আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

অধ্যাপক আতিউরের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান কতটা নৈতিকতা সম্মত?

জহিরুল হক মজুমদার  

বাংলাদেশ ব্যাংক এর সাবেক গভর্নর অধ্যাপক আতিউর রহমান তাঁর পুরনো কর্মক্ষেত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসেছেন। যোগদান করেছেন “উন্নয়ন অধ্যয়ন” বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেকেই এটাকে সহজভাবেই গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রীয় বা সরকারী দায়িত্ব শেষে অনেক শিক্ষকই অতীতে এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসেছেন।

অধ্যাপক আতিউর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করার আগেও বাংলাদেশে একটি সুপরিচিত নাম। একজন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ হিসেবে তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ার “বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান”-এ ।ছিলেন সেখানকার ফেলো। একজন দরিদ্রবান্ধব এবং রবীন্দ্রপ্রেমী অর্থনীতিবিদ হিসেবে তিনি খ্যাতিমান। রবীন্দ্রনাথকে একজন অর্থনীতিক চিন্তক হিসেবে হাজির করেছেন মানুষের সামনে।আগাগোড়া একজন সেকুলার মানুষ হিসেবে পরিচিত।অধ্যাপনা তাই তাঁকে কোন নতুন তকমা দেয় নি।

আবার বিপরীত দিকে এ’কথাও সত্য যে তাঁর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রারম্ভিক যোগদান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমন কোন বিশেষ আলোড়ন তোলেনি। কারণ এখানে রয়েছেন সমমাপের কিংবা তুলনায় আরও বড় মাপের পণ্ডিত এবং প্রাজ্ঞজন। সুতরাং অধ্যাপক আতিউরকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন প্রকার গৌরব আকাঙ্ক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক মানসিকতার মধ্যে ছিলনা বলেই মনে হয়। কিন্তু উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের মত একটি নবপ্রতিষ্ঠিত বিভাগে তাঁর উপস্থিতি যে বিভাগের একাডেমিক এবং সাংগঠনিক তৎপরতাকে আরও জোরদার করবে, এমন চিন্তাই একাডেমিক নির্বাচকদের মধ্যে কাজ করেছে বলে ধারণা করা যায়।

অপরদিকে তাঁর অনুপস্থিতিতে ‘বিআইডিএস’ কোন শূন্যতায় আক্রান্ত হয়েছে এমনটিও কোন মাধ্যমে প্রকাশ পায়নি। বিআইডিএস এ রয়েছে নতুন পুরনো মিলে অনেক ঝানু অর্থনীতিবিদের সমাহার, যারা গবেষক হিসেবে দেশ-বিদেশ খ্যাত।কোন বিশেষ ব্যক্তির অনুপস্থিতিজনিত শূন্যতা পরিহার করে চলার মত প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি বিআইডিএস অনেক আগেই অর্জন করেছে।

সুতরাং অধ্যাপক আতিউরের পেশাগত পরিবর্তন তাঁর পুরনো এবং নতুন কর্মক্ষেত্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিআইডিএস কারো জন্যই বড় কোন ঘটনা নয়। কিন্তু তাঁর নিজের জন্য নিঃসন্দেহে নতুন যাত্রা। নিখাদ গবেষকের জীবন এবং শিক্ষকের জীবনের মধ্যে গুণগত পার্থক্য আছে। সারাজীবন অনেক জেনেও অনেকের মধ্যে অন্যকে জানানোর আকাঙ্ক্ষাটি সুপ্ত কিংবা অপূর্ণই থেকে যায়। সেদিক থেকে তিনি তাঁর অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি ঘটিয়েছেন সফলভাবেই, অধ্যাপনায় যোগদানের মাধ্যমে।

অধ্যাপক আতিউরের বাংলাদেশ ব্যাংক এর গভর্নর পদে যোগদান কাউকে অবাক করেনি। দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক এবং সামাজিক সেক্যূলার শক্তির সাথে তাঁর যোগাযোগ। সুতরাং আওয়ামী লীগের মত একটি সেক্যূলার রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে যে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক এর গভর্নর হতে পারেন, এমনটি বাংলাদেশের জনসমাজ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক পরিমণ্ডলে আগেই গুঞ্জরিত হচ্ছিল। কিংবা অন্যভাবে বললে বলতে হয় যে তাঁর মত একজন দরিদ্রবান্ধব, রবীন্দ্রপ্রেমী অর্থনীতিবিদের বুদ্ধিবৃত্তিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সেবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষী ছিলেন অন্তত আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সেক্যূলার অংশ। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জনবান্ধব সামাজিক-অর্থনৈতিক নীতির পেছনে তাঁর অবদান আছে বলে অনেকে ধারণা করেন।

অধ্যাপক আতিউর নিজে দরিদ্র ছিলেন এটা বলতে যেমন তিনি দ্বিধা করেন না, তেমনি দরিদ্রদের জন্য কাজ করতেও তিনি অন্তপ্রাণ। বাংলাদেশ ব্যাংক এর গভর্নর পদে বসেই তিনি দরিদ্র কৃষকদের জন্য দশ টাকা দিয়ে সঞ্চয়ী হিসাব খোলার ব্যবস্থা করেছেন। এটা তাঁর “দরিদ্রদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ” নীতিরই অংশ। কোন সন্দেহ নেই যে বিবিধরকম অন্তর্ভুক্তিকরণ নীতিই দরিদ্র এবং প্রান্তিক মানুষদেরকে অধিকতর সক্রিয় নাগরিক হতে সহায়তা করে। এছাড়া তাঁর সময়েই বিবিধ ব্যাংকে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস চালু হয়, যার ফলে শহরে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মজীবীদের পক্ষে পরিবারের নির্ভরশীলদের জন্য অর্থ প্রেরণ সহজতর হয়। অর্থের দ্রুত প্রেরণ এবং সঞ্চালন অর্থনীতিতেও গতিশীলতা আনে এতে কোন সন্দেহ নেই। যদিও তাঁর সময়ে অনুমোদন প্রাপ্ত এবং বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় মোবাইল মানি ট্রান্সফার সিস্টেম ‘বিকাশ’ এখনো পূর্ণ বৈধতা পায়নি ব্যাংক কোম্পানি আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে।

অধ্যাপক আতিউর একজন উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনায় তিনি কতটা সফল হবেন এই সংশয় অনেকেরই ছিল। কারণ তিনি অর্থ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ নন, আবার পেশাদার ব্যাংকারও নন। সুতরাং মুদ্রা, ঋণ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণকারী অর্থনৈতিক কৌশলগুলো তিনি কতটা সফলতার সাথে প্রয়োগ করতে পারবেন এই সংশয় গোড়াতেই ছিল।

এই সংশয়ের প্রথম ধাক্কাটি আসে শেয়ার বাজার পতনের ভিতর দিয়ে। অনেকেই এই পতনের জন্য গভর্নর আতিউরের ভুল নীতিকে দায়ী করেন। গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ এর দায় থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তিনি পুঁজিবাজার থেকে দ্রুত সরে আসার পরামর্শ দেন বলে কথিত আছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দ্রুত পুঁজি বাজার থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার এই নীতির ফলেই শেয়ার বাজারের পতন ত্বরান্বিত হয়েছে বলেই পুঁজি বাজার সংশ্লিষ্ট সাধারণ জ্ঞান সম্পন্ন লোকেরা মনে করেন। জনগণের মধ্যে এটাই প্রচলিত ধারণা।

পুঁজিবাজার সম্পর্কে জনগণের নির্ভরতার জায়গা নষ্ট হলেও এবং তাঁর ভুল নীতির কারণে এমনটি ঘটেছে এমন প্রচারণা থাকলেও তিনি সফলভাবেই এই সমালোচনা সামলে এগিয়ে গিয়েছেন।

অধ্যাপক আতিউরের গভর্নর থাকাকালীন অন্য সমালোচনাবিদ্ধ এবং আলোচিত আর্থিক অনিয়মের ঘটনাগুলো ছিল হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারি, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি। এর প্রত্যেকটিই ব্যাংক এবং আর্থিক খাতকে নাড়া দিয়ে গেছে। এইসমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর অসাধু কর্মকর্তারা এবং ব্যবসায়ীরা জড়িত থাকলেও, এর প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ ব্যাংক এর পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব ছিল বলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর কার্যক্রম সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান সম্পন্ন যেকোনো নাগরিক মন্তব্য করবেন। এ সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রেও গভর্নর হিসেবে নৈতিক দায় অধ্যাপক আতিউর এড়াতে পারেন না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর গভর্নর হিসেবে অধ্যাপক আতিউরের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এর নিউইয়র্ক শাখা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক এর রিজার্ভ এর অর্থ চুরির ঘটনা। এই ঘটনা গোটা জাতিকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। টাকার পরিমাণ আমাদের মোট রিজার্ভের তুলনায় সামান্য হলেও সাধারণ চাকুরীজীবী কিংবা খেটে খাওয়া মানুষের কাছে তা অনেক টাকা। এই ঘটনা সমগ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরণের গণমানসিক আঘাত এর জন্ম দিয়েছে এবং চরম আস্থাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছে। বিবিধ গণমাধ্যম একে “রাজকোষ চুরি” হিসেবে হিসেবে অভিহিত করলেও, যথার্থ অর্থে তা “জনকোষ চুরি”।এই সম্পদের দেখভাল কর্তৃপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এই ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তাঁর পদত্যাগ আরও মহৎ মাত্রা পেতে পারতো যদি তিনি ঘটনা ঘটার সাথে সাথে পদত্যাগ করতেন। তাঁর দপ্তর ঘটনাটি অনেকদিন চেপে রাখার দায়েও জনগণের কাছে তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন।

অধ্যাপক আতিউরকে শুধু নৈতিক দায়ই দেবেন চেনাজানা পরিসর এর লোকজন এবং তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং জীবনাচরণ সম্পর্কে অবহিত যেকোনো ব্যক্তি। কারণ অধ্যাপক আতিউর ব্যক্তিগত এবং আর্থিকভাবে সৎ একজন ব্যক্তি হিসেবেই সর্বজন পরিচিত।কোন অনিয়মের কোন সুফল তিনি ভোগ করেছেন কিংবা করার মানসিকতা ধারণ করেন, এমনটি বোধহয় তাঁর শত্রুও বলবে না।

এই ঘটনাটিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করে চুরিকৃত অর্থের গন্তব্যস্থল ফিলিপাইন এর সরকার জোর তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে তারা কিছু অর্থ উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে।সেখানে চাকুরি হারিয়েছে কয়েকজন ব্যাংকার। চুরিকৃত অর্থের আরেক গন্তব্যস্থল শ্রীলঙ্কাও তদন্ত করছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারও তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অপরাধ তদন্ত করছে সিআইডি। এই রকম পরিস্থিতিতে অধ্যাপক আতিউরের পরিপূর্ণ আইনি দায় নিষ্পত্তি হয়েছে তা বলা যাবেনা।

অধ্যাপক আতিউর বর্তমানে আবার তাঁর স্থায়ী কর্মস্থল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসায় কিছু নৈতিক প্রশ্ন অনিবার্য হয়ে পড়ে। একজন শিক্ষকের জন্য সামাজিকভাবে নিষ্কলুষ এবং অবিতর্কিত থাকা অত্যন্ত জরুরী। এখানে অবিতর্কিত অর্থে বুদ্ধিবৃত্তিক বিতর্ক বুঝানো হয়নি। যেধরণের কাজ বা অবস্থান শিক্ষকের পেশাগত সম্মান, শিক্ষক হিসেবে সামাজিক অবস্থান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তা বুঝানো হয়েছে। অধ্যাপক আতিউর বর্তমানে বিতর্কের চরম কেন্দ্রে আছেন গোটা দেশজুড়েই। তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং গ্রহণযোগ্যতার উপর এক ধরণের নেতিবাচক প্রলেপ পড়েছে। অধ্যাপক আতিউর নিজেও নিশ্চয়ই বিব্রত।

এরকম পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে পাঠদানের জন্য তাঁর উপস্থিতি কতটা নৈতিক আবহ তৈরি করবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। জ্ঞান দানের আগে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শিক্ষকের নৈতিক গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশী জরুরী।

অধ্যাপক আতিউরকে কেন্দ্র করে গোটা দেশ জুড়েই বিব্রতকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।তাঁর ছাত্রছাত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীরাও এই বিব্রতকর পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন এমনটি ভাবা ঠিক হবেনা।এই পরিস্থিতিতে অধ্যাপক আতিউর এর আইনি এবং নৈতিক দায় সম্পূর্ণ নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত তাঁকে ছুটিতে রাখলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকে সঙ্গত হত বলে মনে হয়। অধ্যাপক আতিউর এর মত প্রাজ্ঞজনও বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবেন বলে আশা করি।

 

জহিরুল হক মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ