আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

মানবের জন্য মানবাধিকার, দানবের জন্য নয়

মো. সাখাওয়াত হোসেন  

মানবাধিকার প্রত্যয়টি বিভিন্ন দেশ, গোত্র ও জাতিভেদে বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু প্রত্যেক জায়গায় অর্থের অভিন্নতা দেখা যায়। কারণ, মানবাধিকার বিষয়টি মানুষের অধিকারের সাথে সম্পর্কিত, আর মানব অধিকার বিষয়টি সব দেশে একই রকমের হওয়াটাই স্বাভাবিক।

মানুষের চাহিদা ও মূল্যবোধের সাথে বিবেচিত হয়ে মানবাধিকারের বৈশিষ্ট্যগুলো নির্ধারিত হয়ে থাকে। মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ কেবল রাষ্ট্রের দায় সেটি বললেই সব দায় শেষ হয়ে যায় না। রাষ্ট্রের পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিকের ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার বাস্তবায়নে। সোজা ভাষায় বললে বুঝা যায়, জন্মগত ভাবে একজন মানুষ যে সব মৌলিক অধিকার ভোগ করার যোগ্যতা অর্জন করে তাকে মানবাধিকার বলে। আরও সহজভাবে বললে বলতে হয়, মানুষের জীবন ধারণের জন্য, মানবিক বিকাশের জন্য এবং অন্তর্নিহিত মূল্যবোধ বিকাশের জন্য যে সব প্রয়োজনীয় উপাদানের আবশ্যকতা রয়েছে তাই মানবাধিকার।

মানবাধিকার বলতেই রাষ্ট্র কর্তৃক জনগণের উপর প্রদেয় দায়িত্বসমূহের ভাল মন্দের তুলনামূলক বিশ্লেষণকে বুঝানো হয়। রাষ্ট্র কর্তৃক দায়িত্ব পালনের সামান্য ব্যত্যয় ঘটলেই চতুর্দিকে হুলস্থূল বেঁধে যায়। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাষ্ট্র মাঝে মধ্যে সামান্য ভুল করলেই সমালোচনার মাত্রা এমন অবস্থায় পৌঁছে যায়, যে বাংলাদেশে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। অথচ বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্য দেশগুলোর জন্য অনন্য উদাহরণ হতে পারে। কবির ভাষায় বলতে হয়, যে দেশে বেকার যুবকের মাসিক খরচ সিনিয়র ভাই নিঃসঙ্কোচে বহন করে, সে দেশ তো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্যসাধারণ। যে দেশে এখনো যৌথ পরিবারের সংখ্যা বেশি দেখা যায়, সেখানেই তো মানবাধিকার বলবত থাকে। তাছাড়া যে দেশে এখনো বৃদ্ধ বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হয় না, সে দেশেই তো মানবাধিকারের উত্তম উদাহরণ। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন দেশ কমই পাওয়া যাবে যেখানে মানবিকতা বোধের এমন নজির রয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল দানব বলতে কাদের বুঝানো হয়, যারা মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে, জীবনযাত্রার মান এবং পরিবেশকে দূষিত করে তোলে, দীর্ঘসময়ের জন্য তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য মনুষ্য এবং প্রাণিকুলকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়, মূলত তারাই সমাজ এবং রাষ্ট্রে দানব হিসেবে আবির্ভূত হয়। মনুষ্য বিকৃতি লোপ পেলেই মানুষ মানব থেকে দানব হয়ে উঠে। যখন বিবেকের নিয়ন্ত্রণ মানুষ হারিয়ে ফেলে তখনই সে দানবের মত আচরণ করতে পারে। আর এ আচরণটি তাকে সহিংস আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করে, অন্যদেরকেও এ রকম কাজের দিকে অনুপ্রাণিত করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এ দানবীয় আচরণ সাম্প্রতিক ক্ষেত্রে পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রে দেখা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে এ রকমের দানবীয় আচরণ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃতি লাভ করে, ফলে হাজার হাজার মানুষ হতাহত হয়ে থাকে।

আমাদের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতীয় পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মানবাধিকার বিষয়টি দেশের বাইরে গড়িয়ে আন্তর্জাতিক লেবেলে ছড়িয়ে পড়েছে।সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধাপরাধ বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সকল আইনের অনুশাসন মেনেই যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রস্তুত করা হয়েছে। তারপরেও, প্রত্যেকটি যুদ্ধাপরাধের রায়ের পরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি, জাতিসংঘ মহাসচিবের বিবৃতি, বিভিন্ন মানবাধিকারের সংগঠনের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার বিশ্লেষণে অনুধাবিত হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকারের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। কিন্তু, ঘটনার মূলোৎপাটন করলে বুঝা যায়, সব রকমের নিয়ম কানুন অনুসরণ করেই উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতেই বিচার কাজ করা হয়েছে। সুতরাং এ বিষয়ে প্রশ্ন আসাটাই আমাদের দ্বিধান্বিত করে তোলে।

এখন যুদ্ধাপরাধ বলতে কি বুঝি? বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় যুদ্ধাপরাধ বলতে যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধকে বুঝায়। মানবতাবিরোধী অপরাধ, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধের দায়ে পৃথকভাবে অভিযুক্ত অপরাধের সম্মিলনই যুদ্ধাপরাধ। মানবতাবিরোধী অপরাধ বলতে বুঝা যায়, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, উচ্ছেদ, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দোহাই দিয়ে নির্যাতন করে ক্রীতদাস বানিয়ে রাখা।

ইদানিং কতিপয় সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের ইস্যু বিষয়ে মানবাধিকারের লঙ্ঘনের বিষয়টি সামনে চলে আসে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঘৃণ্য ভূমিকা পালনকারী কতিপয় দানব; রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিকমিটি নিয়ে গঠিত সংঘ এ দেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছিল। সুতরাং দানবদের ব্যাপারে কিসের মানবাধিকার লঙ্ঘন? এখন প্রশ্ন আসতে পারে, যাদেরকে বিচার করা হয়েছে তারা কি সত্যিকার অর্থেই যুদ্ধাপরাধী ছিল। যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ বাদী বিবাদি উভয় পক্ষের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল, যাতে ন্যায় বিচার রক্ষিত হয়। কিন্তু আমরা যখন অন্যান্য দেশের যুদ্ধাপরাধের বিচার ব্যবস্থা লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে, বিবাদীর জন্য সমান সুযোগ ছিল না বিচার ব্যবস্থায়। সে দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দেশের জন্য রোল মডেল হতে পারে। সর্বোচ্চ আদালতে রায় হয়ে গেলেও আপিল বিভাগে অভিযুক্তদের জন্য আপিল করার সুযোগ ছিল। সুতরাং এ বিচারকে কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করে মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে আস্ফালন করলে কাজের কাজ খুব বেশি একটা হবে বলে মনে হয় না।

মুক্তিযুদ্ধ একটি সার্বজনীন বিষয়, বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে একটি পক্ষ আমাদের বিরোধিতা করেছিল। বিরোধী পক্ষ যারা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে চায়নি পক্ষান্তরে পাকিস্তানিদের বিভিন্নভাবে হত্যা, নির্যাতনে করতে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছিল তারাই যুদ্ধাপরাধী।এদের সহযোগিতার কারণেই আমাদের জয়লাভ বিলম্ব হয়েছে। যদি দেশ কোনক্রমে স্বাধীন না হতো তাহলে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা হত জাতীয় বেঈমান, নরপিশাচ এবং জাতির নিকৃষ্ট সন্তান হিসেবে বিবেচিত হত। তখন কি মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তান সরকার বিচারের মুখোমুখি করত না? অবশ্যই করত, কেননা যুদ্ধের পূর্বেই ঐ সরকারের তাণ্ডবলীলা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে। সুতরাং, স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরোধীতাকারীদের বিচারের আওতায় এতদিন না আনতে পারাটাই আমাদের জন্য ছিল ব্যর্থতা। জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মাকে শান্তিতে রাখতে যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার কার্য সম্পন্ন করে ফেলাটাই হবে জাতির বড় অর্জন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যাদেরকে যুদ্ধাপরাধীদের দায়ে অভিযুক্ত সাব্যস্ত করে বিচার কার্য সম্পন্ন করা হলো তাদের ক্ষেত্রে কি মানবাধিকার প্রযোজ্য হবে না বা হয়নি। অবশ্যই হওয়া উচিত এবং তাই হয়েছে, কেননা একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিভিন্ন প্রমাণসহ দোষী সাব্যস্ত করে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে বিচার পরিচালনা করা হয়, অবশ্যই সে ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষিত হয়েছে।এ বিষয়টি সামনে আসত না, যদি না বিশ্বের কিছু নামকরা প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিবর্গ প্রত্যেকটি রায়ের পরে ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বিষয়ে আপত্তি তোলে, মানবাধিকারের কথা বলে বোমা ফাটায়। অবশ্য এই সব প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিগণ প্যালেস্টাইনে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষ শহীদ হলেও সামান্য একটু বক্তৃতা বিবৃতি প্রদান করে হত্যার বিরোধিতা করে না। অথচ আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধাপরাধী, স্বেচ্ছায় অপরাধ স্বীকার করা ব্যক্তিগণকে যখন ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়, তখন ওনাদের গা ব্যথা শুরু করে। ঠিক তখনই আমার এদের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক হয়।

একটিবার চিন্তা করলেই অনুধাবন করা যায় ১৯৭১ সালে হেন কোন অপকর্ম নেই, যা রাজাকাররা করেনি। সুতরাং এদেরকে যে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, এটাই তো অনেক হয়েছে। বিভিন্ন দেশে দেখা যায়, যুদ্ধাপরাধীদের বিনা বিচারে ব্রাশ ফায়ারের মুখোমুখি করা হয়েছে। অথচ আমাদের দেশে কত সুষ্ঠু বিচারিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন হয়েছে, যা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার যোগ্য। সুতরাং আমার মনে হয়, এ বিষয়ে সকলেই একমত হবেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার রক্ষিত হয়েছে এবং এ নিয়ে প্রশ্ন করার অবকাশ নেই।

নুরেমবার্গ ট্রায়ালের সংজ্ঞায় দেখা যায়, যুদ্ধাপরাধের অপরাধ কেবল ভৌগলিক সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তার মানে বুঝা যাচ্ছে, কেবলমাত্র মাঠ পর্যায়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ তথা সহযোগিতা করলেই যুদ্ধাপরাধী হয় না। দেশের বাইরে থেকেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলেও যুদ্ধাপরাধী হবে, সুতরাং যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শত সহস্র হানাহানির কারণে যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় তার নিমিত্তেই গঠিত কমিশনের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর যুদ্ধাপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে সব দেশই নুরেমবার্গ ট্রায়ালের নীতিমালা অনুসরণ করে থাকে। নুরেমবার্গ ট্রায়ালে ২২ জনের বিচার করা হয়। তার মধ্যে ১ জনকে শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, ২ জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং বাকিদেরকে যুদ্ধাপরাধ ও চার্টার বর্ণিত বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয়।

তাই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রশ্নে কোন আপস থাকার কথা নয়।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ