আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

পুলিশের জঙ্গি দমন অভিযান এবং আমার ভাবনা

ফরিদ আহমেদ  

গত কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার হত্যা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের খুন করা হচ্ছে, বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবী লোকদের চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে পরলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই সব হত্যাকাণ্ডের পিছনে জঙ্গিরা রয়েছে বলে প্রায় সবাই আঙুল তুললেও, বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এর বিরোধিতা করা হয়েছে দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই বলে দাবী করেছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, এগুলো সব অপপ্রচার, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কিছু সরকারবিরোধী লোকের প্রচেষ্টামাত্র। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা এগুলো করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবসময়ই বলে এসেছেন, এগুলো সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একটা দেশে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। এদের সবাইতো আর ভালো মানুষ না। বিচ্ছিন্ন কিছু খুন-খারাবি নানা কারণে ঘটবেই। এটাই স্বাভাবিক। এরকম খুন খারাবি শুধু বাংলাদেশে নয়, আমেরিকার মতো উন্নত দেশেও ঘটে থাকে। কথা সত্যি। আমেরিকার পত্র-পত্রিকা ঘাঁটলে প্রতিদিনই আপনি এক বা একাধিক খুনের ঘটনা দেখতে পাবেন। ক্যানাডার মতো আইনশৃঙ্খলায় অগ্রগামী দেশেও প্রায়শ খুন হয়ে থাকে। এইতো সেদিনও আমার এখানেই একটা মলের মধ্যে অবস্থিত এক লিকার স্টোরের সামনে জোড়া খুন হয়ে গেলো। খুনের অল্প সময় পরেই আমি শপিং মলে গিয়েছিলাম। দেখলাম, পুলিশ পার্কিং লটের একটা অংশ হলুদ ফিতে দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছে। এর বাইরে লোকজনের মধ্যে এ কারণে তেমন কোনো বিকার চোখে পড়লো না। খুন হয়েছে, পুলিশ এসেছে, তারা খুনি ধরবে, আদালত খুনিদের বিচার করবে। এর বাইরে সাধারণ মানুষের এ নিয়ে না ভাবলেও চলে এখানে। কিন্তু বাংলাদেশে এই বিষয়টা ব্যতিক্রম। খুন হয়, কিন্তু পুলিশ এর কোনো কিনারা করতে পারে না। সরকারের উচ্চ পর্যায় খুনের দায়-দায়িত্ব এড়ানোতেই ব্যস্ত থাকে। আমেরিকা বা ক্যানাডাতে সরকার এই কাজটা করে না। যে ব্যক্তিই খুন হোক, যে অপরাধেই সে খুন হোক না কেন, খুনিকে ধরার জন্য তারা সর্বশক্তি দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। কারণ, আইন নিজের হাতে তুলে নেবার অধিকার অন্য কারো নেই।

সপ্তাহখানেক আগে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে মাহমুদ আক্তার মিতু নামের একজন বত্রিশ বছর বয়স্কা নারীকে হত্যা করে ঘাতকদল। প্রথমে তাকে ছুরিকাহত করা হয়, পরে পিস্তল দিয়ে গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তিনজন খুনি মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। নিহত মাহমুদ আক্তার মিতুর স্বামী পুলিশের এসপি জনার বাবুল আক্তার।

বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই, সরকারের এই চড়া গলার দাবী হঠাৎ করেই ধাক্কা খেয়েছে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর। সুর নরম করে তাঁর এতদিনকার অবস্থান থেকে পুরোপুরি উল্টোদিকে ঘুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছেন, জঙ্গি দমনে অফিসার বাবুল আক্তারের অনমনীয় ভূমিকার কারণে জঙ্গিরা প্রতিশোধ হিসাবে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছে। দেশে কোনো জঙ্গি নেই, তাঁর এতো দিনের দাবীর পরে, জঙ্গি দমনে পুলিশ অফিসার কাজ করে কীভাবে, সেই ব্যাখ্যা তিনি অবশ্য দেন নি। তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, দেশে জঙ্গি ছিল বা আছে এবং বাবুল আক্তার নামের একজন পুলিশ অফিসার তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন।

বাবুল আক্তারের স্ত্রী মারা যাওয়ায় পুলিশ এটাকে নিয়েছে তাদের উপর হামলা হিসাবে। ব্যক্তিগতভাবে এটাকে আমি খারাপ চোখে দেখি না। একজন সহকর্মীর স্ত্রীর মৃত্যুতে তারা শোকাভিভূত হবে, নিজেদের আক্রান্তবোধ করবে, এটাই স্বাভাবিক। বাবুল আক্তারের সহকর্মী কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বোম ডিস্পোজাল টিমের প্রধান ও অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. ছানোয়ার হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন,

“হ্যাঁ, আমি আর জঙ্গি-ফঙ্গিতে নাই। অনেকেই তো পুলিশের চাকরি করে, কিন্তু সবাই কি জঙ্গি নিয়ে কাজ করে?করে না। তাহলে এত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ আমি কেন করবো? আমিও অন্য কোনও বিভাগে চলে যাচ্ছি। কে চায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের দায়ে পরিবারের সদস্যদের হারাতে? কেউ না, তাই আমিও না।

ঠিক এই রকম একটি সিদ্ধান্তই দেখতে চেয়েছিল জঙ্গিরা। তাই শুনিয়ে দিলাম। তবে শুধু শোনানোর জন্য নয়, আমি আসলেই জঙ্গি নিয়ে আর কাজ করবো না। যেটা করবো সেটা হচ্ছে যুদ্ধ, যুদ্ধ করবো। আগে করতাম কাজ, এখন করবো যুদ্ধ।... কাজের পরিবেশ তো আর নেই, যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে গেছে। পরিবারের নিষ্পাপ সদস্যের ওপর আঘাত, যুদ্ধ না তো কি? তাই এখন জঙ্গি নিয়ে কাজ মানেই যুদ্ধ।”

এই জঙ্গি নিয়ে কাজ করাটাও আমি ঠিক বুঝি নি। জঙ্গি থাকলে সরাসরি সেটাকে দমন করাটাই পুলিশের কাজ হওয়া উচিত। জঙ্গি কোনো অবহেলার জিনিস নয়। এরা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের অশুভ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য।  ধরে নিচ্ছি, জঙ্গি নিয়ে কাজ করার মানে হচ্ছে জঙ্গিবাদ নিয়ে গবেষণা এটি। পুলিশ একশনে নামার আগে প্রি-ওয়ার্ক করেই নামে। তো, সেই প্রি-ওয়ার্কই তারা করেছেন জঙ্গিদের উপর এত দিন ধরে। এই বক্তব্য দিয়ে প্রকারান্তরে স্বীকার করেই নেওয়া হলো যে, বাংলাদেশে জঙ্গি রয়েছে।

এখন অবশ্য আর প্রকারান্তরে না, পুলিশ সরাসরি এক সপ্তাহের অভিযানে নেমেছে জঙ্গি দমনে। এই অভিযানে নামার আগে অবশ্য হাস্যকর একটা বোকামির কাজ করেছে পুলিশ। জঙ্গি দমন অভিযান কখন থেকে শুরু হবে তার দিনক্ষণ আগেই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশে জঙ্গিদের প্রকাশ্য কোনো ঘাঁটি নেই যে সেখানে গিয়ে পুলিশ দিনক্ষণ, সময় ধরে হামলা চালাবে। এরকম একটা ঘাঁটি চট্টগ্রামে আছে অবশ্য, কিন্তু সেখানে পুলিশ কোনোদিন যাবে না কিংবা হামলা করবে না এক বৃদ্ধ হুজুর গোস্বা করবে বলে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই হুজুরের প্রভাব কিংবদন্তী তুল্য। সরকার প্রায়শই তাকে জমিটমি উপহার দিয়ে তুষ্ট রাখার চেষ্টা করে। এই রকম কিছু ঘাঁটি বাদ দিলে বাংলাদেশের সব জঙ্গিরা নিজেদের ঘরবাড়িতেই বসবাস করে। সাধারণ মানুষ হিসাবে সমাজে তারা চলাফেরা করে। এই ঘোষণা শুনে জঙ্গিরা নিজেদের ঘর-বাড়িতে বসে থাকবে, আত্মগোপনে চলে যাবে না, এমন আশা নির্বোধ ব্যক্তিও করবে না। কিন্তু পুলিশ করেছে। বাংলাদেশ থেকে একদিনের মধ্যেই ভারত সীমান্ত পাড়ি দেওয়া সম্ভব, বড় বড় জঙ্গিরা খুব সহজেই সীমান্তের ওপারে এক সপ্তাহ কাটিয়ে আসতে পারে প্লেজার ট্যুর হিসাবে।

যাইহোক, বিশাল তোড়জোড় করে পুলিশ প্রথম দিনের অভিযান শুর করলো। পত্র-পত্রিকার খবরে দেখলাম সারাদেশ থেকে প্রথম দিনেই একহাজারেরও বেশি জঙ্গি ধরে ফেলেছে পুলিশ। এই সংখ্যার বিশালত্ব দেখে চোখ কপালে উঠে গেলো আমার। যুদ্ধ ঘোষণা দেওয়ার পরে পালিয়ে যাবার পর্যাপ্ত সময় থাকার পরেও যদি মাত্র একদিনেই একহাজার জঙ্গি ধরা পড়ে, তবে নিশ্চিত করেই বলে দেওয়া যায় যে সারা দেশে মশা-মাছির মতো জঙ্গি কিলবিল করছে। খুবই বিপদজনক একটা পরিস্থিতি এটা বাংলাদেশের জন্য। জনগণের জন্য মহা ভয় এবং  আশংকার কারণ এটি। এই রকম শত শত জঙ্গি এতদিন সমাজে বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করেছে। এরা ইচ্ছা করলেই আরও বহু মানুষের প্রাণ নিতে পারতো। আজ পত্রিকায় দেখলাম, দুই দিনে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজারেরও উপরে। এই তিনহাজার সংখ্যার সাথে আরেকটা খবর এসেছে। সেটা হচ্ছে, এই তিনহাজারের সবাই জঙ্গি নয়। এদের মধ্যে জঙ্গির সংখ্যা হচ্ছে মাত্র সাইত্রিশজন। বাকিদের পুলিশ ধরেছে অন্যসব অভিযোগে।

জঙ্গি দমন করতে গিয়ে অন্যসব অভিযোগে লোকজন গ্রেফতার করার কোনো সঠিক কার্যকারণ আমি খুঁজে পেলাম না। এতে করে মূল যে অভিযান সেটাই ব্যাহত হবারই কথা পুলিশকে খুব বেশি রিসোর্স ব্যবহার করতে হচ্ছে শাখা-প্রশাখা ছাটতে গিয়ে, যেখানে তাদের মূল নজরটা কাণ্ডের প্রতিই দেবার কথা ছিল।

বাংলাদেশে একসময় পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা কারেন্ট জাল ব্যবহার করতো। এতে ইলিশের পাশাপাশি ইলিশের বাচ্চা, যেটাকে জাটকা বলে, সেটা ধরা পড়তো প্রচুর পরিমাণে। ইলিশ ধরা পড়ুক বা না পড়ুক, জাটকা ধরে সেটা বাজারে বিক্রি করে জেলেদের কিছু আয়-রোজগার হতো। সরকার একসময় বাধ্য হয়ে কারেন্ট জাল নিষিদ্ধ করে দেয়। নয় ইঞ্চির চেয়ে বেশি ছোট ইলিশ ধরা আইনগতভাবে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশেরও সেই জেলেদের মতোই দশা হয়েছে। রুই-কাতলা ধরতে গিয়ে তাদের মতো উপযুক্ত  জাল না ফেলে, কারেন্ট জাল ব্যবহার করছে তারা। এটা কি বুঝে করেছে, না না বুঝে করেছে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। দুর্মুখেরা অবশ্য বলছে, ঈদকে সামনে রেখে, মিতু হত্যাকে ব্যবহার করে, এটা পুলিশের এক ধরনের বাণিজ্য চলছে। এই সব হাজার হাজার গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে পয়সা হাতিয়ে নেবে পুলিশ। এর বাইরে আরও বহু লোকের কাছ থেকেই চাঁদাবাজি করবে তারা গ্রেফতার, কিংবা ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে। মিতু হত্যাকাণ্ডের পরেই তিনজন জঙ্গি পুলিশের সাথে‘বন্দুকযুদ্ধে’নিহত হয়েছে বলে পত্রিকায় এসেছে। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আবু নছর গুন্নু নামের একজন লোককে গ্রেফতার করে। গুন্নুর স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে যে, পুলিশ গুন্নুর প্রতিপক্ষের কাছ থেকে  তিরিশ লাখ টাকা ঘুষ খেয়ে তাকে ক্রসফায়ারে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু হাটহাজারি থানার ওসি ইসমাইল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকায় সেটা সম্ভবপর হয় নি। ওসি সাহেবের হস্তক্ষেপে গুন্নু প্রাণে বেঁচে যায়।‘প্রথম আলো’-র সম্পাদকীয়তেও একই আশংকা ব্যক্ত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে,

“একই কায়দায় একের পর এক নিরীহ মানুষ খুন হওয়ায় জনমনে গভীর এক নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে পুলিশের বিশেষ অভিযানের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু সপ্তাহব্যাপী অভিযানের শুরুর দিনেই এত গ্রেপ্তারের ঘটনা অস্বাভাবিক। অভিযানের নামে গয়রহ গ্রেপ্তার কোনো সুফল দেয় না, বরং আমরা অতীতে দেখেছি এর মাধ্যমে একধরনের উৎকোচ-বাণিজ্যের পথ উন্মুক্ত হয়। ফলে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি।

আমরা দেখছি, পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর পাশাপাশি ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাও ঘটে চলেছে। এটা বড় উদ্বেগের বিষয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা, কেউ‘ক্রসফায়ার’বা‘বন্দুকযুদ্ধের’শিকার হয়ে প্রাণ হারাক, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অপরাধ দমনে কোনোভাবেই সহায়তা করে না, বরং আইন ও বিচারের প্রতি অনাস্থার পরিস্থিতি তৈরি করে।”

বাংলাদেশের পুলিশের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের এক ধরনের অনাস্থা রয়েই গিয়েছে সেই ঐতিহাসিককাল থেকেই। এর পিছনে জনগণ যতটা না দায়ী, তার চেয়ে পুলিশ বাহিনীই বেশি দায়ী। পেশাগত সততা এবং দক্ষতা প্রদর্শনে পুলিশ প্রায়শই ব্যর্থ হয়েছে আমাদের সমাজে। জনগণের বন্ধু হিসাবে পুলিশকে যেখানে সবার ভরসার জায়গা হিসাবে বিবেচনা করা উচিত, সেখানে‘বাঘে ছুলে আঠারো ঘা, পুলিশ ছুলে ছত্রিশ ঘা’, বৃটিশ আমলের এই প্রবাদবাক্যকেই মানুষ বেশি বিশ্বাস করে। পুলিশও মানুষের এই দৃঢ়বদ্ধ নেতিবাচক বিশ্বাসকে ভঙ্গ করার জন্য ইতিবাচক কিছু করে নি।

আজকে পুলিশ বাহিনী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালাচ্ছে, সেটাকে সফল করতে হলে নির্দিষ্ট তথ্য–প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা উচিত। পুলিশ যদি সত্যি সত্যি জঙ্গিদের পাকড়াও করে থাকে তবে সেটি জনমনে যেমন স্বস্তি দেবে, তেমনি জঙ্গিরাও কঠোর বার্তা পেয়ে যাবে এ থেকে। পুলিশের এ অভিযান সফল করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছারও প্রয়োজন রয়েছে। অতীতে অনেক বড় বড় অপরাধী পার পেয়ে গেছে রাজনৈতিক কারণে। এবার যেন তেমন না হয়, সেটাকে নিশ্চিত করতে হবে।  

জঙ্গিমুক্ত একটা সুস্থ স্বাভাবিক এবং নিরাপত্তাময় পরিবেশ দেশে বজায় থাকুক, বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ আপাতত শুধু এটুকুই প্রত্যাশা করে পুলিশবাহিনীর কাছ থেকে। একের  পর এক হত্যাকাণ্ড এবং রক্তপাত দেখতে দেখতে ক্লান্ত এবং ভীত তারা।

ফরিদ আহমেদ, কানাডা প্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ