প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
জুয়েল রাজ | ২৪ এপ্রিল, ২০১৬
এতো বেশি দুঃসংবাদ চারপাশে, তাই সুসংবাদ দিয়েই লেখাটা শুরু করতে চাইছি। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদটি বাংলাদেশের জন্য অবশ্যই সুসংবাদ। তাঁদের শিরোনামটি "বাংলাদেশ চমকেছে বিশ্বকে" বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক হতভম্ব। বলছে দেশটা করেছে কী! আমরা তো ভেবেছিলাম বাংলাদেশের গ্রোথ রেট মেরেকেটে ছ’য়ে পৌঁছবে, এখন দেখছি, তারা সাত পেরিয়েছে। এটা কী ভাবে সম্ভব হল কে জানে।
অর্থনীতি ম্যাজিক নয়। জাদুদণ্ডে ভোল পাল্টানো যায় না। অনেক কষ্টে সিঁড়ি ভেঙে উপরে ওঠা। পিছলে পড়লে ফের উত্তরণের সংকল্প। সাফল্যের কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তাঁর ধারণা কিন্তু আলাদা। তিনি বলেছেন, এটা দেশের সব মানুষের পরিশ্রমের ফসল। কামার, কুমোর, সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী, প্রান্তিক মানুষের অবদানের কারণেই বড় সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। সব পর্যায়ের মানুষ পরিশ্রম করে দেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আসল সত্যও তাই। দেশের সাধারণ মানুষই এই সাফল্যের মালিক। তবে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বকে অস্বীকার করারও উপায় নাই।
শুধু অর্থনৈতিক সাফল্যের মানদণ্ডে সবকিছু বিচার্য নয়। ন্যায় বিচার ছাড়া সভ্যতার বিকাশ ঘটেনা। গ্রামাঞ্চলে একটা প্রবাদ বেশ প্রচলিত "টাকা তো চামারেরও হয়" সেই টাকা দিয়ে আমরা কি করব।
বঙ্গবন্ধুর দল হিসাবে, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল হিসাবে, অসাম্প্রদায়িক দল হিসাবে আওয়ামী লীগের কাছে প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ঠিক সেই জায়গা থেকে ইউটার্ণ করার কারণ কি আওয়ামী লীগের? তবে কি শেখ হাসিনা ভুল করছেন? নাকি কেউ ভুল করিয়ে নিচ্ছে তাঁকে দিয়ে।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ‘লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, মূলনীতি ও উন্নয়ন দর্শন’ অংশে বলা হয়েছে, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে অর্জিত সংবিধানে বিধৃত চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সকল ধর্মের সমান অধিকার নিশ্চিতকরণ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভীষ্ট লক্ষ্য। ক্রমেই সেই অবস্থান থেকে দূরে সরে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। শুধু কি ভোটের রাজনীতির জন্যই আওয়ামী লীগ তাঁর আদর্শ ও নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে ধর্মের কাঁধে সওয়ার হতে চাইছে।
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ম পালনের স্বাধীনতা সবারই আছে। বিকৃত মানসিকতা ধর্ম কখনো সমর্থন করে না। আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন, শেষ বিচার করবেন তিনি। তাহলে মানুষ কেন সেটার চেষ্টা করে। মুক্ত চিন্তা মানে লালসার মানসিকতা নয়। আপনার সেই বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত।
শুধুমাত্র ২০১৫-১৬ সালের বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের তথ্য কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নেই? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দাবী করেছেন সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হলে সরকার নীরব থাকবে না। কতোটা নির্যাতন হলে আসলে সংখ্যালঘু নির্যাতন বলা যায় সেটা আর জানা হলোনা। গত বুধবার সিলেটের চালি বন্দরে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সময় একজনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল পরে পুলিশ নিজ উদ্যোগেই বলেছে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। আটককৃত ব্যক্তির মা ছেলের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। কাহিনী সমাপ্ত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক খুন হলেন নিজ বাসার পাশেই। সবার আগে সবাই জানতে চাইছেন উনি আস্তিক ছিলেন নাকি নাস্তিক ছিলেন! জাতির জনকের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া সেখানে প্রকাশ্যে খুন হলেন এক সাধুবাবা। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নাস্তিক নয় নিশ্চিত।
প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজেই জানেন না আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কত শত অঙ্গ সংগঠন গজিয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। আপনার মন্ত্রী-এমপি অনেকেই সে সব সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক।
আওয়ামী ওলামা লীগ কারা চালায়? কেন চালায়? তাঁদের দাবীগুলো কি আপনি জানেন? হেফাজতে ইসলাম ব্লগারদের লেখালেখি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকা, আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে। আওয়ামী ওলামা লীগ পাঠ্যপুস্তকে ইসলামবিরোধী রচনা ও পাঠ্যক্রম আছে দাবি করে তা বাদ দেওয়ার কথা বলেছে। বর্তমান শিক্ষানীতিকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়েছে। তারা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণের বিরোধিতা করেছে। ধর্ম অবমাননার জন্য মৃত্যুদণ্ডের আইন প্রণয়নের দাবিসহ পহেলা বৈশাখবিরোধী বক্তৃতা-বিবৃতিও দিয়েছে। আওয়ামী ওলামা লীগ এর কার্যক্রম নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজকে পর্যন্ত কোন বক্তব্য দেননি। সর্বশেষ হেফাজতে ইসলাম হিন্দু লেখকদের বই পাঠ্যপুস্তকে নিষিদ্ধ করার দাবী তুলেছে। বিক্ষোভ করছে।
হেফাজতের তের দফা ও আওয়ামী ওলামা লীগের দশ দফার মাঝে খুব বেশী পার্থক্য কি বিদ্যমান? দুইটি সংগঠন যেন যমজ ভাইয়ের মতো তাঁদের দাবি দাওয়া পেশ করছে। আওয়ামী খ্রিষ্টান লীগ, আওয়ামী হিন্দু লীগ কিংবা আওয়ামী হিন্দু লীগ নামে কি কোন অঙ্গ সংগঠন কি আছে আওয়ামী লীগের? সব ধর্মীয় গোষ্ঠীর দল হিসাবে তো এদের ও দাবী দাওয়া থাকার কথা আওয়ামী লীগের কাছে।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল সর্বপ্রথম তার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন,‘ওলামা লীগ! এটা কি খায় না মাথায় দেয়? পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা আওয়ামী লীগের কেউ না, দায়িত্ব নিয়ে বলছি।এরপর মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন,‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে ওলামা লীগ নামের এই সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা বাটপারদের সংগঠন। জাতি আশ্বস্ত হয়েছে কিন্তু ভরসা পায়নি।
টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) থেকে সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার। ফেব্রুয়ারিতে এই গ্রাহক ছিল ৫ কোটি ৮৩ লাখ এবং জানুয়ারিতে ছিল ৫ কোটি ৬১ লাখ। এই ব্যবহারকারীদের অধিকাংশ আবার তরুণ প্রজন্ম। সারা পৃথিবী আজ তাঁদের হাতের মুঠোয়। জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধর্ম নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে এই তরুণরা এর বাইরে নয়। মহাকাশে একদিকে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছেন। অন্যদিকে চিন্তার সীমারেখা টেনে দিচ্ছেন। চাইলেই কি তরুণ প্রজন্মের অন্তর্জালের খোলা খোলা জানালা বন্ধ করে দিতে পারবেন। এরা জানতে চাইবে, বিতর্ক করবে, প্রশ্নবাণে জর্জরিত করবে। নানাবিধ বিতর্ক, আলোচনা, সমালোচনার মধ্যদিয়ে এদের হাত ধরেই নতুন চিন্তাধারা বের হয়ে আসবে। জ্ঞান বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হবে।
আওয়ামী লীগকে ইসলামীকরণ করে ভোটের রাজনীতিতে ফায়দা আওয়ামী লীগ কোনদিন নিতে পারেনি, পারবেও না। যে সব নেতাকর্মী সেটা করতে চাইছেন তাঁরা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এই ইসলাম বিরোধী ও ভারতের দালাল এই দুই জুজুর মোকাবেলা করেই আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে দলটি।
বিএনপি-জামায়াত যারা করে তাঁরা খুব ভালো করেই জানে এবং মাঝে মাঝে বলেও শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মাঝে পার্থক্য হলো ব্যক্তিগত জীবনে শেখ হাসিনা একজন ধর্মপালনকারী মানুষ এবং খালেদা জিয়া এসবের ধার ধারেন না। তাই বলে কি তাঁরা বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে চলে আসছে? আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই এই স্রোতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অসাম্প্রদায়িক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে।
বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ যখন উগ্র মৌলবাদীদের চাপাতির আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিলেন, সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহর আটকে দেয়া হয়েছিল। আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদকে সেদিন হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। রাজীব হায়দার খুন হওয়ার পরদিন আপনি থাকে দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রথম শহীদ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এরা দুইজনই ধর্মে অবিশ্বাসী মানুষ ছিলেন। আদিযুগ ও মধ্যযুগের ধর্ম আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে খাপ খাইয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। অবতীর্ণকালীন সময়ে স্থির থাকেনি। বিজ্ঞান যতো অগ্রসর হচ্ছে ধর্মের অলৌকিক কাহিনী সমূহ নিয়ে ততো বেশী জিজ্ঞাসা তৈরি হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় ধর্মকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে বিজ্ঞান। মানুষের জানার কৌতূহল থেকেই আসলে অবিশ্বাসের জন্ম নেয়।
আজকে যাদেরকে নাস্তিক ব্লগার বলছেন, মাইনাস টু ফর্মুলার সময়ও তাঁরা ব্লগে লিখেছে প্রতিবাদ করেছে। নিজের মোবাইল ফোনের টাকা খরচ করে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে জনমত তৈরি করেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে, মুক্তিযুদ্ধকে ছড়িয়ে দিতে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। এরা কেউ দলের পদ-পদবী নিতে যায়নি। বিজয় শেষে নীরবে ঘরে ফিরে গেছে।
বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। সেটা আমাদের চেয়ে সরকার ভাল জানে। সর্বশেষ সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনায় শফিক রেহমানের জড়িত থাকার বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট।
যারা ১৫ আগস্টের প্রেতাত্মাই যেন সরকারের চারপাশে ঘুরঘুর করছে। উপমহাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক কিংবদন্তী সংগঠন হঠাৎ করে এমন ধর্মীয় দল হয়ে উঠার রহস্য কি শুধুই ভোটের রাজনীতি নাকি নেপথ্যে কেউ কলকাঠি নাড়ছে।
৭৫ পরবর্তী সময়ে ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ । শুধুমাত্র মানুষের ভালোবাসা, আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে। সর্বোপরি শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই সেটা সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা যে সব বক্তব্য দিচ্ছেন, শুধুমাত্র ভোটের জন্য যদি সেই আওয়ামী লীগ ওলামা লীগে পরিণত হয় তা জাতির জন্য আওয়ামী লীগের জন্য, বাংলাদেশের জন্য এক কলঙ্কের জন্ম দিবে। প্রতিটা মানুষ তাঁর ধর্ম বিশ্বাস পালন করবে স্বাধীনভাবে সেটা আপনার মতো সকলেই চায় ও বিশ্বাস করে। সেই ব্যক্তি যদি নাস্তিক ও হয় তাঁর অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বিশেষ অনুরাগের বশে প্রধানমন্ত্রী যদি কোন ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাত করেন পক্ষান্তরে সাংবিধানিক শপথ ভঙ্গ হওয়ার কথা।
আওয়ামী লীগ যদি ধর্মীয় উন্মাদনার পালে হাওয়া দিয়ে ভোটের রাজনীতিতে বিজয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখে তাহলে আগামীর বাংলাদেশের জন্য এক হেরে যাওয়ার গল্প রেখে যাবে।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য