা ধরবেন??

দারুণ হওয়া। তারা দেখা গেলে খুব ভালো হতো। একটা, দুইটা তারা কোন মতে দেখা যায়। ঢাকায় যদি আরও গাছপালা থাকতো, প্রত্যেক ছাদে গাছ লাগানোর কঠিন আইন থাকতো, তবে হয়তো তারা আরও বেশি দেখা যেত; ধুলোবালি অনেক কম থাকতো বলে।
“হাওয়ার মেঘ সরায়ে, ফুল ঝরায়ে
ঝিরি ঝিরি এলে বহিয়া”

গত দুই তিন মাসে মুক্তিযোদ্ধা যাজক খুন হলো, মন্দিরের ঠাকুর খুন হলো, পীর খুন হলো, যুবলীগ খুন হলো, পুলিশ খুন হলো, মুক্তিযোদ্ধা খুন হলো, মুয়াজ্জিন খুন হলো এদের ভিতর সবাই নাস্তিক বা ধর্ম নিয়ে উস্কানি মূলক লিখে?! মসজিদের ২৭ বছরের পূরানো মুয়াজ্জিন বা পীরও নাস্তিক বা ধর্ম নিয়ে উস্কানিমূলক লিখে নেটে, ফেসবুকে, ব্লগে?!

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,
লক্ষ্য করুন খুনের তালিকায় রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের দোসর/ছায়াদের কোন নাম নেই!! এবং খুন হওয়া তালিকার সবাই জঙ্গি, রাজাকার ও তাদের মতবাদ বিরোধী।

মাননীয় মন্ত্রী,
আমি যতদূর জানি আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বলা হতো পাকিস্তানের বিরোধিতা করা মানে ইসলামের বিরোধিতা করা। মুক্তিযোদ্ধারা নাস্তিক। বর্তমানে এশিয়ার বৃহত্তম ঈদ জামাত শোলাকিয়ার ইমাম আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে ৭১ সালে নাস্তিক বলতো রাজাকাররা, আজও তা বলে। মাননীয় মন্ত্রী কি কারণে খুন হয়েছে তার চেয়ে একটু দেখুন কারা খুন হচ্ছে?! ৭১ এর পরবর্তী ছায়া যারা, তাদের খুন করা হচ্ছে, খুন করছে ঐ ৭১-এরই আরেকটি  অপচ্ছায়া। সেই হিসাবে বিচার করলে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে, পাকিস্তানী দোসরদের বিচার করেও আপনিও ধর্ম অবমাননা করছেন।

পাকিস্তানে ব্লাসফেমী আইনের প্যাঁচে ফেলে দশ বছরের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী শিশুকেও পর্যন্ত গাড়ীর সাথে বেধে টেনে ছেঁচড়ে মৃত্যু দণ্ড কার্যকর করার ইতিহাস খুব পুরানো নয়। শিশুটির অপরাধ মসজিদের দেওয়ালে কয়লা দিয়ে দাগ দিয়েছিল। ব্লাসফেমী আইন বলবত থাকলে খুনগুলোকে আপনি মিন মিন করে জায়েজ বলতে পারতেন। এ দেশে তা নেই। তবে ইদানীং আইসিটি অ্যাক্ট, ৫৭ ধারা নিয়ে খুব হৈচৈ চলছে। এটাই গভীর অর্থে ব্লাসফেমী কি না জানি না। ধরুন মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আপনি খতিয়ে দেখলেন, নাজিমুদ্দিন সামাদ তার নিজের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে ফেসবুকে, নেটে ব্লগে কিছু লিখেছে সে ক্ষেত্রে করণীয় কি হবে? খুনের মামলা ডিসমিস??

মাননীয় মন্ত্রী,
চোখ-কান একটু খোলা রাখুন, দেখুন। ভাবতেও হবে না। শুধু একটু চোখ কান খোলা রাখুন। গেল ২/৩ বছরে মুয়াজ্জিন, পীর, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা খুনের ঘটনাগুলো বাদ দিন। যে কয়জন লেখক, প্রকাশক, একটিভিস্ট খুন হয়েছে, আক্রান্ত হয়ে খুন হতে হতে বেঁচে গেছে তাদের ভিতর নাস্তিক, ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকারী কয় জন?

মাননীয় মন্ত্রী,
আমিও আক্রান্ত হয়েও বেঁচে গেছি শরীরে অল্প কয়েকটা দাগ নিয়ে। আমার ফেসবুক ওয়াল হাবল টেলিস্কোপ, মাইক্রোস্কোপ, দূরবীন যা মন চায় তা দিয়ে খতিয়ে দেখতে পারেন। ধর্মের বিরুদ্ধে কিছুই পাবেন না। বরং বড় বড় মাওলানাদের সাথে দহরম মহরমের ছবি পাবেন। এখন বলতে পারেন নিশ্চয় এমন কিছু লিখেন যা তাদের পছন্দ না। জি লিখি। জীবনের জন্য যা সুন্দর তা নিয়ে লিখি। রাজাকার, সাম্প্রদায়িক, উগ্রবাদী বিরোধী লেখা লিখি, দেশে জয়গাঁথা নিয়ে লিখি। তাইলে কি ধরে নিব লেখালেখিও বন্ধ? মাননীয় মন্ত্রী, সেটা যদি হয় তাহলে তো আপনার সন্তান-সন্ততি মন্ত্রী, এমপি হতে পারবে না। লেখা না থাকলে পড়বে কি? আদিম বাড়ীর ইতিহাস?

কম্পিউটার আবিষ্কার না হলে কাগজে লিখলে এতক্ষণে কাগজ বাতাস উড়িয়ে নিতো। বসন্তে গ্রীষ্মের মতো গরম আর বর্ষার মতন বৃষ্টি দেখলাম এবার। দিনে গরমে অতিষ্ঠ হলেও রাতের এ উড়াল বায়টা বেশ ভালো। মন উদাস করে, প্রেম, বিরহ জাগিয়ে রাখে, স্পর্শ করে যায় দূরে যাওয়া, চলে যাওয়া স্বজন, সন্ততি, কাব্যরা।

নাজিমুদ্দিন সামাদ তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছিলেন “তিনি খুন হলে কেউ যদি এ নিয়ে কোন মানববন্ধন, বিক্ষোভ করে বিচার চেয়ে তবে তিনি থাপড়ে দাঁত ফেলে দিবেন। এ “থাপ্পড়” তিনি কাদের দিয়ে গেলেন? ১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে এক ধরনের যুদ্ধাবস্থা চলছে। পুলিশ হত্যার রেকর্ডও কম নয়। পুরো যুদ্ধকালীন সময়ে মাননীয় মন্ত্রী আপনি চমৎকার দক্ষতা দেখিয়েছেন। সচেতন মানুষ, হৃদয়বান মানুষ আপনার এ দক্ষতা মনে রাখবে, প্রশংসা করবে। কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী এখন চলছে গেরিলা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আপনার অদক্ষতার ছাপ প্রকট থেকে প্রকটতর। হতেই পারে! একজন মানুষ সব বিষয়ে দক্ষ হতে পারে না। কিন্তু আপনার অদক্ষতা যখন বাক্য দিয়ে ঢাকতে চান তা তখন গন্ধ ছড়াতে থাকে। জনগণ আরও নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে।

মাননীয় মন্ত্রী,
খতিয়ে দেখার বিষয়টা নিয়ে আর একটু ভাববেন। একটু ভাববেন। আপনার বক্তব্য খুনিদের খুনকে অনেকাংশে জায়েজ করে দিল।

আপনাকে, আপনার সহকর্মীদেরকে, আপনার পরিবারের সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।

জহিরুল হক বাপি, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ