আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

সমস্যার রাজনৈতিক নয়; দরকার আদর্শিক মোকাবেলার

সাব্বির খান  

কিছুদিন আগে টিভি সঞ্চালক মুন্নি সাহার উপস্থাপনায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক জুলফিকার আলী মাণিক। আলোচকদের বক্তব্যে মূলত বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং এর থেকে পরিত্রানের উপায় নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হচ্ছিল। জুলফিকার আলী মাণিকের আলোচনায় মূল যে কথাটি ছিল, তা-ই আজকের লেখার শিরোনাম হিসেবে নির্বাচিত করেছি। উদ্দেশ্য এর গভীরে গিয়ে আরো কিছুটা আলোচনা করা। তার আগে দেখি মাণিক কি বলেছিলেন।

সাংবাদিক মাণিকের ভাষায় ‘বাংলাদেশের চলমান যে সমস্যা তা মূলত ‘আদর্শিক’। বাংলাদেশে দুটি ধারা চলে এসেছে, একটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আর অপরটি বিপক্ষের। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ ধারা চায় না বাংলাদেশ শান্তিতে থাকুক। তাই অশান্তি সৃষ্টিতে এই ধারাটি সন্ত্রাসকে আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দিচ্ছে।‘ তিনি আরো বলেন, ‘বিগত বছরটিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ শান্ত ছিল, যার কারনে সেসময়ে দেশে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নও সাধন হয়েছিল। দেশের মানুষ শান্তি চায়, উন্নয়ন চায়। সরকার সেই উন্নয়নের ধারায়ই এগোচ্ছিল। কিন্তু বিএনপি সেই উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। তা করতে গিয়ে দেশের মানুষকে আন্দোলনের নামে পুড়িয়ে মারছে। কিন্তু এভাবে অন্দোলন সফল হবে না।‘ অর্থাৎ বাংলাদেশের বর্তমান সংকটকে মোকাবেলার জন্য মাণিক এটাকে শুধু রাজনৈতিক সমস্যা বলে মানতে রাজি হচ্ছে না। বরং সমস্যার জায়গাটিকে ‘আদর্শিক সমস্যা’ হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন এবং তার মোকাবেলাও ‘আদর্শিক ভাবে’ করার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। সাংবাদিক মাণিকের বক্তব্য এবং তাঁর ভাবধারার সাথে আমি সম্পুর্ন সহমত পোষণ করি।

১৯৭৫ সালের আগষ্টে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটি অত্যন্ত সুকৌশলে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সক্ষম হয়েছিল একাত্তরের পরাজিত আদর্শকে এই মাটিতে পূনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে। সেই থেকে শুরু হয়েছে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া, আর মুক্তিযোদ্ধা নিধনের রাজনীতি- যা বর্তমানেও চলমান। পচাত্তরের পরে এই আদর্শিক নিধনযজ্ঞ প্রথমে সেনাবাহিনীতে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে তা পর্যায়ক্রমে বেসামরিক বাঙ্গালীদের উপরেও নেমে আসে সমান ভাবে। জেনারেল জিয়া কতৃক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পরেই জারি হয়েছিল ইনডেমনিটি আইন। জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছিল তখন। সেই সময়ে সেনা ছাউনি থেকে তৈরি হওয়া বিএনপি নামের রাজনৈতিক দলটি অনেক বছর ছদ্মবেশে থাকলেও সময়ের আবর্তে তা যে জামায়াতেরই একটি অভিন্ন ‘আদর্শিক ক্লোন’, তা খালেদা জিয়ার বর্তমান অবরোধ-হরতালের নামে বাঙ্গালী নিধনের রাজনীতি দেখলে বুঝতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়না।

চুয়াত্তরে বাকশালের অতিউৎসাহী একজন সদস্য হয়েও পচাত্তরের পরে জেনারেল জিয়া বাকশাল আদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধোয়া তুলে প্রথমেই তিনি বাংলার মাটিতে সাদর সম্ভাষন জানিয়েছিলেন তখনকার সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ, স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও পাকিস্থানকেন্দ্রীক রাজনৈতিক দল জামায়াত ইসলামকে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের আবরনে তা ছিল মূলত জামায়াত ইসলামীকে বাংলাদেশে পূনঃপ্রতিষ্ঠা করার একটি কৌশল মাত্র এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পর্যালোচনা করলে তা না বোঝার কোন কারন থাকে না। এই প্রক্রিয়ার পক্ষে নেপথ্যে থেকে যে কয়েকটি দেশ কাজ করেছিল তখন, তাদের মধ্যে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের নাম ছিল সর্বাগ্রে। এমন কি বর্তমানে খালেদা জিয়ার হুকুমে বাংলাদেশে অবরোধের নামে যে মানুষ হত্যা এবং জ্বালাও-পোড়াও চলছে, তার নেপথ্যর প্রেরনাদাতা দেশগুলোর নামও সেই পচাত্তরের ষড়যন্ত্রকারী দেশগুলোর সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত। পেট্রোল বোমায় যখন মানুষ মরছে, দেশ জ্বলছে, ঠিক তখনই খবরের কাগজে দেখেছি এর পেছনে ইন্দনদাতা হিসেবে ঢাকায় গ্রেফতার হওয়া পাকিস্তানী একজন কূটনীতিকের নাম।

স্বাধীন বাংলাদেশে আদর্শিক যে বিভাজনের কথা সাংবাদিক জুলফিকার আলী মাণিক বলেছেন, তার গোড়াপত্তন হয়েছিল মূলত ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামায়াত ইসলাম সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার পরে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে পূনরায় ফিরে আসার মাধ্যমেই শুরু হয় বাংলাদেশে ‘আদর্শিক বিভক্তির রাজনীতি’। বর্তমানকালে হরহামেশাই ডঃ কামাল হোসেন অথবা ডঃ মুহম্মদ ইউনূসদের মত বিজ্ঞ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গের মুখ থেকে অনবরত নিসৃত হয় একটি কথা যে, ‘উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং বিশ্ব অর্থনীতির অগ্রযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বাংলাদেশকে বিভক্তির রাজনীতি পরিহার করতে হবে’। সর্বজনশ্রদ্ধেও ‘ওনারা’ যখন রাজনীতির আদর্শিক বিভক্তি এবং তার গোড়াপত্তনের কথা জেনেও ফড়িয়াদের মত উন্নয়নের গালভরা বুলি আওড়ান, তখন তাঁদের কথাকে গুরুজন বাক্য হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হয় এই জাতির।

আগেই উল্লেখ করেছি যে, বিভক্তিটা মূলত ধর্ম, বর্ন বা সামাজিক নয়। এটা একটি আদর্শিক বিভক্তি। এই বিভক্তির উপরে ভিত্তি করেই বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছিল নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ। এই বিভক্তির উপরে ভিত্তি করেই সেই সময়ে বিশ্বরাজনীতির মেরুকরনও তৈরি হয়েছিল, যার কারনে শুরু হতে পারত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত ভয়াবহ ঘটনা। একাত্তরে নয় মাসের যুদ্ধ সারা বিশ্বকে আদর্শিক প্রশ্নের সরল রেখায় সুস্পষ্টভাবে বিভক্ত করতে সক্ষম হয়েছি, অথচ তাকে অস্বীকার করে সুশীলের তকমায় আঁটা ব্যক্তিবর্গরা সমস্যার অতি সরলীকরনের মাধ্যমে বাংলাদেশীদের মনে সুখ এনে দেয়ার ঠিকাদারি নিতে চান। সুতরাং তাঁদের অবকাঠামোতে যে ‘ইসলামী রিপাবলীক’ আতরের সুভাষিত গন্ধ জড়ানো থাকবে এতে আর অবাক হওয়ার কি আছে!

পচাত্তরের পর থেকে এই বিভক্তির কালো ছায়া বাংলাদেশে বিরাজ করা শুরু করলেও, এটা ছিল অনেকটা একপেশে যুদ্ধের মত। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে কোন ঠাসা করন ছাড়াও ক্ষেত্রবিশেষে তাকে নিঃশ্বেষ করে দেয়ার মত ঘটনাও দেখেছি এই দেশে। ২০০৪ এর ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপর গ্রেনেড হামলা ছিল তার উদাহারন। শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য শীর্ষনেতৃবৃন্দ যদি সেদিন নিহত হতেন, তাহলে একাত্তরের এই পরাজিত শক্তিকে ঠেকানোর মত অন্য কোন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে থাকতো না এবং একাত্তরের পরাজিত শক্তির এটাই ছিল পরিকল্পনার মূল মধুরতম অংশ। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছিল সেদিন, যদিও প্রায় ৬০ জনের মত নিহত হয়েছিল সেদিন।

পচাত্তর এর পরে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ ছিল একটা নিপতিত দল,যার কোন নেতৃত্ব ছিল না, ছিল না রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ড। সে সময়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা আত্নগোপনে অথবা শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করা একটি দল ছিল মাত্র। অথচ সেই সমান্তরাল সময়েই শুরু হয়েছিল জামায়াতকে বাংলার মাটিতে পূনঃপ্রতিষ্ঠিত করার মূল কাজ এবং সেই সাথে বাংলাদেশের মূল শাসক দল হিসেবে জামায়াতকে প্রতিষ্ঠা দেয়ার যতসব যজ্ঞ পরিকল্পনা। এর খন্ডাংশের কিছুটা হলেও আমরা দেখতে পেয়েছি সাবেক বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে, যখন জামায়াতের মাত্র দুইজন পূর্নমন্ত্রী থাকলেও পুরো দেশটাই চালিত হয়েছিল পাকিস্তানীকরনের মধ্য দিয়ে। গত জোট সরকারের আমলে সরকারের প্রত্যক্ষ্য সহযোগীতায়, বিশেষ করে জামায়াতের প্রত্যক্ষ্য মদদে একশর অধিক জঙ্গী মৌলবাদী সংগঠন এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক ইসলামিক এনজিওর আবির্ভাব ঘটেছিল এদেশে। স্বাধীনতাবিরোধী এই শক্তিকে ২০০৮ এর নির্বাচনে যদি প্রতিহত করা না যেত, তাহলে জামায়াত ইসলামীর নেতৃত্বে সম্পূর্ন ইরানী আদলে বাংলাদেশেও ঘটে যেতে পারত মওদুদীবাদের এক নীরব অভ্যুত্থ্যান। স্বভাবত কারনেই তা হতো আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের অনুকরনে এবং তাদেরই পৃষ্ঠপোষকতায়।

পচাত্তর পরবর্তি বাংলাদেশে বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামি যা কিছু করেছে, তার একটিও বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় করেছে বলে প্রতিয়মান হয়না। একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল যে প্রত্যয় নিয়ে, স্বাধীনতাবিরোধী অশুভ শক্তি পেট্রো-ডলার, আর আইএসআইয়ের মদদে পরিপূষ্ট হয়ে বাংলাদেশকে আবার সেই একাত্তরের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে তৎপর থেকেছে সর্বোক্ষন। আর তাকে সর্বোতভাবে সহযোগীতা করেছে পচাত্তর পরবর্তী জামায়াতের ‘আদর্শিক ক্লোন’ বিএনপি। সুতরাং দেশের চলমান সংকটকে বাংলাদেশের তথাকথিত নাগরিক সমাজ তথা ক্ষেত্রবিশেষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিতকরনের যে চেষ্টা করেছে, তা সঠিক নয়।

রোগের ভুল চিকিৎসায় রোগী অধিকতর বেশি কষ্ট পাবে বা মারা যাবে, এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রেও কথাটি সমাধিকভাবে প্রযোজ্য। যে আদর্শ ও উদ্দেশ্যকে পাথেও করে জামায়াত-বিএনপি সেই পচাত্তর থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে লড়ছে, তা যদি রাজনৈতিক সমস্যাই হত, তাহলে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হত না বা হওয়ার প্রয়োজন ছিলনা। রাজনৈতিক সংলাপই যথেষ্ঠ ছিল তার সমাধানের জন্য। সংলাপে ব্যর্থ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের যে ভাষন দিয়েছিলেন, তা-ই ছিল বাঙ্গালী জাতির জন্য আদর্শিক মেরুকরন, যার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাভূত করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করনের মধ্য দিয়ে। এক্ষেত্রে ‘সংলাপ’ Concept বা ধারণাটাই ভুল। একাত্তরেও ভুল প্রমানিত হয়েছিল, বর্তমানেও তা ভুল হতে বাধ্য। কারন সমস্যাটা রাজনৈতিক নয়, আদর্শিক। সুতরাং বাংলাদেশের চলমান সংকটকে রাজনৈতিক সমস্যা বলে এর প্রতিকারের চেষ্টা করা হবে ‘রোগের ভুল চিকিৎসা’-র মতই হঠকারী এবং অন্তঃসারশূন্য।

বাংলাদেশে যা মূলত আদর্শিক সমস্যা, তাকে আড়াল করতে গিয়ে দেখানো হচ্ছে এক ভিন্ন সমস্যা এবং তাকে বলা হচ্ছে ‘রাজনৈতিক সমস্যা’। এতে মদদ দিচ্ছে অদৃশ্য একাধিক আন্তর্জাতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এবং বর্তমান সরকারকেও তাঁদের বান্ধব সরকার হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। এছাড়াও রয়েছে পেট্র-ডলারে মদদ পুষ্ট বাংলাদেশেরই এক ধরনের আজগুবি ‘নাগরিক সমাজ’, যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের মূল আদর্শের বিপরীত মেরুতে কাজকর্মে লিপ্ত থাকে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক অরাজগতা সৃষ্টিতে এদের জুড়ি নেই। সম্পূর্ন মৌলবাদী প্রেরনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একাত্তর পূর্ববর্তী পাকিস্তান আদলে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিতে যে ‘আদর্শিক সমস্যা’ সৃষ্টির দরকার, বাংলাদেশে বর্তমানে তা-ই বিদ্যমান। কিন্তু রাজনীতির কূটকৌশলে স্বাধীনতাবিরোধীরা এটাকে ‘রাজনৈতিক সমস্যা’ হিসেবে ঢালাও প্রচার করতে পছন্দ করছে এবং এজন্য সর্বতঃ চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।

ক্ষেত্রবিশেষে একাত্তরের অপশক্তিগুলো সফল হলেও, এতে আর যা-ই হোক পচাত্তর পরবর্তি চল্লিশ বছরের পুঞ্জিভূত সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। সমস্যাটি আদর্শিক; মোটেও রাজনৈতিক নয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যে আদর্শিক বিভক্তিজনিত সমস্যার গোড়াপত্তন করেছিল স্বাধীনতার অপশক্তিরা, তা আজ তুঙ্গে। আর এই সমস্যা শুধুই ‘আদর্শিক মনোভাব এবং শক্তি’ দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে; রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সম্ভব নয়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা রাজনৈতিক সংলাপ চাচ্ছে। রাজনৈতিক সংলাপ মানেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে স্বীকার করে নেয়া এবং বাংলার মাটিতে তাদের রাজনৈতিক বৈধতা দেয়া।

একাত্তরের পক্ষ শক্তিগুলোর ক্রমবর্ধমান নৈতিক অবক্ষয়ই বর্তমানে বিরাজমান সমস্যাগুলোর আদর্শিক মোকাবেলার অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে। এব্যাপারে গণসচেতন না হলে মৌলবাদ, জঙ্গীবাদ এবং মওদুদীবাদ শব্দগুলো নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নামের আগে বিশেষন হিসেবে লিখতে হবে। বিএনপির ডাকা হরতাল অবরোধে একশর উপরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করা এবং সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তচিন্তার যুক্তিবাদী লেখক অভিজিৎ রায়ের নির্মম হত্যাকান্ডই তার জ্বলন্ত ইঙ্গিত বহন করে। সুতরাং সময়ক্ষেপণ হবে বোকার মত আত্মাহুতিসম।

সাব্বির খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলাম লেখক ও সাংবাদিক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ