আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

ভোটের রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

সাব্বির খান  

অভিবাসীদের নিয়ে পৃথিবীর সব দেশেই রাজনীতি হয়, বিশেষ করে ভোটের রাজনীতি। বিভিন্ন দেশে অভিবাসী বলতে সংখ্যালঘুদেরই বোঝায়। আমার দেখা মতে, গত ২০ বছরে সুইডেনে নির্বাচন প্রাক্কালে ভাসমান ভোটার ছাড়াও বিভিন্ন দলের নিয়মিত ভোটারদের ভাগিয়ে আনার কৌশল হিসেবেও প্রত্যেকটি দলই অভিবাসী ইস্যুকে তাঁদের নিজেদের মত করে উপস্থাপন করে ভোট চাইতে দেখা গিয়েছে। সুইডেনের নাগরিকদের অনেক মৌলিক ইস্যু যেখানে স্থান না পেয়ে অভিবাসন নীতির প্রশ্নকে ইচ্ছাকৃতভাবে সামনে এনে ভোটের রাজনীতি করতে দেখা যায়, তখন বৈশ্বিক অভিবাসন ইস্যুটি ভোটের রাজনীতিতে যে একটি লোভনীয় এবং সস্তা দরের উপকরণ, তা না বোঝার কোন কারণ থাকেনা।

এই প্রবণতাটা শুধু সুইডেনেই নয়, সারা ইউরোপেই গত দুই যুগের অধিককাল ধরে চর্চা হতে দেখা যাচ্ছে। একারণে ইউরোপের প্রতিটা দেশে উগ্র ডানপন্থীদের উত্থান হতে দেখা গিয়েছে তৃতীয় শক্তি হিসেবে, যারা সরকার গঠনে ভারসাম্য দল হিসেবে সংসদে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। শুধু এই কারণেই নয়, বরং ভুঁইফোড় এই উগ্র ডানপন্থীদের মোকাবেলা করার অজুহাতে বিভিন্ন প্রগতিশীল, মানবতাবাদী, গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক দলগুলোকে ছাড় দিয়ে হলেও অনেকটা উগ্র-ডানপন্থীদের আদলে অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর হতে দেখা গিয়েছে, যার প্রভাব বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতেও উদাহরণ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে।

সাম্প্রদায়িকতা বিশ্বে নতুন কোন বিষয় নয়। সুদূর মার্কিনমুলুকে আফ্রিকান-আমেরিকানদের অধিকারের প্রশ্নে হানাহানির বিষয়গুলো প্রাগৈতিহাসিক হলেও সে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজো সেই বিষবৃক্ষ বিদ্যমান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদীবাদের বিরুদ্ধে হিটলারের যুদ্ধঘোষণাও কারো অজানা নয়। ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্য প্রধান হলেও উপনিবেশবাদের অঙ্কুরেও ছিল সাম্প্রদায়িক মনোভাব। ধর্মীয় মতভেদের কারণে আধুনিক বিশ্বে সম্প্রসারিত হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের শেকড়।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পরে বিশ্বের পরাশক্তিগত ভারসাম্যহীনতার সুড়ং পথ ধরে একটু একটু করে বিশ্ব রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছে এই ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, যা ইতিপূর্বে কিছুটা অস্পষ্ট থাকলেও এতবেশি মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ কখনোই পায়নি। নব্বই দশকের গোড়া থেকে শুরু করে বর্তমানেও চলমান এই সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের তাবৎ সব আধুনিক সমাজব্যবস্থার সূতিকাগারেও। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙ্গে যাওয়ার পরে উগ্র মৌলবাদ একটি স্বতন্ত্র ‘ইজম’-এর মতই বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে একটু একটু করে। অন্তত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও আরব দেশগুলোতে এই প্রবণতা এতোটাই প্রকট যে, আধুনিক বিশ্বের পুঁজিবাদ ও মৌলবাদের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথাও আলোচিত হয় ইদানীং। সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ায় আইসিস মোকাবেলার জন্য রাশিয়া, চীন ও আমেরিকা সহ বিশ্বের প্রায় সব পরাশক্তির মধ্যে মতভেদ এবং যুদ্ধঘোষণার পরেও তা নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। সেকারণে মোটা দাগে একথা নিশ্চিত বলা যায় যে, বিশ্ব এখন মূলত দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে, এক. গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদ, দুই. উগ্র মৌলবাদ।

বিশ্ব আজ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ার মূল কারণ হিসেবে বিশ্ব রাজনীতিবিদদের নির্বাচনমূখী রাজনীতির অনুশীলন প্রবণতাকে প্রধান হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই প্রবণতা এতটাই প্রকট এবং ভয়াবহ যে, এর খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রাজনীতিতে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার উপস্থিতি কয়েক যুগের পুরনো হলেও সাম্প্রতিককালে বিশ্বের এক নম্বর গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে খ্যাত ভারতেও সেই একই ধারার রাজনৈতিক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ভারতের সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে পরিচিত বিজেপি বর্তমানে ক্ষমতাসীন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যথেষ্ট পারদর্শিতার পরিচয় দিলেও গোড়ায় মূলত দেশটি চালিত হচ্ছে একধরনের ‘মৌলবাদ’ আদর্শের মূলনীতি অনুসরণ করে। প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেসের আগামী কয়েক দশকে পুনরায় ক্ষমতায় আসা সম্ভব হবে কি-না, সে ব্যাপারেও অনেকে খোলামেলাই সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, ক্ষমতার রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে কংগ্রেসের মত শত বছরের পুরনো একটি দলকে হয়ত মৌলবাদের সাথে কিছুটা হলেও আপোষ করার নীতি অনুসরণ করতে হতে পারে, যা পশ্চিমা গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদী সমাজে উগ্র ডানপন্থীদের সাথে করছে অহরহ। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভারতের বামধারার রাজনৈতিক দলগুলো একধরনের মধ্যপন্থা অবলম্বনের কারণে। যার কারণে কংগ্রেসও অনেকটা অনেকটা সাথীহারার মত দিকহারা ম্রিয়মাণ এবং এর শতভাগ সুযোগ নিতে সক্ষম হচ্ছে এশিয়ার এ অঞ্চলের উগ্র মৌলবাদ গোষ্ঠীগুলো।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি স্থাপনায় কাজ করে গিয়েছে। আধুনিক বিশ্বের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের ভূমিকাকে গৌণ করে দেখার কোন সুযোগ নেই বিভিন্ন কারণে। বিশেষ করে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে বিশ্বে একটি নবীন দেশ হয়েও আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য দেশ হিসেবেই অবস্থান নিতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েও সাম্প্রতিককালে পরিবর্তনশীল বিশ্ব রাজনীতির প্রতিনিয়ত নতুন মেরুকরণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা নির্দ্বিধায় বিশ্বের সমীহ আদায়ে সক্ষম হচ্ছে। নয় মাসের একটি যুদ্ধ পরিচালনায়ও বাংলাদেশের মুজিবনগর সরকার অত্যন্ত শৃঙ্খলার সাথে কোন ধরনের মৌলবাদ বা বিচ্ছিন্নতাবাদী লড়াইয়ের দিকে মোড় নিতে দেয়নি, যদিও পরাজিত পাকিস্তান সে চেষ্টার কোন কার্পণ্য করেনি।

আধুনিক বিশ্বে শান্তিরক্ষার প্রক্রিয়ার অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ও জঙ্গিবাদের অপতৎপরতা রোধ। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে পরাজিত শক্তির উত্থান, ক্ষমতালোভী সামরিক শক্তির অপতৎপরতা, রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ধর্মের অবাধ ব্যবহার, মৌলবাদের উপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ধর্মীয় উগ্রবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দান ইত্যাদি সবই নির্বিচারে হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে। যার কারণে পঁচাত্তর থেকে নব্বই এবং তৎপরবর্তিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বাংলার মাটিতে গোড়াপত্তন হয়েছে উগ্র মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের। পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশেও এই অশুভ শক্তির রাজনৈতিক অপতৎপরতাকে মোকাবেলা করতে গিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকেও ক্ষেত্রবিশেষে আপোষ করতে হচ্ছে মৌলবাদের সাথে, যা ভারতে এবং পশ্চিমা পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায়ও দেখা যাচ্ছে।

বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে প্রত্যেকটি দেশ কোন না কোনভাবে প্রভাবিত হয় একে অন্যের দ্বারা। সীমান্তবদ্ধতার যুগ এখন আর নেই। বড় দেশ হিসেবে ভারত এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রভাব বাংলাদেশ বা সীমান্তবর্তী অন্যান্য দেশে পড়তে বাধ্য। লেখার শুরুতেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ভোটের রাজনীতি হিসেবে বলেছিলাম। পঁচাত্তর পরবর্তীতে তিন কোটির অধিক সংখ্যালঘু দেশ ত্যাগ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জরিপে জানা যায় যে, গত নয় বছরে বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ হয়েছে প্রায় নয় লক্ষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাংলাদেশী। গত নয় বছরে বেশির ভাগ সময়ে ক্ষমতায় আছে ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকারের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যেই মুজিবনগর সরকার যুদ্ধকে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলার সাথে কোন ধরনের মৌলবাদ বা বিচ্ছিন্নতাবাদী লড়াইয়ের দিকে মোড় নিতে দেয়নি, সেই একই দলের সরকারের আমলে তাহলে কিভাবে বিশাল সংখ্যার সংখ্যালঘিষ্ঠ বাংলাদেশীরা দেশত্যাগ করতে পারে, তা অবশ্যই ভাববার বিষয়।

উপরের আলোচনায় একাধিকবার উল্লেখ করেছি যে, কিভাবে এবং কেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রগতিশীল, মানবতাবাদী, গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক দলগুলো সংখ্যালঘিষ্ঠ অভিবাসী ইস্যুতে ছাড় দিয়ে মৌলবাদ ও উগ্রবাদের সাথে আপোষ করছে শুধুমাত্র নির্বাচনোত্তর ক্ষমতা ধরে রাখার জন্যে। এই আপোষকে ক্ষমতাসীনরা উগ্রমৌলবাদকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার কৌশল হিসেবে বর্ণনা করলেও, প্রক্রিয়াটি মূলত “গরু মেরে জুতা দান”-এর মতই হতাশাব্যঞ্জক!

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরেও এতো বিশাল সংখ্যক সংখ্যালঘিষ্ঠের দেশত্যাগ, ক্ষমতাসীন সরকারের মৌলবাদের সাথে আপোষ করারই ইঙ্গিত বহন করে বলে অনেকে মনে করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মৌলবাদের উত্থান প্রতিহতের জন্য যখন এ অঞ্চলের দেশগুলোকে যৌথভাবে কাজ করার কথা ভাবতে হবে, বিশেষ করে এই যুদ্ধের মূল দায়িত্ব নিতে হবে যেখানে ভারতকে,  ঠিক তখনই ভারত সরকার ঘোষণা দেয় যে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত এবং অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু অভিবাসীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী সেদেশে নাগরিকত্ব পাবে। ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্ব সেই সাথে একথাও বলেন যে, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মুসলিমদের এর আওতায় রাখা হয়নি, কারণ তাঁদের যাওয়ার জন্য অন্যান্য অনেক দেশ আছে (বিবিসি, ৮ সেপ্টেম্বর-২০১৫)। ভারতের এই ঘোষণা যেমন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের উগ্রমৌলবাদকে উৎসাহিত করবে সংখ্যালঘিষ্ঠ উৎখাতে, তেমনি ভারতে অবস্থানরত অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও উচ্ছেদের লক্ষ্য হবে সেদেশের উগ্রমৌলবাদের।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর শুধু ইসরায়েল রাষ্ট্রেই ইহুদীদের সুরক্ষা দেয়া হয়নি, একই সাথে ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশেই তাঁদের দেয়া হয়েছে নাগরিক নিশ্চয়তা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে পশ্চিমা সভ্যতা একটু একটু করে সেই নীতি থেকে সরে আসছে শুধু ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষার প্রশ্নেই নয়, অন্যান্য সংখ্যালঘিষ্ঠের বেলায়ও। আধুনিক বিশ্বে সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলার রাজনীতি অনুশীলনে যে সামঞ্জস্যতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তা একবাক্যে শুধু ভয়াবহই নয়, এর খেসারত হয়ত দিতে হবে আগামী কয়েক প্রজন্মকে। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্যই রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করে। কিন্তু সেই রাজনীতি যখন হয় প্রতিপক্ষের কূটকৌশলগত চাপিয়ে দেয়া আপোষের রাজনীতি, তখন সে রাজনীতিতে অপমৃত্যু ঘটে মূলত মিত্র পক্ষেরই। পায়ের নীচ থেকে চোরা বালু সরে যাওয়ার মত ক্ষমতায় থেকেও একটু একটু করে ক্ষমতা হারাতে হয় তাকে।

ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবাপন্ন প্রগতিশীল সব সরকারেরই মনে রাখা উচিত, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ কখনো আধুনিক সভ্যতার বন্ধু হতে পারেনা। সাময়িক ক্ষমতা লাভের জন্য ওইসব অপশক্তির সাথে আপোষ করার মানে হচ্ছে, তাঁদের পাতা ফাঁদে পা দেয়া। অসাম্প্রদায়িক-ধর্মনিরপেক্ষ সরকারগুলোকে ক্ষমতায় রেখেই দেশকে মৌলবাদের সূতিকাগার বানাচ্ছে তারা, একটু একটু করে প্রতিদিন। এসত্য যত দ্রুত দক্ষিণ-এশিয়ার প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো বুঝতে পারবে এবং সেমতে তাঁরা যৌথভাবে এই অপশক্তিকে মোকাবেলা করবে, ততই মঙ্গল!

সাব্বির খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলাম লেখক ও সাংবাদিক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ