আজ বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

Advertise

শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতেও হোক ‘৭১-এ গণহত্যা অস্বীকারের বিরুদ্ধে আইন

সাব্বির খান  

ভারত ও বাংলাদেশের ‘মৈত্রী’ শুধু প্রতিবেশি দেশ বা পারস্পরিক বাণিজ্যিক হিসাবনিকাশের উপরে ভিত্তি করেই হয়না। এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটেও রয়েছে অসীম গভীরতা ও মমত্ববোধ।

একাত্তরে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে যে শিশুদেশটি জন্মগ্রহণ করেছিল, সে জন্মে ভারতের ভূমিকা ছিল অনেকটা ধাত্রীর মত। একজন ধাত্রী যেমন অত্যন্ত দক্ষতায় একটি শিশুকে প্রসববেদনার্ত মায়ের জরায়ু চিরে নিয়ে আসেন পৃথিবীর আলোতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভেও ভারতের ভূমিকা ছিল সেই ধাত্রীর মত। যুদ্ধে ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী একাধিক দেশ ভারতের সাথে তখন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতায় শামিল হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে তরান্বিত করতে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালি শহীদ হয়েছিল। এটা শুধু সর্বজন স্বীকৃত একটা বিষয়ই নয়, যুদ্ধকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়াতেও শহীদের এই সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় বসে অপপ্রচার, অস্বীকার এবং ধারাবাহিকভাবে ইতিহাসবিকৃতি ছাড়াও একাত্তরের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে নিরলসভাবে, যা বর্তমানেও চলমান। বাংলাদেশেরই একটি কুচক্রী মহল অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বহির্বিশ্বে একাত্তরের ইতিহাস ও শহীদের সংখ্যা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে স্বাধীনতার মহান অর্জনকে ম্লান করে দিতে। এই অপপ্রচারে ম্লান হচ্ছে শুধু বাংলাদেশই নয়, সমধিকভাবে ভারতও। কারণ সেযুদ্ধে শহীদ হয়েছিল ভারতেরও অনেক সৈন্য।

একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাঁদের দোসরদের দ্বারা ৩০ লক্ষ বাঙালি শহীদ হয়েছিল, এটা একটা সর্বস্বীকৃত মীমাংসিত বিষয়। এই বিষয়ের ওপর আরো অধিকতর গবেষণা এবং অধ্যয়ন হতেই পারে। কিন্তু তা হতে হবে মীমাংসিত অবস্থান থেকে, কোনও মনগড়া অবস্থান থেকে নয়। বিশ্ব জানে যে, ইউরোপিয়ান দেশগুলোর সংসদে পাশ করা ‘ল এগেইনস্ট ডিনায়াল অব হলোকাস্ট’ বলে একটা আইন আছে। জার্মানির নাৎসি বাহিনী ইউরোপে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, তাকে অস্বীকার বা এর তীব্রতাকে লঘু করার হীন প্রচেষ্টাকেও আইনগতভাবে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সে আইনে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা বা প্রশ্ন তোলাকে ক্রিমিনাল অফেন্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ‘রিভিশনইজম’এর দোহাই দিয়ে যারা হলোকাস্ট বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণের চেষ্টা করেন, তাকেও ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সারকথায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিবাহিনী দ্বারা যে গণহত্যা হয়েছে, এটার অন্য কোনও ধরনের পাণ্ডিত্যমূলক অপব্যাখ্যা দেওয়া চলবে না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনী কর্তৃক গণহত্যাকে (হলোকাস্ট) ঠিক ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করতে চাননি বলে ডেভিড আর্ভিঙ নামের পশ্চিমের একজন খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ ১৩ মাস জেল খেটেছিলেন। অন্য এক ঘটনায় ‘প্রফেসর বার্নার্ড লুইস নামের একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ, যিনি যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছেন। তিনি ফরাসী পত্রিকা Le Monde তে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেছিলেন ‘গণহত্যার সংজ্ঞায় পড়ে না বলে আর্মেনিয়ায় গণহত্যা হয়েছে বলা যাবে না।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আর্মেনিয়ানরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় এবং এর সূত্র ধরে ফরাসি এক আদালত তাঁকে এক ফ্রাঙ্ক জরিমানা করেছিলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাজি বাহিনী কর্তৃক গণহত্যাকে (হলোকাস্ট) ঠিক ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করতে চাননি বলে ডেভিড আর্ভিং নামের পশ্চিমের একজন খ্যাতিমান ইতিহাসবিদকে ১৩ মাস জেল খাটতে হয়েছিল। আরেক ঘটনায় মার্কিন অধ্যাপক ও আইনজীবী পিটার আর্লিন্ডার রুয়ান্ডার গণহত্যাকে অস্বীকার করে এটাকে যুদ্ধের একটি ‘বাই প্রোডাক্ট’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এ কারণে গণহত্যা বিষয়ক মামলায় একটি পক্ষের আইনি পরামর্শক হওয়া স্বত্বেও রুয়ান্ডার আদালত তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রশ্ন তোলায় ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা ছাড়াও রায় ঘোষণার দিন আদালতে দীর্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।

একাত্তরে পাকিস্তানী বাহিনীর বর্বরোচিত আক্রমণের শিকার হয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা তখন ভারত সরকার করেছিল। শুধু তাই নয়, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়াও অস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহও ভারত করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মিত্রদেশ হিসেবে ভারতের তখন খরচ হয়েছিল প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। মিত্রবাহিনী হিসেবে মুক্তিবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে শুধু পূর্ব ও পশ্চিম রণাঙ্গনেই শহীদ হয়েছিল ভারতের ৩৬৩০ জন সেনা, নিখোঁজ হয়েছিল ২১৩ জন এবং মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিল ৯৮৫৬ জন, যাদের অনেকেই পরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন বলে জানা যায়। বাংলাদেশের লাখ লাখ শরণার্থীকে সেবাযত্ন ও সহায়তা করায় সেসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর এই মহতী কাজকে যীশু খৃষ্টের কাজের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন নোবেলজয়ী মাদার তেরেসা।

ইউরোপে ‘ল এগেইনস্ট ডিনায়াল অব হলোকাস্ট’ আইনটি করার উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের মত লোমহর্ষক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা, ধর্ম ও বর্ণের দোহাই দিয়ে বর্ণবাদিতা বন্ধ করা এবং বিশ্বসভ্যতাকে এগিয়ে নিতে মানবতাবাদকে সুরক্ষা দেয়া। ১৯৮১ সালে ইউএন ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস ডিকলারেশনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, ‘মানব ইতিহাসে যত গণহত্যা হয়েছে, তারমধ্যে বাংলাদেশে ১৯৭১-এর গণহত্যায় স্বল্পতম সময়ে এই সংখ্যা সর্ববৃহৎ। গড়ে প্রতিদিন ৬০০০ -১২০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল তখন, যা গণহত্যার ইতিহাসে প্রতিদিনে সর্বোচ্চ নিধনের হার, বলে উল্লেখ করেছিল রিপোর্টে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই গণহত্যার আজো কোন আন্তর্জাতিক কোন স্বীকৃতি নেই। আর এই কারণেই ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যার পরেও একাত্তরের পরাজিত শক্তি সাহস পায় যুদ্ধাপরাধ অস্বীকার করতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে এবং অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে ২০১০ সালে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং আদালত সে বিচার অত্যন্ত সুচারুরূপে সম্পন্ন করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত করতে উন্নয়নের যে পদক্ষেপগুলো সরকার হাতে নিয়েছেন, তাতেও প্রতিপদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। মৌলবাদের হিংস্রতায় প্রতিমূহুর্তে শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকারকে দিতে হচ্ছে চড়ামূল্য। একাত্তরের হায়নাদের বর্বরতায় ছিন্নভিন্ন হচ্ছে দেশ, মরছে বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়ন এবং দেশজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে এক ভীতিকর পরিস্থিতি। এ পরিস্থিতি যে শুধু বাংলাদেশই ভোগ করছে, তা নয়। একাত্তরের পরাজিত শক্তি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশেও কমবেশি একই ঘটনা ঘটাচ্ছে।

ইতিহাস বিকৃতি প্রতিহতকরণ ও গণহত্যার মত অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে ইউরোপের ১৪টি দেশ ‘হলোকস্ট অস্বীকৃতি আইন’ প্রণয়ন করেছে। যে আইনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গণহত্যার পরিসংখ্যান অস্বীকার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও নিহত শহীদদের সংখ্যাকে অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে ভারতে অবস্থানরত মুজিবনগর সরকারকে অস্বীকার করা, ভারতে অবস্থান নেয়া এক কোটি শরণার্থীদের অস্বীকার করা, মুক্তিবাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধে অংশ নেয়াকে অস্বীকার করা, ৩০ লক্ষ বাংলাদেশী শহীদ হওয়া ছাড়াও অসংখ্য ভারতীয় সেনার শহীদ হওয়াকে অস্বীকার করা, ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় জেনারেল আরোরার কাছে পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজির আত্মসমর্পণকে অস্বীকার করা, বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সৈন্যদের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করা এবং তদানীন্তন ভারতের বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতাকে অস্বীকার করা। সম্মিলিত এই অস্বীকারগুলো নিঃসন্দেহে কালের ইতিহাসে সবচেয়ে গর্হিত ‘অপরাধ’ এবং তা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, ভারতের জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য। এই অপরাধকে দমন করতে এবং ভবিষ্যতে এশিয়ার এঅঞ্চলে যেকোনো ধরনের গণহত্যাকে আগাম প্রতিরোধ করতে দুই দেশের সরকারেরই উচিত হবে ইউরোপের ‘ল এগেইনস্ট ডিনায়াল অব হলোকাস্ট ল’ এর মত ‘৭১এ গণহত্যা অস্বীকৃতির বিরুদ্ধে আইন’ করা। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যদি এই আইন তৈরির উদ্যোগ নেন, তাহলে নিঃসন্দেহে আশা করা যেতে পারে যে, একাত্তরে যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশকে সাহায্য ও সমর্থনদানকারী অন্যান্য দেশের সরকারগুলোও এই আইনটি তৈরির উদ্যোগ নেবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শত্রুদেশ হলেও জার্মানি যেমন যুদ্ধোত্তর এই আইনটি নিজ দেশে করেছে, তেমনি যুদ্ধকালীন শত্রুদেশ পাকিস্তানও এই আইনটি করবে বলে আশা করা যেতে পারে।

২০১৫ সালের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরের সময় এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে যদি সূর্য ওঠে, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই সে আলো ভারতে গিয়ে পৌছবে’। ওনার এই কথাটি অত্যন্ত সঠিক এবং যুক্তিসঙ্গত। তবে বাংলাদেশ যদি একাত্তরের গণহত্যাকারী সন্ত্রাসবাদের বিভীষিকাময় কালো ছায়ায় ঢেকে যায়, তাহলে সে আঁধারে ভারতও যে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এজন্য বিশ্বকে, বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়াকে আরো বাসযোগ্য ও মানবিক করতে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টা ও নেতৃত্বে মৌল- ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বিশেষ স্বাক্ষর রাখতে দুই দেশেই ‘৭১এ গণহত্যা অস্বীকৃতির বিরুদ্ধে আইন’ তৈরির কোন বিকল্প নাই।

সাব্বির খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলাম লেখক ও সাংবাদিক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৩ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ